কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- ৪৫তম পরব

সংখ্যা: ২১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার প্রতি। আল্লাহ পাক-উনার অশেষ রহ্মতে গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-এর ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-এর অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র æমাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা)  ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং  ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)   ২৭.  ইসলামের  নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) পেশ করার পর ১৬৮তম সংখ্যা থেকে-

২৮তম ফতওয়া হিসেবে

æকুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করে আসতে পারায় মহান আল্লাহ পাক-উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

 

প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা, করানো ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলামের নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- æমাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ æমাসিক আল বাইয়্যিনাত”-এ এমন সব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো ‘ওহাবী সম্প্রদায়’। ইহুদীদের এজেন্ট ওহাবী মতাবলম্বী উলামায়ে ‘ছূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

স্মরণীয় যে, ইহুদীদের এজেন্ট, ওহাবী মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা প্রচার করছে æছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই”। (নাউযুবিল্লাহ) সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, æনির্বাচন কমিশনার বলেছে, ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে জেল-জরিমানা হবে, নির্বাচন কমিশনার ভোটার আই.ডি কার্ডের জন্য ছবিকে বাধ্যতামূলক করেছে এবং ছবির পক্ষে মসজিদে, মসজিদে প্রচারণা চালাবে বলেও মন্তব্য করেছে। আর উলামায়ে ‘ছূ’রা তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে যে, æরাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যেই ছবি তোলা জায়িয।” (নাঊযুবিল্লাহ) শুধু তাই নয়, তারা নিজেরাও অহরহ ছবি তুলে বা তোলায়।

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এ বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, æরাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ছবি তোলা জায়িয” তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে,

استحلال المعصية كفر.

অর্থাৎ æগুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী।)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে æছূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমানদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ ছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধ নেই বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সকলের জন্যে ছবি তোলা জায়িয” উলামায়ে æছূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে ছবি তুলবে (যদিও হারাম জেনেই তুলুক না কেন) তারা আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হবে যা শক্ত আযাব বা কঠিন গুনাহের কারণ। কেননা হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون.

অর্থঃ হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণনা করেন তিনি বলেন, আমি হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইর-উনার ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-উনার নিকট শুনেছি, তিনি বলেন, আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, æনিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ পাক কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)

উক্ত হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যায় æউমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারীতে” উল্লেখ আছে,

وفى التوضيح قال اصحابنا وغيرهم صورة الحيوان حرام اشد االتحريم وهم من الكبائر.

অর্থ: ‘তাওদ্বীহ’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হযরত উলামায়ে কিরামগণ প্রত্যেকেই বলেন, জীব জন্তুর ছবি বা প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা হারাম বরং শক্ত হারাম এবং এটা কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।

অতএব, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উলামায়ে æছূ”দের উক্ত বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ছবি তুলে প্রকাশ্য হারাম কাজে মশগুল হয়ে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে যা আমলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিকর।

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ মূর্তি বা ছবিসহ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই æকুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি” পুনরায় প্রকাশ করা হলো।

প্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল প্রমাণ

স্মর্তব্য যে, নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য প্রায় হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফ-এর ব্যাখ্যাগ্রন্থ ও ফিক্বাহ-ফতওয়ার কিতাবেই æপ্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয” বলে উল্লেখ আছে। নিম্নে সেসকল কিতাবসমূহ থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সম্পর্কিত দলীল প্রমাণ তুলে ধরা হলো-

আল হাওয়াশিল জাদীদাহ লিল কান্ধালাবী আলান নাসায়ী

‘নাসায়ী শরীফ’-এর অত্র হাশিয়াহখানা লিখেছেন শায়েখ আশফাকুর রহমান কান্ধালাবী হানাফী। অত্র হাশিয়ায় প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত আছে, তা হচ্ছে-

(৮০৫)

بهذا يحتج من قال باباحة رقم مطلقا سواء ممتهن ام لا كما هو ههنا وجواب الجمهور عنه انه محمول على رقم صورة الشجرة ونحوه ما ليس بحيوان فانه جائز عندنا. (الحواشى الجديدة للكاندهلوى على النسائى كتاب الزينة باب التصاوير الجلد ۲  الصفحة ۲۵۵ رقم الحاشية ۱۵ مكتبة الاتحاد ديوبند- المكتبة الاشرفية ديوبند الهند)

অর্থ: (কাপড়ে প্রাণহীনের ছবিতে অসুবিধা নেই) এই হাদীছ শরীফ দ্বারা ছবিকে যারা বৈধ ফতওয়া দেন তারা দলীল পেশ করে থাকেন। প্রাণহীনের ছবি লাঞ্ছনা অথবা অলাঞ্ছনার জন্য তৈরি করুক তা বৈধ। জমহূর বা অধিকাংশ উলামায়ে কিরামগণের বক্তব্য হচ্ছে, রকম দ্বারা উদ্দেশ্য গাছ-পালা এবং প্রাণহীন জড় বস্তুর ছবি। আর তা আমাদের সকল ইমামগণের মতে জায়িয। (কিন্তু প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম)। (আল হাওয়াশিল জাদীদাহ লিল কান্ধালাবী আলান নাসায়ী অধ্যায়: সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের বিধান ২য় খণ্ড ২৫৫ পৃষ্ঠা ১৫নং হাশিয়া প্রকাশনা: মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ দেওবন্দ, আল মাকতাবাতুল আশরাফিয়াহ দেওবন্দ হিন্দ)

(৮০৬)

قوله يضاهون يشبهون الله تعالى فى خلقه فالباء فى بخلق الله بمعنى فى. (الحواشى الجديدة للكاندهلوى على النسائى كتاب الزينة باب ذكر اشد الناس عذابا الجلد ۲  الصفحة ۲۵۶ رقم الحاشية ۹)

অর্থ: æক্বিয়ামতের দিন ওই সকল লোকের কঠিন শাস্তি হবে যারা মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির সাদৃশ কোন কিছু তৈরি করে।” এখানে يضاهون অর্থ আল্লাহ তায়ালা উনার সৃষ্টির সাদৃশ কিছু তৈরি করা। بخلق الله হাদীছাংশের ب ‘বা’ হরফে জরটি فى ‘ফী’ অর্থে এসেছে। (অর্থাৎ প্রাণীর ছবি মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম হওয়ার কারণেই এগুলোর চর্চাকারীকে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে। (আল হাওয়াশিল জাদীদাহ লিল কান্ধালাবী আলান নাসায়ী অধ্যায়: সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য চর্চাকারীদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া প্রসঙ্গে ২য় খণ্ড ২৫৬ পৃষ্ঠা, ৯ নম্বর হাশিয়াহ)

(৮০৭)

قوله تماثيل جمع تمثال والمراد صور الحيوانات. (الحواشى الجديدة للكاندهلوى على النسائى كتاب الزينة باب ذكر اشد الناس عذابا الجلد ۲  الصفحة ۲۵۶ رقم الحاشية ۱۰)

অর্থ: হাদীছ শরীফ-এ تماثيل শব্দটি تمثال শব্দের বহুবচন। তিমছাল দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাণীর ছবি। (যা সাইয়্যিদুনা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছিঁড়ে ফেলেছিলেন অর্থাৎ প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য হারাম এটাই স্পষ্ট ফায়সালা)। (আল হাওয়াশিল জাদীদাহ লিল কান্ধালাবী আলান নাসায়ী অধ্যায়: সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য চর্চাকারীদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া প্রসঙ্গে ২য় খণ্ড ২৫৬ পৃষ্ঠা, ১০ নম্বর হাশিয়াহ, ফতহুল বারী)

(৮০৮)

قوله تلون وجهه اى تغير غضبا لله. (الحواشى الجديدة للكاندهلوى على النسائى كتاب الزينة باب ذكر اشد الناس عذابا الجلد ۲ الصفحة ۲۵۶ رقم الحاشية ۱۱)

অর্থ: হাদীছ শরীফ-এর বাণী: æপ্রাণীর ছবিযুক্ত পর্দা দেখে সাইয়্যিদুনা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেহারা মুবারক লালবর্ণ ধারণ করলো” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই উনার চেহারা মুবারক লালবর্ণ ধারণ করলো। ( এ থেকে বুঝা যায় প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা করা কতবড় কঠিন গুনাহের কাজ বা হারাম কাজ)। (আল হাওয়াশিল জাদীদাহ লিল কান্ধালাবী আলান নাসায়ী অধ্যায়: সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য চর্চাকারীদেরকে কঠিন শাস্তি দেয়া প্রসঙ্গে ২য় খণ্ড ২৫৬ পৃষ্ঠা, ১১ নম্বর হাশিয়াহ)

(৮০৯)

قوله حتى ينفخ الخ قد جعل غاية عذابه ينفخ الروح واخبر انه ليس بنافخ فيلزم انه يبقى معذبا دائما وهذا فى حق من كفر بالتصوير بان صور مستحلا او لتعبدا  ويكون كافرا فى الاصل واما غيره وهو العاصى بفعل ذلك غير مستحل له. (الحواشى الجديدة للكاندهلوى على النسائى كتاب الزينة باب ذكر ما يكلف اصحاب الصور يوم القيامة الجلد ۲ الصفحة ۲۵۶ رقم الحاشية ۱۶)

অর্থ: হাদীছাংশ حتى ينفخ এর ব্যাখ্যা: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য তৈরিকারীদেরকে শাস্তি দিতে থাকা হবে, যতক্ষণ না তাতে প্রাণ দেয়। এর দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, তারা তাতে প্রাণ দিতে সক্ষম হবে না, আর এজন্য তাদেরকে সার্বক্ষণিক আযাব দিতেই থাকা হবে। এ শাস্তি হবে তাদের, যারা প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চাকে বৈধ জেনেছে অথবা ইবাদতের উদ্দেশ্যে তৈরি করেছে। মূলত এ কাজগুলোই কুফরী বা কাফির হওয়ার জন্য যথেষ্ট।

আর যদি কেউ উক্ত উদ্দেশ্যে না করে, তাহলে সে কবীরাহ গুনাহে গুনাহগার হবে। অর্থাৎ কেউ যদি হারাম জেনে এবং ইবাদতের উদ্দেশ্য ব্যতীত এগুলোর চর্চা করে তাহলে সে ব্যক্তি হবে আছী বা কবীরাহ গুনাহগার। (আল হাওয়াশিল জাদীদাহ লিল কান্ধালাবী আলান নাসায়ী অধ্যায়: সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: ক্বিয়ামতের দিবস প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য চর্চাকারীদেরকে তাতে প্রাণ দিতে চাপ প্রয়োগ করা প্রসঙ্গে ২য় খণ্ড ২৫৬ পৃষ্ঠা, ১৬ নম্বর ব্যাখ্যা)

(৮১০-৮১১)

قوله اشد الناس الخ هذا محمول على من فعل الصورة للتعبد وهو صانع الاصنام ونحوها فهذا كافر وهو اشد عذابا وقيل هذا فيمن قصد المعنى الذى فى الحديث من مضاهاة خلق الله تعالى واعتقد ذلك فهذا كافر له من اشد العذاب بالكفار ويزيد عذابه بزيادة قبح كفرا فاما من لم يقصدها العبادة ولا المضاهاة فهو فاسق صاحب ذنب كبير ولا يكفر كسائر المعاصى كذا فى شرح النووى على المسلم. (الحواشى الجديدة للكاندهلوى على النسائى كتاب الزينة باب ذكر اشد الناس عذابا الجلد ۲ الصفحة ۲۵۶ رقم الحاشية ۱۸)

অর্থ: æক্বিয়ামতের দিবস ওই সকল লোকের কঠিন শাস্তি হবে।” অর্থাৎ এ বাণীর ব্যাখ্যা এই যে, যারা ইবাদত বা উপাসনার জন্য প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য তৈরি করবে তাদের কঠিন শাস্তি হবে। তারাই মূর্তি পূজক, একইভাবে তারাই কাফির, আর তাদেরই কঠিন শাস্তি হবে। কারো কারো মতে: হাদীছ শরীফ-এর দ্বারা ওই সকল লোক উদ্দেশ্য যারা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার সৃষ্টির সাদৃশ্য কোন কিছু তৈরি করে এবং এমনটি বিশ্বাস (দাবী) করে। এ সমস্ত লোকই কাফির। আর তাদের কুফরীর কারণে কঠিন শাস্তি দিতে থাকা হবে। তাদের ঘৃণিত কুফরী কাজের জন্য তাদের শাস্তি বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু যাদের উদ্দেশ্য ইবাদত বা উপাসনা নয় এবং সৃষ্টির সাদৃশ্য দাবি করা নয়, তারা ফাসিক বা কবীরাহ গুনাহগার হবে। যাবতীয় গুনাহের কাজ কুফরী নয়, বরং গুনাহের কাজকে হালাল মনে করা কুফরী। অনুরূপ বর্ণনা ‘শরহুন নুবাবী আলাল মুসলিম’ কিতাবে উল্লেখ আছে। (আল হাওয়াশিল জাদীদাহ লিল কান্ধালাবী আলান নাসায়ী অধ্যায়: সাজ-সজ্জা পরিচ্ছেদ: ক্বিয়ামতের দিন প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য চর্চাকারীদেরকে কঠিন শাস্তি প্রদান প্রসঙ্গে  ২য় খণ্ড ২৫৬ পৃষ্ঠা, ১৮ নম্বর ব্যাখ্যা)

ইনজাহুল হাজাহ আলা সুনানি ইবনি মাজাহ

 

‘সুনানু ইবনি মাজাহ’ কিতাবের অত্র ব্যাখ্যাগ্রন্থখানা লিখেছেন শায়েখ আব্দুল গণী আল মুজাদ্দিদী আদ দিহলবী আল মাদানী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত: ১২৯৫ হিজরী। উক্ত কিতাবে প্রাণীর ছবি মূর্তি-ভাস্কর্য সম্পর্কে যা কিছু উল্লেখ আছে, তা তুলে ধরা হলো-

(৮১২)

قوله لا تدخل الملائكة بيتا فيه كلب ولا تصاوير اى مما يحرم اقتنائه من الكلاب والصور. (انجاح الحاجة على سنن ابن ماجة كتاب اللباس باب الصور فى البيت الصفحة ۲۶۰ رقم الحاشية ۱ مكتبة الاتحاد ديوبند الهند)

অর্থ: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, ওই সমস্ত ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না, যে সমস্ত ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য থাকে। অর্থাৎ ঘরে কুকুর ও প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য রাখা হারাম। (ইনজাহুল হাজাহ আলা সুনানি ইবনি মাজাহ অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ পরিচ্ছেদ: ঘরে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য রাখার হুকুম ২৬০ পৃষ্ঠা ১ নম্বর ব্যাখ্যা প্রকাশনা: মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ দেওবন্দ হিন্দ)

(৮১৩)

قالوا تصوير صورة الحيوان حرام اشد التحريم سواء فى ثوب او وساط او درهم. (انجاح الحاجة على سنن ابن ماجة كتاب اللباس باب الصور فى البيت الصفحة ۲۶۰ رقم الحاشية ۱)

অর্থ: সকল ইমাম-মুজতাহিদ, আওলিয়া, ওলামায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন, প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চা করা হারাম শক্ত হারাম। একইভাবে কাপড়ে, বালিশে গদিতে ও মুদ্রা-টাকা-পয়সায় প্রাণীর ছবি বা মূর্তি অঙ্কন করাও হারাম। (ইনজাহুল হাজাহ আলা সুনানি ইবনি মাজাহ অধ্যায় পোশাক-পরিচ্ছদ পরিচ্ছেদ: ঘরে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য রাখার হুকুম ২৬০ পৃষ্ঠা ১ নম্বর ব্যাখ্যা)

(৮১৪)

وقيل النهى عن الصورة مطلقا. (انجاح الحاجة على سنن ابن ماجة كتاب اللباس باب الصور فى البيت الصفحة ۲۶۰ رقم الحاشية ۱)

অর্থ: কোন কোন হাক্কানী রব্বানী উলামায়ে কিরাম বলেন, ব্যাপকভাবে সকল প্রকার প্রাণীর ছবি (মূর্তি, ভাস্কর্য, পুতুল, ম্যানিকিন ইত্যাদি) তৈরি করা অঙ্কন করা, তোলা, দেখা নিষেধ তথা হারাম। (ইনজাহুল হাজাহ আলা সুনানি ইবনি মাজাহ অধ্যায় পোশাক-পরিচ্ছদ পরিচ্ছেদ: ঘরে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য রাখার বিধান ২৬০ পৃষ্ঠা ১ নম্বর ব্যাখ্যা)

মিরকাতুল মাফাতীহ শরহু

মিশকাতিল মাছাবীহ

‘মিশকাতুল মাছাবীহ’ হাদীছ শরীফ-এর বিখ্যাত কিতাব। এ কিতাবখানার সর্বজনমান্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ হচ্ছে ‘মিরকাতুল মাফাতীহ শরহু মিশকাতিল মাছাবীহ।’ এ ব্যাখ্যা গ্রন্থখানা লিখেছেন আল্লামা শায়খ আলী বিন সুলত্বান মুহম্মদ ক্বারী হানাফী মাতুরীদী (মাশহূর: মুল্লা আলী ক্বারী) রহমতুল্লাহি আলাইহি। ওফাত মুবারক: ১০১৪ হিজরী। অত্র কিতাবে প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্য সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত আছে, তা উল্লেখ করা হলো-

(৮১৫)

التصاوير جمع التصوير وهو فعل الصور، والمراد به هنا ما يصور مشبها بخلق الله من ذوات الروح مما يكون على حائط او ستر كما ذكره ابن الملك. (مرقات المفاتيح شرح مشكوة المصابيح كتاب اللباس باب التصاوير الجلد ۸ الصفحة ۳۶۶ دار الكتب العلمية بيروت لبنان)

অর্থ: ‘আত তাছাবীর’ শব্দটি ‘তাছবীর’ শব্দের বহুবচন। ছূরত সম্পর্কিত কাজই হচ্ছে তাছাবীর। আত তাছাবীর’ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের চর্চার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির সাদৃশ্যতা দাবি করা। তা দেয়ালে করা হোক অথবা পর্দায় করা হোক। যেমনটি উল্লেখ করেছেন হযরত ইবনুল মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহু মিশকাতিল মাছাবীহ অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছদ পরিচ্ছেদ: প্রাণীর ছবি-মূর্তি-ভাস্কর্যের শরয়ী বিধান ৮ম খণ্ড ৩২২ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ বইরূত লেবানন)

অসমাপ্ত

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৫

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৬

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২