কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার এবং উনার সম্মানার্থে খরচ করার ও সময় ব্যয় করার অচিন্তনীয়, অকল্পনীয়, সীমাহীন, বেমেছাল ফযীলত মুবারক

সংখ্যা: ২৭১তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا

هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ.

অর্থ: “আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সবাইকে জানিয়ে দিন, তারা যে, সম্মানিত ফযল মুবারক এবং সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করতে পেরেছে, সেজন্য তারা যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ তথা মহাসম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ তথা মহাসম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাটা সবকিছু থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য জমা করে, সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করা অন্যান্য রাস্তায় খরচ করার চেয়ে লক্ষ কোটি গুণ বেশি ফযীলত মুবারক লাভের কারণ।” সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান মুবারক:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كَانَ مَعِىَ فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আমার সাথে অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

অপর বর্ণনায় ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كَانَ فِـى الْـجَنَّةِ مَعِىَ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আমার সাথে অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

অন্য বর্ণনায় ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَعْظَمَ مَوْلِدِىْ كَانَ فِـى الْـجَنَّةِ مَعِـىَ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আমার সাথে অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আমার সাথে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করার একটি বিশেষ মাধ্যম হচ্ছে- খরচ করা। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়ারহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে তা’যীম-তাকরীম মুবারক করেন, সম্মান করেন, উনার সম্মানার্থে খরচ করেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার ফযীলত কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

মাত্র এক দিরহাম তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করার মাধ্যমে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ নিসবত

মুবারক লাভ:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন, নাবিয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ كَانَ رَفِيْقِىْ فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম খরচ করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আমার বন্ধু হবেন তথা আমার আখাছ্ছুল খাছ বিশেষ নিসবতে মুবারক-এ থাকবেন।” সুবহানাল্লাহ!

কাজেই কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মাত্র এক দিরহাম তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আখাছ্ছুল খাছ নিসবত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

খাদ্য খাওয়ানো এবং তা’যীম-তাকরীম করার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শাফায়াত মুবারক লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْلَةُ اثْنَـىْ عَشَرَ مِنْ رَّبِيْعِۣ الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِيْهَا طَعَامًا كُنْتُ لَهٗ شَفِيْعًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানের মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) রাত্র মুবারক (এবং দিবস মুবারক) উনাকে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন তাঁর জন্য শাফায়াতকারী হবো।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ كُنْتُ شَفِيْعًا لَّهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, ক্বিয়ামতের দিন আমি উনার জন্য শাফায়াতকারী হবো।” সুবহানাল্লাহ! )নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ ১৫ পৃষ্ঠা, তালহীনুছ ছাননাজ ৫ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফদ্বয় উনাদের মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “কেউ যদি খাদ্য খাওয়ানের মাধ্যমে তথা অর্থ খরচ করে বা যে কোনো মাধ্যমে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করেন, তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কিয়ামতের দিন উনার জন্য শাফায়াত করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফদ্বয় উনাদের ব্যাখ্যায় আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনকারীর জন্য ক্বিয়ামতের দিন তো অবশ্যই শাফায়াত করবেন। শুধু তাই নয়, দুনিয়ার যমীনেও সব সময় শাফায়াত করবেন। সুবহানাল্লাহ! ক্বিয়ামতের দিন যেহেতু বিশেষ সময় তাই এখানে ক্বিয়ামতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ!

মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করার মাধ্যমে অচিন্তনীয়, অকল্পনীয় সীমাহীন ফযীলত

মুবারক লাভ

ক) মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করার মাধ্যমে উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার চেয়ে অধিক ফযীলত মুবারক লাভ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ جَآءَ بِالْـحَسَنَةِ فَلَهٗ عَشْرُ اَمْثَالِـهَا.

অর্থ: “কেউ যদি কোন নেক কাজ করে, তাকে দশগুণ ফযীলত মুবারক দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬০)

অর্থাৎ কেউ যদি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক টাকা খরচ করে, তাহলে সে ১০ টাকা খরচ করার ফযীলত লাভ করবে। অর্থাৎ একে দশ গুণ । সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-

مَثَلُ الَّذِيْنَ يُنْفِقُوْنَ اَمْوَالَـهُمْ فِـىْ سَبِيْلِ اللهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ اَنْۢبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِـىْ كُلِّ سُنْۢبُلَةٍ مِّائَةُ حَبَّةٍ وَاللهُ يُضٰعِفُ لِمَنْ يَّشَاءُ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيْمٌ.

অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করে, তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে একটি শস্য দানার মত, যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। প্রত্যেকটি শীষে একশ করে দানা থাকে। আর যিনি খালিক্ব মালিক্ব রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা আরো বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রশস্ত জ্ঞানী।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬১)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক টাকা খরচ করেন, তাহলে তিনি সাতশ টাকা খরচ করার ফযীলত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ একে সাতশ গুণ। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এটা পরবর্তী উম্মতদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে, তারা যদি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক টাকা খরচ করে, তাহলে অন্যান্য রাস্তায় ৭০০ টাকা খরচ করার ফযীলত লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে আলাদা। উনাদের সম্পর্কে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِن الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ فَلَوْ اَنَّ اَحَدَكُمْ اَنْفَقَ مِثْلَ اُحُدٍ ذَهَبًا مَّا بَلَغَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ গম বা যব খরচ করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, তোমরা উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, শু‘য়াবুল ঈমান ৩/৯০, মুসনাদে আহমদ ৩/৬৩, সুনানুল কুবরা লিন নাসায়ী ৭/৩৭২, আল মু’জামুছ ছগীর লিত্ ত্বব্রানী ২/১৭৬, আল মাদখাল ইলাস সুনানিল কুবরা ১/২৬, ফাদ্বায়িলুছ ছহাবা লিন নাসায়ী ১/৬২, ‘উমদাতুল ক্বারী শরহু ছহীহিল বুখারী ২৪/২৭২, আল খুলাছাহ্ ১/৭১, মিশকাত শরীফ, রূহুল বায়ান ৯/৫০, রূহুল মা‘য়ানী ৬/১০, তাফসীরুল মানার ১০/১১৮, তাফসীরুল মাযহারী ১/৪১৩২, তাফসীরুল খ্বাযিন ৪/২৭২, তাফসীরুস সিরাজিল মুনীর ১/৫০৯, তাফসীরু হাক্কী ১৪/৪৬, শরহু কিতাবিত তাওহীদ মিন ছহীহিল বুখারী ১/৪৯, শরহু কিতাবি লাম‘আতিল ই’তিক্বাদ, শরহুয যারক্বানী ৩/৪৯৫, কাশফুল মানাহিজ ওয়াত্ তানাক্বীহ ফী তাকরীজি আহাদীছিল মাছাবীহ্ ৫/২৫৪, আল মানীহাহ্ বি সিললিাতিল আহাদীছি ছহীহাহ্ ২/৫১১, মাছাবীহুস সুন্নাহ্ ৪/১৪৩, জামি‘উল উছূল ফী আহাদীছি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৮/৬৫০, তাখরীজুল আহাদীছ ওয়াল আ’ছারিল ওয়াক্বি‘য়াহ্ ফী তাফসীরিল কাশ্শাফ লিয যামাখশারী ৩/৪৭১, তা’লীকুত্ তা’লীক ‘আলা ছহীহিল বুখারী ৪/৫৯, তুহ্ফাতুল বারী ৭/২৬, মাছাবীহুল জামি’ ৭/২৭৩, হুক্বূক্বুন নাবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২/৪৮৭, ‘আক্বীদাতু আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘য়াহ ১/৮৮)

অপর বর্ণনায় রয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ فَوَالَّذِىْ نَفْسِـىْ بِيَدِهٖ لَوْ اَنَّ اَحَدَكُمْ اَنْفَقَ مِثْلَ اُحُدٍ ذَهَبًا مَّا اَدْرَكَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না, তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। যেই মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত কুদরতী হাত মুবারক-এ আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র প্রাণ মুবারক) সেই মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ গম বা যব খরচ করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, তোমরা উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, মা‘য়ারিজুল কুবূল ৩/১২০৬, আল মাদখাল ইলাস সুনানিল কুবরা লিল বাইহাক্বী ১/১১২)

অপর বর্ণনায় রয়েছে-

لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ فَلَوْ اَنَّ اَحَدَكُمْ اَنْفَقَ مِثْلَ اُحُدٍ ذَهَبًا لَـمْ يُدْرِكْ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ যব বা গম খরচ করে যে ফযীলত লাভ করেছেন, তোমরা উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কুরতুবী ১৬/২৯৭, মিন আস্মাইন নাবিয়্যিল আমীন ১/১০১)

অন্য বর্ণনায় রয়েছে-

لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ فَاِنَّ اَحَدَكُمْ لَوْ اَنْفَقَ مِلْءَ اُحُدٍ ذَهَبًا مَّا اَدْرَكَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ যব বা গম খরচ করে যে ফযীলত লাভ করেছেন, তোমরা উহুদ পাহাড় পরিপূর্ণ স্বর্ণ খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আল জাম‘উ বাইনাছ ছহীহাইন ২/৩৩৬)

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এক মুদ গম বা যব খরচ করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, পরবর্তী উম্মত যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ দান করে দেয়, তারপরেও সেই এক মুদ যব বা গমের সমতুল্য হবে না। সুবহানাল্লাহ! উনাদের এই বেমেছাল ফযীলত মুবারক লাভ করার কারণ হচ্ছে- উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খরচ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার অর্থই হচ্ছে সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খরচ করা। সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে অর্ধ মুদ গম বা তার সমপরিমাণ অর্থ তথা ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করেন, তাহলে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খরচ করার চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি ফযীলত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

খ) মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করার মাধ্যমে প্রতিদিন উহুদ পাহাড় স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় খরচ করার চেয়ে অধিক ফযীলত মুবারক লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ دَعَوْا اَصْحَابِـىْ فَاِنَّ اَحَدَكُمْ لَوْ اَنْفَقَ كُلَّ يَوْمٍ مِثْلَ اُحُدٍ ذَهَبًا مَّا بَلَغَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ. وَهُوَ صَحِيْحٌ.

অর্থ: “হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। (বরং) তোমরা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের জন্য দো‘য়া করো। কারণ উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ গম বা যব খরচ করে যে ফযীলত লাভ করেছেন, তোমরা প্রতিদিন উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ!

আর এটা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছহীহ্ হাদীছ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ১৬/১৪৭, কান্যুল ‘উম্মাল ১১/৫৪২, জাম‘উল জাওয়ামি’ লিস সুয়ূত্বী ১/১৮০৯১, আল জাম‘উ বাইনাছ ছহীহাইন ২/৩৩৬)

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খরচ করার কারণেই এই বেমেছাল ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার অর্থই হচ্ছে সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খরচ করা। সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে অর্ধ মুদ গম বা তার সমপরিমাণ অর্থ তথা ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করেন, তাহলে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় প্রতিদিন উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ খরচ করার চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি ফযীলত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

গ) মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করার মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছু মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে দেয়ার চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি ফযীলত মুবারক লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ سَعِيْدِ ۣ الْـخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَاٰلِهٖ وَسَلَّمَ اَنَّهٗ قَالَ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ فَاِنَّ اَحَدَكُمْ لَوْ اَنْفَقَ مَا فِـى الْاَرْضِ مَا اَدْرَكَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ যব বা গম খরচ করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, তোমরা সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে যা কিছু আছে তা খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (গরীবুল হাদীছ ২/১৬৪, আত্ তাদয়ীন ফী আখবারে ক্বাযয়ীন ২/৩৯৮)

আরো বর্ণিত রয়েছে-

فَلَوْ اَنَّ اَحَدَكُمْ اَنْفَقَ مَا فِـى الْاَرْضِ لَـمْ يُدْرِكْ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ যব বা গম খরচ করে যে ফযীলত লাভ করেছেন, তোমরা সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িানাতে যা কিছু আছে তা খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কুরতুবী ১৬/২৯৭, মিন আস্মাইন নাবিয়্যিল আমীন ১/১০১)

অন্য বর্ণনায় রয়েছে-

لَوْ اَنَّ اَحَدَكُمْ اَنْفَقَ مَا فِـى الْاَرْضِ مَا بَلَغَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ যব বা গম খরচ করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, তোমরা সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িানাতে যা কিছু আছে তা খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আন নিহায়াহ্ ফী গরীবিল হাদীছ ওয়াল আছার ৫/১৪৬)

আরো বর্ণিত রয়েছে-

لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ فَاِنَّ اَحَدَكُمْ لَوْ اَنْفَقَ مَا فِـى الْاَرْضِ جَـمِيْعًا مَا اَدْرَكَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ যব বা গম খরচ করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, তোমরা সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে যা কিছু আছে সমস্ত কিছু খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (তাহ্যীবুল লুগাহ্ ১২/১৪৩, মাক্বায়ীসিল লুগাহ্ ৫/৩৪৬)

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খরচ করার কারণেই এই বেমেছাল ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার অর্থই হচ্ছে সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খরচ করা। সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে অর্ধ মুদ গম বা তার সমপরিমাণ অর্থ তথা ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করেন, তাহলে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িানাতে যা কিছু আছে, যা কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে সমস্ত কিছু খরচ করার চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি ফযীলত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

ঘ) মাত্র ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করার মাধ্যমে সারা পৃথিবী পরিপূর্ণ স্বর্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করে দেয়ার চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি ফযীলত মুবারক লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابِـىْ فَاِنَّ اَحَدَكُمْ لَوْ اَنْفَقَ مِلْءَ الْاَرْضِ ذَهَبًا مَّا اَدْرَكَ مُدَّ اَحَدِهِمْ وَلَا نَصِيْفَهٗ.

অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,) তোমরা আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ উনারা এক মুদ বা অর্ধ মুদ যব বা গম খরচ করে যে ফযীলত লাভ করেছেন, তোমরা সারা পৃথিবী পরিপূর্ণ স্বর্ণ খরচ করলেও সেই পরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করতে পারবে না।” সুবহানাল্লাহ! (আল ‘উবাবুয যাখিরু ওয়াল লুবাবুল ফাখির ২/২২)

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খরচ করার কারণেই এই বেমেছাল ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার অর্থই হচ্ছে সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে খরচ করা। সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে অর্ধ মুদ গম বা তার সমপরিমাণ অর্থ তথা ১০ থেকে ১২ টাকা খরচ করেন, তাহলে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় সারা পৃথিবী পরিপূর্ণ স্বর্ণ খরচ করার চেয়েও লক্ষ কোটি গুণ বেশি ফযীলত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

মাত্র এক দিরহাম তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করার মাধ্যমে অচিন্তনীয়, অকল্পনীয়

সীমাহীন ফযীলত মুবারক লাভ

ক) মাত্র এক দিরহাম তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক পাহাড় পরিমাণ লাল স্বর্ণ দান করার সমপরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْلَةُ اثْنَـىْ عَشَرَ مِنْ رَّبِيْعِ الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِيْهَا طَعَامًا كُنْتُ لَهٗ شَفِيْعًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ اِكْرَامًا فَكَاَنَّـمَا اَنْفَقَ جَبَلًا مِّنْ ذَهَبٍ اَحْـمَرَ فِـى الْيَتَامٰى فِـىْ سَبِيْلِ اللهِ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানের মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) রাত্র মুবারক (এবং দিবস মুবারক) তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন উনার জন্য শাফায়াতকারী হবো। সুবহানাল্লাহ! আর যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম (চার আনা রূপা অথবা সমপরিমাণ অর্থ) খরচ করবেন, তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় ইয়াতীমদেরকে এক পাহাড় পরিমাণ লাল স্বর্ণ দান করার ফযীলত মুবারক লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (নে’মতে কুবরা উর্দূ ১১ পৃষ্ঠা)

এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম-কায়িনাত সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করলে, মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক পাহাড় পরিমাণ লাল স্বর্ণ দান করার সমপরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করা যাবে। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে খরচ করার ফযীলত কতো বেমেছাল, যেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

খ) মাত্র এক দিরহাম তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করলে ৭০টি হজ্জ আদায় করার সমপরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ اَبِـىْ بَكْرِ الصِّدِّيْقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا فِـى الْـمَوْلِدِ فَكَاَنَّـمَا حَجَّ سَبْعِيْـنَ حَجَّةً.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করবেন, তিনি সত্তরটি হজ্জ আদায় করার সমপরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

গ) মাত্র এক দিরহাম তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ করার মাধ্যমে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবার আলাইহিস সালাম উনার সমপরিমাণ ফযীলত মুবারক লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) قَالَتْ بَيْنَا رَأْسُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِـىْ حِجْرِىْ فِـىْ لَيْلَةٍ ضَاحِيَةٍ اِذْ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هَلْ يَكُوْنُ لِاَحَدٍ مِّنَ الْـحَسَنَاتِ عَدَدُ نُـجُوْمِ السَّمَاءِ قَالَ نَعَمْ حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قُلْتُ فَاَيْنَ حَسَنَاتُ حَضْرَتْ اَبِـىْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اِنَّـمَا جَـمِيْعُ حَسَنَاتِ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَحَسَنَةٍ وَّاحِدَةٍ مِّنْ حَسَنَاتِ حَضْرَتْ اَبِـىْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক জ্যো¯œার রাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার সম্মানিত কোল মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল হুদা মুবারক (মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র মাথা মুবারক) রেখে শুয়ে ছিলেন। আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কারো কি আকাশের তারকার সমপরিমাণ নেকী মুবারক রয়েছেন? তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, হ্যা, ফারূক্বে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম উনার আকাশের তারকার সমপরিমাণ নেকী মুবারক রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তখন আমি বললাম, তাহলে ছিদ্দীক্বে আকবর সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নেকী মুবারক উনার পরিমাণ কত? জবাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জিন্দেগীর সমস্ত নেকী মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার একখানা সম্মানিত নেকী মুবারক উনার সমান।” সুবহানাল্লাহ! (রযীন শরীফ, জামিউল উছূল শরীফ লিইবনে আছীর, মিশকাত শরীফ)

আর তাহচ্ছেন আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার সময় সম্মানিত সাওর গুহা মুবারক-এ চার দিন তিন রাত্রি মুবারক নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিয়ে যেই নেকী মুবারক অর্জন করেছিলেন, সেই সম্মানিত নেকী মুবারক। সেই সম্মানিত নেকী মুবারকখানা হচ্ছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার জিন্দেগীর সমস্ত নেকী মুবারক উনার সমান। সুবহানাল্লাহ!

আর আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا عَلـٰى قِرَاءَةِ مَوْلِدِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ رَفِـيْقِىْ فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম (চার আনা রূপা অথবা সমপরিমাণ অর্থ) তথা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ব্যয় করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে আমার বন্ধু হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম ৫নং পৃষ্ঠা, নাফহাতুল আম্বরিয়া ৮ পৃষ্ঠা, মাদারিজুস সউদ, তালহীনুছ ছাননাজ)

সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার এই সম্মানিত ক্বওল শরীফ উনার ব্যাখ্যায় আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক দিরহাম খরচ করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বন্ধু হবেন। অর্থাৎ সেই ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মাত্র এক দিরহাম খরচ করে সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সমপরিমাণ নেকী অর্জন করবেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে মাত্র এক মুহূর্ত সময় ব্যয় করা সকলের জিন্দিগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ

এবং সর্বোত্তম:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

كَانَ حَضْرَتْ اِبْنُ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ يَقُوْلُ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابَ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ فَلَمَقَامُ اَحَدِهِمْ سَاعَةً خَيْـرٌ مِنْ عَمَلِ اَحَدِكُمْ عَمْرَهٗ.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি সবসময় বলতেন, তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ অবশ্যই উনাদের এক মুহূর্ত সময় তোমাদের জিন্দিগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দিগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহ্ ইবনে মাজাহ্ শরীফ ১/৩২)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَقَامُ اَحَدِهِمْ سَاعَةً خَيْـرٌ مِنْ عَمَلِ اَحَدِكُمْ عَمْرَهٗ.

অর্থ: “হযরত ইবনে ‘উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ অবশ্যই উনাদের এক মুহূর্ত সময় তোমাদের জিন্দিগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দিগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (মুছন্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ্ ১২/১৭৮, ফাদ্বায়িলুছ ছাহাবাহ্ লিলইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল ১/৫৭, আস সুন্নাহ লিইবনে ‘আছিম ২/৪৮৪, আদ্ র্দুরুল মানছূর ১৪/২৬৫, ইযালাতুল খ্বাফা’ ৩/৩১০)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

وَرَوَى ابْنُ بَطَّةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ بِــاِسْنَادٍ صَحِيْحٍ عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّهٗ قَالَ لَا تَسُبُّوْا اَصْحَابَ سَيِّدِنَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَقَامُ اَحَدِهِمْ سَاعَةً يَّعْنِـىْ مَعَ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْرٌ مِّنْ عَمَلِ اَحَدِكُمْ اَرْبَعِيْـنَ سَنَةً وَفِـىْ رِوَايَةِ وَكِيْعٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ خَيْـرٌ مِّنْ عِبَادَةِ اَحَدِكُمْ عَمْرَهٗ.

অর্থ: “ইবনে বাত্তাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সহীহ সনদে হযরত ইবনে ‘আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। হযরত ইবনে ‘আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, তোমরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করো না। কারণ অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনাদের এক মুহূর্ত সময় তোমাদের চল্লিশ বছরের ইবাদত-বন্দিগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম। সুবহানাল্লাহ! হযরত ইমাম ওয়াকী’ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বর্ণনায় রয়েছে, তোমাদের জিন্দিগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দিগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (শরহুল ‘আক্বীদাতিত্ ত্বহাবিয়্যাহ্ ১/৩৬৫)

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এক মুহূর্ত সময় ব্যয় করে যে ফযীলত মুবারক লাভ করেছেন, পরবর্তী উম্মত যদি পুরো জিন্দিগী ইবাদত-বন্দিগী করে, তারপরেও উনাদের এক মুহূর্ত সময়ের সমতুল্য হবে না। সুবহানাল্লাহ! উনাদের এই বেমেছাল ফযীলত মুবারক লাভ করার কারণ হচ্ছে- উনারা সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে উনাদের সময় ব্যয় করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে সময় ব্যয় করার অর্থই হচ্ছে সরাসরি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে সময় ব্যয় করা। সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানার্থে এক মুহূর্ত সময় ব্যয় করেন, তাহলে তিনি সকলের জিন্দিগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দিগী থেকেও লক্ষ কোটি গুণ বেশি ফযীলত মুবারক লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ্ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে কুল কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার এবং উনার সম্মানার্থে খরচ করার ও আমাদের প্রতি মুহূর্ত, পুরো জিন্দিগী, অনন্তকাল ব্যয় করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

মুহম্মদ ইবনে মারইয়াম।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম