খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৪

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

 

আরেকটা বর্ণনায় রয়েছে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন জিজ্ঞাসা করলেন-

الا هل بلغت رسالتى

হে আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আমি কি আমার এই দায়িত্ব- রিসালত পৌঁছিয়েছি?

انك قد بلغت

অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন বললেন, হে আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম! আমার যে দায়িত্ব ছিল সেটা কি আমি পৌঁছিয়েছি?

قالوا نشهد

সকলেই বললেন, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি-

انك قد بلغت واديت ونصحت

অবশ্যই আপনি পৌঁছিয়েছেন, আদায় করেছেন হক্ব এবং আমাদের নছীহত করেছেন।

এই বর্ণনায় বলা হয়েছে, যখন আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম সাক্ষী দিলেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন-

فقال باصبعه السبابة يرفعها الى السماء وينكتها الى الناس اللهم اشهد اللهم اشهد ثلاث مرات.

উনার শাহাদাত আঙ্গুল মুবারক আকাশের দিকে তুলে মানুষকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ পাক! আপনি সাক্ষী থাকুন। আপনি সাক্ষী থাকুন। আপনি সাক্ষী থাকুন। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন বার বললেন।

অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যে দায়িত্ব ছিলো, তিনি পুরোপুরি সেটা পৌঁছে দিয়েছেন। পুরোপুরি পৌঁছে দিয়েছেন। যখন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের দায়িত্ব পৌঁছে দেন, দায়িত্ব সম্পন্ন হয়ে যায়, সমাধা হয়ে যায় তখনই উনারা আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে চলে যান। এটা প্রত্যেক নবী, প্রত্যেক রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরই তর্জ-তরীক্বা। ঠিক আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারও সেটা এবং পরবর্তিতে হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের মধ্যেও সেটা আমরা দেখি। উনাদের সকলকেই আল্লাহ পাক একটা দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়ে থাকেন। সে দায়িত্ব সমাধা হয়ে গেলেই উনারা যথাযথ গন্তব্যস্থলে চলে যান। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার দায়িত্ব সম্পন্ন করে আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে চলে গেছেন। তিনি যে আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে চলে গেছেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায়ের সময় যে ঘটনা ঘটেছে, সেটাও হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে। সেই হাদীছ শরীফ-এ যে বর্ণনা রয়েছে সেটা শুনলে বুঝা যাবে যে, নবী এবং রসূল আলাইহিমুস সালামগণ নিজ থেকে আসেন না, নিজ থেকে উনারা যান না। আল্লাহ পাক উনার আদেশে উনারা এসে থাকেন, আল্লাহ পাক উনার আদেশে উনারা গিয়ে থাকেন। এবং আল্লাহ পাক উনাদেরকে ইখতিয়ার দিয়েছেন, যখন ইচ্ছা তখন উনারা যেতে পারেন।

একখানা হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত রয়েছে-

اذا جاءه ملك الموت فدخل ووقف بين يديه وقال السلام عليك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى جئتك زائرا وقابضا واذن لى ربى وربك ان لا اقبض روحك الا باذنك فقال رسول الله صلى الله عليه

وسلم اصبر حتى يأتينى اخى جبرائيل فبينما هم فى الحديث جاءه جبرائيل عليه السلام وقال السلام عليك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم الوداع الوداع ثم قال انك ميت وانهم ميتون وكل نفس ذائقة الموت وان ربك لمشتاق اليك ويسلم عليك قال النبى صلى الله عليه وسلم يا اخى جبرائيل من لامتى من بعدى فقال يا محمد صلى الله عليه وسلم ربك يقرئك السلام ويقول انا الكفيل بهم وعزتى وجلالى لاقرن عينيه فى امته وان الجنة لمحرمة على جميع الامم حتى يدخلها حبيبى محمد صلى الله عليه وسلم وامته او ليس انزل فى كتابه العزيز ولسوف يعطيك ربك فترضى فقال النبى صلى الله عليه وسلم الان تمت امنيتى وطابت نفسى للموت فانى لارضى وان واحدا من امتى يدخل النار وسجد شكرا لله على ما اعطاه وارضاه وتوادع مع جبرائيل وداع الفراق ثم اغمى عليه حتى توفاه الله تعالى يوم الاثنين لاثنى عشر يوما من الربيع الاول.

এই হাদীছ শরীফ-এ বলা হয়েছে, ইরশাদ করা হয়েছে, যখন আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিদায়ের সময় হয়ে গেল অর্থাৎ কাজ দায়িত্ব সম্পন্ন হয়ে গেছে এখন তিনি ইচ্ছা করলে আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে চলে যেতে পারেন থাকতেও পারেন।

اذا جاءه ملك الموت

যখন মালাকুল মউত হযরত আযরাইল আলাইহিস সালাম আসলেন,

فدخل وقف بين يديه

এসে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে তিনি প্রবেশ করলেন।

ووقف بين يديه

এবং আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে তিনি দাঁড়ালেন। দাঁড়িয়ে বললেন,

قال السلام عليك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم

হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার প্রতি ছলাত এবং সালাম।

انى جئتك زائرا وقابضا واذن لى ربى وربك

হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো এসেছি- যিনি আমার রব আপনার রব আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার নির্দেশে আপনার কাছে আপনার সাক্ষাৎ করার জন্য এবং আপনাকে আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

ان لا اقبض روحك الا باذنك

আল্লাহ পাক তো আমাকে বলে দিয়েছেন আপনার অনুমতি ব্যতীত যেন আপনাকে আমি না নিয়ে যাই। আপনি যদি অনুমতি দেন তাহলে আমি আপনাকে আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাতে নিয়ে যাবো।

আমি সেজন্য এসেছি আপনার যিয়ারত করতে, দর্শন লাভ করতে, ছোহবত ইখতিয়ার করতে। সাক্ষাৎ করতে এবং আপনাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

যখন হযরত মালাকুল মউত হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম একথা বললেন, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,

فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اصبر حتى يأتينى اخى جبرائيل

হে মালাকুল মউত! তুমি! ধৈর্য ধারণ করো, অপেক্ষা করো হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আমার কাছে আসা পর্যন্ত আমার কিছু কথা রয়েছে।

فبينما هم فى الحديث جاءه جبرائيل عليه السلام

আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন মালাকুল মউত হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম উনার সাথে কথা বলতেছিলেন এমতাবস্থায় হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি এসে উপস্থিত হয়ে গেলেন।

قال السلام عليك يا رسول الله صلى الله عليه وسلم الوداع الوداع ثم قال

এসে বললেন, আচ্ছালামু আলাইকা হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এখনতো বিদায় অর্থাৎ চলে যাওয়ার সময় হয়েছে।

الوداع الوداع

বিদায় বিদায় জানালেন-

ثم قال

এরপর তিনি বললেন, আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,

انك ميت وانهم ميتون

নিশ্চয়ই আপনি যাবেন এবং অন্যান্য সকলকেই চলে যেতে হবে।

وكل نفس ذائقة الموت

এবং প্রত্যেক নফসকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এটা বললেন এরপর কি বললেন,

ان ربك لمشتاق اليك يسلم عليك

হে হাবীবুল্লা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান রয়েছেন। আপনি কখন যাবেন।

يسلمك عليك

আপনার রব যিনি খলীক্ব যিনি মালিক আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তিনি আপনাকে সালাম দিয়েছেন। আপনার অপেক্ষায় তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ রয়েছেন আপনি কখন যাবেন। যখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম একথা বললেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,

قال النبى صلى الله عليه وسلم يا اخى جبرائيل عليه السلام

হে ভাই হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম!

من لامتى من بعدى

হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম আমার পরে আমার উম্মতের জন্য কে থাকবে?

قال يا رسول الله صلى الله عليه وسلم

হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম বললেন, আল্লাহ পাক-উনার তরফ থেকে জানানো হলো-

ربك يقرئك السلام

আপনার রবতো আপনাকে সালাম দিচ্ছেন

ويقول انا الكفيل بهم وعزتى وجلالى لاقرن عينيه فى امته

হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম বললেন, হে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! স্বয়ং আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আপনাকে সালাম দিচ্ছেন এবং তিনি বলতেছেন যে, আপনার পরে স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজেই আপনার উম্মতের যিম্মাদার হবেন। সুবহানাল্লাহ!

انا الكفيل بهم وعزتى وجلالى لاقرن عينيه فى امته

আল্লাহ পাক আরো বলেন, উনার ইজ্জতের এবং জালালিয়াতের ক্বসম, সম্মানের ক্বসম, মর্যাদার ক্বসম অর্থাৎ আল্লাহ পাক বলেন- উনার ইজ্জতের ক্বসম, সম্মানের ক্বসম অবশ্যই অবশ্যই আমার হাবীবের চক্ষু, অন্তর আমি খুশি করে দিব। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ পাক নিজেই বলতেছেন কি? হযরত জিবরীল আলাইহিস সালামকে জানাচ্ছেন যে তিনি আপনাকে সালাম দিচ্ছেন এবং এটা বলতেছেন যে আপনার পরে স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজে আপনার উম্মতের যিম্মাদার হবেন। এবং এ বিষয় আল্লাহ পাক আপনাকে সন্তুষ্ট করবেন। সুবহানাল্লাহ!

এটাও বলা হলো যে, হে আল্লাহ পাক-উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিশ্চয়ই

وان الجنة لمحرمة على جميع الامام حتى يدخلها  حبيبى محمد صلى الله عليه وسلم وامته

নিশ্চয়ই জান্নাতকে হারাম করা হয়েছে সমস্ত উম্মতের জন্য সকলের জন্যই যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি জান্নাতে প্রবেশ না করবেন আপনার উম্মতরা জান্নাতে প্রবেশ না করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত সকলের জন্যই জান্নাতকে হারাম ঘোষণা করা হলো। সুবহানাল্লাহ! সকলের জন্যই হারাম ঘোষণা করা হলো।

এরপর বললেন,

اوليس انزل فى كتابه العزيز

আল্লাহ পাক-উনার সেই কিতাবের মধ্যে কি এটা নাযিল হয়নি। এটা কি নাযিল করা হয়নি? হে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

ولسوف يعطيك ربك فترضى

অতি শীঘ্রই আপনার রব আপনাকে হাদিয়া করে সন্তুষ্ট করবেন। সুবহানাল্লাহ! হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা কি নাযিল করা হয়নি? আপনার যিনি রব অতিশীঘ্রই আপনাকে তিনি হাদিয়া করে সন্তুষ্ট করবেন। যখন এটা বলা হলো তখন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,

الان تمت امنيتى وطابت نفسى للموت

এখন আমার অন্তরের আশা পূরণ হলো। অন্তরটা আমার সন্তুষ্ট হলো, এখন আমি আল্লাহ পাক-উনার সাক্ষাতে যেতে পারি।

فانى لارضى وان واحدا من امتى يدخل النار

আল্লাহ পাক-উনার হাবীব বললেন যে, দেখ আমার একজন উম্মত জাহান্নামে থাকা পর্যন্ত আমি কিন্তু সন্তুষ্ট হবো না।

আল্লাহ পাক যে বলেন-

ولسوف يعطيك ربك فترضى

অতিশীঘ্রই আপনাকে সন্তুষ্ট করা হবে। আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, হে বারী ইলাহী! আমার একটা উম্মতও জাহান্নামে থাকা পর্যন্ত আমি কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারি না।

وسجد شكرا لله

এজন্য হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিজদা করলেন আল্লাহ পাক-উনার প্রতি শুকরানাস্বরূপ।

على ما اعطاه وارضاه وتوادع مع جبرائيل ودعا الفراق

যা উনাকে দেয়া হলো, যে সন্তুষ্টি দেয়া হলো সেজন্য তিনি শুকরিয়া করলেন আল্লাহ পাক-উনার কাছে। এবং হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম বিদায় নিলেন এবং তিনিও বিদায় নিলেন।

ثم اغمى عليه

আলোচনা শেষ হয়ে গেলো, ফায়সালা হয়ে গেলো তিনি আল্লাহ পাক-উনার সাক্ষাতে চলে গেলেন।

يوم الاثنين لاثنى عشر يوما من ربيع الاول

তিনি আল্লাহ পাক-উনার সাক্ষাতে গেলেন সোমবার দিন ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ।

এখন এখানে বলা হয়েছে হাদীছ শরীফ-এ আল্লাহ পাক-উনার হাবীব এর বিদায়ের বিষয়টা-

ان ربك لمشتاق اليك

হে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনার জন্য আপনার যিনি রব তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ রয়েছেন যে আপনি কখন যাবেন-

يسلم عليك

আপনার উপর তিনি সালাম পাঠিয়েছেন। আপনি কখন যাবেন সেই অধীর আগ্রহে আল্লাহ পাক অপেক্ষমান রয়েছেন। আপনি সন্তুষ্ট হয়ে খুশি হয়ে যেন যান; আল্লাহ পাক আপনার প্রতি সালাম পাঠিয়েছেন।

এই যে বিষয়টা, এখানে ফিকিরের বিষয় আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- উনাকে যে, দায়িত্ব দিয়েছেন সেটা তিনি পালন করেছেন, আল্লাহ পাক খুশি হয়ে গেছেন। খুশি হয়ে জানিয়েছেন যে আপনার তো দায়িত্ব শেষ হয়েছে এখন আপনি চলে আসতে পারেন। আর আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও উনার যে দায়িত্ব ছিলো সেটা সমাধা করে উম্মতের সম্পূর্ণ যিম্মাদারী আল্লাহ পাক-উনার উপর দিয়ে তিনিও সন্তুষ্টচিত্তে চলে গেছেন।

الان تمতت امنيتى وطابت نفس للموت

আমার আশা পুরা হলো এবং অন্তর আমার ইতমিনান হলো, মন সন্তুষ্ট হলো, এখন আমি যেতে পারবো। তিনি সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহ পাক-উনার কাছে প্রত্যাবর্তন করলেন আল্লাহ পাক-উনার সন্তুষ্টিতে সন্তুষ্ট হয়ে।

কাজেই, নবী এবং রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং স্বয়ং আল্লাহ পাক-উনার হাবীব আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিতো অন্যদের মত নন। আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হয়ে উনাকে নিয়ে গেলেন। আল্লাহ পাক খুশি হলেন এতে, আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও খুশি হলেন। এখন কেউ যদি বলে আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার বিদায়ের কারণে ইবলিস খুশি হয়েছে তাহলে এটা কুফরী হবে। ইবলিস খুশি হতে পারে না। কারণ আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তো দায়িত্ব পূর্ণ করেছেন। যথাযথভাবে তিনি দায়িত্ব পূর্ণ করে আবার আল্লাহ পাক-উনার সাক্ষাতে চলে গেছেন। এখন তিনি চলে গেছেন কোথায়? আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার যে দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারকে দায়িত্ব ছিলো সেটা সম্পন্ন করে। কিন্তু পরবর্তী যে দায়িত্ব রয়েছে সেটা কিন্তু উনার কাছে রয়েই গেছে। সেটা তিনি সেখান থেকে সমাধা করবেন। (অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪০

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪১

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আযম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আযম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪২

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ্ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৩

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫