ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র ই’জায শরীফ

সংখ্যা: ২৮৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বিষয়গুলো মহাপবিত্র কুদরত মুবারক উনার অন্তার্ভূক্ত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন  নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয় হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মু’জিযা শরীফ। মু’জিযা শরীফ ব্যতিত তো সৃষ্টি জগৎ অক্ষম। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিষয়গুলি ‘পবিত্র ই’জায শরীফ’।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের দয়া দান ইহসান মুবারক অর্থাৎ উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইজায শরীফ’ উনার মাধ্যমেই আসমান-যমীন নিরাপত্তা লাভ করছে, রহমত-বরকত-সাকীনা লাভ করছে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইজায শরীফ’ ব্যতীত এক মুহুর্তও কায়িনাত স্থায়ী হবে না।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্যতম। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম। উনারই আখাছছুল খাছ বিশেষ শান মুবারক সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!

(১)

এক পীরবোন স্বপ্নে দেখেন, কোথাও তা’লীমের মজলিস হবে। সেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনয়ন করবেন। তাই উক্ত পীরবোন উনার মুবারক সাক্ষাৎ লাভের আশায় অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। উক্ত পীরবোন বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ পরে দেখলাম, সেখানে একজন খুবছূরত, নূরানী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমান (চেহারা) মুবারক উনার অধিকারিণী একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসা (মহিলা) তাশরীফ মুবারক আনলেন। উনাকে আমি ইতিপূর্বে কখনো দেখিনি। দেখে মনে হচ্ছে, তিনি একজন অত্যন্ত শরীফ বংশের কেউ হবেন।

তাই উনার নিকটে গিয়ে ক্বদমবুছী করে অত্যন্ত আদবের সহিত উনার নিকট জানতে চাইলাম, ‘আজকে এখানে আমাদের যিনি আম্মাজী ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক আনার কথা। কিন্তু আপনি? আপনাকে আমি চিনতে পারছিনা।

তখন তিনি বললেন, “আমি স্বয়ং আন নূরুর রবি’য়াহ হযরত যাহরা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম।”

আমি এ কথা শুনে খুব আনন্দিত হয়ে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার জন্য যেই আসন মুবারকটি নির্ধারণ করা হয়েছিল; উক্ত আসনে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বসানোর ব্যবস্থা করি। আমি উনাকে পেয়ে এতই খুশি হয়েছি যে, আমি  আমার ব্যক্তিগত কিছু কথা জানালাম। এভাবে আমি আমার মনের যত কথা আছে সবকিছু উনাকে এক নিঃশ্বাসে জানাতে থাকলাম। ভাবলাম যে, উনাকে যদি আর সরাসরি দেখতে না পাই। তাই সব মনের কথা বলি। কিন্তু সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রবিয়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি চুপ থাকলেন। আমি উনার চুপ থাকা দেখে ভয় পেলাম যে, কোন বেয়াদবী হয়ে গেল কিনা ……তারপরও কিছুক্ষণ পরে আমি আবার আগের মত সব আরজু পেশ করছিলাম, দোয়া চাচ্ছিলাম।

ঠিক তখনই হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আমাকে বললেন, “তোমাদের সব কথা তোমাদের যিনি মা হযরত উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনাকে জানাও। তিনিই উত্তম ফায়ছালাকারী। (সুবহানা উম্মিল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম)। তোমরা এ সমস্ত বিষয় উনাকে জানাও। তিনি তোমাদের ফায়ছালা করে দিবেন ” এভাবে তিনি এ কথাগুলো বারবার বললেন।

এরপর উক্ত পীরবোন দেখতে পান যে, ‘উক্ত নূরানী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমাহ (চেহারা) মুবারক কিছুক্ষণ পরপর পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছেন। একবার হযরত উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমাহ (চেহারা) মুবারক, আরেকবার সাইয়্যিদাতুনা হযরত নাক্বীবাতুল উমাম শাহযাদী উলা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমাহ (চেহারা) মুবারক, আবার কখনো সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম শাহযাদী ছানিয়াহ ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুর রহমাহ (চেহারা) মুবারক ধারণ করছেন। (সুবহানা উম্মিল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম!!) এভাবে একের পর এক পরিবর্তন হচ্ছিলেন।

একজনের মাঝে চারজন সম্মানিতা ব্যক্তিত্ব উনাদের মুবারক চেহারা দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল। স্বপ্নদ্রষ্টা পীর বোন অবাক হয়ে উক্ত চেহারা মুবারকসমূহ দেখতে থাকেন। সবশেষে সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম তিনি তাবাস্সুমি শান মুবারক (মুচকি হাসি) প্রকাশ করে সেই স্থান থেকে চলে গেলেন।

উক্ত বিষয়টি দ্বারা মহাসম্মানিতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক মর্যাদা-মর্তবা মুবারক, ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক, বেমেছাল বুযুর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে জানা এবং বুঝা সম্ভব। (সুবহানা উম্মিল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম)।

মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন মহান নিয়ামতে উজমা মুবারক সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম ছল্লাল্লাহু আলাইহা ওয়া সাল্লাম উনাকে হাক্বীক্বীভাবে চিনে উনার হাক্বীক্বী হক্ব আদায় করে আবাদুল-আবাদ উনার পূতপবিত্র নূরুদ দারাজাত (ক্বদম) মুবারকে ইস্তিকামত থাকার তাওফীক্ব দান করেন। (আমীন)

পিতা-মাতার দায়িত্ব সন্তানের সুন্দর শরীয়ত সম্মত নাম রাখা

ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা: হযরত উম্মে সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা উনার দাওয়াতে আহালের দ্বীন ইসলাম গ্রহণ

ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বেমেছাল মুহব্বত  ও খিদমত

ক্বদরে বাবা নাদানী, গারতু বাবা নাশাবী, ক্বদরে মাদর নাদানী, গারতু মাদর নাশাবী

ঈমানদীপ্ত সম্মানিত মহিলা: সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বেমেছাল মুহব্বত  ও খিদমত