তাফসীরুল কুরআন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৮৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রব তায়ালা উনার তরফ থেকে মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত মুবারক দানকারী তোমাদের নিকট তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফদ্বল ও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক স¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করা হচ্ছে, তাদের সমস্ত ইবাদত থেকে সর্বউত্তম বা সর্বশ্রেষ্ঠ।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: উক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে আশরাফুল মাখলুকাত মানবজাতিকে সম্বোধন করে কায়িনাতবাসী সকলকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যে,  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীকে নিয়ামত মুবারক দানের লক্ষ্যে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। আর এজন্য কায়িনাতবাসীকে আদেশ মুবারক দেয়া হয়েছে তারা যেনো অবশ্যই ফালইয়াফরহূ শরীফ তথা খুশি মুবারক প্রকাশ করে। এ খুশি মুবারক প্রকাশ করার বিষয়টি সমস্ত ইবাদত হতে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত।

উল্লেখ্য, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সৃষ্টির মূল। উনাকে সৃষ্টি মুবারক না করা হলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কায়িনাতের কিছুই সৃষ্টি করতেন না, এমনকি মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেকেও প্রকাশ করতেন না। যেমন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

لَوْلَاكَ لَـمَا اَظْهَرْتُ الرُّبُـوْبِيَّةَ

অর্থ: (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) যদি আপনি না হতেন অর্থাৎ যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রুবূবিয়াত মুবারকও প্রকাশ করতাম না।

মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

كُنْتُ كَنْـزًا مَـخْفِيًّا فَاَحْبَـبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ

অর্থ: আমি মহামহিম সত্বা আল্লাহ পাক পুশিদা তথা অপরিচিত ছিলাম। আমার মুহব্বত মুবারক হলো যে, আমি পরিচিতি লাভ করি তখন আমি সৃষ্টির যিনি মূল মহাসম্মানিত হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করলাম পরিচিতি লাভ করার জন্য। (আল মু’জামুছ ছূফী, মাওসূয়াতুর রদ্দ, মুছাররউত তাছাওউফ, আর রদ্দু আলাল ক্বায়িলীন)

প্রতিভাত যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক প্রকাশ করার নামই ফালইয়াফরহূ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যেটা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই করেন এবং করে যাচ্ছেন। অনুরূপ কায়িনাতবাসী সকলকে করার জন্য আদেশ মুবারক করেছেন।

এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

إِنَّ اللهَ وَمَلَآئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ ۚ يَاۤ أَيُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করেন। হে ঈমানদাররা! উনার প্রতি তোমরাও পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করো এবং পবিত্র সালাম মুবারক পেশ করার মতো পেশ করো। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

উক্ত সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার প্রকৃত ব্যাখ্যা কি সেটা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মনোনীত খলীফাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুলত্বানুন নাছীর, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী