তাফসীরুল কুরআন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তরজমা: “হে মানুষেরা! তোমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রব তায়ালা উনার তরফ থেকে মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত মুবারক দানকারী তোমাদের নিকট তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। (আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফদ্বল ও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক স¦রূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের প্রতি কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করা হচ্ছে, তাদের সমস্ত ইবাদত থেকে সর্বউত্তম বা সর্বশ্রেষ্ঠ।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭, ৫৮)

তাফসীর: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি মুবারক প্রকাশ করা তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত এবং সর্বশ্রেষ্ঠ ফরয এই কারণে যে, এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইবাদত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নিসবতযুক্ত এবং উনার জন্যেই করা হয়। তাছাড়া স্বয়ং যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করতঃ খুশি মুবারক প্রকাশ করে যাচ্ছেন এবং কায়িনাতবাসীকে খুশি মুবারক প্রকাশ করার জন্য আদেশ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

যেমন এ সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

إِنَّ اللهَ وَمَلآئِكَتَهٗ يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا

অর্থ: “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করেন। হে ঈমানদাররা! উনার প্রতি তোমরাও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করো। এবং যথাযথ সম্মান মুবারক প্রদর্শনপূর্বক সালাম মুবারক পেশ করো।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

অর্থাৎ যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি খুশি মুবারক প্রকাশ করতঃ অনন্তকালের জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করে যাচ্ছেন। এখন উম্মতের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করতঃ খুশি মুবারক প্রকাশ করা।  উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান আনা, বিশুদ্ধ-আক্বীদা ও সুধারণা পোষণ করা, তা’যীম বা সম্মান মুবারক করা, খিদমত বা গোলামীর আঞ্জাম দেয়া এবং উনাকে পরিপূর্ণরূপে ইত্তিবা বা অনুসরণ করা। আর এ লক্ষ্যেই ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা ইমাম খলীফাতুল্লাহ আস সাফ্ফাহ ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জারী করেছেন অনন্তকালব্যাপী সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল এবং প্রতিষ্ঠা করেছেন আন্তর্জাতিক মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচারকেন্দ্র। সুবহানাল্লাহ!

অতএব, যারা সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী এবং পূর্ণ সাখাওয়াতীর সাথে উক্ত সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক পালন করবে উনাদের পক্ষে সীমাহীন রহমত, বরকত, নিয়ামত, মাগফিরাত, নাজাত ও শাফায়াত মুবারক লাভ করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ!

জানা আবশ্যক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সময় হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ উনার মধ্যে। এ সময় বা মুহূর্তটি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছুবহে ছাদিক্ব তথা ছলাতুল ফজর শুরু হওয়ার মুহূর্তটি। উক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ উনার মধ্যে প্রতিদিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হবে।

অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদ শরীফ শুরু করতে হবে। অতঃপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাওয়াল্লুদ শরীফ শেষ করে দাঁড়িয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সালাম মুবারক পেশ করার সময় যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওক্বাত শরীফ উপস্থিত হন। অতঃপর সালাম মুবারক শেষ করে বসে ছওয়াব রেসানী করে দুয়া-মুনাজাত করে তবারুক গ্রহণ করতে হবে। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদ শরীফ জানা না থাকলে বাদ ইশা পঠিত তরীক্বার দুরূদ শরীফ পাঠ করলেও হবে এবং তাও জানা না থাকলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুরূদ শরীফ ‘ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পাঠ করলেও হবে। তবারুক সকালের নাস্তা হতে পারে, অথবা খেজুর বা খুরমা অথবা শুধু পানি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তবারুক হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।

আর সপ্তাহ হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বাদ ফজর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করতে হবে এবং তবারুক গ্রহণ ও বিতরণ করতে হবে।

আর তারিখ হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে হলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ কোটি কোটি কণ্ঠে জারিকৃত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিলে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তবারুক গ্রহণ ও বিতরণ করতে হবে।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: মিথ্যার কুফল ও ভয়াবহ পরিণতি

তাফসীরুল কুরআন