তাফসীরুল কুরআন: সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৫৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّنْ رَّبّكُمْ وَشِفَاءٌ لّمَا فِى الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِه فَبِذلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّمَّا يَجْمَعُوْنَ

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের ইবাদত মুবারক হবে তাদের সমস্ত ইবাদত বা আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

তাফসীর: সমস্ত মাখলূক্বাত ও সমস্ত কায়িনাত বিশেষ করে আশরাফুল মাখলূক্বাত মানুষের প্রতি সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত ও সম্মানিত রহমত স্বরূপ সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, ইমামুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যমীনে তাশরীফ নিয়েছেন বা সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এ কারণে তাদের জন্য অপরিহার্য কর্তব্য তথা ফরযে আইন খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশ করার সুমহান আমল বা ইবাদতই তাদের সকল আমল বা ইবাদত থেকে উত্তম, উৎকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ ও শ্রেষ্ঠতর। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে কিভাবে বা কি নিয়মে খুশি প্রকাশ করতে হবে সে নিয়ম বা পদ্ধতি যিনি খ¦ালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই উনার মহাপবিত্র কালাম কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করে জানিয়ে দিয়েছেন। যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

اِنَّ اللّـهَ وَمَلَائِكَتَه يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ. يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِيمًا

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে ছলাত শরীফ পেশ করেন। হে ঈমানদারগণ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে আপনারাও ছলাত শরীফ পেশ করুন এবং যথাযথ সম্মানে তথা আদবের সাথে সালাম শরীফ পেশ করুন।

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা প্রতিভাত হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শানে খুশি মুবারক প্রকাশ করতে হলে সম্মানিত ছলাত শরীফ ও সম্মানিত সালাম শরীফ পেশ করার মাধ্যমেই করতে হবে। অর্থাৎ পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনাদের মাধ্যমেই করতে হবে। সুবহানাল্লাহ!

খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি চিরস্থায়ী, চিরজীবী, অনাদী ও অনন্ত; তাই উনার করণীয় বিষয়ও অনন্তকালের জন্য। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত ও লক্ষ্যস্থল ওলী, সাইয়্যিদুল আউলিয়া ওয়াল মুজাদ্দিদীন, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, আহলু বাইত ও আওলাদে রসূল, নূরে মুকাররাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুরশিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি অনন্তকালব্যাপী সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারি করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর এ উদ্দেশ্যে সুমহান রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মধ্যে প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে পবিত্র ছলাতুল ইশা উনার পর পর্যন্ত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত মাহফিলে পবিত্র কুরআন শরীফ তিলাওয়াত, পবিত্র যিকির শরীফ, হামদ শরীফ, না’ত শরীফ, ক্বাছীদাহ শরীফ, ওয়াজ শরীফ, মীলাদ শরীফ, নছীহত শরীফ, সুওয়ালের জাওয়াব প্রদান, মুনাজাত শরীফ ইত্যাদির মাধ্যমে মাহফিলের কর্মসূচি সুসম্পন্ন হয় এবং সর্বশেষ তবারুক বণ্টনের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম শেষ করা হয়। সুবহানাল্লাহ! সর্বোপরি সুমহান সাইয়্যিদুশ শুহূর, শাহরুল আ’যম মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার সম্মানার্থে এবং সুমহান ১২ই শরীফ উনাদের সম্মানার্থে ও সুমহান ইছনাইনিল আযীম শরীফ উনার সম্মানার্থে সূদীর্ঘ ৬৩ দিন ব্যাপী বিশেষ মাহফিল যা বিশেষভাবে ইন্তিজাম করা হয়। তন্মধ্যে শুরুতে ৩০ দিন প্রতিযোগিতা শরীফ মাহফিল, মধ্যে ৩০ দিন ওয়াজ শরীফ মাহফিল এবং শেষ ৩ দিন সামা’ শরীফ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং মাহফিল শোনার ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলাদেরও খাছ শরয়ী পর্দার সাথে মাহফিল শোনার সুব্যবস্থা রয়েছে।

উল্লেখ্য, তবারুক সম্পর্কে বলতে হয় যে, যদিও বছরের অন্যান্য দিনসমূহে মাহফিল শেষে শুধু একবার তবারুকের ব্যবস্থা করা হয় কিন্তু বিশেষ দিনসমূহে পবিত্র ছলাতুয যুহর আদায়ের পরেও তবারুকের ব্যবস্থা করা হয় এবং মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার পহেলা তারিখ থেকে শেষ তারিখ পর্যন্ত পুরো মাস ৩ বেলা তবারুকের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবারুকের আইটেমের মধ্যে খাসির গোশত, গরুর গোশত, মহিষের গোশত, মুরগীর গোশত, পোলাও, তেহারি, বিরিয়ানি, ফিরনি-পায়েশ, মিষ্টি ইত্যাদি থাকে। সুবহানাল্লাহ!

উক্ত মহাসম্মানিত মাহফিলে সার্বিকভাবে খিদমত মুবারক করা ও আঞ্জাম মুবারক দেয়া সকলের জন্যেই ফরয।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী