তাফসীরুল কুরআন: সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৫৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের ইবাদত মুবারক হবে তাদের সমস্ত ইবাদত বা আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

তাফসীর: উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি আদেশ মুবারক করেছেন যে, কুল-মাকলূক্বাতের যিনি নবী ও রসূল যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, যিনি ইমামুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল (করুণা) ও রহমত (দয়া) স্বরূপ পাওয়ার কারণে কায়িনাতবাসীর প্রতি বিশেষ করে আশরাফুল মাখলূক্বাত মানবজাতির প্রতি খুশি প্রকাশ করা ফরয। আর এই খুশি প্রকাশ করার ফযীলত সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই জানিয় দিয়েছেন যে, মাখলূক্বাতের বিশেষ করে জিন ও ইনসানের যত ইবাদত-বন্দেগী রয়েছে সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও ফযীলতপূর্ণ ইবাদত হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ওজূদ পাক, সম্মানিত যাত পাক ও সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। সুবহানাল্লাহ!

উক্ত সর্বশ্রেষ্ঠ ও ফযীলতপূর্ণ খুশি মুবারক প্রকাশ করার সম্মানিত ইবাদত কিভাবে বা কোন তরতীবে পালন করতে হবে; সে বিষয়টিও মহান আল্লাহ পাক তিনিই জানিয়ে দিয়েছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

انا ارسلناك شاهدا ومبشرا ونذيرا لتؤمنوا بالله ورسوله وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة  واصيلا.

অর্থ: নিশ্চয়ই আমি (কুল-মাখলুক্বাতের নবী ও রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) আপনাকে সাক্ষ্যদানকারী, সুসংবাদ দানকারী এবং সতর্ককারী হিসেবে প্রেরণ করেছি এ কারণে যে, মানুষ ঈমান আনবে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং ঈমান আনবে মহান আল্লাহ পাক উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অতঃপর উনার খিদমত মুবারক করবে এবং উনাকে সম্মান করবে এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করবে সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সকাল থেকে সন্ধ্যা ও সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত তথা দায়িমীভাবে।

এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত উবাই বিন কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি একদিন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বেশি বেশি আপনার ছানা-ছিফত করতে চাই। কি পরিমান সময় আপনার ছানা-ছিফত করবো? জাওয়াবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, যে পরিমাণ সময় আপনি ইচ্ছা করেন। আমি বললাম, দিনের এক চতুর্থাংশ সময় অর্থাৎ ৬ ঘণ্টা? তিনি বললেন, যে পরিমাণ সময় আপনি চান তবে আরো বেশি করলে আপনার জন্য কল্যানকর হবে। আমি বললাম, তাহলে অর্ধেক সময় অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা নির্ধারণ করে নিব? তিনি বললেন, তা আপনার ইচ্ছা তবে আরো অধিক করলে, আপনার জন্য বেশি কল্যাণকর হবে। আমি বললাম, তাহলে কি দুই তৃতীয়াংশ সময় অর্থাৎ ১৬ ঘণ্টা নির্ধারণ করবো? তিনি বললেন, তা আপনার ইচ্ছা, তবে আরো অধিক করলে তা আপনার জন্য আরো বেশি কল্যাণকর হবে। তখন আমি বললাম, তাহলে আমি আমার জীবনের পুরো সময়টাই আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করার জন্য নির্ধারণ করে নিলাম। তিনি তখন বললেন, যদি এটা করতে পারেন তাহলে আপনার সমস্ত আকাঙ্খা পূরণ করা হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতা ক্ষমা করা হবে। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)

কাজেই, যে যতবেশি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক করবে, তা’যীম-তাকরীম বা সম্মান মুবারক রক্ষা করতে পারবে, উনার জন্য অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে খিদমত মুবারক করবে, সে ততবেশি ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা, সন্তুষ্টি রেযামন্দী, কুরবত ও কামিয়াবী হাছিল করবে।

আর উক্ত কারণেই যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ ও ইমাম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, ক্বইয়্যূমুয যামান, নূরে মুকাররাম, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বইউয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, আহলে বাইতে রসূল, রাজারবাগ শরীফ উনার সম্মানিত মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি উনার বিশ্ববিখ্যাত রাজারবাগ দরবার শরীফ উনার মধ্যে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল জারী করেছেন। প্রত্যেহ বাদ মাগরিব থেকে মাহফিল শুরু হয় আর বাদ ইশা মুবারক নছীহত ও মকবুল মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর তবাররুক বিতরণের মাধ্যমে মাহফিল শেষ হয়।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী