তাফসীরুল কুরআন

সংখ্যা: ২৪৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

তাফসীরুল কুরআন

সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের উচিত খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের আমলটি হবে তাদের সমস্ত নেক আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

ধারাবাহিক

তাফসীর: মু’মিন-মুসলমান উনাদের জন্য সবচেয়ে বড় বা শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত হচ্ছেন যিনি কুল-মাখলূক্বাতের নবী ও রসূল, যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, যিনি খাতামুন নাবিয়্যীন, যিনি রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, উক্ত শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত পাওয়ার কারণে বান্দা-বান্দী ও উম্মতের প্রতি কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে উক্ত নিয়ামত মুবারক উনার স্মরণ করা, আলোচনা করা, শুকরিয়া আদায় করা, খুশি প্রকাশ করা।

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

واذكروا نعمت الله عليكم

অর্থ: তোমাদের  প্রতি প্রেরিত মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত মুবারক উনার স্মরণ করো অর্থাৎ নিয়ামত পাওয়ার কারণে শুকরিয়া আদায় করো বা খুশি প্রকাশ করো। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩১)

অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত হিসেবে পাওয়ার কারণে বান্দা-বান্দী ও উম্মতের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে শুকরিয়া আদায় করা। আর উক্ত শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত উনার শুকরিয়া আদায়ের বহিঃপ্রকাশ ও বাস্তবতা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-

تعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصيلا

অর্থ: উনার খিদমত মুবারক করো, উনাকে সম্মান মুবারক করো এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সবসময়ের জন্য। সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ফাতাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)

এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদা আমি আরয করলাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার প্রতি বেশি বেশি ছলাত শরীফ অর্থাৎ আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে চাই। আমি কি পরিমাণ সময় আপনার প্রতি ছলাত শরীফ অর্থাৎ ছানা-ছিফত মুবারক করার জন্য  নির্দিষ্ট  করবো?  তিনি বললেন-

ما شئت قلت الربع قال ما شئت فان زدت فهو خير لك قلت النصف قال ما شئت فان زدت فهو خير لك قلت فالثلثين قال ما شئت فان زدت فهو خير لك قلت اجعل لك صلوتى كلها قال اذا تكفى همك ويكفر لك ذنبك.

যতটুকু  সময় আপনি  ইচ্ছা  করেন। আমি  বললাম,  তাহলে পুরো দিনের এক চতুর্থাংশ সময় অর্থাৎ ৬ ঘণ্টা? তিনি বললেন, যতটুকু আপনি ইচ্ছা করেন। তবে আরো বেশি করলে তা হবে আপনার জন্য কল্যাণকর। আমি বললাম,  তাহলে  কি  অর্ধেক  সময়  অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা নির্ধারণ  করে  নিব?  তিনি বললেন, তা আপনার ইচ্ছা। তবে যদি তা অপেক্ষা অধিক সময় নির্ধারণ করেন, তা হবে আপনার জন্য অধিক কল্যাণকর। আমি বললাম, তাহলে কি দুই-তৃতীয়াংশ সময় অর্থাৎ ১৬ ঘণ্টা নির্ধারণ করবো? তিনি বললেন,  তা  আপনার  ইচ্ছা।  তবে  আরো  অধিক  করলে  তা আপনার জন্য অধিক কল্যাণকর হবে। আমি বললাম, তাহলে দিন-রাত্রির পুরো সময়টাই অর্থাৎ চব্বিশ ঘণ্টাই আপনার প্রতি ছলাত শরীফ অর্থাৎ আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করার জন্য নির্ধারণ  করবো। তিনি বললেন, যদি তা করতে পারেন, তাহলে আপনার সমস্ত আকাঙ্খা পূরণ করে দেয়া হবে এবং আপনার গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ, আল বাইয়্যিনাত শরীফ- ২২১/৯১)

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী