-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, আমি উনাদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণের) প্রতি ওহী পাঠাতাম। আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে যারা বলে থাকে যে, ‘আল্লাহ পাক-উনার নবী হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দাওয়াতের কাজ বন্ধ করে ভুল করেছেন, যার ফলে তিনি গযবস্বরূপ মাছের পেটে প্রবেশ করেছেন।’ নাঊযুবিল্লাহ! আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের দৃষ্টিতে তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব। -মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ-এর সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম

সংখ্যা: ১৯৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেছেন, æআহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা হলো- ‘কোন নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম কখনও ভুল করেননি। ইচ্ছাকৃত তো নয়ই, অনিচ্ছাকৃতও নয়।’ অর্থাৎ নবী আলাইহিমুস সালামগণ কোন ভুলই করেননি। (‘শরহে আক্বাইদে নসফী, ফিক্বহে আকবর, তাকমীলুল ঈমান, আক্বাইদে হাক্কাহ)। অর্থাৎ সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণই হলেন আল্লাহ্ পাক-উনার খাছ ও মনোনীত বান্দাহ্গণের অন্তর্ভুক্ত। উনারা প্রত্যেকেই ওহীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।”

পবিত্র আশুরা সম্পর্কিত এক আলোচনা প্রসঙ্গে গতকাল রাজারবাগ শরীফ-এ তিনি এসব কথা বলেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, কুরআন শরীফ-এর একাধিক স্থানে ইরশাদ  হয়েছে, æআমি উনাদের (নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের) প্রতি ওহী পাঠাতাম।” (সূরা ইউসূফ-১০৯, নহল-৪৩, আম্বিয়া-৭)।  অর্থাৎ নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনাদের যাবতীয় কার্যাবলীই ওহীর দ্বারা (আল্লাহ পাক কর্তৃক) পরিচালিত হতো।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, আক্বাইদের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে, æসকল আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম মা’ছূম বা নিষ্পাপ।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম আরো বলেন, æসকল আম্বিয়া আলাইহিমুস্ সালাম ছগীরা, কবীরা, কুফরী, শিরকী এবং অপছন্দনীয় কাজ হতেও পবিত্র।”

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম-উনাদের ভুল সম্পর্কে যারা বলে থাকে, আক্বাইদ সম্পর্কে অজ্ঞতা ও সঠিক ইতিহাস না জানার কারণেই তারা তা বলে থাকে। যেমন আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে কেউ কেউ বলে থাকে যে, ‘আল্লাহ পাক-উনার নবী হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দাওয়াতের কাজ বন্ধ করে ভুল করেছেন, যার ফলে তিনি গযবস্বরূপ মাছের পেটে প্রবেশ করেছেন।’ নাউযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, মূলতঃ তাদের একথা সঠিক নয় বরং কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। সঠিক ও প্রকৃত ঘটনা হলো- আল্লাহ পাক-উনার নবী ও রসূল হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম যখন উনার সম্প্রদায়কে বা ক্বওমকে ঈমান ও সৎ কাজের জন্য দাওয়াত দিলেন ও নছীহত করলেন, তখন তারা অবাধ্যতা প্রদর্শন করলো। এতে হযরত ইউনুস আলাইহিস্ সালাম তাদের বললেন, তোমরা যদি এরূপ কর, তবে আল্লাহ পাক-উনার আযাব তোমাদের পাকড়াও করবে। একথা শুনে উক্ত ক্বওম বললো, æঠিক আছে, আপনি যদি পারেন. তবে আল্লাহ পাক-উনার আযাব আনুন।” তখন হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক-উনার নির্দেশে তিনদিন পর আযাব আসার সংবাদ শুনিয়ে আল্লাহ পাক-উনারই নির্দেশে নিজের অবস্থান থেকে বাইরে চলে যান।

অতঃপর যখন আযাবের কিছু কিছু চিহ্ন বা আলামত প্রকাশ পেল, তখন ঐ ক্বওম কুফরী ও শেরেকী থেকে খালিছ তওবা করে। আর সর্বস্তরের শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সকলে জঙ্গলে চলে যায়। সাথে তাদের চতুস্পদ জন্তুগুলিকেও নিয়ে যায়। অতঃপর তারা নিজ নিজ বাচ্চাদেরকে মা থেকে আলাদা করে দিয়ে সকলে মিলে কান্নাকাটি শুরু করে এবং কাকুতি-মিনতি সহকারে আল্লাহ পাক-উনার কাছে খাছ তওবা করে। আর বাচ্চারা তাদের মা থেকে আলাদা হওয়ার কারণে করুণ স্বরে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন আল্লাহ পাক তাদের তওবা কবুল করে আযাব দূর করে দেন।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, এদিকে তিনদিন অতিবাহিত হওয়ার পর হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম সংবাদ পেলেন যে-উনার ক্বওম আযাবে ধ্বংস হয়নি। তখন তিনি চিন্তা করলেন যে, আল্লাহ্ পাক যে, উনাকে সরে যেতে বলেছিলেন, তা কি হয়েছে? না কিছু বাকি রয়েছে। কারণ আল্লাহ্ পাক-উনার নবীগণ যে স্থানে অবস্থান করেন, সে স্থানে গযব নাযিল হয় না। উনারা নির্দিষ্ট স্থান ত্যাগ করার পরই গযব নাযিল হয়, তাই তিনি আরো সরতে লাগলেন।

হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম-উনার ক্বওমের মধ্যে নিয়ম ছিল যে, কেউ মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হলে তার শাস্তি মৃত্যুদ-। তাই নির্দিষ্ট স্থান ত্যাগ না করার কারণে যদি তাদের প্রতি গযব না আসে এবং উনাকে তারা মিথ্যাবাদী বলে, তবে তাদের সকলের পরকালে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এ কারনেই তিনি আরো সরতে লাগলেন। আর মূলতঃ এটা তিনি আল্লাহ পাক-উনার নির্দেশেই করেছেন, কারণ নবীগণ ওহী ব্যতীত কোন কাজ করেন না।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, পথিমধ্যে নদী পড়লো, হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম একটি নৌকায় আরোহণ করলেন। নৌকায় লোক অতিরিক্ত হওয়ার কারণে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হলো। তখন মাঝিরা বললো, আপনাদের মধ্যে একজনকে নেমে যেতে হবে। কে নামবে, তা লটারী করা হলো। লটারীতে একবার, দু’বার, তিনবার হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম-উনারই নাম মুবারক উঠলো।

যদিও লোকজনের ইচ্ছা ছিল না হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনাকে নামিয়ে দেয়া, তা সত্ত্বেও তিনি অতিরিক্ত কাপড় খুলে নদীতে নেমে গেলেন। আর আল্লাহ পাক-উনার নির্দেশে এক বিশেষ মাছ উনাকে তা’যীম-তাকরীমের সাথে পেটে ধারণ করলো; সাথে সাথে আরেকটি বিশেষ ও বৃহৎ আকৃতির মাছ উক্ত মাছটিকে ধারণ করলো এবং বললো, হে হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম! আপনি চিন্তিত হবেন না, আমাকে আল্লাহ পাক খাছ করে আপনার জন্য তৈরি করেছেন, আমার পেটকে আপনার জন্য ইবাদতখানা হিসেবে নির্ধারিত করেছেন এবং আমার সমস্ত শরীরে আল্লাহ পাক-উনার যিকির জারী রয়েছে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, একথা শুনে হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম সে মাছের পেটে আল্লাহ পাক-উনার যিকির-আয্কার ও ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল হলেন।

মূলতঃ আল্লাহ পাক-উনার নবী, হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম মাছের পেটে প্রবেশ করার পেছনে শত-সহস্র কারণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো এই যে, সে যামানায় পানির নিচে যত মাছ ছিল, সমস্ত মাছ রোগাক্রান্ত হয়ে আল্লাহ পাক-উনার কাছে সুস্থতার জন্য আরজু করছিল। আর আল্লাহ পাক তাদের বলেছিলেন æঅপেক্ষা কর।”

যখন আল্লাহ পাক-উনার নবী, হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম মাছের পেটে অবস্থান নিলেন, তখন আল্লাহ পাক মাছদেরকে নির্দেশ দিলেন, æতোমরা আমার নবী হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম যে মাছের পেটে অবস্থান করছেন, সে মাছকে শুঁক বা ঘ্রাণ নাও। যারা এ মাছকে শুঁকবে বা ঘ্রাণ নিবে, তারা সুস্থতা লাভ করবে এবং দূরবর্তী যেসব মাছ রয়েছে, যারা সরাসরি হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনাকে ধারণকৃত মাছকে শুঁকতে বা ঘ্রাণ নিতে পারবে না, সে সমস্ত মাছ যদি ঐ সমস্ত মাছ, যারা হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনাকে ধারণকৃত মাছকে শুঁকে বা ঘ্রাণ নিয়ে সুস্থ্যতা লাভ করেছে, তাদেরকে শুঁকবে বা ঘ্রাণ নিবে, তবে তারাও সুস্থতা লাভ করবে।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, এভাবে সমস্ত মাছের সুস্থতা লাভ করতে প্রায় চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহ পাক হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনাকে ধারণকৃত মাছকে নির্দেশ দিলেন যে, æতুমি আমার রসূল, হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনাকে তা’যীম-তাকরীমের সহিত নদীর পাড়ে পৌঁছে দাও।” তখন সে মাছ আল্লাহ পাক-উনার নির্দেশে উনাকে নদীর পাড়ে এক কদু গাছের নিচে তা’যীম-তাকরীমের সহিত পেট থেকে বের করে রাখলো।

মূলতঃ এই হচ্ছে আল্লাহ পাক-উনার রসূল, হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম-উনার চল্লিশ দিন যাবত মাছের পেটে অবস্থান করার সঠিক তথ্য বা ইতিহাস। যা তাফসীরসমূহে ও নবী-রাসূল আলাইহিস সালাম-উনাদের সীরাতের নির্ভরযোগ্য কিতাবে উল্লেখ রয়েছে।

অতএব যারা বলে, ‘দাওয়াত বন্ধ করার কারণে আল্লাহ্ পাক হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম উনাকে গযবে ফেললেন’- সেকথা আদৌ শুদ্ধ নয় বরং কাট্টা কুফরী।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, যেখানে আল্লাহ পাক উম্মতদের মধ্যে যারা নেক্কার, আল্লাহ পাক-উনার রহমত উনাদের নিকটবর্তী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন আল্লাহ পাক কুরআন শরীফ-এর ‘সূরা আ’রাফের’ ৫৬নং আয়াত শরীফ-এ বলেন, æনিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক-উনার রহমত মুহসিনীন (নেক্কারদের) নিকটবর্তী।” সেখানে যিনি আল্লাহ পাক-উনার রসূল-উনার প্রতি কি করে আল্লাহ্ পাক গযব নাযিল করতে পারেন? মূলতঃ নবী-রসূল আলাইহিস সালাম উনাদের উপর গযব নাযিল হওয়ার প্রশ্নই উঠে না। বরং উনারা যে স্থানে অবস্থান করেন, সে স্থানে সবসময় আল্লাহ পাক-উনার তরফ থেকে রহমত বর্ষিত হয়। যার কারণে আমরা কুরআন শরীফ-এর অনেক স্থানেই দেখতে পাই যে, আল্লাহ পাক যে ক্বওমকে তাদের নাফরমানির কারণে শাস্তি দিতে ইচ্ছে পোষণ করেছেন, তখন সে ক্বওমের নবীকে সে নির্দিষ্ট স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ আল্লাহ পাক-উনার নবী বা রসূল আলাইহিস সালাম উনারা যতক্ষণ পর্যন্ত সে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত ঐ স্থানে আযাব-গযব নাযিল হবে না। মূলতঃ নবী-রাসূল আলাইহিস সালাম উনাদের অস্তিত্বই সার্বক্ষণিক রহমতের কারণ।

মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম বলেন, মুল কথা হলো- যারা আশুরা উপলক্ষে আলোচনা করতে গিয়ে বলে থাকে যে, আল্লাহ পাক-উনার নবী হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম দাওয়াতের কাজ বন্ধ করে ভুল করেছেন, যার ফলে তিনি গযবস্বরূপ মাছের পেটে প্রবেশ করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ! তাদের এ বক্তব্য ও আক্বীদা সম্পূর্ণভাবেই কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এরূপ কুফরী বক্তব্য ও আক্বীদা থেকে তওবা করা সংশ্লিষ্ট সকলের জন্যই ফরয-ওয়াজিব।

 

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে মাত্র পাঁচভাগ বিধর্মীদের সব ধর্মীয় দিনে সরকারি ছুটি না দিয়ে ঐচ্ছিক ছুটি দেয়া উচিত। বুদ্ধ পূর্ণিমার ক্ষেত্রেও তাই করা উচিত পাশাপাশি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুষঙ্গের দিনগুলোতে সরকারি ছুটি বাড়ানো উচিত।দ

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- পহেলা বৈশাখের তথাকথিত সংস্কৃতির বিরুদ্ধ চেতনায় উজ্জীবিত হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে বলা মুসলমানের জন্য ফরজ-ওয়াজিব ও সাংবিধানিক অধিকার। সরকারের জন্যও পহেলা বৈশাখের নামে বেলেল্লাপনা রোধ করা সাংবিধানিক কর্তব্য। রাজাকার, আল বাদর, জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ধর্মব্যবসায়ীরা তাদের ইল্্ম ও আমালী আদর্শ দ্বারা পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- ১০ই মুর্হরম কারবালার প্রান্তরে সাইয়্যিদুশ্ শুহাদা সাইয়্যিদুশ্ শাবাবী আহলিল জান্নাহ হযরত ইমাম হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর মুবারক শাহাদাতকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট ছাহাবী কাতিবে ওহী হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে দোষারোপ করাটা সম্পূর্ণরূপে কুফরীর শামিল

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তিনি চান আহলে বাইতগণকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আমার আহলে বাইতগণকে মুহব্বত করো আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য। মুহররমুল হারাম মাস আহলে বাইত ও আওলাদে রসূলগণকে মুহব্বত করার মাস তাই প্রত্যেকের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে- এ মাসে আহলে বাইত ও আওলাদে রসূলগণ- উনাদের মুহব্বত করে মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার খাছ রেজামন্দি হাছিল করা-

-:দৈনিক আল ইহসানের বিশেষ ব্যানার হেডিং তথা তাজদীদের ধারাবাহিকতায় মুজাদ্দিদে আ’যম-উনার মুবারক সংযোজন:- মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই তোমরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রুরূপে পাবে ইহুদীদেরকে।” গোটা বিশ্ববাসীর গভীর নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও গাজায় নৃশংস ও ইতিহাসের জঘন্য হত্যাকা- চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। জাতিসংঘ আশ্রয় শিবির, স্কুলে এমনকি মসজিদেও চলছে ইসরাইলের পৈচাশিক হত্যাকাণ্ড জাতিসংঘের আহ্বানকেও তোয়াক্কা করছে না ইসরাইল। এরপরও জাতিসংঘসহ পাশ্চাত্য বিশ্ব- ইসরাইলকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করছে না এবং যুদ্ধ বন্ধের জন্য শক্ত চাপ প্রয়োগ করছেনা। অথচ লাদেনের মত মুনাফিকদের কারণে গোটা মুসলমানজাতিকেই জঙ্গি-সন্ত্রাসী বলে প্রচার করতে তারা খুবই তৎপর।