নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুন নাস, সাইয়্যিদুল বাশার, মালিকুল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং সম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস-আফদ্বলুন নিসা, মালিকাতুল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক ও পবিত্রতা মুবারক

সংখ্যা: ২৪০তম সংখ্যা | বিভাগ:

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ  حَضرت طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ سَـمــِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ لَوْ أَدْرَكْتُ وَالِدَيَّ أَوْ أَحَدَهُمَا وَأَنَا فِىْ صَلَاةِ الْعِشَاءِ وَقَدْ قَرَأْتُ فِيْهَا بِفَاتِحـَةِ الْكِتَابِ تُنَادِىْ يَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَأَجَبْتُهَا لَبَّيْكِ

অর্থ:  ‘হযরত ত্বলক্ব ইবনে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি আমি আমার ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে তথা আমার সম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে এবং আমার সম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম উনাদের দু’জনকে অথবা উনাদের দু’জনের একজনকে দুনিয়ার যমীনে পেতাম অর্থাৎ উনারা যদি সম্মানিত বিছাল শরীফ মুবারক গ্রহণ না করতেন, আর আমি যদি সম্মানিত ইশা উনার নামায (ফরয নামায) মুবারক-এ দাঁড়াতাম এবং সম্মানিত সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করতে থাকতাম। আর এমতাবস্থায় উনারা আমাকে এই বলে আহ্বান করতেন, হে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (নামায ছেড়ে দিয়ে) আমি উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে ইরশাদ মুবারক করতাম, লাব্বাইক, হে আমার সম্মানিত আব্বাজন আলাইহিস সালাম, হে সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আমি আপনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত, হাযির। সুবহানাল্লাহ!’

অপর বর্ণনায় এসেছে-

لَوْ دَعَانِىْ وَالِدَيَّ اَوْ اَحَدُهُمَا وَاَنَا فِى الصَّلَاةِ لَاَجَبْتُهٗ

অর্থ : ‘যদি আমার ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম উনারা তথা আমার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং আমার সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা দু’জন অথবা উনাদের মধ্য থেকে একজন আমাকে এই আবস্থায় আহ্বান করতেন যে, তখন আমি সম্মানিত নামায (ফরয নামায) মুবারক আদায় করতেছি, তাহলে আমি অবশ্য অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (নামায ছেড়ে দিয়ে) উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিতাম। সুবহানাল্লাহ!’ (শুয়াবুল ঈমান ১০/২৮৪, দায়লামী শরীফ ৩/৩৪৫, জামিউল আহাদীছ ১৮/৭৪, কাশফুল খফা ২/১৬০, আল মাক্বাছিদুল হাসানাহ ১/৫৫১, কানযুল উম্মাল ১৬/৪৭০, জামউল জাওয়ামি’ ১৬৮/১৩, মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিস সুয়ূত্বী ৩৭ পৃষ্ঠা ইত্যাদি)

স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মাধ্যমে কায়িনাতবাসীকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, উনার মহাসম্মানিত ওয়ালিদাইন শরীফাইন আলাইহিমাস সালাম তথা উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান, মালিকুল জান্নাহ, আবু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত যবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এবং পবিত্রতা মুবারক কত বেমেছাল। সুবহানাল্লাহ!

যেখানে সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা বেকারার-পেরেশান কিভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া যায়, কিভাবে উনার সম্মানিত ক্বদম মুবারক উনার ধুলো মুবারক নেয়া যায়, আর সেখানে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে ইরশাদ মুবারক করেছেন, যদি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করতেন আর উনারা উনাদের মহাসম্মানিত আওলাদ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত নামায মুবারক পড়া অবস্থায় আহ্বান মুবারক করতেন, তাহলে স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত নামায মুবারক ছেড়ে দিয়ে উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানার্থে উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিতেন এবং বলতেন, লাব্বাইক, হে আমার সম্মানিত আব্বাজন আলাইহিস সালাম, হে সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আমি আপনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত, হাযির। সুবহানাল্লাহ!’

তাহলে উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান এবং পবিত্রতা মুবারক উনার বিষয়টি কত বেমেছাল, সেটা কি কায়িনাতের কেউ কখনো চিন্তা-ফিকির করে মিলাতে পারবে? কস্মিনকালেও নয়। সুবহানাল্লাহ!’

সেটাই মুজাদ্দিদে আ’যম পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আসসাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি স্পষ্টভাবে সমস্ত বিশ্ববাসীকে, সমস্ত কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, ‘নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এক কথা মুবারক-এ উনারা শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা নন; এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছে সমস্ত কিছুর অধিকারী উনারা। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধু জান্নাতীই নন; বরং সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মালিক। সম্মানিত জান্নাত মুবারক উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন কখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ দয়া করে প্রবেশ করবেন। উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করলেই সম্মানিত জান্নাত মুবারক ধন্য হয়ে যাবেন, সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার নামকরণের বিষয়টি স্বার্থক হবে। সুবহানাল্লাহ! মূলত মহান আল্লাহ পাক তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক সৃষ্টিই করেছেন, উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়ার জন্য। সুবহানাল্লাহ!

এখন বলার বিষয় হচ্ছে, যারা বলতে চায় যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা ঈমনদার ছিলেন না। নাঊযুবিল্লাহ! না’ঊযুবিল্লাহ! না’ঊযুবিল্লাহ!  উনারা জান্নাতী নন; জাহান্নামী। না’ঊযুবিল্লাহ! না’ঊযুবিল্লাহ! না’ঊযুবিল্লাহ! তারা কি বলতে পারবে যে, শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি ও মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার কায়িনাতে, উনার সৃষ্টি জগতে এমন কেউ আছে কি, যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত নামায মুবারক-এ থাকা অবস্থায় আহ্বান করার দুঃসাহস দেখাবে আর সেই আহ্বানে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত নামায মুবারক ছেড়ে দিয়ে সাড়া দিবেন? নাঊযুবিল্লাহ! কস্মিনকালেও নয়। বরং যে এটা চিন্তা-ফিকির করবে সেও কাট্টা কাফির চির জাহান্নামী হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ! অথচ স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজে ইরশাদ মুবারক করেছেন, যদি উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করতেন আর উনারা উনাদের মহাসম্মানিত আওলাদ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নামায মুবারক পড়া অবস্থায় আহ্বান করতেন, তাহলে স্বয়ং যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত নামায মুবারক ছেড়ে দিয়ে উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানার্থে উনাদের আহ্বান মুবারকে সাড়া দিতেন এবং বলতেন, লাব্বাইক, হে আমার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম, হে সম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম, আমি আপনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত, হাযির। সুবহানাল্লাহ!’

তাহলে কি এখান থেকে বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে গেল না যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা শুধু ঈমনাদারই নন; বরং উনাদের মাক্বাম, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পরে, সমস্ত কায়িনাতবাসীর ঊর্ধ্বে। আর উনারা শুধু সম্মানিত জান্নাতীই নন; বরং উনারা হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত উনার মালিক? সুবহানাল্লাহ! অবশ্যই এখানে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। যে ব্যক্তি এই বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করবে সে কাট্টা কাফির চির জাহান্নামী হবে। নাঊযুবিল্লাহ!

মূলত যারা বলবে যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনারা ঈমানদার ছিলেন না; নাউযুবিল্লাহ! বরং উনারা ঈমান ব্যতীত সম্মানিতা বিছাল শরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন নাউযুবিল্লাহ! এবং উনারা জান্নাতী নন; না‘নাঊযুবিল্লাহ! ‘নাঊযুবিল্লাহ! ‘নাঊযুবিল্লাহ! সম্মানিত শরীয়ত মুবারক উনার ফতওয়া অনুযায়ী তারা কাট্টা কাফির, চিরজাহান্নামী, চিরমালঊন। তারা যদি মুসলমান বা ঈমানদার দাবী করে তাহলে তাদের প্রতি মুরতাদের হুকুম বর্তাবে এবং মুরতাদের শাস্তিও বর্তাবে। আর যদি কাফির হয় তাহলে তারা তাদের কুফরীকে আরো বৃদ্ধি করলো। যার পরিণতি চির লা’নত ও চিরজাহান্নাম। তারা ইবলীসের ন্যায়; ইবলীসের চেয়েও চরম মালঊন। তাদেরকে লা’নাতুল্লাহি আলাইহি বলতে হবে।

এই প্রসঙ্গে দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল হাওই লিল শরীফ উনার ২য় খন্ডের ৮১ পৃষ্ঠায় এবং মাসালিকুল হুনাফা উনার ৩৬ পৃষ্ঠায়, ইমাম মুহম্মদ ইবনে ইউসূফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৯৪২ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ উনার ১ম খ-ের ২৬০ পৃষ্ঠায়, ইমাম আহমদ ইবনে মুহম্মদ হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ১০৯৮ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘গমযু উয়ূনিল বাছায়ির ফী শরহিল আশবাহি ওয়ান নাযায়ির উনার ৫ম খ-ের ৪৯২ পৃষ্ঠায়, হযরত ইমাম ইবনে আবিদীন হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ১২৫২ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল উকুদুদ দুররিয়্যাহ উনার ৭ম খ- ৪২২ পৃষ্ঠায়’ উল্লেখ করেছেন,

وَسُئِلَ  حَضْرَتْ اَلْقَاضِىُ اَبُوْ بَكْرِ بْنُ الْعَرَبِىّ  رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَحَدُ اَئِمَّةِ الْمَالِكِيَّةِ عَنْ رَجُلٍ قَالَ اِنَّ اَبَا النَّبِىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِى النَّارِ فَاَجَابَ بِاَنَّ مَنْ قَالَ ذٰلِكَ فَهُوَ مَلْعُوْنٌ لِقَوْلِهٖ تَعَالٰى: {اِنَّ الَّذِيْنَ يُؤْذُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ لَعَنَهُمُ اللهُ فِى الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ} [الأحزاب: ۵۷] قَالَ: وَلَا اَذًى أَعْظَمُ مِنْ اَنْ يُقَالَ عَنْ اَبِيْهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّهٗ فِى النَّارِ.

‘হযরত ক্বাযী আবূ বকর ইবনুল আরবী তিনি ছিলেন মালিকী মাযহাব উনার একজন বিশ্বখ্যাত ইমাম। উনাকে সুওয়াল করা হয়েছিলো এমন একজন ব্যক্তির সম্পর্কে, যে বলে থাকে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনি জাহান্নামী। না’ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! অতঃপর জবাবে তিনি বললেন, যে ব্যক্তি এই কথা বলবে নিশ্চয়ই সে মালঊন, তার উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই যাঁরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কষ্ট দেয় তাদের উপর স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়া এবং আখিরাতে তথা আবাদুল আবাদের তরে লা’নত বর্ষণ করেছেন।’ (সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ : ৫৭)

অতঃপর তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনাকে জাহান্নামী’ বলাই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সবচেয়ে বড় কষ্ট দেয়া। উনাদের জন্য এর চেয়ে আর কোনো বড় কষ্ট হতে পারে না।

ইমাম আবূ মুহম্মদ মুওয়াফ্ফাকুদ্দীন আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ ইবনে মুহম্মদ হাম্বলী মুক্বাদ্দাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ইবনে কুদামাহ হিসেবে প্রসিদ্ধ তিনি (বিছাল শরীফ : ৬২০ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল মুগনী ফী ফিক্বহিল ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল শায়বানী উনার ২০তম খন্ডের ১৬৯ পৃষ্ঠায়’ উল্লেখ করেন,

وَمَنْ قَذَفَ اُمَّ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُتِلَ مُسْلِمًا كَانَ اَوْ كَافِرًا يَعْنِىْ اَنَّ حَدَّهُ الْقَتْلُ وَلَا تُقْبَلُ تَوْبَتُهٗ نَصَّ عَلَيْهِ حَضْرَتْ اَحْمَدُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ.

অর্থ : ‘আর যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারক-এ অপবাদ দিবে, উনার প্রতি দোষারোপ করবে, উনার দুর্নাম করবে (তিনি ঈমানদার ছিলেন না, নাউযুবিল্লাহ! তিনি ঈমান ব্যতীত সম্মানিত বিছাল শরীফ মুবারক গ্রহণ করেছেন নাউযুবিল্লাহ! এবং তিনি জাহান্নামী নাঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!) সে নামধারী মুসলমান হোক অথবা কাফির হোক তাকে কতল করতে হবে। অর্থাৎ নিশ্চয়ই তার হদ হচ্ছে কতল। তাকে কতল করতে হবে, মৃত্যুদ- দিতে হবে। তার তাওবা কবূল হবে না। (অবশ্যই সে চিরজাহান্নামী, চিরমালঊন হবে)। আর এই সম্মানিত ফতওয়া মুবারক উনার উপর সম্মানিত হাম্বলী মাযহাব উনার সম্মানিত ইমাম তৃতীয় হিজরী শতক উনার মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নছ তথা সম্মানিত কুরআন শরীফ উনার সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার  দ্বারা দলীল পেশ করেছেন।’ (আল মুগনী ফী ফিক্বহিল ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল শায়বানী ২০ খ- ১৬৯ পৃষ্ঠা)

দশম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘মাসালিকুল হুনাফা ফী হুকমি ঈমানি ওয়ালিদাইল মুছত্বফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ৩৭ পৃষ্ঠায় এবং অপর বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘আল হাওই উনার ২য় খ- ২৮০ পৃষ্ঠায়’, ইমাম মুহম্মদ ইবনে ইউসূফ ছালিহী শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি (বিছাল শরীফ : ৯৪২ হিজরী শরীফ) উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব ‘সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ উনার ১ম খ-ের ২৬১ পৃষ্ঠায়’, ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত ‘তারীখুল ইসলাম উনার ৭ম খ-ের ৯৮ পৃষ্ঠায়’ উল্লেখ করেন,

حَضْرَتْ نَوْفَلُ بْنُ الْفُرَاتِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَكَانَ عَامِلًا لِعُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيْزِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ كَانَ رَجُلٌ مّـِنْ كُتَّابِ الشَّامِ مَأْمُوْنًا عِنْدَهُمُ اسْتَعْمَلَ رَجُلًا عَلٰى كُورَةِ الشَّامِ وَكَانَ أَبُوْهُ يَزِنُ بِالْمَنَانِيَّةِ فَبَلَغَ ذٰلِكَ حَضْرَتْ عُمَرَ بْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فَقَالَ مَا حَمَلَكَ عَلٰى اَنْ تَسْتَعْمِلَ رَجُلًا عَلٰى كُوْرَةٍ مّـِنْ كُوَرِ الْمُسْلِمِيْنَ كَانَ أَبُوْهُ يَزِنُ بِالْمَنَانِيَّةِ؟ قَالَ أَصْلَحَ اللهُ أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَمَا عَلَيَّ! كَانَ أَبُو النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُشْرِكًا وَفِىْ رواية وَمَا يَضُرُّهٗ ذٰلِكَ يَا أَمِيْرَ الْمُؤْمِنِيْنَ قَدْ كَانَ أَبُو النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَافِرًا فَمَا ضَرَّهٗ فَغَضِبَ حَضْرَتْ عُمَرُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ غَضَبًا شَدِيْدًا فَقَالَ حَضْرَتْ عُمَرُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ: اٰهٍ ثُمَّ سَكَتَ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهٗ فَقَالَ أَأَقْطَعُ لِسَانَهٗ؟ أَأَقْطَعُ يَدَهٗ وَرِجْلَهٗ؟ أَأَضْرِبَ عُنُقَهٗ؟ ثُمَّ قَالَ لَا تَلِىْ لِىْ شَيْئًا مَّا بَقِيْتُ وَفِىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى فَقَالَ جَعَلْتَ هٰذَا مَثَلًا فَعَزَلَهٗ.

অর্থ: ‘হযরত নওফিল ইবনে ফুরাত রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন ৮ম খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন বিশিষ্ট আমিল। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যখন সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক উনার মসনদ মুবারক-এ অধিষ্ঠিত, ওই সময় শাম দেশের একজন কাতিব ছিলো। সে উমাইদের নিকট অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলো। সে শাম দেশের এক এলাকায় এমন এক ব্যক্তিকে কাজে নিয়োগ দিলো, যার পিতা ছিলো জিন্দীকের অভিযোগে অভিযুক্ত। এই সংবাদটি যখন আমীরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমত মুবারক-এ পেশ করা হলো, তখন তিনি সেই কাতিবকে আহ্বান করলেন এবং বললেন, তোমার ধারণা কি, তোমার কি হলো যে, সম্মানিত মুসলমান উনাদের এলাকাসমূহের এক এলাকায় এমন এক ব্যক্তিকে কাজে নিয়োগ দিয়েছো, যার পিতা জিন্দিকের অভিযোগে অভিযুক্ত? সে বললো, মহান আল্লাহ পাক তিনি আমীরুল মু’মিনীন উনাকে ইছলাহ হাদিয়া করুন, এতে আমার দোষ কী! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনিতো মুশরিক ছিলেন। না’ঊযুবিল্লাহ! না’ঊযুবিল্লাহ! না’ঊযুবিল্লাহ! অন্য বর্ণনায় এসেছে, তখন ওই ব্যক্তি বললো, আমি যাকে কাজে নিয়োগ দিয়েছি (তার পিতা জিন্দিক) তাতে তার সমস্যা কি? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম তিনিতো কাফির ছিলেন। না’ঊযুবিল্লাহ! না’ঊযুবিল্লাহ! না’ঊযুবিল্লাহ! এতেতো নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো ক্ষতি হয়নি। না’ঊযুবিল্লাহ! এই কথা শুনে হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অত্যন্ত কঠিনভাবে রেগে গেলেন, তার প্রতি কঠিন অসন্তুষ্ট হলেন। হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হায়! অতঃপর তিনি নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। (তিনি হতবম্ভ হয়ে গেলেন, স্তবদ্ধ হয়ে গেলেন।) তারপর তিনি মাথা মুবারক উত্তোলন করে বললেন, আমি কি তার জিহ্বা কেটে দিবো না? আমি কি তার হাত ও পা কেটে দিবো না? আমি তার ঘাড়ে প্রহার করবো না, তার গর্দান উড়েয়ে দিবো না? অতঃপর তিনি তাকে বললেন, আমি যতদিন দুনিয়ার যমীনে অবস্থান করবো, তুমি সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার অধীনে কোন কাজ করতে পারবে না। অপর বর্ণনায় এসেছে, অতঃপর তিনি বললেন, তুমি এই দৃষ্টান্ত দিচ্ছো, এটা বলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে সাথে সাথে বরখাস্ত করে দিলেন।’ (ইবনে আসাকির, আল ওয়াফী বিল ওফাইয়াত ৫/১২৬, যম্মুল কালাম ও আহলুহু ৫/৩৩ ইত্যাদি)

-আল্লামা ইবনে ছিদ্দীক

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম