মুবারক শৈশব ও কৈশোর থেকেই সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম উনার সুন্নত মুবারক এবং শরয়ী পর্দা পালনের একনিষ্ঠ অভ্যস্ততা:
তিনি উনার পবিত্রতম হায়াতে ত্বইয়্যিবায় যে সম্মানিত শরয়ী পর্দাপালন করেছেন, আবাদুল আবাদ পর্যন্ত তার নযীর খুঁজে পাওয়া যাবে না। সুবহানাল্লাহ! পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও কুদরতীভাবে উনার পর্দাপালনের পরিধি ও পরিমাণ আখাছছুল খাছভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উনার সীমাহীন শান, মান, মর্যাদা ও মাক্বাম প্রকাশিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, পরিপূর্ণরূপে সম্মানিত পর্দাপালনের লক্ষ্যে উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্রতম আরজু অনুযায়ী রাতের অন্ধকারে উনার পবিত্রতম কাফন-দাফন মুবারক সুসম্পন্ন করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি উনার পবিত্রতম আরজু কবুল করে কুদরতীভাবে পাশাপাশি পবিত্রতম সাতটি রওযা মুবারক তৈরী করে দিয়েছেন, যাতে কায়িনাতের কেউই উনার পবিত্রতম জিসিম মুবারক উনার মুবারক আকার আকৃতি জানতে ও উপলব্ধি করতে না পারে। সুবহানাল্লাহ!
একইভাবে পুলসিরাত পার হওয়ার প্রাক্কালেও মহান আল্লাহ পাক কুল কায়িনাতবাসীকে মস্তক অবনত অবস্থায় তাদের চোখ (দৃষ্টি) বন্ধ রাখার জন্য মুবারক নির্দেশনাদান করবেন। মুবারক নির্দেশের প্রেক্ষিতে সকলের চোখ বন্ধ থাকা অবস্থায় উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবিয়া, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি অসংখ্য-অগণিত জান্নাতী হূর উনাদের মুবারক বেষ্টনীতে পুলসিরাত পার হয়ে নিমিষে নির্ধারিত পবিত্র জান্নাতে পৌঁছে জান্নাত উনাকে সীমাহীন মর্যাদায় অভিষিক্ত করবেন। সুবহানাল্লাহ!
ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত দাদী হুযূর ক্বিবলা কা’বা আলাইহাস সালাম তিনিও উনাদের অনুসরণে উনার পবিত্র হায়াতে ত্বইয়্যিবায় অনুরূপ শরয়ী পর্দাপালন করেছেন। একইভাবে পবিত্রতম বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পরও কুদরতীভাবে বেমেছাল মাত্রায় উনার পর্দা পালিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! (চলবে)