পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪২তম পর্ব)

সংখ্যা: ২৮০তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৪তম ফতওয়া হিসেবে

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের সর্বোত্তম ওসীলা মুবারক এবং মানুষের সম্মানিত আক্বীদাহ মুবারক এবং সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক। সুবহানাল্লাহ!

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে সম্মানিত মুসলমান উনাদের সম্মানিত ঈমান এবং সম্মানিত আমল উনাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো “উলামায়ে সূ”। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিশেষ বিশেষ ফযীলতযুক্ত আমলের রাত ও দিন মুবারকসমূহ পালন করাকে বিদয়াত, নাজায়িয ও শিরক বলে ফতওয়া দিয়ে সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে অশেষ খায়ের, বরকত, নিয়ামত, নাজাত অর্থাৎ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক থেকে মাহরূম করছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যেমন তারা বলে থাকে যে, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত, শিরক। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! সম্মানিত ও পবিত্র শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয। নাউযুবিল্লাহ! অনুরূপ আরো অনেক বিষয়কেই তারা বিনা দলীলে মনগড়াভাবে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

অপরদিকে বেদ্বীনী-বদদ্বীনী অর্থাৎ কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারাদের যত পর্ব বা দিবস রয়েছে সেগুলোকে শুধু জায়িযই নয় বরং নি‘য়ামত বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! যেমন বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক্ব প্রকৃতপক্ষে খবীছ উবাই বলেছিল, “পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নি‘য়ামত।” নাঊযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!

তাদের উপরোক্ত বক্তব্য চরম বিভ্রান্তিকর, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুফরীমূলক। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত এবং আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত শিরক এবং পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নি‘য়ামত।” নাউযুল্লিাহ! তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল বা জায়িয বিষয়কে হারাম বা নাজায়িয বলা এবং হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। এ সম্পর্কে কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

اِسْتِحْلَالُ الْـمَعْصِيَةِ كُفْرٌ.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” নাউযুবিল্লাহ! (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে ‘সূ’দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমান উনাদের সম্মানিত আক্বীদাহ্ মুবারক ও সম্মানিত ঈমান উনাদের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ উলামায়ে ‘সূ’দের এই কুফরীমূলক বক্তব্য সম্মানিত মুসলমান উনাদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা, যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা থেকে বিরত থাকবে এবং হারাম পহেলা বৈশাখ পালন করবে” তারা অশেষ খায়ের, বরকত ও নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হওয়ার কারণে কঠিন গুনাহগার অর্থাৎ জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা এবং হক্বপন্থি ও সমঝদার মুসলমানগণ উনারা যেন উনাদের সম্মানিত ঈমান ও সম্মানিত আমল মুবারক হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ সকল বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ মোতাবেক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক পোষণ করে এবং সঠিক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি”  প্রকাশ করা হলো।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়ের গুরুত্ব, ফযীলত ও আহকাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফাতাওয়া-

পূর্ব প্রকাশিতের পর

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ মাসে প্রকাশিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ তারীখ মুবারক= ৬টি

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ= ৯টি

২) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ:

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ‘সাইয়্যিদ’ পরিবারে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উভয়েই সাইয়্যিদ অর্থাৎ উনারা আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের উভয়ের মাধ্যমে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম উনার মুবারক সম্পৃক্তি ঘটেছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সঙ্গে। সুবহানাল্লাহ! বুযূর্গ পূর্বপুরুষ উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ উনার অধিবাসী। উনাদের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকবর শাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার কয়েকজন ছফর সঙ্গীসহ প্রায় তিনশ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত দ্বীন ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে মহাসম্মনিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ থেকে প্রথমে ইয়েমেন গমন করেন। অতঃপর উনারা ইরাক এবং আফগানিস্তান আগমন করেন। নদীপথেও উনারা অনেক পথ অতিক্রম করেন। অবশেষে উনারা আসেন চট্টগ্রামে। আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদ মুহম্মদ আকবর শাহ আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ পুত্রের নাম মুবারক আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ পানাউল্লাহ শাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ পানাউল্লাহ শাহ আলাইহিস সালাম উনার অধস্তন বুযূর্গ পুরুষ আওলাদে রসূল হাফিয সাইয়্যিদ মুহম্মদ আশরাফ আলী আলাইহিস সালাম। তিনি ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ায় নিবাস স্থাপন করেন। সেখানে তিনি হিদায়েত ও নছীহতের কাজে ব্যাপৃত থাকেন। উনার বুযূর্গ সন্তান আওলাদে রসূল হাফিয মৌলভী সাইয়্যিদ মুহম্মদ হাবীবুল্লাহ আলাইহিস সালাম। উনার বুযূর্গ সন্তান আওলাদে রসূল হাফিয মৌলভী সাইয়্যিদ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম আলাইহিস সালাম। উনারই বুযূর্গ সন্তান হলেন আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি, যিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ ঊর্ধ্বতন পুরুষ উনারা সকলেই খালিছ আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী ছিলেন। উনার বুযূর্গ পিতা আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এবং উনার বুযূর্গ মাতা আওলাদে রসূল সাইয়্যিদাহ মুবাশ্শিরা খাতুন আলাইহাস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা মুবারক বংশ গৌরব, শরাফত, আচার-আচরণ, বদান্যতা, কৌলীন্য, শরয়ী পর্দাপালন ও আমলে সর্বজন শ্রদ্ধেয়। উনার বুযূর্গ পিতা আলাইহিস সালাম তিনি ১৪১৯ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ১৯শে রমাদ্বান শরীফ পবিত্র জুমুয়া শরীফ বাদ ফজর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ। উনার মাযার শরীফ ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ায় অবস্থিত। উনার বুযূর্গ আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি ১৩৬৯ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ১৩ই মুহররম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ দাদাজান আওলাদে রসূল হাফিয সাইয়্যিদ মুহম্মদ নূরুল ইসলাম আলাইহিস সালাম তিনি ১৩৯২ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ৩০শে শা’বান শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার সম্মানিতা মাতা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন যিন্দাপীর হিসেবে মশহুর আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরতুল আল্লামা মুহম্মদ ওলীউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ মেয়ে। সম্মানিতা দাদীজান আওলাদে রসূল হযরত আয়িশা খাতুন আলাইহাস সালাম। বুযূর্গ আব্বাজান আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার বয়স মুবারক যখন তিন বছর, তখন দাদীজান আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।

উনার বুযূর্গ নানাজান আওলাদে রসূল মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম আলাইহিস সালাম তিনি ১৪০৮ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ৩০শে যিলহজ্জ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। বুযূর্গ দাদাজান আলাইহিস সালাম তিনি এবং বুযূর্গ নানাজান আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা ছিলেন সহোদর ভাই। বুযূর্গ নানীজান হযরত আবিদা খাতুন আলাইহাস সালাম তিনি বাংলাদেশের সুপ্রসিদ্ধ পীর ছাহিব হযরত মাওলানা ইছহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দ্বিতীয়া আহলিয়া উনার বুযূর্গ বড় মেয়ে। হযরত মাওলানা ইছহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন হযরত আব্দুল হক্ব মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এবং হযরত মাওলানা আব্দুর রব জৈনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার অর্থাৎ উনাদের প্রধান খলীফা। সুবহানাল্লাহ!

আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ খাইরুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ছিলেন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব। বুযূর্গী, তাক্বওয়া, ব্যক্তিত্ব, মন ও মননে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তিনি ছিলেন একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা। চাকুরির সুবাদে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গমন করেছেন, থেকেছেন। বদলিসূত্রে তিনি ঢাকা জেলার সাভারেও ছিলেন বেশ কিছুকাল। ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ায় উনার মূল নিবাস থাকা সত্ত্বেও তিনি সাভারে একখণ্ড জমি কিনে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেন। ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ার বাড়িটি বুযূর্গ পূর্বপুরুষ উনাদের অনেকেরই আবাসস্থল। এখনো সেখানে কেউ কেউ বসবাস করেন।

এতোক্ষণের আলোচনায় স্পষ্ট হয়েছে যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম উনার বুযূর্গ পূর্বপুরুষ, উনার দাদা-দাদী, নানা-নানী আলাইহিমুস সালাম, বিশেষতঃ উনার বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনারা সকলেই আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। উনারা সকলেই খালিছ আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী। এমন অতুলনীয় বুযূর্গ পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের মুবারক ঘরে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊলা শরীফ ১৪০১ হিজরী শরীফ, ১৭ই ‘আশির ১৩৪৮ শামসী, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ) সূর্যোদয়ের অব্যবহিত পর ঢাকা জেলার সাভারে মুবারক পৈত্রিক নিবাসে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা পাঁচ ভাই, এক বোন। উনাদের মধ্যে আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি কনিষ্ঠ। সুবহানাল্লাহ!

১৪২৬ হিজরী শরীফে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম, সুলত্বানু নাছীর, আল জব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট বাইয়াত মুবারক হন। নিয়মিত মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করেন এবং যিকির-ফিকির, মুরাক্বাবা-মুশাহাদা করেন। স্বল্পকালের মধ্যে তিনি সমস্ত তরীক্বার ছবক সাফল্যের সঙ্গে সুসম্পন্ন করেন। সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, নিবরাসাতুল উমাম, হাবীবাতুল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান হলেন- সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরিদীন, উম্মু খলীফাতিল উমাম আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি।

মুজাদ্দিদে আ’যম, সুলত্বানু নাছীর, আল জব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মুল উমাম, উম্মুল মুরিদীন, উম্মু খলীফাতিল উমাম আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদেরই বেমেছাল মর্যাদা ও মাক্বাম সম্পন্না নেক আওলাদ হলেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, হাবীবাতুল্লাহ, হাবীবাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, নিবরাসাতুল উমাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতুল ‘আযীম শরীফ উনার লক্ষ্যে উনার জন্য যেই পাত্র দরকার, সেই পাত্র উনার কতটুকু শান-মান, মর্যাদা, বুযূর্গী, মাক্বামাত প্রয়োজন, তা আমাদের আক্বল-সমঝ, উপলব্ধি ও অনুভূতির সীমাহীন ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

আর সেই বুযূর্গ পাত্র তিনি হলেন- আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি। উনার মান-শান, সম্মান-ইযযত, ঐতিহ্য, বুযূর্গী, খুছুছিয়ত, মাক্বামাত উপলব্ধি ও বর্ণনার যোগ্যতা আমাদের নেই। অবশেষে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ উনার দিন মুবারক নির্ধারিত হন। ১৪৩৩ হিজরী শরীফ উনার ২২ শাওওয়াল শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন।  সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক নির্দেশে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সদয় উপস্থিতে এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতুল ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন জান্নাতে। ওই মুবারক অনুষ্ঠানের একই আদলে ঢাকা রাজারবাগ পাক দরবার শরীফস্থ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে অনুষ্ঠিত মাহফিলে মুবারক তাশরীফ আনেন সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং সকল আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। মুজাদ্দিদে আ’যম, সুলত্বানু নাছীর, আল জব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত খুতবা মুবারক পাঠ করেন এবং মক্ববুল মুনাজাত শরীফ করেন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠানের পর সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি “শাহদামাদ ছানী” লক্বব মুবারক-এ বিভূষিত হন। উনার ইলম, প্রজ্ঞা, তাক্বওয়া, তায়াল্লুক-নিসবত, মুহব্বত-মা’রিফাত উনাদের পরিধি বেমেছাল। মান-শান, বুযূর্গী, ইযযত, ঐতিহ্য ও মাক্বামের উচ্চতায় তিনি অতুলনীয়। প্রত্যয়ী ব্যক্তিত্ব, শৌর্য, বংশ কৌলীন্য, সূক্ষ্ম মনন, তীক্ষè মেধা, স্থিরতা, স্বল্পবাক, ধৈর্য, স্থৈর্য, আদব, শরাফত, আন্তরিকতা, অমায়িকতা, সাহসিকতা এবং যিকির-ফিকির ও ইবাদত-বন্দেগীর নিবিষ্টতায় তিনি অনন্য। সর্বোপরি তিনি ক্বায়িম মাক্বামে বানাতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু আবীহা, নিবরাসাতুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার যাওজুল মুহতারাম। এটি উনার সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম মাক্বামাত এবং উনার সীমাহীন মর্যাদার পরিচায়ক। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার অতুলনীয় শান-মান, মর্যাদা ও মাক্বামাত প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। আমাদের সে যোগ্যতাও নেই। মুবারক একখানা ঘটনা আলোচনা করলেই উনার শান-মান, বুযূর্গী ও মাক্বাম যে কতো উচ্চতায়, তা বুঝতে সহজ ও সম্ভব হবে। এ মুবারক ঘটনা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবাতুল ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠানের আনুমানিক ছয় মাস পূর্বের। মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুাবরক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যবান মুবারক-এ) আমরা শুনেছি। তিনি বলেন, “আমি স্বপ্নে দেখলাম- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অতি সুন্দর একটি আসন মুবারক-এ বসে রয়েছেন। উনার মুবারক পাশে ঘেরাও করা মনোরম জায়গায় কয়েকটি আসন মুবারক রয়েছেন। তিনি আমাকে এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে ডেকে নিয়ে ওই আসন মুবারকগুলোয় বসালেন এবং বললেন, ‘চিহ্নিত এ আসন মুবারকগুলো আপনাদের জন্যই নির্ধারিত। আপনারা আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত।’ আমাদের সঙ্গে সাইয়্যিদুনা হযরত শাফি‘উল উমাম আলাইহিস সালাম তিনিও ছিলেন। আমাদের অদূরে বসে ছিলেন হাদিউল উমাম হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত।’ আমাকে লক্ষ্য করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বললেন, ‘আপনি সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে আপনাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে নিন। আপনারা সকলেই আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ!

উপরোক্ত মুবারক ঘটনা অনুষ্ঠানের স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ভিন্ন এক মুবারক স্বপ্ন দেখেন সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। তিনি স্বপ্ন মুবারক-এ দেখেন, উত্তম পোশাকে পরিশোভিত হয়ে এবং একখানা কম্বল মুবারক গায়ে জড়িয়ে সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি রাজারবাগ পাক দরবার শরীফস্থ মুবারক হুজরা শরীফ উনার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। সুবহানাল্লাহ!

মুবারক দুটি স্বপ্ন বিবরণে বুঝতে কষ্ট হয় না যে, সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মক্ববুলিয়াতের সোপান কতো সীমাহীন উচ্চতায়! আরো বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা নয় যে, তিনিই মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং সাইয়্যিদাতুনা উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ উনাদের “দামাদ ছানী” হবেন। ওই দুটি স্বপ্ন মুবারকেই তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক চেহারায় মাদানী নূর। অনুপম ব্যক্তিত্বে, স্নিগ্ধ আচার-আচরণে, স্বল্পবাক ও গাম্ভীর্যপূর্ণ অমায়িকতায়, দায়িমভাবে সুন্নত পালনের অভ্যস্থতায় এবং অতুলনীয় চরিত্র মাধুর্যে তিনি সুমহান। মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সীমাহীন সম্মানের অধিকারী হয়েছেন সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!  (দৈনিক আল ইহসান শরীফ থেকে সংকলিত)

আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ اِمَامِ الْاَوَّلِ سَيِّدِنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اِنَّ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ وَبَيْتِ الرَّحْـمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.

অর্থ: “ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক উনার স্থান, বিভিন্ন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ لَّا يُقَاسُ بِنَا اَحَدٌ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। আমাদের সাথে অন্য কারো ক্বিয়াস বা তুলনা করা যাবে না।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (দায়লামী ৪/২৮৩, জামি‘উল আহাদীছ ২২/২১৯, কানযুল উম্মাল ১২/১০৪, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৪৯৫০, যাখাইরুল ‘উক্ববা ফী মানাক্বিবে যাওইল কুরবা লিমুহিব্বে ত্ববারী ১/১৭, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৭)

তাহলে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, হাদিউল উমাম সাইয়্যিদুনা হযরত শাহদামাদ ছানী আলাইহিস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

অসমাপ্ত- পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৮

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৯

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০