পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন, সময় ও মুহূর্তের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩তম পর্ব)

সংখ্যা: ২৬১তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৪তম ফতওয়া হিসেবে

“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো “উলামায়ে সূ”। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে মুসলমান উনাদের বিশেষ বিশেষ ফযীলতযুক্ত আমলের রাত ও দিনসমূহ পালন করাকে বিদয়াত, নাজায়িয ও শিরক বলে ফতওয়া দিয়ে মুসলমান উনাদেরকে অশেষ খায়ের, বরকত, নিয়ামত, নাজাত অর্থাৎ রেযামন্দি বা সন্তুষ্টি মুবারক থেকে মাহরূম করছে। যেমন তারা বলে থাকে যে, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত, শিরক। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা বিদয়াত। নাউযুবিল্লাহ! অনুরূপ আরো অনেক বিষয়কেই তারা বিনা দলীলে মনগড়াভাবে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

অপরদিকে বেদ্বীনী-বদদ্বীনী অর্থাৎ কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারাদের যত পর্ব বা দিবস রয়েছে সেগুলোকে শুধু জায়িযই নয় বরং নিয়ামত বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! যেমন বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক্ব প্রকৃতপক্ষে উবাই বলেছিল, “পহেলা বৈশাখ আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত।” নাঊযুবিল্লাহ!

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত শিরক এবং পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত।” নাউযুল্লিাহ! তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল বা জায়িয বিষয়কে হারাম বা নাজায়িয বলা এবং হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

استحلال الـمعصية كفر.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমান উনাদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ উলামায়ে “সূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে “পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা থেকে বিরত থাকবে এবং হারাম পহেলা বৈশাখ পালন করবে” তারা অশেষ খায়ের, বরকত ও নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হওয়ার কারণে কঠিন গুনাহগার অর্থাৎ জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ!

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ তারা তাদের ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি”  প্রকাশ করা হলো।

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ শরীফ ও পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়ের গুরুত্ব, ফযীলত ও আহকাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফাতাওয়া-

মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ফাযায়িল-ফযীলত

ও গুরুত্ব

আস-সানাতুল্ ক্বমারিয়্যাহ তথা হিজরী বছর উনার মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস একটি বিশেষ মর্যাদাময় মাস। যেমনটি মহান আল্লাহ তায়ালা রব্বুল আলামীন তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ তথা পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ عِدَّةَ الشُّهُوْرِ عِنْدَ اللهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِىْ كِتَابِ اللهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّموتِ وَالْاَرْضَ مِنْهَا اَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ذلِكَ الدِّيْنُ الْقَيّمُ فَلَا تَظْلِمُوْا فِيهِنَّ اَنْفُسَكُمْ وَقَاتِلُوا الْمُشْرِكِيْنَ كَافَّةً كَمَا يُقَاتِلُوْنَكُمْ كَافَّةً وَاعْلَمُوْا اَنَّ اللهَ مَعَ الْمُتَّقِيْنَ.

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট উনার বিধানে আসমানসমূহ ও যমীনসমূহ সৃষ্টির দিন হতেই গণনা হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি হারাম (যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ) মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এ মাসগুলোর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি যুলূম করো না। তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে জিহাদ করবে, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ করে থাকে। আর জেনে রাখুন! মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি মুত্তাক্বীন উনাদের সঙ্গে আছেন। (পবিত্র সূরাতুত তাওবা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ-৩৬)

 

মহাসম্মানিত পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার কতিপয় বরকতময় ঐতিহাসিক বিশেষ রাত ও দিন

(১৪)

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান ৪ঠা রবীউল আউওয়াল শরীফ

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ শান ৪ঠা রবীউল আউওয়াল শরীফ ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احبوا اهل بيتى لحبى.

 অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার পবিত্র মুহব্বত মুবারক ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।’ (আল মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকিম, পরিচ্ছেদ: ওয়া মিম মানাক্বিবি আহলি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ও আলিহী ওয়া সাল্লামা ৩য় খ- ১৬২ পৃষ্ঠা, হাদীছ শরীফ নম্বর: ৪৭১৬, প্রকাশনা: দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বাইরূত লেবানন। আস-সুনানুল ওয়ারিদাহ ফিল ফিতান ওয়া গওয়ায়িলিহা ওয়াস সাযাহ ওয়া আশরাতিহা, লেখক: হযরত আবূ আমর উছমান বিন সাঈদ মুকরী দানী, জন্ম: ৩৭১ হিজরী, ইন্তিকাল: ৪৪৪ হিজরী, পরিচ্ছেদ: ক্বওলুন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা লা তাযালু ত্বায়িফাতুম মিন উম্মাতী আলাল হাক্কি যাহিরীন আন্নাহা লা তাজতামিউ আলা দ্বলালাহ ওয়া আন্নাহু লা ইয়াযালু ফীহা মান ইযা সুয়িলা ওয়াফকুন ওয়া নাহনু যালিক, ৩য় খ- ৭৪৯ পৃষ্ঠা, প্রকাশনা: দারুল আছিমাহ, রিয়াদ)

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ শান ৪ঠা রবীউল আউওয়াল শরীফ ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা জীবনী মুবারক জানা, উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা।

আর প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস উপলক্ষে মাহফিলের আঞ্জাম দেয়ার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বি-রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লখতে জিগার, মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হযরত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ছালিছ’ তথা ‘তৃতীয়।’ সুবহানাল্লাহ!

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত রিসালত মুবারক প্রকাশের ৮ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ৪ তারিখ মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করে সমস্ত জিন-ইনসান ও তামাম কায়িনাতবাসীকে অফুরন্ত রহমত-বরকত, সাকীনা ও নিয়ামত মুবারক দানে ধন্য করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৩২ বছর এবং উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন প্রায় ৪৭ বছর। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত আবনা’, সম্মানিত লখতে জিগার সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পরপরই উনার সম্মানিত নাম মুবারক রাখেন সাইয়্যিদুনা হযরত ‘ত্বাহির’ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত লখতে জিগার মুবারক, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, মালিকুল জান্নাহ, হাবীবুল্লাহ, ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৭ম দিনে দুটি দুম্বা বা খাসি মুবারক দ্বারা সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেন। তারপর শত শত উট ও অন্যান্য পশু যবাই করে বিশেষ মেহমা¬নদারীর ব্যবস্থা করেন। সুবহানাল্লাহ!

ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস তিনি দুনিয়ার যমীনে মাত্র ৮ দিন অবস্থান মুবারক করেন। ফলে তিনি কোনো সম্মানিতা দুধমা উনার হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক রাখেননি। তিনি এই ৮ দিনই উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের সম্মানিত কোল মুবারক-এ বেমেছাল আদর-যতœ, স্নেহ-মমতা, মায়া-মুহব্বত মুবারক-এ লালিত-পালিত হন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত রিসালত মুবারক প্রকাশ পাওয়ার ৮ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ তারিখ অর্থাৎ পবিত্র মহাসম্মানিত ১২ই শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত লখতে জিগার ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত গোসল মুবারক করান এবং সম্মানিত কাফন মুবারক পরান। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দিক-নির্দেশনা মুবারক অনুযায়ী ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক খনন করা হয়। অতঃপর স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজ হাত মুবারক-এ উনার মহাসম্মানিত লখতে জিগার মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত রওযা শরীফ মুবারক-এ রাখেন। সুবহানাল্লাহ! তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনাদের দু’চোখ মুবারক বেয়ে অবিরত ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত হতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!

মূলকথা হলো- সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ শান ৪ঠা রবীউল আউওয়াল শরীফ; যা ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আন নূরুছ ছালিছ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা জীবনী মুবারক জানা, উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা। আর প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা এবং উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস উপলক্ষে মাহফিলের আঞ্জাম দেয়ার পাশাপাশি বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

(১৫)

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান ৫ই রবীউল আউওয়াল শরীফ

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ শান ৫ই রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم احبوا اهل بيتى لحبى.

অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমার সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত করো আমার পবিত্র মুহব্বত মুবারক ও সন্তুষ্টি মুবারক লাভের জন্য।’ (আল মুস্তাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকিম, পরিচ্ছেদ: ওয়া মিম মানাক্বিবি আহলি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা ও আলিহী ওয়া সাল্লামা ৩য় খ- ১৬২ পৃষ্ঠা, হাদীছ শরীফ নম্বর: ৪৭১৬, প্রকাশনা: দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বাইরূত লেবানন। আস-সুনানুল ওয়ারিদাহ ফিল ফিতান ওয়া গওয়ায়িলিহা ওয়াস সাযাহ ওয়া আশরাতিহা, লেখক: হযরত আবূ আমর উছমান বিন সাঈদ মুকরী দানী, জন্ম: ৩৭১ হিজরী, ইন্তিকাল: ৪৪৪ হিজরী, পরিচ্ছেদ: ক্বওলুন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা লা তাযালু ত্বায়িফাতুম মিন উম্মাতী আলাল হাক্কি যাহিরীন আন্নাহা লা তাজতামিউ আলা দ্বলালাহ ওয়া আন্নাহু লা ইয়াযালু ফীহা মান ইযা সুয়িলা ওয়াফকুন ওয়া নাহনু যালিক, ৩য় খণ্ড ৭৪৯ পৃষ্ঠা, প্রকাশনা: দারুল আছিমাহ, রিয়াদ)

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ শান ৫ই রবীউল আউওয়াল শরীফ সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। সুবহানাল্লাহ!

তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা জীবনী মুবারক জানা, উনাকে মুহব্বত মুবারক করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা ও অনুসরণ করা। আর প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস উপলক্ষে মাহফিলের আনজাম দেয়া ও বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মাজান উনার নসবনামা মুবারক হচ্ছেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিনতে সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব আলাইহিস সালাম ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম ইবনে যুহরা আলাইহিস সালাম ইবনে হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম। অর্থাৎ সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নসবনামা মুবারক হযরত কিলাব আলাইহিস সালাম উনাতে গিয়ে একত্রিত হয়েছেন। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা মাতা ছিলেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাররাহ বিনতে আব্দিল উযযা আলাইহাস সালাম।

সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব আলাইহিস সালাম উনার কোনো সন্তান ছিলেন না। এহেন পরিস্থিতিতে তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরয করলেন, “আয় বারে ইলাহী! আমাদেরকে একজন সন্তান হাদিয়া মুবারক করুন। সম্মানিত সন্তান প্রাপ্তির শুকরিয়াস্বরূপ আমি পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ উনার তাওয়াফ মুবারক করবো।” সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার এই পবিত্র দোয়া মুবারক তৎক্ষণাৎ কবুল করে নেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যে সাইয়্যিদাতুনা হযরত বাররাহ আলাইহাস সালাম উনার হামেলা শান মুবারক জাহির হন। নির্ধারিত সময়ে একজন মহাসম্মানিত বরকতময়  সন্তান বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তিনিই হচ্ছেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুনিয়ার যমীনে ২৪ বা ২৫ বছর অবস্থান মুবারক করেন। তবে এ সময়টাকে আরো পরিষ্কার করা যায় এভাবে যে, সৌর বছর অনুযায়ী ২৪ বছর আর চন্দ্র বছর অনুযায়ী প্রায় ২৫ বছর। এ হিসাব অনুযায়ী, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঈসায়ী ৫৫২ সন মুতাবিক শামসীপূর্ব ৮১ এবং হিজরীপূর্ব ৭১ সনের ৫ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার ফজর ওয়াক্তে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার পবিত্র নাযযার গোত্রের পবিত্র বনী যুহরায় পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক জাহির করেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত পিতা আলাইহিস সালাম উনাকে যেরূপ পূর্বেই মনোনীত করে রেখেছেন, তদ্রƒপ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও মনোনীত করেই দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সঙ্গতকারণেই উনাদের নিসবাতুল আযীম মুবারক ছিলো মহান বারী তা‘য়ালা উনার তরফ থেকে পূর্ব নির্ধারিত। তাই তো অন্যান্য মহিলাদের প্রস্তাবনা বাতিল করে উনাদের নিসবাতুল আযীম মুবারক সম্পন্ন হয়। এই মুবারক নিসবাতুল আযীম শরীফে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নগদ এক আউকিয়া স্বর্ণ ও এক আউকিয়া রৌপ্য মুবারক মোহর হিসেবে হাদিয়া করা হয়েছিলো। সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ উনার ওলীমায় একশতটি উট, একশত গরু, একশত বকরী অনুরূপভাবে খাশি, মেষ, ভেড়া, দুম্বা, ছাগল যবাই করা হয়েছিলো এবং প্রচুর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ!

যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইচ্ছা মুবারক করলেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার বরকতময় খিদমত মুবারকে তাশরীফ মুবারক নেন, সে সময়টি ছিলো পবিত্র রজবুল আছাম মাস উনার ১ম লাইলাতুল জুমু‘য়াহ বা পবিত্র জুমু‘য়াবার উনার রাত, সেই বছর পবিত্র রজবুল আছাম মাস উনার ১ম জুমু‘য়াবার ছিলো ১লা তারিখ। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ হযরত ওয়ালিদাইনিশ শারীফাইনে রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র নিসবাতুল আযীম মুবারক পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা তারিখে রাত্রি বেলায় সংঘটিত হয়। উনাদের পবিত্র উরুস মুবারক পবিত্র রজবুল আছম শরীফ উনার পহেলা তারিখ জুমু’য়াহ রাতে সংঘটিত হয়। এই মহাসম্মানিত রাত্রি মুবারক পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ নামে অত্যধিক মশহুর।

তারজীহ্ তথা প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতে, যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে অবস্থানকাল মুবারক চন্দ্র মাসসমূহের প্রায় নয় (৯) মাস পূর্ণ হলো, তখনই উনার আনন্দের ফোয়ারা নিয়ে দুনিয়াতে তাশরীফ নেয়ার সময় নিকটবর্তী হলো আর উনার বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের রাত্রি মুবারকে উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে পবিত্র জান্নাত হতে হযরত উম্মুল বাশার আলাইহাস সালাম, উম্মু যাবীহিল্লাহিল ঊলা আলাইহাস সালাম, উম্মু যাবীহিল্লাহিছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম, রব্বাতু কালীমিল্লাহ আলাইহাস সালাম ও উম্মু রূহিল্লাহ আলাইহাস সালাম উনারা জান্নাতী হুরগণসহ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইস্তিকবাল জানাতে আগমন করেন। এবং খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে পূর্ববর্তী আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিতা মাতা, আহলিয়া, অভিভাবিকা উনাদেরকে প্রেরণ করে মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল বুযুর্গী মুবারকই প্রকাশ করেছেন। একথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেরূপ ‘সাইয়্যিদুল মুরসালীন’, তদ্রƒপ উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম তিনি ‘সাইয়্যিদাতুল উম্মাহাত’। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা প্রচলিত কিতাবাদিতে পাওয়া যায় না। তবে মশহুর ও গ্রহণযোগ্য মতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদুশ শুহূর পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১০ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) সকাল ৯টা-১০টার দিকে অর্থাৎ ইশরাক ওয়াক্ত শেষ এবং চাশত বা দ্বোহা ওয়াক্ত শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! প্রাধান্যপ্রাপ্ত ও মশহূর মতে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র রওযা শরীফ আবওয়া নামক স্থানেই স্থাপিত রয়েছে। সুবহানাল্লাহ!

মূলকথা হলো- সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ শান ৫ই রবীউল আউওয়াল শরীফ উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। তাই প্রত্যেক মুসলমান উনাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা জীবনী মুবারক জানা, উনাকে মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম করা ও অনুসরণ করা। আর প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিম সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- উনার সম্মানিত জীবনী মুবারক প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা। পাশাপাশি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস উপলক্ষে মাহফিলের আনজাম দেয়া ও বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।

(১৬)

সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র আযীমুশ্ শান ৭ই রবীউল আউওয়াল শরীফ

সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ৭ই রবীউল আউওয়াল শরীফ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করা সুমহান দিবস। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

عن حضرت اياس بن سلمة بن الاكوع رحمة الله عليه عن ابيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: النجوم امان لاهل السماء واهل بيتى امان لاهل الارض.

অর্থ: হযরত ইয়াস ইবনে সালামাহ বিন আকওয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পিতা (হযরত সালামাহ বিন আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেছেন) তিনি (হযরত সালামাহ ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তারকাসমূহ আকাশের নিরাপত্তাদানকারী, আর নিশ্চয়ই আমার হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনারা আসমান ও যমীনবাসীদের জন্য নিরাপত্তা দানকারী।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদুর রূইয়ানী, লেখক: হযরত আবূ বকর মুহম্মদ বিন হারূন রূইয়ানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, ইন্তিকাল: ৩০৭ হিজরী, ১ম খ- ৩৬২ পৃষ্ঠা, হাদীছ শরীফ নম্বর: ১১৭৭ প্রকাশনা: মুয়াসসাহ কুরতুবাহ কায়রো, মিশর)

সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ৭ই রবীউল আউওয়াল শরীফ আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পুরুষ হোন অথবা মহিলা হোন উনারা যমীনবাসীদের জন্য খাছ ‘ফযল ও রহমত’ স্বরূপ। তাই উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ বা আগমন দিনটিও যমীনবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ! যা সকলের জন্যই রহমত, বরকত, নিয়ামত, সাকীনা ও নাজাত লাভের কারণ।

অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করা, উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।

মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মনোনীত ও মাহবুব বান্দা-বান্দী উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক ও পবিত্র বিছালী শান মুবাারক উনাদের মাধ্যমে অনেক মাস, তারিখ ও বারকে মহাসম্মানিত করেন। সুমহান পবিত্র ৭ই রবীউল আউওয়াল শরীফ হচ্ছেন তেমনি একটি মহাসম্মানিত সুমহান দিন। ওলীয়ে মাদারযাদ, নারীকুলের মুক্তির দিশারী, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন, ত্বাহিরা, ত্বইয়িবা, আওলাদে রসূল রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সুমহান পবিত্র ৭ই রবীউল আউওয়াল শরীফ।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে ‘ফযল’ ও ‘রহমত’ মুবারক অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করার কারণে খুশি প্রকাশ করো।” সুবহানাল্লাহ!

এ পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা ছাবিত হয় যে- নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বান্দা-বান্দী ও উম্মত তথা কুল-কায়িনাতের জন্য যেরূপ রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত লাভের কারণ; তদ্রূপ উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পর উনার খাছ আওলাদ ও প্রতিনিধি বা নায়িব অর্থাৎ হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা পুরুষ হোন অথবা মহিলা হোন উনারাও কুল-কায়িনাতের জন্য রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত লাভের কারণ। সুবহানাল্লাহ!

হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম ও ওলীআল্লাহ উনারা হোন পুরুষ অথবা হোন মহিলা উনাদের যমীনে আগমন ও অবস্থান আমভাবেই যমীনবাসীর জন্য ফযল ও রহমত স্বরূপই, তবে উনাদের এমন কতক বিশেষ মুহূর্ত বা সময় রয়েছে, যে সময়ে উনাদের মুবারক ছোহবত ও মুবারক খিদমতকারীগণ আরো বেশি পরিমাণে ফযল ও রহমত লাভ করে থাকেন। ফলে তাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নৈকট্য মুবারক লাভ নিশ্চিত হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম এবং ওলীআল্লাহগণ উনাদের সেই বিশেষ মুহূর্তগুলির মধ্যে একটি হলো উনাদের পবিত্র বিলাদতী শাান মুবাারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!

তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবাারক প্রকাশ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা। মহিলারা কিভাবে নিজেদের জীবন অতিবাহিত করবে, তারা কোন্ বিষয়ে কিভাবে ইলম অর্জন করবে, কি আমল করবে, কেমন পর্দা করে চলবে, কি ধরনের পোশাক পরিধান করবে, তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য কি ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ের আদর্শ রেখে গেছেন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ও হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না ও হযরত মহিলা আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিন্নাগণ উনারা। সুবহানাল্লাহ!

তাই প্রত্যেক মুসলমান মহিলার জন্য ফরয হচ্ছে- প্রতি ক্ষেত্রে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে, হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদেরকে এবং হযরত মহিলা আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিন্না উনাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। অনুরূপভাবে বর্তমানে যিনি বা যে মহিলা ওলীআল্লাহ উনাদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করেন উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা। কেননা উনারা হচ্ছেন মহিলাদের মধ্যে নায়িবে রসূল এবং উলিল আমর। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে ঈমানদার (পুরুষ-মহিলা)! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং হযরত উলিল আমরগণ উনাদেরকে অনুসরণ করো।”

উনাদেরকে অনুসরণ না করে যারা কোনো মুসলমান ফাসিক, ফুজ্জার, বেপর্দা-বেহায়া, বেশরা মহিলা এবং কাফির, মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীন মহিলাদেরকে অনুসরণ করবে তারা বিভ্রান্ত গুমরাহ ও জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ! কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে যাকে মুহব্বত ও অনুসরণ করবে তার সাথেই তার হাশর-নশর হবে।” অর্থাৎ সে তাদেরই দলভুক্ত বলে গণ্য হবে। নাঊযুবিল্লাহ!

মূলকথা হলো: সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ৭ই রবীউল আউওয়াল শরীফ-আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস। হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা পুরুষ হোন অথবা মহিলা হোন উনারা যমীনবাসীদের জন্য খাছ ‘ফযল ও রহমত’ স্বরূপ। তাই উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ বা আগমন দিনটিও যমীনবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ! যা সকলের জন্যই রহমত, বরকত, নিয়ামত, সাকীনা ও নাজাত লাভের কারণ।

অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনার মুবারক ছোহবত ইখতিয়ার করা, উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৮

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৯

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০