পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২২

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২২


[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা) ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-চলমান), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করার পর-

 ৩২তম ফতওয়া হিসেবে

 “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”-

পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয

 পূর্ব প্রকাশিতের পর

পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ উনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম

 পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দলীল-আদিল্লাহ মোতাবেক সম্মানিত ইসলামী শরীয়াত উনার যাবতীয় হুকুম-আহকাম মেনে চলার জন্য কারো অনুসরণ করাকে ‘আত-তাকলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ বলে। উনাকে ‘তাকলীদুল ইসলাম’, ‘তাকলীদুদ্ দীন’ ও ‘তাকলীদুদ্ দালায়িলিল আরবায়াহ’ অর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চারখানা দলীল উনাদের অনুসরণও বলা হয়ে থাকে।

নিম্নে পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ উনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উল্লেখ করে উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম বা বিধি-বিধান আলোচনা করা হলো-

পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ১৬

وَاذَا جَاءَهُمْ امْرٌ مِنَ الْامْنِ اوِ الْخَوْفِ اذَاعُوا بِه وَلَوْ رَدُّوهُ الَى الرَّسُولِ وَالى اولِي الْامْرِ مِنْهُمْ لَعَلِمَهُ الَّذِينَ يَسْتَنْبِطُونَه مِنْهُمْ وَلَو ْلَا فَضْلُ اللهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُه لَاتَّبَعْتُمُ الشَّيْطَانَ الَّا قَلِيلًا. (سورة النساء شريف 83  الاية)

অর্থ: আর যখন তাদের নিকট শান্তি কিংবা আতংকের কোন সংবাদ উপস্থিত হয়, তখন তারা তা প্রচার করে থাকে। কিন্তু যদি তারা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে এবং তাদের মধ্যে উলুল্ আমর (ইমাম-মুজতাহিদ) উনাদের কাছে উক্ত বিষয়টি উপস্থিত করতো, তবে অবশ্য উনাদের মধ্যে যাঁরা ইজতিহাদ (ক্বিয়াছ) দ্বারা উহা উৎঘাটন করতে সক্ষম উনারা তা অবগত হতে পারতেন। মূলত: যদি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার ফযল (অনুগ্রহ) ও রহমত (দয়া-করুনা) তোমাদের উপর বিদ্যমান না থাকতো, তবে তোমাদের মধ্যে অল্প কতিপয় লোক ব্যতীত সবাই শয়তানের অনুসরণ করতে শুরু করতো। (পবিত্র সূরাতুন নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৩)

অত্র পবিত্র আয়াত উনার বিশুদ্ধ তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ

(৪৪৯)

وفى الاية دليل على جواز القياس وان من العلم ما يدرك بالنص وهو الكتاب والسنة ومنه ما يدرك بالاستنباط وهو القياس عليهما. (لباب التأويل في معاني التنزيل اى تفسير الخازن سورة النساء شريف 83 الاية الكريمة المؤلف: علاء الدين علي بن محمد بن إبراهيم البغدادي الشهير بالخازن رحمة الله عليه الوفاة سنة 741 هجري)

অর্থ: অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনাতে ক্বিয়াস জায়িয হওয়া সপ্রমাণ হয়। আর কতক ইলম স্পষ্ট দলীল অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা অবগত হওয়া যায়, আর কতক ইলম ইস্তিম্বাত কর্তৃক অবগত হওয়া যায়। উক্ত পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের প্রতি ক্বিয়াস করাকে ইস্তিম্বাত বলা হয়। (লুবাবুত্ তা’বীল ফী মায়ানিত্ তানযীল অর্থাৎ তাফসীরুল্ খাযিন পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত আলাউদ্দীন আলী বিন মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম বাগদাদী খাযিন রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৭৪১ হিজরী)

(৪৫০)

قالت العلماء في الاية دلالة على ان القياس حجة لانهم امروا ان يرجعوا في معرفة الوقائع الى اولى الامر من المستنبطين فرواية النص لاتكون استنباطا فهو اذن رد واقعة الى نظيرها وهو القياس.

(غرائب القران اى تفسير النيسابوري سورة النساء شريف ৮৩ الاية الكريمة المؤلف: حضرت العلامة محمود بن ابي الحسن بن الحسين النيسابوري رحمة الله عليه تاريخ الوفاة ৫৫০ هجري)

অর্থ: উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেছেন, অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা প্রমাণীত হয় যে, ক্বিয়াস একটি দলীল। কেননা, উনারা ঘটনাবলীর তত্ত্বজ্ঞান সম্বন্ধে ইজতিহাদ কর্তৃক আহকাম আবিষ্কারক উলিল আমর উনাদের দিকে রুজূ’ করতে আদিষ্ট হয়েছেন। এক্ষেত্রে স্পষ্ট দলীল উল্লেখ করা ইস্তিম্বাত হতে পারে না। অতএব একটি ঘটনাকে তার নযীরের উপরে পেশ করাকেই ইস্তিম্বাত বলা হয়, ইহাই ক্বিয়াস। (গারায়িবুল্ কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুন্ নীসাবূরী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত আল্লামা মাহমূদ বিন আবুল হাসান বিন হুসাঈন নীসাবূরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৫৫০ হিজরী)

(৪৫১)

والاستنباط في اللغة الاستخراج، وهو يدل على الاجتهاد اذا عدم النص والاجماع. (الجامع لأحكام القرآن للقرطبى سورة النساء شريف ৮৩ الاية الكريمة الـمؤلف : حضرت ابو عبد الله محمد بن أحمد بن أبى بكر بن فرح الأنصارى الخزرجى شمس الدين القرطبى رحمة الله عليه الـمتوفى سنة ৬৭১ هجرى)

অর্থ: আভিধানিক দৃষ্টিতে ইস্তিম্বাত অর্থ বের করা বা উদ্ঘাটন করা। প্রকাশ্য নছ (তথা পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ) ও ইজমাউল উম্মাহ নয় এমন বিষয়ে ইজতিহাদ করাই ইস্তিম্বাত। (আল্ জামিউ লিআহকামিল কুরআন লিল্ কুরতুবী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত আবূ আব্দিল্লাহ মুহাম্মাদ বিন আহমাদ বিন আবূ বকর বিন ফারাহ আনছারী খাযরাযী শামসুদ্দীন কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৬৭১ হিজরী)

(৪৫২)

(اولى الامر) قولان: احدهما: الى ذوي العلم والرأى منهم، والثاني: الى امراء السرايا، هؤلاء رجحوا هذا القول على الاول. (مفاتيح الغيب اى التفسير الكبير اى تفسير الرازى سورة النساء شريف ৮৩ الاية الكريمة المؤلف: الإمام حضرت محمد بن عمر المعروف بفخر الدين الرازى الشافعي الاشعري رحمة الله عليه المتوفى سنة   ৬০৬ هجري)

অর্থ: উলিল্ আমর উনার ব্যাপারে দু’টি মত আছে। একটি হলো: উলামায়ে কিরাম ও ফুক্বাহা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম। দ্বিতীয়টি হলো: জিহাদের সেনাপতি। তবে এখানে প্রথম মতটির উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। (মাফাতীহুল্ গইব অর্থাৎ আত্ তাফসীরুল্ কবীর অর্থাৎ তাফসীরুর রাযী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: ইমাম হযরত মুহাম্মাদ বিন উমর ফখরুদ্দীন রাযী শাফিয়ী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৬০৬ হিজরী)

(৪৫৩)

دلت هذه الاية على ان القياس حجة في الشرع.

(مفاتيح الغيب اى التفسير الكبير اى تفسير الرازي سورة النساء شريف ৮৩ الاية الكريمة المؤلف: الإمام حضرت محمد بن عمر المعروف بفخر الدين الرازى الشافعي الاشعري رحمة الله عليه المتوفى سنة   ৬০৬ هجري)

অর্থ: অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ প্রমাণ করে যে, নিশ্চয়ই ক্বিয়াস সম্মানিত শরীয়াত উনার দলীল। (মাফাতীহুল্ গইব অর্থাৎ আত্ তাফসীরুল্ কবীর অর্থাৎ তাফসীরুর রাযী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: ইমাম হযরত মুহাম্মাদ বিন উমর ফখরুদ্দীন রাযী শাফিয়ী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৬০৬ হিজরী)

(৪৫৪)

الاية دالة على امور: احدها: ان في احكام الحوادث ما لايعرف بالنص بل بالاستنباط. وثانيها: ان الاستنباط حجة. وثالثها: ان العامي يجب عليه تقليد العلماء في احكام الحوادث. (مفاتيح الغيب اى التفسير الكبير اى تفسير الرازي سورة النساء شريف ৮৩ الاية الكريمة المؤلف: الإمام حضرت محمد بن عمر المعروف بفخر الدين الرازى الشافعي الاشعري رحمة الله عليه المتوفى سنة ৬০৬ هجري)

অর্থ: উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইস্তিম্বাত শব্দ কয়েকটি বিষয় বুঝায়। (১) অনেকগুলি শরীয়াতের বিষয়- নাছ (পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ) দ্বারা সরাসরি জ্ঞাত হওয়া যায় না, বরং ইজতিহাদ বা গবেষণার দ্বারা জানা যায়। (২) ইজতিহাদ বা গবেষণা বাস্তবিক পবিত্র শরীয়াত উনার দলীল। (৩) সাধারণদের জন্য শরীয়াতের নতুন বিষয়সমূহে আলিমগণকে অনুসরণ করা ওয়াজিব। (মাফাতীহুল্ গইব অর্থাৎ আত্ তাফসীরুল্ কবীর অর্থাৎ তাফসীরুর রাযী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: ইমাম হযরত মুহাম্মাদ বিন উমর ফখরুদ্দীন রাযী শাফিয়ী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৬০৬ হিজরী)

(৪৫৫)

فثبت ان الاستنباط حجة والقياس اما استنباط او داخل فيه، فوجب ان يكون حجة اذا ثبت هذا فنقول الاية دالة على امور احدها ان في احكام الحوادث ما لايعرف بالنص بل بالاستنباط وثانيها ان الاستنباط حجة، وثالثها ان العامي يجب عليه تقليد العلماء في احكام الحوادث. (احكام القرآن للجصاص سورة النساء شريف ৮৩ الاية الكريمة باب في طاعة أولى الأمر الجلد الثالث الصفحة ১৭৭ المؤلف: حضرت احمد بن علي المكني بأبي بكر الرازي الجصاص الحنفي رحمة الله عليه الولادة: ৩০৫ هجري الوفاة: ৩৭০ هجري)

অর্থ: সুতরাং প্রমাণিত হলো যে, ইস্তিম্বাত ও ইজতিহাদ সম্মানিত শরীয়াত স্বীকৃত একটি হুজ্জাত বা দলীল। আর ক্বিয়াসের প্রক্রিয়াটি ইজতিহাদের সমার্থক কিংবা অন্তর্ভুক্ত বিধায় সেটাও শরীয়াত স্বীকৃত হুজ্জাত বা দলীল। মোটকথা, এ পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে তিনটি বিষয় স্থীর হলো- প্রথমত: পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের প্রত্যক্ষ নির্দেশের অবর্তমানে ইজতিহাদের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দ্বিতীয়ত: ইজতিহাদ ও ইস্তিম্বাত সম্মানিত শরীয়াত স্বীকৃত হুজ্জাত বা দলীল। তৃতীয়ত: উদ্ভুত সমস্যা ও মাসায়িলের ক্ষেত্রে আম লোকের পক্ষে আলিমগণের তাকলীদ করা ওয়াজিব। (আহকামুল কুরআন লিল্ জাছছাছ সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ পরিচ্ছেদ: ফী ত্বায়াতি উলিল আমর ৩য় খন্ড ১৭৭ পৃষ্ঠা লেখক: হযরত আহমাদ বিন আলী মাক্কী আবূ বকর রাযী জাছছাছ হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি জন্ম: ৩০৫ হিজরী, ওয়াফাত: ৩৭০ হিজরী)

(৪৫৬)

عن قتادة رحمة الله عليه: “ولو ردوه إلى الرسول وإلى أولي الأمر منهم” يقول: إلى علمائهم (لعلمه الذين يستنبطونه منهم) لعلمه الذين يفحصون عنه ويهمّهم ذلك.

عن ابن جريج رحمة الله عليه: “ولو ردوه إلى الرسول” حتى يكون هو الذي يخبرهم “وإلى أولي الأمر منهم” الفقه في الدين والعقل.

عن ابي العالية رحمة الله عليه: “ولو ردوه إلى الرسول والى اولي الامر منهم” العلم “الذين يستنبطونه منهم” يتتبعونه ويتحسسونه. (جامع البيان في تأويل القرآن اى تفسير الطبرى سورة النساء شريف ৮৩ الاية شريف المؤلف: الامام محمد بن جرير بن يزيد بن كثير بن غالب الآملي ابو جعفر الطبري رحمة الله عليه المتوفى ۳۱۰ هجري)

অর্থ: হযরত ক্বতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি (কিন্তু যদি তারা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে এবং তাদের মধ্যে উলুল্ আমর উনাদের কাছে উক্ত বিষয়টি উপস্থিত করতো,) উনার ব্যখ্যায় বলেন: উনাদের মধ্যে হযরত উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নিকট উপস্থিত করতো (তবে অবশ্য উনাদের মধ্যে যাঁরা ইজতিহাদ দ্বারা উহা উৎঘাটন করতে সক্ষম উনারা তা অবগত হতে পারতেন) উনারা তা জানতেন ও তা থেকে মাসয়ালা বের করতে পারতেন।

হযরত ইবনু জুরাইজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি (যদি তারা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে উপস্থিত করতো) উনার ব্যাখ্যায় বলেন: তাহলে তিনি তাদেরকে উহা অবগত করতেন। (এবং তাদের মধ্যে উলুল্ আমর উনাদের কাছে উক্ত বিষয়টি উপস্থিত করতো) উলিল্ আমর হলেন: দ্বীনী ফিক্হ উনার অধিকারী ও আক্বল সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব উনারা।

হযরত আবুল্ আলিয়া রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি (যদি তারা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে এবং তাদের মধ্যে উলুল্ আমর উনাদের কাছে উক্ত বিষয়টি উপস্থিত করতো) উনার ব্যাখ্যায় বলেন: উলিল্ আমর হলেন হক্কানী আলিম উনারা। (তবে অবশ্য উনাদের মধ্যে যাঁরা ইজতিহাদ দ্বারা উহা উৎঘাটত করতে সক্ষম উনারা তা অবগত হতে পারতেন) উনারা ইজতিহাদ তথা ক্বিয়াস করে সেখান থেকে মাসয়ালা উদ্ঘাটন করতেন। (জামিউল্ বায়ান ফী তা’বীলিল্ কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুত্ ত্ববারী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: ইমাম হযরত মুহাম্মাদ বিন জারীর বিন ইয়াযীদ বিন কাছীর বিন গালিব আমালী আবূ জা’ফর ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৩০৩ হিজরী)

(৪৫৭)

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما: {وَإِلَى أُولِي الأَمْرِ مِنْهُمْ} أُولِي الْفِقْهِ فِي الدِّينِ وَالْعَقْلِ.

عَنْ قتادة رحمة الله عليه: {وَلَوْ رَدُّوهُ إِلَى الرَّسُولِ وَإِلى أُولِي الأَمْرِ مِنْهُمْ} يَقُول: إِلى علمائهم.

(تفسير القران لابن الـمنذر سورة النساء شريف ৮৩ الاية شريف المؤلف: ابو بكر محمد بن ابراهيم بن الـمنذر النيسابورى رحمة الله عيه الـمتوفى ۳۱۹ هجرى)

অর্থ: হযরত ইবনু আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা (উলিল্ আমর) উনার ব্যাখ্যায় বলেন: দ্বীনী ফক্বীহ ও আক্বল সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব উনারা।

হযরত ক্বতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনি (যদি তারা হযরত রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে এবং তাদের মধ্যে উলুল্ আমর উনাদের কাছে উক্ত বিষয়টি উপস্থিত করতো) উনার ব্যাখ্যায় বলেন: উনারা হলেন হযরত উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা। (তাফসীরুল্ কুরআন লিইবনিল্ মুনযির পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত আবূ বকর মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম বিন মুনযির নীসাবূরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৩১৯ হিজরী)

(৪৫৮)

{والى اولى الامر منهم} وفيهم اربعة اقوال.

احدها: انهم مثل ابي بكر وعمر وعثمان وعلي عليهم السلام، قاله ابن عباس رضى الله عنهما.

والثاني: انهم ابو بكر وعمر عليهما السلام، قاله عكرمة رحمة الله عليه.

والثالث: العلماء، قاله الحسن وقتادة وابن جريج رحمة الله عليهم.

والرابع: امراء السرايا، قاله ابن زيد ومقاتل رحمة الله عليهما. (زاد المسير في علم التفسير اى تفسير الجوزي سورة النساء شريف ৮৩ الاية شريف المؤلف: جمال الدين عبد الرحمن بن علي بن محمد الجوزي الحنبلي رحمة الله عليه المتوفى ۵۹۷ هجري)

অর্থ: উলিল্ আমর উনার ব্যাপারে চারটি মতামত রয়েছে। এক: উনারা হলেন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম, হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম, হযরত উছমান গনী আলাইহিস সালাম ও হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস্ সালাম। যা বর্ণনা করেছেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা।

দুই: উনারা হলেন হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম ও হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম। যা বর্ণনা করেছেন হযরত ইকরামাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি।

তিন: উনারা হলেন হযরত উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম। যা বর্ণনা করেছেন হযরত হাসান বছরী, ক্বতাদাহ ও ইবনু জুরাইজ রহমাতুল্লাহি আলাইহিম।

চার: উনারা হলেন জিহাদের সেনাপতি। যা বর্ণনা করেছেন হযরত ইবনু যায়েদ ও মুক্বাতিল রহমাতুল্লাহি আলাইহিমা। (যাদুল্ মাসীর ফী ইলমিত্ তাফসীর অর্থাৎ তাফসীরুল্ জাওযী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত জামালুদ্দীন আব্দুর রহমান বিন আলী বিন মুহাম্মাদ জাওযী হাম্বালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৫৯৭ হিজরী)

(৪৫৯)

واولِي الامْر وهم الامَرَاءُ والعُلَمَاءُ. (الجواهر الحسان في تفسير القران اى تفسير الثعالبي سورة النساء شريف ۷۳ الاية شريف المؤلف: ابو زيد عبد الرحمن بن محمد بن مخلوف الثعالبي رحمة الله عليه المتوفى ۸۷۵ هجري)

অর্থ: উলিল্ আমর হচ্ছেন- উমারা ও উলামায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম। (আল জাওয়াহিরুল্ হিসান ফী তাফসীরিল্ কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুছ্ ছায়ালাবী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ লেখক: হযরত আবূ যায়েদ আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মাদ বিন মাখলূফ ছায়ালাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৮৭৫ হিজরী)

(৪৬০)

{والى اوْلِي الامر مِنْهُمْ} الى ذوي العقل واللب منهم من المؤمنين يعني ابا بكر واصحابه. (تنوير المقباس من تفسير ابن عباس رضى الله عنهما المتوفى ۶۸ هجري سورة النساء شريف ۷۳ الاية شريف جمعه: محمد بن يعقوب الفيروز آبادى رحمة الله عليه المتوفى ۸۱۷ هجري)

অর্থ: উলিল আমর হলেন- মু’মিনদের মধ্যে বিচক্ষণ উলামায়ে কিরাম ও ফক্বীহগণ। অর্থাৎ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম এবং উনার সঙ্গি-সাথী অন্যান্য হযরত ছাহাবা কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম। (তানবীরুল্ মাকবাস মিন তাফসীরি ইবনিল্ আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা ওয়াফাত মুবারক: ৬৮ হিজরী পবিত্র সূরাতুন্ নিসা শরীফ ৮৩ নং আয়াত শরীফ সংকলক: হযরত মুহাম্মাদ বিন ইয়া’কূব ফীরোযাবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৮১৭ হিজরী)

অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ পবিত্র শরীয়াত উনার অকাট্য দলীল। পবিত্র কুরআন মাজীদ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মতোই পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ সম্মাতি দ্বীন ইসলাম উনার অকাট্য দলীল উনার অন্তর্ভুক্ত। তাই পবিত্র ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাকে মান্য করা ফরয, আর অমান্য করা হারাম।

 অসমাপ্ত


পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৮

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৯

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০