পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৭

সংখ্যা: ২৪৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)  ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-চলমান), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করার পর-

৩২তম ফতওয়া হিসেবে

“পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া”-

পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয

পূর্ব প্রকাশিতের পর

পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ উনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম

পবিত্র কুরআন মাজীদ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দলীল-আদিল্লাহ মোতাবেক সম্মানিত ইসলামী শরীয়াত উনার যাবতীয় হুকুম-আহকাম মেনে চলার জন্য কারো অনুসরণ করাকে ‘আত-তাকলীদুশ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ বলে। উনাকে ‘তাকলীদুল ইসলাম’, ‘তাকলীদুদ্ দীন’ ও ‘তাকলীদুদ্ দালায়িলিল আরবায়াহ’ অর্থাৎ পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার চারখানা দলীল উনাদের অনুসরণও বলা হয়ে থাকে।

নিম্নে পবিত্র তাফসীর শরীফ উনাদের নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে ‘আত-তাক্বলীদুশ্ শারয়ী তথা শরীয়াত সমর্থিত অনুসরণ’ উনার সমর্থনে পবিত্র আয়াত শরীফ সমূহ উল্লেখ করে উনাদের ছহীহ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ও আহকাম বা বিধি-বিধান আলোচনা করা হলো।

পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ৩১

لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لِأُولِي الْأَلْبَابِ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرى وَلكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ. (سورة يوسف شريفة ۱۱۱ الاية الشريفة)

অর্থ: উনাদের ওয়াকিয়া বা ঘটনার মধ্যে আক্বলমানদের জন্য রয়েছে ইবরত ও নছীহত। এটা কোন মনগড়া কথা নয়। কিন্তু যাঁরা বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁদের জন্য পূর্বেকার কালামের সমর্থন এবং (পবিত্র কুরআন মাজীদ উনাতে) প্রত্যেক বিষয়ের বিবরণ, হিদায়াত ও রহমত আছে। (পবিত্র সূরাহ ইঊসুফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ১১১)

অত্র পবিত্র আয়াত উনার বিশুদ্ধ

তাফসীর বা ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ

(৫১৭)

وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَىءٍ مما يحتاج اليه العباد فى الدين اذ ما من امر دينى الا وله سند من القران بوسط او بغير وسط فان ما كان ثابتا بالسنة فقد قال الله تعالى وَما اَرْسَلْنا مِنْ رَسُولٍ الَّا لِيُطاعَ بِاذْنِ اللهِ وقال اطِيعُوا اللهَ وَاطِيعُوا الرَّسُولَ وقال ما اتاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَما نَهاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا ونحو ذلك وما كان ثابتا بالاجماع فقد قال الله تعالى وَمَنْ يُشاقِقِ الرَّسُولَ مِنْ بَعْدِ ما تَبَيَّنَ لَهُ الْهُدى وَيَتَّبِعْ غَيْرَ سَبِيلِ الْمُؤْمِنِينَ نُوَلِّه ما تَوَلَّى الاية وما كان ثابتا بالقياس فقد قال الله تعالى فَاعْتَبِرُوا يا اُولِى الْاُبْصارِ. (التفسير المظهرى سورة يوسف شريفة ۱۱۱ الاية الشريفة المؤلف: حضرت محمد ثناء الله الهندى البانى بنى النقشبندى الحنفى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۱۶ هجرى)

অর্থ: পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বান্দা-বান্দি উনাদের পবিত্র দ্বীন অর্থাৎ দ্বীনী হুকুম আহকাম সম্পর্কিত নিতান্ত প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয়ের বর্ণনা স্পষ্টভাবে অর্থাৎ সরাসরি অথবা ঈঙ্গিত বা ইশারা দ্বারা বর্ণিত রয়েছে। আর ঈঙ্গিত বা ইশারা দ্বারা বর্ণিত বিষয়গুলোর কোনো কোনোটি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দলীল দ্বারা ছাবিত বা প্রমাণিত। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ দলীল হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘আমি সকল হযরত রসূল আলাইহিমুছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাদেরকে কেবল আমার আদেশের অনুসরণ করার উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছি। পবিত্র সূরাতুন নিসা শরীফ: ৬৪’। মহান আল্লাহ তায়ালা অন্য পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার আনুগত্য কর এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য কর। পবিত্র সূরাতুন নিসা শরীফ: ৫৯’। মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি অন্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের কাছে যা কিছু নিয়ে এসেছেন তোমরা তা পালন করো, আর তিনি যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো। পবিত্র সূরাতুল হাশর শরীফ: ৭’। আবার কোনো কোনো বিষষয় পবিত্র ইজমা শরীফ উনার দলীল দ্বারা প্রমাণিত। আর পবিত্র ইজমা শরীফ দলীল হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হিদায়াত প্রকাশিত হওয়ার পর যে ব্যক্তি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরোধিতা করে এবং বিশ্বাসীগণের পথ ব্যতীত অন্য পথে চলে; আমি তাকে তার অভিষ্ট পথেই পরিচালনা করি। পবিত্র সূরাতুন নিসা শরীফ: ১১৫’। আবার কোনো কোনো বিষয় পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনার দলীল দ্বারা প্রমাণিত। আর পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ দলীল হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘হে বিচক্ষণ ব্যক্তিগণ! তোমরা গবেষণা  বা চিন্তা-ফিকির করো। পবিত্র সূরাতুল হাশর শরীফ: ২’। (আত্ তাফসীরুল মাযহারী পবিত্র সূরাহ ইঊসুফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর ১১১ লেখক: হযরত মুহাম্মাদ ছানাউল্লাহ হিন্দী পানীপথী নকশাবন্দী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২১৬ হিজরী)

(৫১৮)

{مَا كَانَ حَدِيثًا يفترى} ما كان القران حديثاً مفترى كما زعم الكفار {ولكن تَصْدِيقَ الذى بَيْنَ يَدَيْهِ} ولكن تصديق الكتب التى تقدمته {وَتَفْصِيلَ كُلّ شَىْء} يحتاج اليه فى الدين لانه القانون الذى تستند اليه السنة والاجماع والقياس. (مدارك التنزيل وحقائق التأويل اى تفسير النسفى سورة يوسف شريفة ۱۱۱ الاية الشريفة المؤلف: ابو البركات عبد الله بن احمد بن محمود النسفى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه المتوفى ۷۱۰ هجرى)

অর্থ: (এটা কোন মনগড়া কথা নয়) পবিত্র কুরআন মাজীদে মনগড়া কোন কথা নেই, যেমনটি কাফিররা ধারনা করে থাকে (ইহা পূর্বেকার কালামের সমর্থন) বরং ইহা পূর্বে নাযিলকৃত আসমানী কিতাব সমূহের সত্যায়নকারী (এতে রয়েছে প্রত্যেক বিষয়ের বিবরণ) পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রয়োজনীয় বিষয় সবকিছুর বিবরণ ইহাতে রয়েছে। কেননা, কিছু নিয়ম-কানূন এতে বর্ণিত রয়েছে যার সাথে পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস উনাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। (মাদারিকুত্ তানযীল ওয়া হাক্বায়িকুত্ তা’বীল অর্থাৎ তাফসীরুন নাসাফী পবিত্র সূরাহ ইঊসুফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর ১১১ লেখক: হযরত আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ বিন মাহমূদ নাসাফী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৭১০ হিজরী)

(৫১৯)

{وتفصيل كل شيء} وتبيين كل شىء من امور الدين لاستنادها كلها اليه على التفصيل او الاجمال اذ ما من امر منها الا وهو مبتنى على الكتاب والسنة او الاجماع او القياس. (روح البيان فى تفسير القران اى تفسير الحقى سورة يوسف شريفة ۱۱۱ الاية الشريفة المؤلف: حضرت اسماعيل حقى بن مصطفى الاستانبولى الحنفى الخلوتى البروسوى رحمة الله عليه تاريخ الوفاة ۱۱۲۷ هجرى)

অর্থ: (এতে রয়েছে প্রত্যেক বিষয়ের বিবরণ) অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে দ্বীনী হুকুম আহকাম সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয়ের কোনোটা বিস্তারিত (স্পষ্টভাবে) অথবা কোনোটা সংক্ষিপ্ত ঈঙ্গিত বা ইশারা দ্বারা বর্ণিত রয়েছে। অর্থাৎ দ্বীনী হুকুম-আহকাম সম্পর্কিত বিষয়গুলোর কোনোটার ভিত্তি হচ্ছে পবিত্র কুরআন শরীফ, আর কোনোটার ভিত্তি হচ্ছে পবিত্র সুন্নাহ শরীফ, কোনোটার ভিত্তি হচ্ছে পবিত্র ইজমা শরীফ আর কোনোটার ভিত্তি হচ্ছে পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ। (রূহুল বয়ান ফী তাফসীরিল কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুল্ হাক্কী পবিত্র সূরাহ ইঊসুফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর ১১১ লেখক: হযরত ইসমাঈল হাক্কী বিন মুছতফা ইস্তাম্বুলী হানাফী খালওয়াতী বারূসাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১১২৭ হিজরী)

(৫২০)

{مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى} اى وما كان لهذا القران ان يفترى من دون الله اى يكذب ويُختلق {وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِى بَيْنَ يَدَيْهِ} اى من الكتب المنزلة من السماء وهو يصدق ما فيها من الصحيح، وينفى ما وقع فيها من تحريف وتبديل وتغيير، ويحكم عليها بالنسخ او التقرير {وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَىْءٍ } من تحليل وتحريم ومحبوب ومكروه وغير ذلك من الامر بالطاعات والواجبات والمستحبات والنهى عن المحرمات وما شاكلها من المكروهات، والاخبار عن الامور على الجلية وعن الغيوب المستقبلة المجملة والتفصيلية والاخبار عن الرب تبارك وتعالى بالاسماء والصفات وتنزيهه عن مماثلة المخلوقات. (تفسير القران العظيم اى تفسير ابن كثير سورة يوسف شريفة ۱۱۱ الاية الشريفة المؤلف: ابو الفداء اسماعيل بن عمر بن كثير القرشى الدمشقى الشافعى رحمة الله عليه الولادة: ۷۰۰ الوفاة: ۷۷۴ هجرى)

অর্থ: (ইহা কোনো মনগড়া কথা নয়) অর্থাৎ ইহা মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পবিত্র আয়াত শরীফ ব্যতীত অন্য কারো বক্তব্য নয় অর্থাৎ এতে মিথ্যা ও বানোয়াট কিছু নেই। (বরং ইহা পূর্বেকার কালামের সমর্থন) অর্থাৎ বরং ইহা আসমানী কিতাব সমূহের মধ্যে সঠিক বিষয় সমূহকে সত্যায়িত করে এবং ঐগুলোর মধ্যে যে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে উহাকে মান্য করতে নিষেধ করে। আর উহার মধ্যে যে সমস্ত বিষয় রহিত হয়েছে এবং যা এখনো অবশিষ্ট আছে উনার হুকুম ঠিকমত বর্ণনা করে। (পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার মধ্যে প্রত্যেক বিষয়ের বিবরণ আছে) কোনটি হালাল কোনটি হারাম কোনটি মাহবূব বা পছন্দনীয় কোনটি মাকরূহ বা অপছন্দনীয় ও অন্যান্য বিষয়গুলো ইহা বর্ণনা করে। ইহা ছাড়া সম্মানিত শরীয়াত উনার করণীয় কাজের মধ্যে কোনটি কোনটি মুস্তাহাব ইহাও বর্ণনা করে। নিষিদ্ধ হারাম কাজ এবং উহার সদৃশ্য মাকরূহ কাজকেও বর্ণনা করে। কোন বিষয়ের স্পষ্ট সংবাদ দেয় এবং বিস্তারিত ও সংক্ষিপ্তভাবে ভবিষ্যতের গাইবী বা অদৃশ্যের সংবাদ দান করে। মহান রব তাবারক তায়ালা উনার নাম সমূহ বা সত্তা ও ছিফাত বা গুণাবলী এবং যে সমস্ত সৃষ্টির দোষাবলী থেকে তিনি পবিত্র তাও বর্ণনা করতে ছাড়েননি। (তাফসীরুল কুরআনিল আযীম অর্থাৎ তাফসীরু ইবনি কাছীর পবিত্র সূরাহ ইঊসুফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর ১১১ লেখক: হযরত আবুল ফিদা ইসমাঈল বিন উমর বিন কাছীর কুরাশী দামেশকী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত: ৭০০ হিজরী ওয়াফাত: ৭৭৪ হিজরী)

অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ এবং উনার তাফসীর থেকে প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস শরীয়াত উনার দলীল। যা দলীল হওয়ার ব্যাপারে পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার মধ্যেই অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। তাই যারা পবিত্র ইজমাউল উম্মাহ ও ছহীহ ক্বিয়াস শরীফ মানে না তারা পবিত্র কুরআন মাজীদ উনাকে অমান্যকারী  হিসেবে কাফির হবে।

পবিত্র আয়াত শরীফ নম্বর- ৩২

وَمَا اَرْسَلْنَا مِنْ قَبْلِكَ الَّا رِجَالًا نُوحِى الَيْهِمْ فَاسْالُوا اَهْلَ الذِّكْرِ انْ كُنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ. (سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة)

অর্থ: আপনার পূর্বেও আমি পবিত্র ওহী মুবারকসহ পুরুষদেরকেই তাঁদের প্রতি রসূল রূপে পাঠিয়েছিলাম। অতএব, তোমরা যদি না জান তাহলে আহলে যিকির অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা বা ওলীআল্লাহ উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও। (পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩)

(৫২১)

وَما اَرْسَلْنا مِنْ قَبْلِكَ الى الناس الَّا رِجالًا دون ملائكة نُوحِى الَيْهِمْ على السنة الملائكة فَسْئَلُوا اَهْلَ الذِّكْرِ يعنى ان شككتم فى ارسال الله الرجال فاسئلوا اهل العلم بالكتب السابقة من اليهود والنصارى هل ارسل الى بنى اسرائيل موسى عليه السلام وعيسى عليه السلام وغيرهم من انبياء عليهم السلام بنى اسرائيل ومن قبلهم ابراهيم عليه السلام ونوحا عليه السلام وادم عليه السلام وغيرهم فانهم يشهدون بذلك انْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُونَ وفى الاية دليل على وجوب المراجعة الى العلماء للجهال فيما لا يعلمون وان الاخبار مفيدة للعلم ان كان المخبر ثقة يعتمد عليه. (التفسير المظهرى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: حضرت محمد ثناء الله الهندى البانى بنى النقشبندى الحنفى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۱۶ هجرى)

অর্থ: (আমি আপনার পূর্বে পুরুষদেরকেই রসূল হিসেবে পাঠিয়েছিলাম) মানুষের কাছে ফেরেশতা আলাইহিস সালামকে নয়। (আমি উনাদের প্রতি ওহী পাঠিয়েছিলাম) হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের যবানের মাধ্যমে। (অতএব, তোমরা আহলে যিক্র উনাদেরকে জিজ্ঞাসা কর) অর্থাৎ মহান আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক মানুষকেই রসূল আলাইহিস সালাম করে পাঠানোর ব্যাপারে তোমাদের যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে ইহুদী ও নাছারাদের মধ্যে যারা পূর্বেকার কিতাব সম্পর্কে অভিজ্ঞ, তাদের নিকট জিজ্ঞাসা করো যে, মহান আল্লাহ তায়ালা কি বণী ইসরাঈলের প্রতি হযরত মূসা আলাইহিস সালাম, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম প্রমুখ আম্বিয়া এবং উনাদের পূর্বে হযরত আদম আলাইহিস সালাম, হযরত নূহ আলাইহিস সালাম, হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম প্রমুখগণকে নাবী করে পাঠিয়েছিলেন কি না? তারাই এর সাক্ষ্য দেবে।

(যদি তোমরা না জান।) এ পবিত্র আয়াত শরীফ প্রমাণ করে যে, যারা যে বিষয় জানে না, সে ব্যাপারে হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কাছে জিজ্ঞাসা করা ওয়াজিব। আরো প্রমাণ করে যে, সংবাদ একটি উপকারী ইল্ম বা মাধ্যম, যদি সংবাদদাতা এরূপ বিশ্বস্ত হয় যার উপর নির্ভর করা যায়। (আত্ তাফসীরুল্ মাযহারী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: হযরত মুহাম্মাদ ছানাউল্লাহ হিন্দী পানীপথী নকশবন্দী হানাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২১৬ হিজরী)

(৫২২)

روى عن مجاهد رحمة الله عليه عن ابن عباس رضى الله عنهما ان المراد باهل الذكر: اهل الكتاب وقاله مجاهد رحمة الله عليه والاعمش رحمة الله عليه.

وقول عبد الرحمن بن زيد رحمة الله عليه الذكر: القران واستشهد بقوله: {اِنَّا نَحْنُ نزلْنَا الذِّكْرَ وَانَّا لَه لَحَافِظُونَ} [سورة الحجر شريفة:۹ الاية الشريفة] صحيح، و لكن ليس هو المراد هاهنا؛ لان المخالف لا يرجع فى اثباته بعد انكاره اليه.

وكذا قول ابى جعفر الباقر عليه السلام: نحن اهل الذكر ومراده ان هذه الامة اهل الذكر صحيح، فان هذه الامة اعلم من جميع الامم السالفة، وعلماء اهل بيت الرسول عليهم السلام والرحمة من خير العلماء اذا كانوا على السنة المستقيمة كعلى عليه السلام وابن عباس رضى الله عنهما وبنى على الحسن عليه السلام والحسين عليه السلام ومحمد بن الحنفية عليه السلام وعلى بن الحسين زين العابدين عليه السلام وعلى بن عبد الله بن عباس عليه السلام وابى جعفر الباقر عليه السلام وهو محمد بن على بن الحسين  عليه السلام وجعفر عليه السلام ابنه. (تفسير القران العظيم اى تفسير ابن كثير سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: ابو الفداء اسماعيل بن عمر بن كثير القرشى الدمشقى رحمة الله عليه الولادة: ۷۰۰ الوفاة: ۷۷۴ هجرى(

অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আহলুয্ যিক্র হচ্ছে আহলুল্ কিতাব তথা ইয়াহূদী ও নাছারারা। অনুরূপ হযরত মুজাহিদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত আ’মাশ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারা বলেছেন।

হযরত আব্দুর রহমান বিন যায়েদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, এখানে যিক্র অর্থ পবিত্র কুরআন মাজীদ। তিনি মহান আল্লাহ তায়ালা উনার পবিত্র আয়াত শরীফ থেকে প্রমাণ দেন যে, ‘আমিই পবিত্র যিক্র তথা পবিত্র কুরআন মাজীদ নাযিল করেছি, আর আমিই উনার হিফাযতকারী। পবিত্র সূরাতুল্ হিজ্র শরীফ: ৯’। কিন্তু এখানে উক্ত উদ্দেশ্য তথা ইয়াহূদী ও নাছারা হবে না। কেননা, তারা দীনী শরীয়াত উনার বিরুদ্ধবাদী।

অনুরূপ আল্ ইমামুল্ খামিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আবূ জা’ফর বাকির আলাইহিস সালাম তিনি বলেন: আমরা আহলু বাইতগণই আহলুয্ যিক্র। উনার দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, এ উম্মাতে হাবীবীই হচ্ছেন আহলুয যিক্র। কেননা, এই উম্মাত পূর্ববর্তী সমস্ত উম্মাতের থেকে অধিক জ্ঞানী। আর পরিপূর্ণ সুন্নাতের উপর প্রতিষ্ঠার শর্তে হযরত আহলু বাইতির রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাই হচ্ছেন শ্রেষ্ঠ আলিম। যেমন, উনারা হলেন: হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস আলাইহিস সালাম, হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার বংশধর আল ইমামুছ ছানী হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম ও আল ইমামুছ ছালিছ হযরত ইমাম হুসাঈন আলাইহিস সালাম, হযরত মুহাম্মাদ বিন হানাফিয়্যাহ আলাইহিস সালাম, হযরত আলী আওছাত্ব বিন হুসাঈন যাইনুল আবিদীন আলাইহিস সালাম, হযরত আলী বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস আলাইহিস সাল্লাম, হযরত আবূ জা’ফর বাক্বির আলাইহিস সালাম তিনি হলেন হযরত মুহাম্মাদ বাক্বির বিন আলী আওসাত্ব বিন হুসাঈন আলাইহিস সালাম, হযরত ইমাম জা’ফর ছাদিক্ব আলাইহিস সালাম উনার পুত্র। (তাফসীরুল কুরআনিল আযীম অর্থাৎ তাফসীরু ইবনি কাছীর পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: হযরত আবুল ফিদা ইসমাঈল বিন উমর বিন কাছীর কুরাশী দামেশকী শাফিয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বিলাদত: ৭০০ হিজরী ওয়াফাত: ৭৭৪ হিজরী)

(৫২৩)

حدثنا به ابن وكيع رحمة الله عليه قال: حدثنا ابن يمان رحمة الله عليه عن اسرائيل رحمة الله عليه عن جابر رضى الله عنه عن ابى جعفر عليه السلام (فَاسْاَلُوا اَهْلَ الذِّكْرِ انْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُونَ) قال: نحن اهل الذكر. (جامع البيان فى تأويل القران اى تفسير الطبرى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: محمد بن جرير بن يزيد بن كثير بن غالب الاملى ابو جعفر الطبرى المتوفى ۳۱۰ هجرى)

অর্থ: হযরত ইমাম ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে ছহীহ হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত ওয়াকী’ রহমাতুল্লাহি আলাইহি, তিনি বলেন আমাদের কাছে হযরত ইসরাঈল রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে হযরত ইবনু ইয়ামান রহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন, তিনি হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে, তিনি হযরত আবূ জা’ফর বাক্বির আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি ‘তোমরা যদি না জান তাহলে আহলে যিক্র উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও’ অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে বলেন, আমরা আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস্ সালাম আমরাই আহলুয যিক্র। (জামিউল বায়ান ফী তা’বীলিল কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুত ত্ববারী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: হযরত মুহাম্মাদ বিন জারীর বিন ইয়াযীদ বিন কাছীর বিন গালিব আমালী আবূ জা’ফর ত্ববারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৩১০ হিজরী)

(৫২৪)

فَسْئَلُوا اَهْلَ الذِّكْرِ انْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُونَ… ان ثبت جواز العمل بالقياس باجماع الصحابة والاجماع اقوى من هذا الدليل. (مفاتيح الغيب اى التفسير الكبير اى تفسير الرازى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: الامام حضرت محمد بن عمر المعروف بفخر الدين الرازى الشافعى الاشعرى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۶۰۶ هجرى)

অর্থ: ‘তোমরা যদি না জান তাহলে আহলে যিক্র উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নাও’ অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ প্রমান করে যে, … ইজামাউছ ছাহাবাহ অনুযায়ী ক্বিয়াসের উপর আমল করা জায়িয। এ দলীল দ্বারা ইজমা’ শক্তিশালী প্রমাণীত হলো। (মাফাতীহুল গইব অর্থাৎ আত্ তাফসীরুল কবীর অর্থাৎ তাফসীরুর রাযী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: ইমাম হযরত মুহাম্মাদ বিন উমর ফখরুদ্দীন রাযী শাফিয়ী আশয়ারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ৬০৬ হিজরী)

(৫২৫)

وفى الاية اشارة الى وجوب المراجعة الى العلماء فيما لا يعلم. (روح البيان فى تفسير القران اى تفسير الحقى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: حضرت اسماعيل حقى بن مصطفى الاستانبولى الحنفى الخلوتى البروسوى رحمة الله عليه تاريخ الوفاة ۱۱۲۷ هجرى، روح المعانى فى تفسير القران العظيم والسبع المثانى اى تفسير الالوسى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: للعلامة شهاب الدين السيد محمود بن عبد الله ابى الثناء الالوسى المفتى البغدادى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۷۰ هجرى)

অর্থ: অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ ইঙ্গিত বহণ করে যে, যারা জানে না তাদের জন্য হযরত উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের দিকে ফিরে যাওয়া ওয়াজিব। (রূহুল বয়ান ফী তাফসীরিল কুরআন অর্থাৎ তাফসীরুল্ হাক্কী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: হযরত ইসমাঈল হাক্কী বিন মুছতফা ইস্তাম্বুলী হানাফী খালওয়াতী বারূসাবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১১২৭ হিজরী, রূহুল মায়ানী ফী তাফসীরিল কুরআনিল আযীম ওয়াস সাবয়িল মাছানী অর্থাৎ তাফসীরুল আলূসী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: আল্লামা শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমূদ বিন আব্দুল্লাহ আবিছ ছানা আলূসী মুফতিউল বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২৭০ হিজরী)

(৫২৬)

واهل الذكر على هذا الـمسلمون مطلقا وخصهم بعض الامامية بالائمة اهل البيت احتجاجا بما رواه جابر رضى الله عنه. ومحمد بن مسلم منهم عن ابى جعفر رضى الله تعالى عنه قال: نحن اهل الذكر، وبعضهم فسر الذكر بالنبى صلى اللّه عليه وسلم لقوله تعالى: ذِكْرًا رَسُولًا [سورة الطلاق: ۱۰، ۱۱]. (روح المعانى فى تفسير القران العظيم والسبع المثانى اى تفسير الالوسى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: للعلامة شهاب الدين السيد محمود بن عبد الله ابى الثناء الالوسى المفتى البغدادى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۷۰ هجرى)

অর্থ: সাধারণত: আহলুয যিক্র দ্বারা এ উম্মাতের মুসলমানগণকে বুঝানো হয়। আর বিশেষভাবে ইমামিয়াহ ফিরক্বার কতকের মতে, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইমাম উনারা উদ্দেশ্য। যার প্রমাণ হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার বর্ণনা। হযরত মুহাম্মাদ বিন মুসলিম আলাইহিস সালাম উনাদের মধ্যে একজন। হযরত আবূ জা’ফর বাক্বির আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আমরা আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম আমরাই আহলু যিক্র। আর কতক মুফাসসিরীন কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যিক্র দ্বারা নূরুম মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হযরত নাবী পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝিয়েছেন। উনাদের দলীল যেমনটি মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘উপদেশ দানকারী রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। পবিত্র সূরাতুত্ ত্বলাক শরীফ: ১০-১১’। (রূহুল মায়ানী ফী তাফসীরিল কুরআনিল আযীম ওয়াস সাবয়িল মাছানী অর্থাৎ তাফসীরুল আলূসী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: আল্লামা শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমূদ বিন আব্দুল্লাহ আবিছ ছানা আলূসী মুফতিউল বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২৭০ হিজরী)

(৫২৭)

ما نقل عن الجلال الـمحلى رحمة الله عليه انه يلزم غير الـمجتهد عاميا كان او غيره التقليد للمجتهد لقوله تعالى: فَسْئَلُوا اَهْلَ الذِّكْرِ انْ كُنْتُمْ لا تَعْلَمُوْنَ والصحيح انه لا فرق بين الـمسائل الاعتقادية وغيرها وبين ان يكون المجتهد حيا او ميتا. (روح المعانى فى تفسير القران العظيم والسبع المثانى اى تفسير الالوسى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: للعلامة شهاب الدين السيد محمود بن عبد الله ابى الثناء الالوسى المفتى البغدادى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۷۰ هجرى)

অর্থ: হযরত জালাল মাহাল্লী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে নক্বল করা হয়েছে যে, যারা মুজতাহিদ নয় তারা সাধারণ ব্যক্তি হোক অথবা বিশেষ ব্যক্তি হোক সকলের জন্য মুজতাহিদকে অনুসরণ করা ফরয। যেমনটি মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা যারা জানো না তারা যাঁরা জানেন উনাদেরকে জিজ্ঞাসা কর’। ছহীহ কথা এই যে, এ অনুসরণের ব্যাপারে ই’তিকাদী মাসয়ালা ও অন্যান্য মাসয়ালা তথা ফিক্হী মাসয়ালায় কোন পার্থক্য নেই। সেই মুজতাহিদ তিনি জীবিত হোন অথবা ইন্তিকাল প্রাপ্ত হন এতেও কোন পার্থক্য নেই। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় মুজতাহিদ উনাকে অনুসরণ করা ওয়াজিব। (রূহুল মায়ানী ফী তাফসীরিল কুরআনিল আযীম ওয়াস সাবয়িল মাছানী অর্থাৎ তাফসীরুল আলূসী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: আল্লামা শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমূদ বিন আব্দুল্লাহ আবিছ ছানা আলূসী মুফতিউল বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২৭০ হিজরী)

(৫২৮)

فقول السبكى رحمة الله عليه: ان مخالف الاربعة كمخالف الاجماع. (روح المعانى فى تفسير القران العظيم والسبع المثانى اى تفسير الالوسى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: للعلامة شهاب الدين السيد محمود بن عبد الله ابى الثناء الالوسى المفتى البغدادى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۷۰ هجرى)

অর্থ: হযরত ইমাম সুবুকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার উক্তি এই যে, নিশ্চয়ই চার মাযহাবের ইমাম উনাদের বিরোধিতা করা মূলত: ইজমাউল উম্মাহ উনার বিরোধিতা করার শামিল। (রূহুল মায়ানী ফী তাফসীরিল কুরআনিল আযীম ওয়াস সাবয়িল মাছানী অর্থাৎ তাফসীরুল আলূসী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: আল্লামা শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমূদ বিন আব্দুল্লাহ আবিছ ছানা আলূসী মুফতিউল বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২৭০ হিজরী)

(৫২৯)

كمذهب الثورى رحمة الله عليه والاوزاعى رحمة الله عليه وابن ابى ليلى رحمة الله عليه وغيرهم ثم ان تقليد الغير بشرطه انما يجوز فى العمل واما للافتاء والقضاء فيتعين احد المذاهب الاربع. (روح المعانى فى تفسير القران العظيم والسبع المثانى اى تفسير الالوسى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: للعلامة شهاب الدين السيد محمود بن عبد الله ابى الثناء الالوسى المفتى البغدادى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۷۰ هجرى)

অর্থ: হযরত ইমাম ছাওরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম আওযায়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইমাম ইবনু আবী লায়লা রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও অন্যান্য ইমাম উনাদের মাযহাব উনার অনুসরণ শর্ত সাপেক্ষে করা হবে। উনাদের তাক্বলীদ বা অনুসরণ আমলী মাসয়ালার ক্ষেত্রে জায়িয। কিন্তু ফাতাওয়া ও বিচার-মিমাংসার ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে চার মাযহাবের ইমাম উনাদের যে কোন একজনকে মান্য করতে হবে। (রূহুল মায়ানী ফী তাফসীরিল কুরআনিল আযীম ওয়াস সাবয়িল মাছানী অর্থাৎ তাফসীরুল আলূসী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: আল্লামা শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমূদ বিন আব্দুল্লাহ আবিছ ছানা আলূসী মুফতিউল বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২৭০ হিজরী)

(৫৩০)

ان من الناس من جوز التقليد للمجتهد لهذه الاية فقال: لما لم يكن احد الـمجتهدين عالما وجب عليه الرجوع الى الـمجتهد العالم لقوله تعالى: فَسْئَلُوا الاية فان لم يجب فلا اقل من الجواز. (روح المعانى فى تفسير القران العظيم والسبع المثانى اى تفسير الالوسى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: للعلامة شهاب الدين السيد محمود بن عبد الله ابى الثناء الالوسى المفتى البغدادى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۷۰ هجرى)

অর্থ: যারা মুজতাহিদ উনার তাক্বলীদ বা অনুসরণকে জায়িয বলেন উনারা অত্র পবিত্র আয়াত শরীফ উনাকে দলীল হিসেবে পেশ করেন এবং বলেন, কোন মুজতাহিদ যদি আলিম না হন, তাহলে উনার জন্য আলিম মুজতাহিদ উনাকে অনুসরণ করা ওয়াজিব। যেমনটি মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা যারা জানো না তারা যাঁরা জানেন উনাদেরকে জিজ্ঞাসা কর’। যদি ওয়াজিব নাও হয়, তাহলে কমপক্ষে জায়িয হবে। (রূহুল মায়ানী ফী তাফসীরিল কুরআনিল আযীম ওয়াস সাবয়িল মাছানী অর্থাৎ তাফসীরুল আলূসী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: আল্লামা শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমূদ বিন আব্দুল্লাহ আবিছ ছানা আলূসী মুফতিউল বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২৭০ হিজরী)

(৫৩১)

واجيب بانه ثبت جواز العمل بالقياس باجماع الصحابة والاجماع اقوى من هذا الدليل. (روح المعانى فى تفسير القران العظيم والسبع المثانى اى تفسير الالوسى سورة النحل شريفة ۴۳ الاية الشريفة المؤلف: للعلامة شهاب الدين السيد محمود بن عبد الله ابى الثناء الالوسى المفتى البغدادى رحمة الله عليه المتوفى سنة ۱۲۷۰ هجرى)

অর্থ: আমি জাওয়াবে বলি যে, ইজমাউছ ছাহাবা উনার ভিত্তিতে ক্বিয়াসের উপর আমল করা জায়িয প্রমাণিত। আর এ দলীল দ্বারা পবিত্র ইজমা শক্তিশালী দলীল হিসেবে স্বীকৃত। (রূহুল মায়ানী ফী তাফসীরিল কুরআনিল আযীম ওয়াস সাবয়িল মাছানী অর্থাৎ তাফসীরুল আলূসী পবিত্র সূরাতুন্ নাহ্ল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ নং ৪৩ লেখক: আল্লামা শিহাবুদ্দীন সাইয়্যিদ মাহমূদ বিন আব্দুল্লাহ আবিছ ছানা আলূসী মুফতিউল বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ওয়াফাত: ১২৭০ হিজরী)

অসমাপ্ত-পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

 

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৫

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া