পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৬৯তম পর্ব

সংখ্যা: ২৩৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। মহান আল্লাহ পাক উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-উনার ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব উনার অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লّীন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্রের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা)  ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং  ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা) ২৭.  ইসলামের  নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-চলমান), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা) পেশ করা হয়েছে।

আর বর্তমানে ২৮তম ফতওয়াটি অর্থাৎ “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি” এখনো পত্রস্থ হচ্ছে। তাই মহান আল্লাহ পাক উনার দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।

প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা, করানো ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরক ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো ‘ওহাবী সম্প্রদায়’। ইহুদীদের এজেন্ট ওহাবী মতাবলম্বী উলামায়ে ‘ছূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে একের পর এক হারামকে হালাল, হালালকে হারাম, জায়িযকে নাজায়িয, নাজায়িযকে জায়িয বলে প্রচার করছে। (নাঊযুবিল্লাহ)

স্মরণীয় যে, ইহুদীদের এজেন্ট, ওহাবী মতাবলম্বী দাজ্জালে কায্যাব তথা উলামায়ে ‘ছূ’রা প্রচার করছে “ছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধাজ্ঞা নেই”। (নাউযুবিল্লাহ) সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, “নির্বাচন কমিশনার বলেছে, ছবি তোলার বিরুদ্ধে বললে জেল-জরিমানা হবে, নির্বাচন কমিশনার ভোটার আই.ডি কার্ডের জন্য ছবিকে বাধ্যতামূলক করেছে এবং ছবির পক্ষে মসজিদে, মসজিদে প্রচারণা চালাবে বলেও মন্তব্য করেছে। আর উলামায়ে ‘ছূ’রা তার এ বক্তব্যকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে যে, “রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যেই ছবি তোলা জায়িয।” (নাঊযুবিল্লাহ) শুধু তাই নয়, তারা নিজেরাও অহরহ ছবি তুলে বা তোলায়।

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এ বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ছবি তোলা জায়িয” তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

استحلال الـمعصية كفر.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমানদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ “ছবি তোলার ব্যাপারে ধর্মীয় কোন নিষেধ নেই বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে সকলের জন্যে ছবি তোলা জায়িয” উলামায়ে “সূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে ছবি তুলবে (যদিও হারাম জেনেই তুলুক না কেন) তারা মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত কাজে তথা হারাম কাজে মশগুল হবে যা শক্ত আযাব বা কঠিন গুনাহের কারণ। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نـمير فراى فى صفته تـماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى صلى الله عليه وسلم يقول ان اشد الناس عذابا عند الله الـمصورون.

অর্থঃ হযরত আ’মাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত মুসলিম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি হযরত মাসরূক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইর উনার ঘরে ছিলাম, তিনি উনার ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকট শুনেছি, তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, “নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।” (বুখারী শরীফ ২য় জিঃ, পৃঃ ৮৮০)

উক্ত হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় “উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী”  উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-

وفى التوضيح قال اصحابنا وغيرهم صورة الحيوان حرام اشد االتحريم وهم من الكبائر.

অর্থ: ‘তাওদ্বীহ’ নামক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, হযরত উলামায়ে কিরামগণ প্রত্যেকেই বলেন, জীব জন্তুর ছবি বা প্রতিমূর্তি নির্মাণ করা হারাম বরং শক্ত হারাম এবং এটা কবীরা গুনাহর অন্তর্ভুক্ত।

অতএব, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য ও বদ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ছবি তুলে প্রকাশ্য হারাম কাজে মশগুল হয়ে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে যা আমলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ক্ষতিকর।

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ মূর্তি বা ছবিসহ সকল বিষয়ে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি” পুনরায় প্রকাশ করা হলো।

প্রাণীর মূর্তি, ভাস্কর্য তৈরি করা-করানো, ছবি তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয হওয়ার অকাট্য ও নির্ভরযোগ্য দলীল প্রমাণ

স্মর্তব্য যে, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র তাফসীর শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ, পবিত্র ফিক্বাহ-ফতওয়া ও উনাদের ব্যাখ্যামূলক নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য সকল কিতাব উনাদের মধ্যে “প্রাণীর ছবি, মূর্তি, প্রতিমা, প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন,  পুতুল ইত্যাদি তৈরি করা-করানো, তোলা-তোলানো, আঁকা-আঁকানো, রাখা-রাখানো হারাম ও নাজায়িয” বলে উল্লেখ আছে। নিম্নে সেসকল কিতাবসমূহ থেকে ধারাবাহিকভাবে এ সম্পর্কিত দলীল প্রমাণ তুলে ধরা হলো-

 

সম্মানিত ফিক্বাহ, ফতওয়া ও উনাদের নির্ভরযোগ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থসমূহ থেকে প্রমাণিত যে, মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি, প্রাণীর ছবি ইত্যাদি হারাম, কুফরী ও শিরকী কাজ

পবিত্র ফিক্বাহ-ফতওয়া ও উনাদের ব্যাখ্যামূলক নির্ভরযোগ্য ও সর্বজনমান্য সকল গ্রন্থসমূহে মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি প্রাণীর ছবি ইত্যাদি তৈরি করা, এদের পূজা করা এগুলোর ব্যবসা করা এবং যে কোন অবস্থায় এগুলোর অনুশীলন করাকে নিষেধ করা হয়েছে। এগুলো তৈরি করা হারাম, এগুলোর পূজা করা কুফরী শিরকী এবং মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদতের বিপরীতে গাইরুল্লাহর ইবাদত করার শামিল। নাউযুবিল্লাহ!

নিম্নে মূর্তি, ভাস্কর্য, প্রাণীর ছবি নিষেধ সম্পর্কিত বিশ্ববিখ্যাত সর্বজনমান্য পবিত্র ফিক্বা ও ফতওয়া উনাদের কিতাব থেকে ছহীহ সমাধান তুলে ধরা হলো-

সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফিকাহ ও ফাতাওয়ার কিতাব থেকে দলীল

হাশিয়াতুত্ তাহতাবী আলাদ্ দুররিল্ মুখতার

অত্র ‘হাশিয়াতুত্ তাহতাবী আলাদ্ দুররিল মুখতার আলা তানবীরিল্ আবছার’ কিতাবখানা লিখেছেন, আল্লামা সাইয়্যিদ আহমাদ মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল বিন আব্দুল আযীয ফারগালী ত্বহতাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ওয়াফাত: ১৩৪১ হিজরী। এ কিতাবে প্রাণীর ছবি মূর্তি সম্পর্কে যা বর্ণিত আছে, তা উল্লেখ করা হলো-

(১১৪৮-১১৫০)

وَظَاهِرُ كَلَامِ النَّوَوِيِّ فِي شَرْحِ مُسْلِمٍ الْإِجْمَاعُ عَلَى حرمة تَصْوِيرِ صورة حَيَوَانِ و هو من الكبائر لانه متوعد عليه بوعيد شديد و هو ما في الصحيحين عنه صلى الله عليه و سلم اشد الناس عذابا يوم القيامة المصورون يقال لهم احيوا ما خلقتم ثم قال: وَسَوَاءٌ صَنَعَهُ لِمَا يُمْتَهَنُ أَوْ لِغَيْرِهِ ، فَصَنْعَتُهُ حَرَامٌ بِكُلِّ حَالٍ لِأَنَّ فِيهِ مُضَاهَاةَ لِخَلْقِ اللَّهِ تَعَالَى ، وَسَوَاءٌ كَانَ فِي ثَوْبٍ أَوْ بِسَاطٍ أَوْ دِرْهَمٍ دينار او فلس وَإِنَاءٍ وَحَائِطٍ وَغَيْرِهَا، فَيَنْبَغِي أَنْ يَكُونَ حَرَامًا لَا مَكْرُوهًا إنْ ثَبَتَ الْإِجْمَاعُ أَوْ قَطْعِيَّةُ الدَّلِيلِ بِتَوَاتُرِهِ. (حاشية الطحطاوي على الدر المختار على تنوير الابصار كتاب الصلوة بَابُ مَا يُفْسِدُ الصَّلَاةَ وَمَا يُكْرَهُ فِيهَا الجلد الاول الصفحة ২৭৩ المؤلف: العلامة السيد احمد الطحطاوي الحنفي الماتريدي رحمة الله عليه)

অর্থ: মুসলিম শরীফের শরাহ শরহুন নুবাবীর স্পষ্ট বর্ণনা মুতাবিক- প্রাণীর ছবি মূর্তি ভাস্কর্য এগুলোর চর্চা করা ইজমা’ মতে হারাম। এগুলো কবীরা গুনাহ। যেহেতু এব্যাপারে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাকে কঠিন হুশিয়ারী করা হয়েছে। যেমন, বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ উনাদের মধ্যে নূরুম্ মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণিত আছে, ক্বিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির কঠিন শাস্তি হবে যে প্রাণীর ছবি আঁকে বা তোলে। তাদেরকে বলা হবে তোমরা এতে প্রাণ দাও, কিন্তু তাতে তারা সক্ষম হবে না। তিনি (ব্যাখ্যাকার) আরো বলেন, তা ইহানতের জন্য করুক অথবা ইহানতের জন্য না করুক তা সর্বাবস্থায় হারাম। কেননা, এতে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সৃষ্টির সাদৃশ্যতা দাবি করা হয়। অনুরুপ কাপড়ে, বিছানায়, দিরহাম বা রুপার টাকায়, দীনার বা সোনার টাকায়, টাকা-পয়সায়, পাত্রে, দেয়ালে অথবা এছাড়া অন্য কিছুতে প্রাণীর ছবি থাকা হারাম। যখন তা ইজমা’ দ্বারা ও মুতাওয়াতির বর্ণনা দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণীত তখন তা মাকরূহ না হয়ে হারাম হওয়ারই যোগ্য। (হাশিয়াতুত্ তাহতাবী আলাদ্ দুররিল মুখতার আলা তানবীরিল্ আবছার অধ্যায়: নামায পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাতা ওয়া মা ইউকরাহু ফীহা ১ম খন্ড ২৭৩ পৃষ্ঠা লেখক: আল্লামা সাইয়্যিদ আহমাদ ত্বহতাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

(১১৫১)

قَالُوا : وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي والدي يليه مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ والدي يليه مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ والدي يليه مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ. (حاشية الطحطاوي على الدر المختار على تنوير الابصار كتاب الصلوة بَابُ مَا يُفْسِدُ الصَّلَاةَ وَمَا يُكْرَهُ فِيهَا الجلد الاول الصفحة ২৭৩ المؤلف: العلامة السيد احمد الطحطاوي الحنفي الماتريدي رحمة الله عليه)

অর্থ: ‘আল্ বাহর’ কিতাবে উল্লেখ আছে: মুছাল্লীর সামনে প্রাণীর ছবি থাকা শক্ত মাকরূহ তাহরীমী। অতপর মাথার উপর, অতপর ডানে ও বামে দেয়ালের উপর অতপর পিছনে দেয়ালের উপর অতপর কোন পর্দায় প্রাণীর ছবি থাকা মাকরূহ তাহরীমী হবে। (হাশিয়াতুত্ তাহতাবী আলাদ্ দুররিল মুখতার আলা তানবীরিল্ আবছার অধ্যায়: নামায পরিচ্ছেদ: বাবু মা ইউফসিদুছ্ ছলাতা ওয়া মা ইউকরাহু ফীহা ১ম খন্ড ২৭৩ পৃষ্ঠা লেখক: আল্লামা সাইয়্যিদ আহমাদ ত্বহতাবী হানাফী মাতুরীদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি)

আল্ ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ (আল্ ফাতাওয়াল্ হিন্দিয়া)

অত্র ফাতাওয়ার কিতাবখানা বাদশাহ আলমগীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার পৃষ্ঠপোষকায় লিখেছেন- আল্ আল্লামাতুল্ হুমাম মাওলানা শায়েখ নিযাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হিন্দুস্থানের একদল মুহাক্কিক্ব উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম। এ কিতাবে প্রাণীর ছবি মূর্তি সম্পর্কে যা বর্ণিত আছে, তা উল্লেখ করা হলো-

(১১৫২-১১৫৩)

وَيُكْرَهُ أَنْ يُصَلِّيَ وَبَيْنَ يَدَيْهِ أَوْ فَوْقَ رَأْسِه أَوْ عَلى يَمِينِهِ أَوْ عَلى يَسَارِهِ أَوْ فِي ثَوْبِه تَصَاوِيرُ كَذَا فِي فَتَاوَى قَاضِي خَانْ. (الفتاوى العالمگیریۃ المعروفة بالفتاوى الهندية في مدهب الامام الاعظم ابي حنيفة النعمان رحمة الله عليه كتاب الصلوة الباب السابع: فيما يفسد الصلاة و مايكره فيها الْفَصْلُ الثَّانِي: فِيمَا يُكْرَهُ فِي الصَّلَاةِ وَمَا لَا يُكْرَهُ المجلد الاول الصفحة ۱۰۷ التأليف: العلامة الهمام مولانا الشيخ نظام و جماعة من علماء الهند الاعلام رحمة الله عليهم)

অর্থ: নামাযীর সামনে, মাথার উপর, ডান দিকে, বাম দিকে ও পরিহিত কাপড়ে প্রাণীর ছবি থাকলে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। অনুরুপ “ফাতাওয়ায়ে কাদ্বীখানে” আছে। (আল্ ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ প্রশিদ্ধ আল্ ফাতাওয়াল্ হিন্দিয়াহ ফী মাযহাবিল ইমামিল্ আ’যম আবী হানীফাতিন্ নু’মান রহমাতুল্লাহি আলাইহি অধ্যায়: নামায ৭ম পরিচ্ছেদ: ফীমা ইউফসিদুছ্ ছলাত ওয়া মা ইউকরাহূ ফীহা দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ: ফীমা ইউকরাহূ ফিছ্ ছলাহ ওয়া মা লাইউকরাহূ ১ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা লেখক: আল্ আল্লামাতুল্ হুমাম মাওলানা শায়েখ নিযাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হিন্দুস্থানের একদল মুহাক্কিক্ব উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম)

(১১৫৪-১১৫৫)

وَلَوْ كَانَتْ صَغِيرَةً بِحَيْثُ لَا تَبْدُو لِلنَّاظِرِ إلَّا بِتَأَمُّلٍ لَا يُكْرَهُ وَإِنْ قَطَعَ الرَّأْسَ فَلَا بَأْسَ بِهِ، … وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً أَنْ تَكُونَ أَمَامَ الْمُصَلِّي ثُمَّ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ يَمِينَهُ ثُمَّ يَسَارَهُ ثُمَّ خَلْفَهُ هَكَذَا فِي الْكَافِي. (الفتاوى العالمگیریۃ المعروفة بالفتاوى الهندية في مذهب الامام الاعظم ابي حنيفة النعمان رحمة الله عليه كتاب الصلوة الباب السابع: فيما يفسد الصلاة و مايكره فيها الْفَصْلُ الثَّانِي: فِيمَا يُكْرَهُ فِي الصَّلَاةِ وَمَا لَا يُكْرَهُ المجلد الاول الصفحة ১০৭ التأليف: العلامة الهمام مولانا الشيخ نظام و جماعة من علماء الهند الاعلام رحمة الله عليهم)

অর্থ: প্রাণীর ছবি যদি এতো ছোট হয় যাতে দর্শকের দৃষ্টিতে আসে না তাহলে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে না এবং মাথা কাটা থাকলেও নামায পড়তে অসুবিধা নেই। (যদি ছবি বুঝা না যায়) মুছাল্লীর সামনে, মাথার উপর, ডান দিকে, বাম দিকে ও পিছনে প্রাণীর ছবি থাকলে  নামায শক্ত মাকরূহ তাহরীমী তথা হারাম হবে। । অনুরুপ ‘কাফী’ কিতাবে আছে। (আল্ ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ প্রশিদ্ধ আল্ ফাতাওয়াল্ হিন্দিয়াহ ফী মাযহাবিল ইমামিল্ আ’যম আবী হানীফাতিন্ নু’মান রহমাতুল্লাহি আলাইহি অধ্যায়: নামায ৭ম পরিচ্ছেদ: ফীমা ইউফসিদুছ্ ছলাত ওয়া মা ইউকরাহূ ফীহা দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ: ফীমা ইউকরাহূ ফিছ্ ছলাহ ওয়া মা লাইউকরাহূ ১ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা লেখক: আল্ আল্লামাতুল্ হুমাম মাওলানা শায়েখ নিযাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হিন্দুস্থানের একদল মুহাক্কিক্ব উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম)

(১১৫৬-১১৫৮)

وَفِى التَّهْذِيبِ وَلَوْ كَانَتْ عَلَى وِسَادَةٍ مَنْصُوبَةٍ بَيْنَ يَدَيْهِ يُكْرَهُ كَذَا فِي التَّتَارْخَانِيَّة. (الفتاوى العالمگیریۃ المعروفة بالفتاوى الهندية في مدهب الامام الاعظم ابي حنيفة النعمان رحمة الله عليه كتاب الصلوة الباب السابع: فيما يفسد الصلاة و مايكره فيها الْفَصْلُ الثَّانِي: فِيمَا يُكْرَهُ فِي الصَّلَاةِ وَمَا لَا يُكْرَهُ المجلد الاول الصفحة ۱۰۷ التأليف: العلامة الهمام مولانا الشيخ نظام و جماعة من علماء الهند الاعلام رحمة الله عليهم)

অর্থ: “আত্ তাহযীব” কিতাবে আছে, প্রাণীর ছবি যদি বালিশের উপর সামনে থাকে তাহলে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। অনুরুপ “ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়াতে” আছে। (আল্ ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ প্রশিদ্ধ আল্ ফাতাওয়াল্ হিন্দিয়াহ ফী মাযহাবিল ইমামিল্ আ’যম আবী হানীফাতিন্ নু’মান রহমাতুল্লাহি আলাইহি অধ্যায়: নামায ৭ম পরিচ্ছেদ: ফীমা ইউফসিদুছ্ ছলাত ওয়া মা ইউকরাহূ ফীহা দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ: ফীমা ইউকরাহূ ফিছ্ ছলাহ ওয়া মা লাইউকরাহূ ১ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা লেখক: আল্ আল্লামাতুল্ হুমাম মাওলানা শায়েখ নিযাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হিন্দুস্থানের একদল মুহাক্কিক্ব উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম)

(১১৫৯-১১৬০)

وَلَا يُكْرَهُ تِمْثَالُ غَيْرِ ذِي الرُّوحِ كَذَا فِي النِّهَايَةِ. (الفتاوى العالمگیریۃ المعروفة بالفتاوى الهندية في مدهب الامام الاعظم ابي حنيفة النعمان رحمة الله عليه كتاب الصلوة الباب السابع: فيما يفسد الصلاة و مايكره فيها الْفَصْلُ الثَّانِي: فِيمَا يُكْرَهُ فِي الصَّلَاةِ وَمَا لَا يُكْرَهُ المجلد الاول الصفحة ۱۰۷ التأليف: العلامة الهمام مولانا الشيخ نظام و جماعة من علماء الهند الاعلام رحمة الله عليهم)

অর্থ: প্রাণহীনের আকৃতি বা ছবি মাকরূহ তাহরীমী নয়। অনুরুপ ‘নিহায়া’ কিতাবে আছে। (আল্ ফাতাওয়াল্ আলমগীরিয়াহ প্রশিদ্ধ আল্ ফাতাওয়াল্ হিন্দিয়াহ ফী মাযহাবিল ইমামিল্ আ’যম আবী হানীফাতিন্ নু’মান রহমাতুল্লাহি আলাইহি অধ্যায়: নামায ৭ম পরিচ্ছেদ: ফীমা ইউফসিদুছ্ ছলাত ওয়া মা ইউকরাহূ ফীহা দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ: ফীমা ইউকরাহূ ফিছ্ ছলাহ ওয়া মা লাইউকরাহূ ১ম খন্ড ১০৭ পৃষ্ঠা লেখক: আল্ আল্লামাতুল্ হুমাম মাওলানা শায়েখ নিযাম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হিন্দুস্থানের একদল মুহাক্কিক্ব উলামা কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম)

উপসংহার

মহা পবিত্র হাদীছ শরীফ, মহা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার শরাহ শরীফ, মহা পবিত্র তাফসীর শরীফ ও ফিক্হ-ফাতাওয়া উনাদের প্রায় ১১৬০খানা দলীল দ্বারা যা প্রমাণীত হলো তা হচ্ছে:

১.   প্রানীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য,পুতুল, প্রতিকৃতি, প্রতিমা, ম্যানিকিন ইত্যাদী তৈরি করা, করানো, দেখা, দেখানো, তোলা, তোলানো ইত্যাদী হারাম ও নাজায়িয।

২.   ক্যামেরা দ্বারা তোলা আর হাত দ্বারা আঁকার একই হুকুম। এতে কোন পার্থক্য নেই।

৩.   প্রাণীর ছবির উপর সিজদাহ দেয়া কুফরী। এতে মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সাথে শরীক করা হয়ে থাকে। প্রাণীর ছবিকে সম্মান করাও কুফরী ও শিরকী।

৪.   গাছপালার ছবি চর্চা বা অনুশীলন করা জায়িয। অনুরুপ প্রাণহীনের ছবি আঁকা, তোলা, দেখা ইত্যাদী জায়িয।

৫.   মাথা কাটা ছবি মাথা কাটার কারণে যদি প্রাণীর ছবি হিসেবে বুঝা না যায় বরং গাছপালার মত বুঝা যায় তাহলে তা জায়িয।

৬.   কোন অবস্থাতেই মূর্তি পুজা করা জায়িয নেই। প্রাণীর ছবি দেখা রাখা আর মূর্তি পুজা করা একই কথা। এতে কোন পার্থক্য নেই।

৭.   কারো জন্য যদি হালাল কামাই করতে গিয়ে চাকরি-ব্যবসা করতেই হয়। তবে তাকে প্রথমতঃ কোশেশ করতে হবে ছবি ছাড়া চাকরি ও ব্যবসা করার। যদি ছবি ছাড়া চাকরি-ব্যবসার কোন ব্যবস্থা না হয় তবে সেক্ষেত্রে মা’জুর বা অপরাগ হিসেবে চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ছবি তোলা মুবাহ। তবে অবশ্যই তাও হারাম জেনেই তুলতে হবে। জায়িয বলা যাবে না।

৮.   যদি কারো পক্ষে দেশে থেকে জরুরত আন্দাজ হালাল কামাই করা সম্ভব না হয় এবং কেউ এরূপ অসুস্থ হয় যে- দেশে তাকে চিকিৎসা করে ভাল করা সম্ভব নয় বিদেশে নিলে ভাল হবে এক্ষেত্রে মা’জুর হিসেবে ছবিসহ পাসপোর্ট করে বিদেশ যেতে পারবে। এছাড়া ভ্রমণ বা জরুরত ব্যতীত অন্যকোন কারণে ছবিসহ পাসপোর্ট করা জায়িয নেই।

৯. যানবাহন বর্তমানে একটি জরুরী বিষয়। আর ড্রাইভার ব্যতীত যান বাহনের কোন চিন্তাই করা যায় না। তাছাড়া অনেকের জন্য ড্রাইভিং পেশাটাও যেহেতু হালাল কামাইয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম তাই এক্ষেত্রে মা’জুর হিসেবে লাইসেন্স এর জন্য ছবি তোলা মুবাহ।

১০. যদি কারো জন্য টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, নিজ ঘরে রাখা নিরাপদ মনে না হয়। বরং চুরি-ডাকাতির আশঙ্কা থাকে তবে এক্ষেত্রেও ছবিসহ ব্যাংক একাউন্ট করা মা’জুর হিসেবে মুবাহ হবে।

১১. জমি ক্রয় বিক্রয়ের বিষয়টিও ক্ষেত্র বিশেষে জরুরী। কাজেই যদি কারো জন্য জমি ক্রয় করা বিক্রয় করা অপরিহার্য হয়েই পরে তবে সেক্ষেত্রে মা’জুর হিসেবে ছবিসহ জমি ক্রয় বিক্রয় করতে পারবে।

১২. যেহেতু জরুরত আন্দাজ ইলম অর্জন করা সকলের জন্য ফরয। তার পাশাপাশি হুনর বা দুনিয়াবী জ্ঞান অর্জন করাও জরুরী বিধায় উল্লিখিত ক্ষেত্রে ছবি তোলার ব্যাপারে সকলে মা’জুর। তবে ছবি ছাড়া পড়া শুনা করার যদি কোন সুযোগ থাকে তবে সেক্ষেত্রে ছবিসহ  পড়া-শুনা করা জায়িয হবে না।

১৩. সাধারণভাবে কোন প্রকার আইডি কার্ড বা পরিচয় পত্রের জন্যই ছবি তোলা জায়িয নেই। ভোটার আইডি কার্ড ও ন্যাশনাল আইডি কার্ডের জন্যও ছবি তোলা জায়িয নেই। কারণ এগুলো কোনটাই জরুরতের মধ্যে পড়ে না। কাজেই সাধারণভাবে এক্ষেত্রে মা’জুরের মাসয়ালাও গ্রহণযোগ্য নয়।

তবে হ্যাঁ সরকার বা কোম্পানী অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ যদি জোরপূর্বক ছবিসহ পরিচয় পত্র করতে বাধ্য করে আর পরিচয় পত্র না করলে যদি চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে অথবা আইডি কার্ড ব্যতীত জরুরী কোন কাজ যেমন-ব্যাংক একাউন্ট করা, জমি ক্রয়-বিক্রয় করা, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া না যায় তবে সেক্ষেত্রে সে মা’জুর বলে গণ্য হবে।

১৪. সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফাতাওয়া মতে, টেলিভিশনে প্রাণীর ছবি ভিত্তিক যে কোন প্রোগ্রাম দেখা ও ইসলামী বা অনৈসলামিক যেকোন প্রোগ্রাম করা সম্পূর্ণরূপেই হারাম ও নাজায়িয।

১৫. টেলিভিশন, ভিসিআর, ভিডিও, সিনেমা, ডিস, ভিসিপি ইত্যাদীর মূলেই হচ্ছে ছবি আর সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, তোলানো, দেখা, দেখানো ইত্যাদী সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়িয।

১৬. টেলিভিশন হারাম হওয়ার মূলে প্রাণীর ছবি তো রয়েছেই, সাথে সাথে বেপর্দা ও অশ্লীলতার কারণেও টেলিভিশন দেখা ও রাখা হারাম।

১৭. টেলিভিশন হারাম হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে এতে গান-বাজনা হয়ে থাকে।

১৮. যারা আজ টিভিতে প্রোগ্রাম করছে তাদের কিতাবেও রয়েছে টিভিতে প্রোগ্রাম করা হারাম।

১৯. যে সকল আলিম নামধারী ব্যক্তিরা সম্মানিত ইসলাম উনার নামে টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে তারা উলামায়ে ‘সূ’ বা ধর্মব্যবসায়ী। তাদের বক্তব্য শুনা ও তাদের পিছনে নামায পড়া হারাম।

২০. সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সি.সি. টিভি বা ক্লোজ সার্কিট টিভিও টেলিভিশনের ন্যায় সম্পূর্ণ হারাম। কারণ টেলিভিশনে প্রদর্শিত দৃশ্যাবলী যেরূপ ছবির অন্তর্ভূক্ত, তদ্রুপ সি.সি টিভি বা ক্লোজ সার্কিট টিভিতে প্রদর্শিত দৃশ্যাবলীও ছবির অন্তর্ভুক্ত।

২১. নিরাপত্তার অজুহাতে হোক আর সাধারণভাবে হোক সর্বাবস্থায় মুসলমাদের জন্য সি.সি. টিভি ব্যবহার করা সম্পূর্ণ হারাম ও নাজায়িয।

২২. পবিত্র কা’বা শরীফ, পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হিফাযতকারী মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই। সিসিটিভি বা কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠী এর হিফাযতকারী নয়। তাই নিরাপত্তা বা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে পবিত্র স্থানসমূহে ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি শুধু সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যেই হারাম নয়, মুসলমান উনাদের কাছে তা একটি অবান্তর এবং বিবেক বর্জিত বিষয়।

২৩. নিরাপত্তার অজুহাতে পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফে সি. সি টিভি লাগানো ইহুদী-নাছারা ও তাদের গোলাম ওহাবী সউদি সরকারের এক গভীর ষড়যন্ত্র।

২৪. সম্মানিত শরীয়ত উনার ফাতাওয়া হলো- হারাম জিনিষের ব্যবসা ও চাকুরী করাও হারাম। মাকরূহ জিনিষের ব্যবসা ও চাকুরী করাও মাকরূহ। তাই হারাম প্রাণীর ছবির ব্যবসা করা হারাম ও নাজায়িয।

২৫. সম্মানিত শারীয়ত উনার দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবিযুক্ত আসবাব পত্র, বই-কিতাব, পত্র-পত্রিকা ইত্যাদী ক্রয়-বিক্রয় করা হারাম ও নাজায়িয।

২৬. প্রাণীর ছবি প্রকাশ্যে ঘরে রাখা বা টাঙ্গানো হারাম ও নাজায়িয।

২৭. যে ঘরে প্রাণীর ছবি, মূর্তি রয়েছে সে ঘর থেকে তা সরিয়ে না ফেলা পর্যন্ত সে ঘরে প্রবেশ করা হারাম।

২৮. যে সকল ইমাম ও খতীব হারাম জেনে ছবি তোলে ও টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করে তারা চরম ফাসিকের অন্তর্ভুক্ত। কারণ তারা হারাম ও কবীরা গুনাহ্য় মশগুল। আর সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো ফাসিকের ইমামতিতে নামায আদায় করা মাকরূহ্ তাহরীমী। আর নামায মাকরূহ তাহরীমী হলে উক্ত নামায দোহরায়ে পড়া ওয়াজিব।

২৯. যে পীর ছবি তোলে, টিভি দেখে ও টিভি চ্যানেলে প্রোগাম করে সে হক্কানী পীর নয়। কাজেই এরূপ পীরের নিকট বাইয়াত হওয়া কস্মিনকালেও জায়িয নেই বরং হারাম। যদি কেউ এরূপ কোন পীরের নিকট বাইয়াত হয়ে থাকে তবে তার জন্য ফরয হচ্ছে উক্ত পীরকে ছেড়ে দিয়ে একজন হক্কানী-রব্বানী পীর ছাহেব উনার নিকট বাইয়াত হওয়া।

৩০. পীরের ছবিসহ যে কোন লোকের ছবি ঘরে রাখা ও গলায় ঝুলানো হারাম ও কাট্টা কুফরী। উল্লেখ্য যে, যে পীর ছবি তোলে এবং নিজ ছবি ঘরে ও গলায় ঝুলানোর অনুমতি দেয় সে কস্মিনকালেও পীর নয় বরং সে ভ- ও প্রতারক। অর্থাৎ পীর নামের কলঙ্ক। যদি কেউ এরূপ পীরের কাছে বাইয়াত হয়ে থাকে তবে তার জন্য ফরয হচ্ছে উক্ত তথাকথিত পীরকে তরক করে একজন হক্কানী-রব্বানী পীর, শায়খ বা মুর্শিদ উনার হাতে বাইয়াত হওয়া।

৩১. মৃত ব্যক্তির গোসল, কাফন-দাফন ইত্যাদির ছবি তোলা বা ভিডিও করা সম্পূর্ণই হারাম ও কবীরাহ গুনাহ্র অন্তর্ভুক্ত।

৩২. বিবাহ, আক্বীক্বা, সুন্নতে খৎনা, কুরবানী, পবিত্র মীলাদ শরীফ উনার মাহফিলসহ সর্বপ্রকার অনুষ্ঠান-এর ছবি তোলা ও ভিডিও করা হারাম।

৩৩. চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ছবি তোলা হয় তা মা’যুর-এর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আমরা মা’যুর অর্থাৎ কারো জন্য যদি এক্স-রে আল্ট্রা সনোগ্রাম ইত্যাদি করা জরুরত হয় তখন সে মা’যূর হিসেবে তা করতে পারবে। কেননা জীবন রক্ষা করা ও স্বাস্থ্যকে হিফাযত করা ফরয।

৩৪. মূর্তিপূজা করা, মূর্তি তৈরি করা, দেবদেবীর নামে পশু বলি দেয়া, মহান আল্লাহ পাক উনার নাম মুবারক ব্যতীত প্রতিমার নামে যবাই করা এবং এ সব যবাই ও বলিকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম। এগুলোকে হালাল জানা এবং এগুলোকে সম্মান করা কুফরী ও শিরকী। এটাই পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া।

৩৫. মূর্তি, প্রতিমা, প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য, প্রাণীর ছবি ইত্যাদি অপবিত্র বস্তু। যার অনুশীলন থেকে বেঁচে থাকতে নির্দেশ করা হয়েছে। এজন্য এগুলোর চর্চা করা শক্ত হারাম, শিরকী ও কুফরী। সকলকে মূর্তি ও আধুনিক মূর্তি প্রাণীর ছবি থেকে দূরে থাকতে হবে। এগুলো থেকে বেঁচে থাকা ফরযে আইনের অন্তর্ভুক্ত।

৩৬. প্রমানিত হলো যে, প্রাণীর ছবি মূলত: মূর্তি-প্রতিমা। এটা আধুনিক প্রতিমা। প্রতিমা পূজা করা আর প্রাণীর ছবিকে সম্মান দেখানো একই অপরাধ। অপরাধটি হলো কুফরী ও র্শিকী।

৩৭. নামাযীর সামনে, পিছনে, ডানে, বামে, উপরে, নিচে ইত্যাদী যেকোন দিকে প্রাণীর ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য, ম্যানিকিন, পুতুল, কার্টুন, প্রতিমা, প্রতিকৃতি থাকলে নামায মাকরূহ তাহরীমী হবে। আর উক্ত নামায দোহরায়ে পড়া ওয়াজিব এটাই পবিত্র শরীয়াত উনার চুড়ান্ত ফাতাওয়া।

মহান আল্লাহ তায়ালা রব্বুল আলামীন তিনি সারা বিশ্ববাসীকে উল্লেখিত ফাতাওয়া মুতাবিক চলার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৫