প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময় বিষয়টি ভাবিবার- ১২

সংখ্যা: ১১৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, আওলার্দু রসূল, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, বর্তমান পনের হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর একটি ক্বওল শরীফ হইতেছে “তাফসীর ঐ ব্যক্তি বেশী বোঝে, যে দুনিয়া বেশী বোঝে।”

বলাবাহুল্য, তাফসীর বলিতে এইখানে গোটা ইসলামকেই বোঝানো হইয়াছে। তিনি আরো বলেন, আল্লাহ্ পাক মানুষকে দুনিয়াতে পাঠাইয়াছেন। কারণ দুনিয়াবী অনুষঙ্গ তথা উদাহরণ থেকে আল্লাহ্ পাক-এর মুহব্বত-মারিফত, হুকুম-আহকাম উপলব্ধি করা সোজা।”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইসলামের নাম দিয়া গণতন্ত্র, নির্বাচন করা হারাম, ইহা বর্তমান পনের হিজরী শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর এক অভূতপূর্ব তাজদীদ।

মূলতঃ এই তাজদীদের অনিবার্যতা খুব সহজেই অনুমেয় এবং লক্ষ্যণীয়। সম্প্রতি সারা দেশে ইউপি নির্বাচনে ঘটিত বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে ইহার যৌক্তিকতা যথারীতি দৃশ্যমান।

উল্লেখ্য নির্বাচনের ইতিহাসের সাথে ইউপি নির্বাচনের ইতিহাসও সাদৃশ্যপূর্ণ। দুটিরই প্রবর্তনকারী ইহুদী খ্রীষ্টান। যেমন নির্বাচন তথা Election সম্পর্কে ধর্ম-মিথলজি বিষয়ক Encyclopedia Man, Myth’s & Magic এ বলা হইয়াছে- Election, the world is derived from the Greek word eloge (choice). The idea is basic to the traditional structure of Christian theology. অর্থাৎ ইলেকশন বা নির্বাচন শব্দটি উৎসারিত হইয়াছে বা উৎপত্তি লাভ করিয়াছে গ্রীক শব্দ Eloge হইতে, যাহার অর্থ ছিল পছন্দ। নির্বাচনের ধারণা প্রাচীন খ্রীষ্টীয় ধর্মতত্ত্বের ব্যাখ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত।

মূলকথা হইতেছে নির্বাচন খ্রীষ্টীয় ধর্মতত্ত্বের সহিত বিশেষভাবে সম্পৃক্ত একটি বিষয়। এই বিষয়ে Man, Myth & Magic Encyclopedia তে আরো বলা হইয়াছে, “However that the doctrine of election found its most notable expression in Christianity”.

উল্লেখ্য, বৃটিশ আমলে ১৮৭০ সন হইতে শুরু করিয়া ১২৮ বছর ধরিয়া ইউপি নির্বাচন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বর্তমান অবস্থায় উপনীত হইয়াছে। ১৯৭৩, ১৯৭৭, ১৯৮২, ১৯৮৮, ১৯৯২ এবং ১৯৯৭ পর পর ছয়টি নির্বাচনের পর ২০০৩ সনের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী-মার্চ ৫১ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হইতে চলিয়াছে সপ্তম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

গত ২৫শে জানুয়ারী হইতে ১৬ই মার্চ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে দেশের ৪ হাজার ৪৯৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪ হাজার ২২৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।   দেশের ৪ হাজার ২২৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বারের ৫৪ হাজার ৯৬৪টি পদে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৪ জন প্রার্থী হইয়াছেন। ইহার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২১ হাজার ৩৭৬, মেম্বার পদে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯০৯ এবং মহিলা মেম্বার পদে ৩৯ হাজার ৪১৯ জন প্রার্থী। এই নির্বাচনে ৩ কোটি ১৩ লাখ ৪৪ হাজার ১০৮জন পুরুষ, ৩ কোটি ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৯৮ জন মহিলা ভোটারসহ মোট ভোটার হইতেছেন ৬ কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার ৮০৬ জন।  ভোট গ্রহণের জন্য সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩৭২টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করার কথা। ভোট কক্ষ হওয়ার কথা, ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৯টি। ভোট গ্রহণের জন্য ১ হাজার ৮৬৮ জন রিটার্নিং অফিসার, ৩৯ হাজার ৩৭২ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ৩ লাখ ১১ হাজার ৪৯ জন পোলিং অফিসার, ১ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৪ জন পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করার কথা। ১৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৮টি তিন ধরনের ব্যালট পেপার ছাপা হইয়াছে। এইবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হইয়াছে ৫৫ কোটি টাকা। যাহার মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা খাতেই ৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হইয়াছে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী অভিজ্ঞতা ১৯৯৭

নির্বাচনী ব্যয়ের দিক হইতে বিগত ৬ষ্ঠ ইউপি নির্বাচনে ’৯৭ সম্পর্কে রেকর্ড এই নির্বাচন সম্পর্কিত একটি ধারণা দেয়। “দৈনিক জনকণ্ঠের একটি হিসাবে প্রার্থী ও সমর্থকগণ হইতে প্রায় ৪৯০০ কোটি টাকা নির্বাচন উপলক্ষ্যে হাত বদল হইয়াছে বলিয়া ধারণা করা হয়। নির্বাচন পরিচালনায় সরকারী ব্যয় ছিল ৪৪ কোটি টাকা। এলাকা বিশেষ কোন কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৫-২০ লাখ টাকাও খরচ করিয়াছে বলিয়া জানা গিয়াছে। মহিলা প্রার্থীদের খরচও নিতান্ত অবহেলার ছিল না। কুমিল্লা অঞ্চলে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়াছে যে, একজন মহিলা প্রার্থীর স্বামী, দেবর এবং ভাইগণ মিলিয়া প্রায় ২ লাখ টাকা খরচ করিয়াছেন বলিয়া জানা যায়। কিন্তু তিনি শেষ পর্যন্ত পরাজিত হন। একই এলাকার অপর এক মহিলা প্রার্থী জমি বিক্রি করিয়া ৩০ হাজার টাকা খরচ করিয়াও পরাজিত হন। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ গ্রামীন সমবায় এবং গত পাঁচ বছর ইউনিয়ন পরিষদের মনোনীত সদস্য থাকার পর যিনি জয়ী হইয়াছেন তিনিও ৫০ হাজার টাকা খরচ করিয়াছেন বলিয়া স্বীকার করেন। উল্লেখ্য যে, শেষের দু’জন প্রার্থীর আর্থিক অবস্থাকে মোটেই সচ্ছল বলা যায় না। তবুও তাহাদেরকে এই টাকা খরচ করিতে হইয়াছে।

নির্বাচনী সহিংসতা

জাতীয় ও স্থানীয় সকল নির্বাচনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণই নয় বরং বিশেষ সহিংসতাযুক্তও হইয়া থাকে। বিগত ৬ষ্ঠ ইউপি নির্বাচনে পুলিশ (২৩০০০), আনসার (৪৮০০০) এবং বিডিআর (৩০০০) মিলিয়া ৭৪০০০ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত হয়। কিন্তু তাহার পরও দেখা যায় যে, নির্বাচনী দাঙ্গায় সারাদেশে ৩৩ জন নিহত এবং প্রায় ৫০০টি বড় ধরণের সংঘর্ষের তথ্য সরকারীভাবে প্রকাশ করা হইয়াছে। বিভিন্ন কারণে দেশের মোট ৩১৯টি কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করা হইয়াছিল।

নির্বাচনে দলাদলি

যদিও বলা হয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলাদলি হইবেনা তথাপি বাস্তবে দেখা যায় যে তাহা প্রায় সম্পূর্ণরূপে রাজনৈতিক দলাদলি প্রসূত।

দৈনিক সংবাদের ৬-২২শে জানুয়ারী ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন জিলাভিত্তিক জরিপ প্রতিবেদনসমূহ হইতে ২০১৫ জন চেয়ারম্যানের দলীয় পরিচয়ের একটি সারণী তৈরী করিয়া দেখা যায় যে, ঐ সংখ্যার সর্বমোট ২০১৫ জন নির্বাচিত চেয়ারম্যানের ৫২% অর্থাৎ ১০৫১ জন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থক, নেতা ও কর্মী। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ৪৯৭টি (২৫%) আসনে নিজ দলীয় সমর্থক, নেতা ও কর্মী পাইয়া দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন। তৃতীয় অবস্থানটি কোন রাজনৈতিক দল পাননি। ১০% অর্থাৎ ১৯০ জন নিজেদের নির্দলীয় চেয়ারম্যান বলিয়া দাবী করিয়াছিলেন এবং বাকী আসনগুলোও ছিল অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থী। অর্থাৎ কথিত ইউপি নির্বাচন সম্পূর্ণরূপেই কথিত বহুদলীয় গণতন্ত্রেরই স্থানীয় নির্বাচন বটে।

নির্বাচন সন্ত্রাসীর জন্মদাতা

অতীতে দেখা গিয়াছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গ্রামাঞ্চলে ৪/৫ হাজার কোটি টাকা নির্বাচনকে কেন্দ্র করিয়া হাতবদল হয় এবং ঐ টাকার কর্মকান্ডে জড়াইয়া অনেক শিশু-কিশোর জীবনে প্রথমবাবের মত কিছু নগদ অর্থ, ধুমপান, দোকান বা রেস্তোরায় চা-পান প্রভৃতির সাথে সাথে অপরাধ জগতের সাথেও পরিচিত হয়। কোন কোন সময় পেশাদার অপরাধী ও সন্ত্রাসীগণ শিশু কিশোরদিগকে অপরাধ জগতে যোগদানে প্রলুব্ধ করিয়া থাকে।

নির্বাচনী মাদকতা

নির্বাচনী হাওয়ার একটি মাদকতা রহিয়াছে। ইহাকে অনেকে নির্বাচনী জ্বর (Election Fever) ও বলিয়া থাকেন। এই মাদকগুণে বা দোষে মানুষ ঐ সময়ের মধ্যে অন্যসব প্রসঙ্গ ভুলিয়া যায়। প্রার্থীগণ খরচের তাল সামলাইতে জমিজমা এবং ঘরের টিন পর্যন্ত বিক্রি করিয়াছেন এমন প্রমাণও রহিয়াছে। স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ভাতিজা, শ্বশুর-জামাই এই রকম আত্মীয়ের মধ্যেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় যা আত্মীয়তার সম্পর্ক তথা স্বামী-স্ত্রীর ঘর-সংসার পর্যন্ত ভাঙ্গার কারণ হয়।       নিম্নে এইবারের নির্বাচনে এইরকম কয়েকটি নির্বাচনের উদাহরণ দেওয়া হইলোঃ (১) পঞ্চগড়ে স্বামী-স্ত্রীর লড়াই, (২) কিশোরগঞ্জে চাচি-ভাতিজা ভোটযুদ্ধ, (৩) গলাচিপায় ননদ-ভাবী, (৪) নরসিংদীতে পিতা-পুত্র, (৫) রাজৈরে বউ-শাশুড়ী, (৬) সিরাজদিখানে ভাই-বোন, (৭) ফরিদগঞ্জে ভাইয়ে-ভাইয়ে, (৮) বেগমগঞ্জে দেবর-ভাবিতে, (৯) কুড়িগ্রামে দুই সতীনে, (১০) কাশিয়ানী উপ জেলায় শ্বশুর-জামাই, (১১) পুত্রা-তাঐ, (১২) বউ-শাশুড়ী, (১৩) যশোরে শ্যালক-দুলাভাই, (১৪) কিশোরগঞ্জে বোনের বিরুদ্ধে বোন; অর্থাৎ পরিবার, সমাজের সম্পর্কগত যত দিক আছে সবদিকের সম্পর্কেই নির্বাচনের কাছে হার মানিয়াছে। আর এইসব উদাহরণ কেবল এক স্থানেই নহে, অনেক জায়গায়ই ইহার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়াছে। বহু জায়গায় বহু স্বামী-স্ত্রী তালাক হইয়াছে।

উল্লেখ্য, পর্যবেক্ষক মহল জানাইয়াছেন এইবারের ইউপি নির্বাচনে গতবারের ব্যয়িত ৪/৫ হাজার কোটি টাকার আরো অনেক বেশী খরচ হইবে। শুধু চা আর বিড়িতেই খরচ হইবে কয়েকশ কোটি টাকা। এবং সত্যি সত্যি ইউপি নির্বাচনের ঘোষণার পর হইতেই চায়ের দাম বাড়িয়া গিয়াছে। দাম বাড়িয়াছে অন্যান্য সব জিনিস পত্রেরও। অর্থনীতিবিদরা মনে করিয়াছেন মুদ্রাষ্ফীতি আরো বাড়িবে।

এমনকি স্বয়ং অর্থমন্ত্রী পর্যন্ত স্বীকারে বাধ্য হইয়াছেন, আগামী ৩ মাস দেশের অর্থনীতির জন্য চরম হুমকির সময়। পর্যবেক্ষকমহল মনে করিতেছেন ১৫ মাসের মধ্যে দুইটি বড় নির্বাচনই এই সঙ্কটের মূল কারণ। মূলতঃ ইহার মূল্য দিতেছে জনগণ এবং আগামী ভোগান্তিও তাহাদের। অথচ জনগণকে শিখাইয়া দেওয়া হইয়াছে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, গণতন্ত্র, নির্বাচন।

বলাবাহুল্য এই কথা জনগণকে কুরআন-সুন্নাহর কোন নির্দেশ, কোন নবী-রসূল অথবা আউলিয়া-ই-কিরাম শিখান নাই।

এইকথা শিখাইয়াছে ইহুদী-নাছারারা। তাহারা এইদেশের মুসলমানগণের ভিতর গণতন্ত্রের নামে ইহুদী-নাছারাতন্ত্র, তথা নির্বাচনতন্ত্র ঢুকাইয়া দিয়াছে। আজিকার ইউপি নির্বাচনও তাহাদেরই সৃষ্ট প্রথা। ১৮৭০ সালে তাহারা এই প্রথার প্রবর্তন করিয়াছিল।

চা খাওয়া শিখানোর মত নির্বাচনী তন্ত্রও তাহাদের শিখাইয়া দেওয়া জিনিস। কিন্তু চা খাওয়া মোবাহর মধ্যে পড়ে, তাই তাহা গ্রহণ করা যাইতে পারে। কিন্তু নির্বাচন তো, ‘সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ’ এই তন্ত্রকথার প্রেক্ষিতে পরিচালিত। আবার হাদীস শরীফে প্রার্থী হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং স্পষ্টভাবে বিবৃত- ‘যে ক্ষমতা প্রার্থী হয় তাহার প্রতি লা’নত।’ নির্বাচন তথা গণতন্ত্র সেই লা’নতের দিকেই ধাবিত করে। যেই লা’নতের পক্ষে গিয়াছে ইহুদীরা-খ্রীষ্টানরা; তাই আমরা এখনও দেখি যে, প্রতিটি নির্বাচনই পর্যবেক্ষণ করিবার জন্য উৎসাহিত করিবার জন্য বিশেষভাবে ইহুদী-নাছারাদের পর্যবেক্ষকমহল সরাসরি গিয়া থাকে।

এইবারের ইউপি নির্বাচনেও ইউ. এস. এ. আই. ডি. এন. ডি. আই.ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস তথা আরো অন্যান্য আন্তর্জাতিক ইহুদী-খ্রীষ্টান পর্যবেক্ষক টীম ইউপি নির্বাচন তদারকি তথা নিয়ন্ত্রণ করিয়াছে। অথচ এই ইহুদী নাছারাদের প্রতি উদ্দেশ্য করিয়াই আমরা প্রতি নামাযে সূরা ফাতিহার শেষ বাক্য আওড়াইয়া থাকি, “উহাদের পথে পরিচালিত করিবেন না, আয় আল্লাহ্ পাক! যাহারা গযবপ্রাপ্ত, লা’নতগ্রস্থ।” মূলতঃ যাহারা ইহুদী নাছারা।

অতএব এখনই চরম সময় আমাদের ভাবিবার জন্য; ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত লা’নতীতন্ত্র তথা গণতন্ত্র সম্পর্কে।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ্, বাসাবো, ঢাকা।

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৪

প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার- ১০

একটি অভূতপূর্ব ওয়াজ শরীফ এবং কম্পিউটারে কুরআন শরীফ, মাজার শরীফের উপরে ভাসমান দৃশ্য ও তাঞ্জানিয়ার সেই ছেলের কথা

প্রসঙ্গঃ দরসে বুখারীর পঞ্চদশ বছর পূর্তি নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৫