প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার- ১০

সংখ্যা: ১১২তম সংখ্যা | বিভাগ:

         রমাদ্বানের পরই হজ্বের আভাস লাগিয়া যায়। হাজ্বী সাহেব ছাড়াও মুসলমান মাত্রই একটি বিশেষ হজ্বের প্রসঙ্গে সবার হৃদয় আলোড়িত হয়। মুলতঃ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবনেও সেটা ছিল বিশেষ হজ্ব। বিদায় হজ্ব নামে যাহা ইতিহাসখ্যাত। বিদায় হজ্বের খুৎবাহ মুসলমান ঘরে ঘরে বহুল আলোচিত, পঠিত। বিশেষ করিয়া “তোমরা যতক্ষণ পর্যন্ত কুরআন-হাদীস আঁকড়াইয়া ধরিয়া থাকিবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা কামিয়াব থাকিবে। যখনই তোমরা কুরআন-সুন্নাহ হইতে বিচ্যূত হইবে তখনই লাঞ্ছিত, পদদলিত হইবে।”

          বলাবাহুল্য খুব মশহুর এই হাদীস শরীফের মমার্থ অনুধাবনে এবং ধ্যান-ধারণার প্রতিফলনে আমরা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হইতেছি। এমনকি আমাদের তথাকথিত আলিম সমাজ, ইসলামপন্থী দলের নেতা-কর্মী এবং সেই ভাবধারার বুদ্ধিজীবী, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক সবাই।

          সম্প্রতি পাকিস্তান, মরক্কোয় তথাকথিত ইসলামপন্থী দল, নির্বাচনে তুলনামূলক বেশী আসন পাওয়ায় উক্ত মহলটি অতিমাত্রায় উল্লাসিত হইয়া পড়িয়াছে। ইহাকেই তাহারা মুসলমানদের বিজয়, ইসলামের কামিয়াবী বলিয়া ধরিয়া নিয়াছে। কিন্তু ইহা যে বিদায় হজ্বের মশহুর সেই হাদীস শরীফের সহিত আদৌ সঙ্গতিপূর্ণ নহে, তাহা কি তাহারা একবারও ভাবিয়া দেখিয়াছে?

          আর যেই বিজয় বা কামিয়াবী, আসলে বিদায় হজ্বের মশহুর এই হাদীস শরীফের উক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নহে তাহা যে, আদৌ বিজয় বা কামিয়াবী হইতে পারেনা তাহা কি তাহারা একবারও উপলব্ধি করিয়াছে? এবং নিকট অতীত ইতিহাস হইতে সুদূরের ইতিহাস সবই যে, বিদায় হজ্বের মশহুর এই হাদীস শরীফের শিক্ষাই বার বার উদ্ভাসিত করিয়াছে তাহা কি তাহারা বিন্দুমাত্র পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে তাকাইয়া দেখিয়াছে।

          পাকিস্তান, মরক্কোর (যে সম্পর্কে এই কলামে গত সংখ্যায় লেখা হইয়াছে) পর তাহারা এখন তুরস্কের নির্বাচনের সাম্প্রতিক ফলাফল লইয়া উল্লাসে উচ্ছ্বসিত হইয়া পড়িতেছে।

          এই মতাদর্শের একটি দৈনিকে মন্তব্য করা হইয়াছে, “তুরস্কের সাধারণ নির্বাচনে ইসলামপন্থী দল জাষ্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নিরষ্কুশভাবে জয়লাভ করেছে। নির্বাচনে বিজয়ী প্রধানমন্ত্রী বুলন্দ জাভেদের ত্রিদলীয় কোয়ালিশনের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের ৭৯ বছরের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইসলামী ভাবধারা সম্পন্ন একটি দল পার্লামেন্টে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে এবং গত ১৫ বছরের মধ্যে একক একটি দল দেশ শাসনের ম্যান্ডেট পেয়েছে। পাকিস্তানের পার্লামেন্ট নির্বাচনে একটি ইসলামপন্থী জোট ভাল ফলাফল করার পর তুরস্কের পার্লামেন্ট নির্বাচনেও ইসলামপন্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে।”(সংগ্রাম ৯ই নভেম্বর)

          অপর একটি দৈনিকে মন্তব্য করা হয়; “নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝে এ মুহুর্তে মুসলিম জাহানের ঈমানদার মানুষের কাছে দুটি ঘটনা স্বস্তিদায়ক হয়েছে। অপরিসীম হতাশার মাঝে সৃষ্টি করেছে আশার আলো। জাগিয়েছে মাথা উঁচু করে দাড়াবার প্রেরণা। জাগ্রত করেছে আত্মবিশ্বাস, সম্বিত। পাকিস্তান ও তুরস্কের সাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে ইসলামী শক্তির উত্থানের প্রেক্ষাপটে এই কথাগুলো লিখলাম। পাকিস্তানে সর্বসাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের জোট মুজাহিদা মজলিসে আমল অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণের সূচনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে তুরস্কের সাধারণ নির্বাচনে ইসলামপন্থী জাষ্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে আর্বিভূত হয়ে একটা নজির সৃষ্টি করেছে।

উল্লিখিত দুইটা দেশেই ইসলামী শক্তির উত্থান ঘটেছে। সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায়। ” (ইনকিলাব ৯ নভেম্বর)

          যাহাকে বলা যায় কিয়ামতের আলামত। যে সম্পর্কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন, ইল্ম উঠিয়া যাইবার সময় এইরূপ হইবে। ইহাতে এক ছাহাবী বিস্ময় প্রকাশ করিয়া বলিলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কিরূপে তাহা হইবে? আমরা আমাদের সন্তানদের ইল্ম শিক্ষা দিয়া থাকি, তাহারা তাহাদের সন্তানকে শিক্ষা দিবে (এবং এইরূপেই তো ইল্ম কিয়ামত পর্যন্ত থাকিবে) জবাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিলেন, তোমার মাতা-পিতা তোমার জন্য ক্রন্দন করুক। এই ইহুদী-নাছারারা কি তাওরাত ইঞ্জিল পড়েনা? (অর্থাৎ তাওরাত, ইঞ্জিলে তো ঠিকই, আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কথা লিখা আছে। সেইটা তো পড়ে তাহারা ঠিকই কিন্তু আমল করে কোথায়।?

          প্রসঙ্গতঃ হুযূগে মাতাল মহল যখন মন্তব্য করেন, “যে উল্লিখিত দুটো দেশেই ইসলামী শক্তির উত্থান ঘটেছে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পন্থায়।” তখন বলিতে হয়, রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্ণিত “ইল্ম উঠিয়া যাওয়ার” বিষয়টি ইহাদের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণভাবে প্রযোজ্য হইয়াছে।

          নচেৎ সেই গণতন্ত্র যেই নির্বাচনই ইসলামের দৃষ্টিতে বিলকুল হারাম; সেই হারাম পন্থায় ইসলামী শক্তির উত্থান হয় কি করিয়া? এতটুকু ইল্ম কালাম যাহাদের নাই তাহারা নিজেদের মুসলমানদের জন্য দরদী ভাবে কি করিয়া? এতটুকু আক্বল সমঝ যাহাদের নাই তাহারা ইসলামের কথা বলে কি করিয়া? ইতিহাস পর্যবেক্ষণে এতটুকু মূল্যায়ন যাহাদের নাই তাহারা কলম ধরে কি করিয়া?

ু       উল্লেখ্য, গত ৩-১১-০২ তারিখে তুরস্কের নির্বাচনে জাষ্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি ৩৪.২% ভোট পাইয়া পার্লামেন্টের মোট ৫৫০ আসনের মধ্যে ৩৬২টি আসনের অধিকারী হইয়াছে।

          উল্লেখ্য এর আগে ১৯৯৫ সালে ওয়েলফেয়ার পার্টি নামের একটি কথিত ইসলামী রাজনৈতিক দল শতকরা ২১% ভোট লাভ করিয়া তুর্কী পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে আর্বিভূত হয়। কিন্তু নিরস্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় মহিলা নেত্রী তানসু সিলারের মাদারল্যান্ড পার্টির সহযোগিতায় সরকার গঠন করে। কিন্তু একবছর না যাইতেই রাষ্ট্রীয় আদর্শ সেকুলারিজমের বিরোধীতার অজুহাতে তুরস্কের সেনাবাহিনীর চাপের মুখে ডঃ আরবাকান নেতৃত্বাধীন ওয়েলফেয়ার পার্টি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। শুধু তাহাই নয়, ইহারপর কথিত ওয়েলফেয়ার পার্টিতে নেতাকর্মীদের উপর দমন-পীড়ন সহ ঐ পার্টিকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

          ইহারপর গঠিত হয় আরেকটি কথিত ইসলামী পার্টি। নাম ভার্চু পার্টি। ১৯৯৯ এর নির্বাচনে ভার্চু পার্টি ১৫.৪% ভোট পাইলেও ২০০১ সালের ২২শে জুন ভার্চু পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর গত ১১ মাস আগে গঠিত হয় জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি। এই পার্টির বিজয়কে ইসলামী বিজয় বলা হইলেও আসলে এই পার্টির ভিত্তি, প্রকৃতি, কর্মসূচী কতটুকু ইসলামী? বা ইসলামী হইলেও কথিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কতটুকু নিরাপদ বা গ্রহণযোগ্য ও টেকসই তাহাই বিবেচ্য বিষয়।

          উল্লেখ্য পত্র-পত্রিকায় জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নেতা, রেসিপ তাইয়েফ এরদুগান সাহেবের বাহ্যিক সূরত হল স্যুট-কোট, টাই পরিহিত ক্লিনশেভ, রীতিমত সাহেব। এবং শুধু শেকেল-সূরতেই সাহেব নয় মতাদর্শগতভাবেও ইতোমধ্যে তাহাকে সাহেবী ভাবধারায় বিশ্বাসী বলিয়া জোরদার প্রচারনা চালাইতে হইতেছে।

          তিনি বলিয়াছেনঃ “আমরা ইসলামপন্থী অক্ষের কোন দল নই।”

তিনি দেশের সংবিধানে ঘোষিত ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি অক্ষুন্ন রাখিবার প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন।

          উল্লেখ্য, তিনি এমন একটি সংবিধানের আওতায় নির্বাচন করিয়াছেন যেইখানে “মসজিদ গুলো আমাদের শিবির, গবুজগুলো আমাদের শিরস্ত্রান, মিনারগুলো আমাদের বেয়নেট, মুসলমানরা আমাদের সৈনিক” এই কবিতা আওড়াইলে জেলে যাইতে হয়, প্রধানমন্ত্রী হইতে ব্যর্থ হইতে হয়। এবং তাহারপরে জনাব গুল যাকে তাহার মুখপাত্র বানাইয়াছেন তাহাকে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় এখনই বারং বার আওড়াইতে হইতেছে মুসলিম পরিচয় নিয়াও একটি দেশ যে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ হইতে পারে সেই প্রমাণই আমরা দিব।

তিনি পশ্চিমা ধাচের বাজারপন্থী অর্থনৈতিক নীতিমালা গ্রহণের কথা বার বার বলিয়া আসিতেছেন।

          তিনি বলিতেছেন, জাতীয স্বার্থ সমুন্নতকারী আই. এম. এফ. এর সকল চুক্তিকে সম্মান করিবেন।

ইহাছাড়া আই. এম. এফ এর নিকট হইতে গত ৩ বছর ধরিয়া তুরস্ক যে অর্থ সাহায্য পাইতে যাইতেছে তাহারই অংশ হিসাবে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়াছে এরদুগান।

          সম্প্রতি সেনাবাহিনী হুশিয়ারী উচ্চারণ করিয়া বলিয়াছে যে তাহারা ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্ককে মৌলবাদের হাত হইতে রক্ষা করিবে। সামরিক বাহিনী প্রধান জেনারেল হিলমি ওজকর্ক এক লিখিত বিবৃতিতে বলিয়াছেন, “প্রজাতন্ত্রকে বিশেষ করিয়া মৌলবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনসহ যে কোন হুমকির হাত হইতে রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় রহিয়াছে তুর্কী সশস্ত্র বাহিনীর।”

          সুতরাং তুরস্কে ইসলামপন্থী দলের বিজয় হইয়াছে, ইসলাম প্রতিষ্ঠা পাইয়াছে এবং গণতান্ত্রিক পন্থায়, নির্বাচন করিয়া ইসলামের বিজয় হইয়াছে বলিয়া যেইসব ধর্মব্যবসায়ী মহল এই দেশে, এইখানে লাফালাফি করিতেছেন তাহাদের চক্ষে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া তাই বলিতে হয়, তুরস্কের নির্বাচনে মোটেই ইসলামের বা ইসলাম পন্থী দলের বিজয় হয় নাই।

          ইসলামী আদর্শ তো দূরের কথা এমনকি ইসলামী নামও তাহারা ধারণ করিতে পারে নাই।

          তাহাদেরকে জোরদার গলায় ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংবিধান সমুন্নত ও পশ্চিমা ভাবধারা অক্ষুন্ন রাখিবার কথা বলিতে হইতেছে। আর ইহাতে একটু মাত্র হেরফের হইলে সেই দেশের সাংবিধানিক আদালত ওয়েলফেয়ার পার্টি, ভার্চু পার্টির মত তাহাদেরও একই দশা করিবে এবং সেনাবাহিনীও বিপুল বিক্রমে তাহাদের পর্যুদস্ত করিবে।

          ইহা ছাড়া ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আই. এম. এফ এর সাথে অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক রাখিবার কথা ব্যক্ত করিয়াছে এরদুগান এবং জনাব গুল দুজনেই।

          কিন্তু উহাদের ততক্ষণ পর্যন্ত সন্তুষ্ট করা যাইবেনা। যতক্ষণ পর্যন্ত না জাষ্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নিজেদের ইসলাম সম্পর্কে নিরুৎসাহিত প্রমাণ না করে। আল্লাহ্ পাক বলেন, ইহুদী-খ্রীষ্টানরা ততক্ষণ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তাহাদের রীতিনীতি আপনি গ্রহণ না করিবেন। “মূলতঃ ইসলাম বাদ দিয়া তাহাদের রীতি নীতি গ্রহণ করিলেই আই. এম. এফ তুরস্কের দান অব্যাহত রাখিবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাহাদের সদস্য করিবে।

          তদুপরি জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে বার বার উচ্চারণ করিতে হইতেছে যে, তাহারা গণতন্ত্র তথা ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করিবে। তাহারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করিবে এই আওয়াজ তো দূরের কথা বরং যতটা পারা যায় গণতন্ত্র ও ধর্ম-নিরপেক্ষতার বুলন্দ আওয়াজ দ্বারা তাহা চাপাইয়া রাখিতে চাহিতেছে।

          আর ইহার দ্বারাও প্রতিভাত হয় যে গণতন্ত্র আর ইসলাম এক কথা নহে। নচেৎ জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি গণতন্ত্র না বলিয়া ইসলামের কথাই বলিতে পারিত।

          অতএব নির্বাচনের পথে তাহাদের দৃশ্যত বিজয় হইলেও ক্ষমতা পাইলেও তাহাদেরকে ক্ষমতায় থাকিতে হইলে চলিতে হইবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ইসলাম বৈরী আইনের আলোকে। বিন্দুমাত্র ইসলাম ভাবাপন্ন হইতে চাহিলে হটিয়া যাইতে হইতে আগের কথিত ইসলামপন্থী দলগুলোর মত।

          সুতরাং গণতান্ত্রিক নির্বাচন দ্বারা তুরস্কে ইসলামপন্থী দলের বিজয় হইয়াছে এ কথা বলা মারাত্মক প্রতারণা বৈ কিছু নহে। বরং এইকথা বলা যাইতে পারে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের নামে মুসলিম নামধারী এরদুগান, গুল এর জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ক্ষমতায় আসিয়াছে, ইসলাম নহে। কারণ গণতন্ত্র, নির্বাচন লা’নতগ্রস্থ ইহুদী-খ্রীষ্টানদের পথ। ইসলামের নামে নির্বাচন সেই লানতেরই প্রক্রিয়া। এই লা’নতের পথে ইসলাম কখনও আসতে পারেনা।

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ্, বাসাবো, ঢাকা।

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৪

একটি অভূতপূর্ব ওয়াজ শরীফ এবং কম্পিউটারে কুরআন শরীফ, মাজার শরীফের উপরে ভাসমান দৃশ্য ও তাঞ্জানিয়ার সেই ছেলের কথা

প্রসঙ্গঃ দরসে বুখারীর পঞ্চদশ বছর পূর্তি নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৫

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -১৪