প্রসঙ্গঃ শাইখুল হদসের দরসে বুখারীর পঞ্চাশ বছর পূর্তি ॥ নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়-৩

সংখ্যা: ১১৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

‘লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্’ এ দোয়ার সাধারণ অর্থ করা হয়ে থাকে, ‘মহান আল্লাহ্ পাক-এর অনুমতি ব্যতীত কোন কাজ করার তাওফিক নেই। আর এর ব্যাখ্যায় বলা হয়ে থাকে যে, মহান আল্লাহ্ পাক-এর অনুমতি ব্যতীত বান্দার কোন নেক কাজ করার ক্ষমতা নেই এবং মহান আল্লাহ্ পাক-এর অনুমতি ব্যতীত বান্দার গুনাহ্ থেকে বেঁচে থাকারও কোন সাধ্য নেই।’

অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক-এর রহমতই মূলকথা। যেটা হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আল্লাহ্ পাক-এর রহমত ব্যতীত আমলের দ্বারা কোন বান্দাই বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনিও নন?’ তখন আখিরী রসূল, রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ মাথা মুবারকের চতুর্পার্শ্বে আঙ্গুলের বেষ্টনী দেখিয়ে বললেন, ‘হে আয়িশা ছিদ্দীকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা! আমিও নই। যতক্ষণ না আল্লাহ্ পাক-এর রহমত আমাকে আবৃত করবে।”

আল্লাহ্ পাক-এর রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘রহমতুল্লিল আলামীন।’ তাঁর ইন্তিকালের পর দুনিয়ার মাঝে কারা রহমতস্বরূপ সে প্রসঙ্গে আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই যারা মুহ্সীন বান্দা তাদের নিকটেই আল্লাহ্ পাক-এর রহমত।”

বলাবাহুল্য, এ আয়াত শরীফের পরিপূর্ণ মিছদাক হলেন যামানার মুজাদ্দিদ। তাই কেবল তাঁর পক্ষেই সকল হারাম থেকে হিফাযত হয়ে, সুন্নতের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পাবন্দি করা শুধু সম্ভবই নয় বরং তাঁর অনবদ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যামানার সমসাময়িক সব বিষয়ে হারাম এবং হালালকে পার্থক্য করে দেয়া। বিজাতীয়, বিদ্য়াতী আমল সম্পর্কে অভূতপূর্ব তাজদীদ করা, অবলুপ্ত সুন্নতকে জিন্দা করা।

বলাবাহুল্য, এতদ্বপ্রেক্ষিতে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত হয় যে, মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক, ইমামুল আইম্মা, কুতুবুল আলম, হাবীবুল্লাহ্, গাউসুল আ’যম, আওলার্দু রসূল ঢাকা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলীই বর্তমান পনের হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, হযরত শেখ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, “সবুজ গাছের একটি পাতাই মহান আল্লাহ্ পাক-এর রবুবিয়ত উপলব্ধি করার জন্য যথেষ্ট।” অর্থাৎ কেবল বিশাল আকাশ- তন্মধ্যে অগণিত নক্ষত্র-বীথি, তাদের বিশাল আকৃতি, সুবিস্তৃত পৃথিবী, আঠার হাজার মাখলুকাত, তাদের আশ্চর্য বৈচিত্র এতসব কিছুরই দরকার নেই বরং ছোট একটি পাতার মাঝেই যে আল্লাহ্ পাক-এর মহান কুদরত প্রতিভাত হয়; সেটাই কি মহান আল্লাহ্ পাক-এর আজমত, তাওহীদ বুঝার জন্য যথেষ্ট নয়?

ঠিক তদ্রুপ বর্তমান পথহারা উম্মতের মাঝে যাবতীয় সুন্নতের প্রচলন, বদ ইতিকাদ দূরীভূত করণ, রূহানীভাবে তায়াল্লুক মায়াল্লার অপূর্ব সংযোগ সাধন, উলামায়ে ছূদের মুখোশ উন্মোচন তথা নিস্প্রভকরণের পাশাপাশি টুপি, ছবি থেকে আরম্ভ করে লংমার্চ, হরতাল, মৌলবাদ, ব্লাসফেমী, নির্বাচন, গণতন্ত্র এযাবতকালে প্রকাশিত ইত্যাদি অসংখ্য তাজদীদী উদাহরণের দরকার নেই; সম্প্রতি উল্লিখিত দরসে বুখারীর পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি যে অভূতপূর্ব তাজদীদ করলেন এ এক তাজদীদই তো যামানার সমসাময়িক নামধারী সব মাওলানা, মুফতী, শাইখুল হাদীস, মুফাসসিরে কুরআন ইত্যাদি ব্যক্তিত্বের বিপরীতে রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর মুবারক অস্তিত্বের অত্যাবশ্যকতা ও মুযাদ্দিদে যামান হিসেবে তাঁর বিদ্যমানতা অনস্বীকার্য হয়ে উঠে; মুজাদ্দিদুয্ যামান হিসেবে তাঁর অনবদ্যতা সুস্পষ্টরূপে ফুটে উঠে। কারণ, তিনিই কুরআন শরীফের অনেক আয়াত শরীফ, হাদীস শরীফসহ অনেক রেফারেন্স বই থেকে মোট ৭৬টি দলীল দিয়ে তাজদীদ করলেন, “বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ করে ২৫ বছর, ৫০ বছর, ৬০ বছর, ৭০ বছর, ৭৫ বছর, ১০০ বছর ও ১০০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গণসংবর্ধণা অনুষ্ঠান করা হিন্দু, ইহুদী, নাছারা ও শিয়াদের ধর্মীয় উৎসব ও অনুষ্ঠানের অন্তর্ভুক্ত। যা প্রকৃতপক্ষে জুবিলী বা জয়ন্তী অনুষ্ঠান নামে মশহুর। যদিও কেউ অন্য নামেও পালন করে তথাপিও তা বিধর্মী ও বিজাতীয়দের সাথে মুশাব্বা হওয়ার কারণে মুসলমানদের জন্য পালন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।          উল্লেখ্য, প্রদত্ত তাজদীদে তিনি বছর পূর্তির উৎপত্তি ইতিহাস সম্পর্কিত অনেক দলীল দিয়েছেন। তারমধ্যে নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো-

এ প্রসঙ্গে Encyhclopedia Americana তে উল্লেখ আছে, “In the Old Testament the Jews celebrated a jubilee every 50th year, at the end of seven sabbatical years, …..”

অর্থাৎ- “বাইবেলের পুরাতন সংস্করণ ‘দি ওল্ড টেস্টামেন্ট’-এ ইহুদীরা প্রত্যেক ৫০ বছরে সাতটি বিশ্রামবর্ষ শেষে একটি জুবিলী উদযাপন করত, … ”

এ প্রসঙ্গে Funk & Wagnalls New Encyclopedia তে উল্লেখ আছে, “….. The Christian Church adopted the concept of a year of remission and the term Jubilee from the Jews, ……..”

অর্থাৎ- “….. খ্রীষ্টান চার্চ মুক্তি বর্ষের ধারণা এবং জুবিলী শব্দ ইহুদীদের থেকেই গ্রহণ করেছিলো।”

আর বিশেষ করে উল্লেখ্য যে, পঞ্চাশ বছর পূর্তি পালন হল খ্রীষ্টান পাদ্রীদের সম্মান না দেয়ার মত অনুষ্ঠান। খ্রীষ্টান পাদ্রীদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মান না দেয়া হয় বা জুবিলী পালন করা হয়।

এ প্রসঙ্গে Encyclopedia Britannica তে আরো উল্লেখ আছে, Special jubilees have been declared for a pope’s 50th anniversary in the priesthood (pope pius XI. 1929), at the close of the second Vatican Council (1965)

অর্থাৎ “দ্বিতীয় ভ্যাটিকান কাউন্সিল শেষে (১৯৬৫) পুরোহিত মন্ডলীতে একজন পোপের ৫০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ জুবিলীসমূহ ঘোষিত হয়। (পোপ পাইয়াস একাদশ ১৯২৯) মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১১২তম সংখ্যার সুওয়াল জাওয়াব থেকে সংকলিত এ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকেও প্রতিভাত হয় যে, ৫০ বৎসর পূর্তি অনুষ্ঠান মূলতঃ ইহুদী-নাছারাদের অনুষ্ঠান। আর এ অনুষ্ঠান যে সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয-হারাম সে প্রসঙ্গে কুরআন-সুন্নাহ্র অনেক দলীল উক্ত সংখ্যায় দেয়া হয়েছিলো তন্মধ্যে নিম্নোক্ত আয়াত শরীফই যথেষ্ট। মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম (বিধর্মী ও বিজাতীয়দের নিয়ম-নীতি ও তর্জ-তরীক্বা) তলব বা অনুসরণ ও অনুকরণ করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবেনা এবং সে পরকালে (অবশ্যই) ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (সূরা আলে ইমরান/৮৫)

কিন্তু কুরআন শরীফের এরূপ স্পষ্ট ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও নামধারী শাইখুল হাদীসের দরসে বুখারীর পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় করা হচ্ছে। যা কিনা ইতোপূর্বে উল্লিখিত পোপ পাইয়াসেরই অনুরূপ হয়।

উল্লেখ্য, এবারে (রাহমানী পয়গাম ফেব্রুয়ারী/’০৩ সংখ্যায়) তারা ১৪ মার্চের পরিবর্তে ২৮ মার্চ নির্ধারণ করেছে এবং আরো ২৫টি দেশ থেকেও লোকজন থাকবে বলে বিজ্ঞাপন ছাপিয়েছে। অর্থাৎ ভাবখানা এই যে, ২৫টি দেশ থেকে মেহমান এলে এই ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান আরো জোরেসোরে হালাল হয়ে যাবে।

অথচ তাদের সে একই সংখ্যায় জিজ্ঞাসার জবাব বিভাগে নিম্নলিখিত জিজ্ঞাসা-জবাব ছাপা হয়- ১২০৬। শরীয়ত বিরোধী কোন অনুষ্ঠানে শরীক হওয়াঃ ইউসুফ, ২য় বর্ষ এম.বি.বি.এস দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ জিজ্ঞাসাঃ আমি মেডিকেল কলেজে ২য় বর্ষে পড়ি। আমাদের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নির্দিষ্ট দিনে অনুষ্ঠান হয়। …. এমন বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করা জায়িয কি-না? …. এই অনুষ্ঠানে খাওয়া-দাওয়ার জন্য টাকা পয়সা দেওয়া জায়িয হবে কি-না?

জবাবঃ এমন কোন অনুষ্ঠান যা বিধর্মীদের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিংবা যে সকল অনুষ্ঠানে শরীয় বিধানাবলী লংঘিত হয় (যেমন পর্দা, নামায ইত্যাদি) এ ধরণের অনুষ্ঠানই শরীয়তে অবৈধ ও নাজায়িয। অতএব, এই দৃষ্টিকোন থেকে উল্লেখিত প্রশ্নাবলীর উত্তর নিম্নরূপ- এ ধরণের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান জায়িয নয়। ….. বাধ্য না হলে এমন অনুষ্ঠানে টাকা দেয়াও জায়িয নয়। (রাহমানী পয়গাম ফেব্রুয়ারী/’০৩)

পাঠক! উপরোক্ত জবাবের ভিত্তিতে একথা সূর্যের আলোর মত পরিস্কার হয়ে উঠে যে, এক বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান যদি জায়িয না হয়, তবে পঞ্চাশ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান জায়িয হয় কি করে?

অর্থাৎ নামধারী শাইখুল হাদীসের মুখপত্র রাহমানী পয়গামের ভাষ্য অনুযায়ীও পঞ্চাশ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান নাজায়িযই প্রমাণিত হয়। এমনকি এ অনুষ্ঠানের জন্য টাকা পয়সা দেয়াও নাজায়িযই প্রমাণিত হয়।       অথচ আশ্চর্য হলেও সত্য যে, এ ধরণের এক নাজায়িয কাজেরই বড়-সড় বিজ্ঞাপন ছাপা হয় উক্ত নামধারী শাইখুল হাদীসের পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায়। এবং আরো উল্লেখ্য যে, বিজ্ঞাপনে দেখা যায়, আয়োজনে শাইখুল হাদীসের ছাত্রবৃন্দ। অর্থাৎ শাইখুল হাদীস ছাহেব নিজেই তার এতদিনের সব ছাত্রদের একটি নাজায়িয কাজের মধ্যে মশগুল রাখছেন। নাজায়িয কাজের জন্য টাকা-পয়সা দানকে সমর্থন করছেন। অথবা তার পত্রিকার ভাষ্যনুযায়ী বাধ্য করছেন। পাশাপাশি উক্ত বিজ্ঞাপনে উল্লিখিত সমসাময়িক সব নামধারী মাওলানা, মুফতী ছাহেবেরা একইভাবে রাহমানী পয়গাম পত্রিকার ভাষ্যনুযায়ী এরূপ নাজায়িয কাজকে সমর্থন করে নিজেদের প্রকাশ্য গুনাহ্র ভাগী করেছেন।

উল্লেখ্য, যে কথা এ লেখার প্রথমে বলা হয়েছিলো যে আল্লাহ্ পাক-এর রহমত ব্যতীত কোন গুনাহ্র আমল থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। যার সাক্ষাত উদাহরণ হচ্ছে, শাইখুল হাদীস গংদের এ পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের বিষয়। নচেৎ যেখানে তারা নিজেরাই এটা নাজায়িয বললো সেখানে তারা নিজেরাই আবার কি করে তার প্রচার করতে পারলো?

অবশ্য পর্যবেক্ষক মহল-এর একটা সঙ্গত ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তারা মন্তব্য করেছেন যে, মূলতঃ কথিত শাইখুল হাদীস ছাহেব বরাবরই ঘোর ক্ষমতালিঞ্ঝু ছিলেন। ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে তিনি নিজ হাতে ছবির বিরুদ্ধে, নারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে, মওদুদী-জামায়াতীদের বিরুদ্ধে লিখে এখন আবার তাদের সাথেই আতাঁত করেছেন। এমন কি ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে স্বীয় উস্তাদ হাফিজ্জী ছাহেবের সাথেও গুণ্ডা ভাড়া করে বোমা, গ্রেনেড ফাটিয়ে মাদ্রাসা দখলের কাহিনী তার জীবন গাঁথায় সূচিত হয়ে আছে। এখন তারই অনুজ তথাকথিত মুফতী আমিনী যখন আজ চারদলীয় জোটের বেনিফিসিয়ারী হয়ে উঠলো, এম.পি হয়ে গেলো, কথিত শাইখুল হাদীসের অন্তরে তখন হিংসার আগুন ধিকি ধিকি করে জ্বলে উঠলো।  এমনকি এ মন্ত্রী, এম.পি হওয়ার বিবাদে তাদের তথাকথিত ইসলামী ঐক্যজোটের ঐক্যও ছিন্ন হয়ে গেলো এবং কথিত জোট সরকার প্রধানের কাছে কার সমর্থনের পাল্লা ভারী তার শো-ডাউন করাই এখন উভয়ের কৌশলনীতি হয়ে দাঁড়াল।

সেক্ষেত্রে দুনিয়াদার রাজনীতিকদের কায়দায় টাকা দিয়ে ভাড়া করে ইত্যকার বিবিধ কৌশলের ধারাবাহিকতায় কথিত শাইখুল হাদীস ছাহেবও এম.পি হওয়ার সুযোগ হারিয়ে এখন ছোট-খাঁট একটা মন্ত্রীত্ব বাগানোর লক্ষ্যে; তারও যে সমর্থনকারী এমন একটা মহল রয়েগেছে; যাদের সমর্থন সরকারকে টিকে থাকতে সহায়তা করবে অথবা যাদের বিরোধিতা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে; সে ধরনের একটা শো-ডাউন করাই মূলতঃ দরসে বুখারীর পঞ্চাশ বছর পূর্তি পালন উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের অব্যক্ত আসল উদ্দেশ্য। এবং এজন্য বছর পূর্তি পালনের অনুষ্ঠান করা জায়িয নয় তা নিজ পত্রিকায় ছাপলেও মন্ত্রীত্ব বাগানোর লোভ কার্যতঃ শাইখুল হাদীসকে তা আমলের দিকে ধাবিত করছেনা।

কাজেই কথিত শাইখুল হাদীসের যেসব ছাত্রবৃন্দ মনে করছেন ‘উনারা এতবড় আলিম হয়ে কি করে হারাম কাজ করতে পারেন?’ তারা উপরোক্ত ভাষ্য থেকেই তাদের জবাব খুঁজে নিতে পারেন। কারণ, বলা হয়েছে, কোন্ জিনিস আলিমদের অন্তর থেকে ইল্ম উঠিয়ে নিয়ে যায়? জবাব এসেছে,“ দুনিয়ার লোভ।”

অর্থাৎ দুনিয়ার লোভ তাদের অন্তরকে পরাভূত করেছে। যা তাদেরকে আল্লাহ্ পাক-এর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে। আর খোদায়ী রহমতের এ দূরত্বই তাদেরকে উলামায়ে ‘ছূ’য়ের শেষ স্তরে পর্যবসিত করেছে। জেনে, শুনে, বুঝে সামান্য দুনিয়াবী লোভে ইহুদী-খ্রীষ্টানদের অনুসরণে তাদের মত্ত রেখেছে। আর এরূপটি হওয়াই যে স্বাভাবিক। কারণ, আল্লাহ্ পাক-এর রহমত থেকে বঞ্চিত হলে মালউন শয়তান সেখানে আছর করে। (আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বর্নি রজীম)

-মুহম্মদ ওয়ালীর্উ রহমান, ঢাকা।

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৪

প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার- ১০

একটি অভূতপূর্ব ওয়াজ শরীফ এবং কম্পিউটারে কুরআন শরীফ, মাজার শরীফের উপরে ভাসমান দৃশ্য ও তাঞ্জানিয়ার সেই ছেলের কথা

প্রসঙ্গঃ দরসে বুখারীর পঞ্চদশ বছর পূর্তি নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৫