ফযলুর জিহালতীর জবাব রেযাখানী ফযলু মিথ্যার জালে আবদ্ধ

সংখ্যা: ১০৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

পাঠক! রেযাখানী ফযলুর মিথ্যাচারীতা ও জিহালতীর আর কত প্রমাণ দেয়া হবে! আল বাইয়্যিনাত-এর প্রতি মিথ্যা তোহ্মত দেয়ার স্বভাব ফযলুর নতুন কোন বিষয় নয়। এর পূর্বেও সে লক্বব, ছানী আযান ইত্যাদি নিয়ে জঘন্য মিথ্যাচারীতায় মেতে উঠেছিলো। কিন্তু আল বাইয়্যিনাতে যখন দাঁতভাঙ্গা জবাব চলে আসলো তখন স্তব্দ হয়ে গেলো মিথ্যাবাদী ফযলুর সকল লম্ফঝম্ফ। নিখোঁজ হয়ে রইল দীর্ঘ চার মাস। কিন্তু গোলাম কি আর গোলামী ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে? ভাতায় খাঁটা গোলাম ভাতা নিবে কিন্তু গোলামী করবে না তা কি করে সম্ভব? তাই সে তার মুনিব ভন্ড জলীলকে কুফরী থেকে বাঁচানোর জন্য খোদ মুনীবের মুনীব রেযা খার নামেই মিথ্যারোপ করে বসলো।

পাঠক! আমি আল বাইয়্যিনাত-এর ৯৮তম সংখ্যায় লিখেছিলাম, “ফযলু ভন্ড জলীলের দালালীতে মশগুল। ফযলু তা অস্বীকার করছে। কিন্তু এ ধ্রুব সত্যকে সে অস্বীকার করবে কিভাবে? কারণ সে যদি জলীলের দালালীই না করতো, তবে লক্বব কম বেশীর বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাল অথচ দরূদ শরীফ সংক্ষেপে লিখার বিষয়টি নিয়ে কিছুই বললোনা! যে কারণে তার অবৈধ বুলেটিনকে “কুফরী বার্তা” বলা হয়েছিল, তার মধ্যে প্রধান কারণ ছিল দরূদ শরীফ সংক্ষেপে লিখার বিষয়টি। আর তা জলীলের গুরু রেযা খাঁর  ফতওয়া মতেই। কেননা রেযা খাঁ-ই তার মজমুয়ায়ে রাসায়েলের ১০ পৃষ্ঠায় দরুদ শরীফ সংক্ষেপে লিখাকে কুফরী বলেছে। অতএব, ফযলু যদি জলীলের দালালই না হবে তবে এ বিষয়টি নিয়ে কোনরূপ উচ্চ-বাচ্য করেনি কেন? না করার কারণ হচ্ছে, সে ভাল করেই বুঝতে পেরেছে যে, লক্বব কম-বেশী করার বিষয়টি সাত-পাঁচ লিখে পাঠককে একটি বুঝ দেয়া যাবে; কিন্তু দরূদ শরীফের বিষয়টি নিয়ে মাতামাতি করলে গুরুর তরবারীতে শিষ্যের মাথা কাটা যাবে। আর তখন দালালী টিকিয়ে রাখা হবে মহা কঠিন।

পাঠক! মিথ্যাবাদী ফযলু আমার উক্ত বক্তব্যের কোন জবাব খুঁজে না পেয়ে খোদ রেযা খাঁর নামেই মিথ্যা কথা বলেছে। সে লিখেছে, “রেযা খাঁ নাকি তার উক্ত কিতাবে দরূদ শরীফ সংক্ষেপে লিখাকে কুফরী বলে নাই। কেউ দেখাতে পারলে তাকে নাকি এক লক্ষ টাকা পুরুস্কারও দেয়া হবে।”  পাঠক! খুব ভালই হলো ফযলুর এক লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণায়। এবারও যে তার নিজ তরবারীতে তাদের নিজেদেরই মাথা কাটলো। কারণ গত একটি সংখ্যায় ফযলুরই আরেক জাত ভাই বহুরূপে সজ্জিত স, আ, ত, ম আলাউদ্দীন লিখেছিলো,  “……. রাজারবাগীরা এনজিওর দালাল। তাই তারা কথায় কথায় লক্ষ লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ ঘোষণা করে। …..”   এবার ফযলুই জবাব দিক মিথ্যাবাদী আলাউদ্দীনের বক্তব্য মোতাবিক ফযলু গং এনজিওর দালাল কিনা? “আপনার তলোয়ারে গেল মোর মাথা” সবাই জানে এটা ফযলুরই কথা।           পাঠক! এবার মূল আলোচনায় আসা যাক। ফযলু লিখেছে, “মজমুয়ায়ে রাসায়েলে” দরূদ শরীফ সংক্ষেপে লিখাকে কুফরী বলা হয় নাই।”    তার উক্ত বক্তব্য এটাই প্রমাণ করে যে, হয় সে উক্ত কিতাব না পড়েই এরূপ বক্তব্য দিয়েছে অথবা সে পড়ে থাকলেও জাহিল হওয়ার কারণে উক্ত কিতাবের বক্তব্য বুঝে উঠতে পারেনি। অথবা গুরুকে বাঁচানোর জন্য সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। এ বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করার জন্য উক্ত কিতাবের উক্ত পৃষ্ঠার ইবারতখানা হুবহু তুলে ধরা হলো-

حضور پر نور سید عالم صلی اللہ علیہ وسلم کے ذکر کر یم کے ساتہ جس طرح زبان سے درود شریف پژھنے کا حکم ھے اللھم صل و سلم وبارک علیہ وعلی الہ وصحبہ ابدا درود شریف کی جگہ فقط صاد یا عم یا صلعم یا صللم کھنا ھر گز کافی نھین یلکہ وہ الفاظ می معنی ھیں اور “فبدل الذ ین ظلموا قولا غیر الذی قیل لھم مین داخل کہ ظالمون نے وہ بات جس کا انھیں  حکم تھا ایک اور لفظ سے بدل ڑالی فانز لنا علی الذین ظلموا رجزا من السماء بما کانوا یفسقون  تو ھم نے اسان سے ان پر عذاب اتارا بدلہ انکی بے حکمی کا…. بلکہ فتاوے تاتار خانیہ سے منقول کہ اس میں اسپر نھایت سخت حکم فر مایا اور اسے معاذ اللہ تخفیف شان نبوت بتایا … طحطاوی علی الدر المختار (ج1 ص6) میں ھے …. و یکرہ الرمز بالصلاۃ والترضی بالکتابۃ بل یکتب ذالک کلہ بکمالہ وفی المو اضع عن التاتار خانیہ من کتب علیہ السلام بالھم

زۃ والمیم یکفر لانہ تخفیف وتحفیف

الانبیاء علیھم الصلوۃ والسلام کفر بلاشک.

অর্থঃ- “হুজুর পূর নূর, সাইয়্যিদে আলম, ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক উল্লেখ করার সময় দরূদ শরীফ পড়ার হুকুম রয়েছে। দরূদ শরীফের স্থলে শুধুমাত্র

(ص)অথবা (عم) অথবা (صلعم) অথবা (صللم) বলা কখনোই যথেষ্ট নয়। বরং উক্ত শব্দ একেবারেই অর্থহীন এবং “জালিমদেরকে যেরূপ বলতে বলা হয়েছে তদ্রুপ না বলে অন্য শব্দ দ্বারা পরিবর্তন করে দিয়েছে। অতঃপর আমি তাদের নাফরমানীর কারণে তাদের উপর আসমান থেকে আযাব অবতীর্ণ করি।” এ আয়াত শরীফের হুকুমের মধ্যে শামীল।  বরং “তাতারখানিয়া” কিতাবে এ ব্যাপারে আরো কঠিন ফায়সালা বর্ণিত রয়েছে এবং সংক্ষিপ্ত দরূদ শরীফ লেখাকে “শানে নুবুওওয়াত” খাটো করার অন্তর্ভুক্ত বলা হয়েছে। “তাহতাবী আলা দুররিল মোখতার”-এর ১ম জিঃ, ৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “….. অক্ষর দ্বারা দরূদ শরীফ লেখা মাকরুহ বরং পরিপূর্ণভাবে দরুদ শরীফ লিখবে।” “তাতারখানিয়া” কিতাবে উল্লেখ আছে, “যে ব্যক্তি হামযাহ্ এবং মীম দ্বারা দরূদ শরীফ লিখলো সে কুফরী করলো। কেননা তা এহানত বা অবজ্ঞা। আর নবীদের শানে এহানত বা অবজ্ঞা নিঃসন্দেহে কুফরী। (মজমূয়ায়ে রাসায়েল/১০)      পাঠক! দেখুন উক্ত ইবারতে রেযা খা “তাতারখানিয়ার” বরাতে লিখেছে যে, “দরূদ শরীফ সংক্ষেপে লিখা নবীদের শানে ইহানত আর নবীদের শানে ইহানত করা কুফরী…….।”  এত সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকার পরও ফযলু বলেছে তা উক্ত কিতাবে নেই। এতে কি এটাই প্রমাণিত হয় না যে, ফযলু হয় কিতাব না পড়েই লিখেছে অথবা কিতাব বুঝেনি অথবা মিথ্যাচারিতার আশ্রয় নিয়েছে।   আসলে মিথ্যার জালে যে আবদ্ধ কুফরী থেকে রেহাই পেতে মিথ্যার আশ্রয় নেয়া ছাড়া তার উপায়ই বা কি? য  (চলবে)

-মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক বাসাবো, ঢাকা।

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পেছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -৫   

প্রসঙ্গ: গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার

“ওসামা বিন লাদেন বর্তমান সময়ের এক চরম মুনাফিক” বিশ্বখ্যাত এই মিথ্যাবাদী কাজ করেছে সম্পূর্ণ সআইএ-এর চর রূপে-৪

আমিরুল মু’মিনীন, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হজ্জে বাইতুল্লাহ শরীফ, মদীনাতুন নবী ও রওজায়ে আকদাস ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিয়ারত সম্পর্কে-২

প্রসঙ্গ: বসন্ত বরণ, ভ্যালেন্টাইন ডে ও খতীবের মেকী হুঙ্কার