“ভারতে মুসলমানদের উপর হিন্দুদের বর্বরতা ও পৈশাচিক আক্রমণ; প্রাচীন কাল হতেই হিন্দুদের এই নির্মম প্রবণতা” ঐতিহাসিক দলীল সম্বলিত একটি অনুসন্ধানী রচনা-৪

সংখ্যা: ১০৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

গত কিস্তির লিখার বিশ্বহিন্দু পরিচয় বর্ণনায় শেষ পর্যায়ে বলা হয়েছিলো, “১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ নেপালে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সম্মেলনে, সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী আশোক সিংহল একবিংশ শতাব্দীকে হিন্দু সভ্যতার শতাব্দী হিসেবে চিহ্নিত করেন।”   তার এই বক্তব্য অত্যন্ত পরিস্কারভাবে প্রমাণিত হলো গত ২৩ শে জুলাই ২০০২ ঈসায়ী এ বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সহ সভাপতি গিরিরাজ কিশোরের এক বক্তব্যে। গত ২৪ শে জুলাই/২০০২ ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক নয়াদিল্লীর পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়,  বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভি এইচ পি)  পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস  শরীফের সংশোধন দাবি করেছে।   বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভি এইচ পি) পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের সংশোধন দাবি করেছে। পরিষদের সহ-সভাপতি গিরিরাজ কিশোর এ দাবি করে বলেন, কুরআন শরীফে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক যেসব অনুচ্ছেদ রয়েছে তা বিলোপের জন্য এর সংশোধন প্রয়োজন। ভি এইচ চি সহ-সভাপতি বলেন, ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটিজের (এন সি এম) পক্ষ থেকে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের একটি সম্মেলন আহবান করা হবে। ওই সম্মেলনে দুই ধর্মেরই ধর্মীয় গ্রন্থ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে, যাতে অন্য ধর্মের প্রতি আপত্তিজনক অংশগুলো বাদ দেয়া যায়।  মূলতঃ এটি কিশোরের একান্ত দূরভিসন্ধিমূলক প্রচারণা তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এ কথা অমুসলিমরাও জানে যে, কুরআন শরীফ অনাগত কালের জন্য নির্ভুল ও সংশোধনের উর্ধ্বে।   কাজেই যখনই বলা হবে, কুরআন শরীফকে সংশোধন করা প্রয়োজন তখন মূলতঃ ‘ইসলামেরই অবলুপ্তির’ কথাই প্রচার করা হয়। আর অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সে ঘোষণাটিও দিচ্ছে।    মূলতঃ এত বড় সাহস তারা একদিনে পায়নি। অতি পূর্ব থেকেই তারা এ ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।  গত সংখ্যায় এ বিষয়ে কিছু আলোকপাতের পর বর্তমান সংখ্যায় আরো কিছু সংযুক্ত হলো-  ১৯৮৩ সালে একমাসব্যাপী “ভারতমাতা” ও “গঙ্গামাতার” মূর্তি নিয়ে “একাত্মতা যজ্ঞযাত্রা” হয়। এর যাত্রাপথ ছিল ৮৫,৮৭৫ কিলোমিটার। সারা দেশব্যাপী এই প্রচারের মূল বিষয় ছিল: “এদের রাষ্ট্রজীবন হলো হিন্দুরাষ্ট্র জীবন, হিন্দুত্বই ভারতের জাতীয়তা, হিন্দুর একতাই ভারতের একতা” ইত্যাদি। লক্ষণীয়, জেলা ও রাজ্য দপ্তরের বহু কংগ্রেস কর্মী এই হিন্দু জাগরণের কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছিলো।  ১৯৮২ সাল থেকেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে অযোধ্যায় “রাম জন্মভূমি” উদ্ধারের সঙ্কল্প ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৯ সাল থেকে এখানে তালা লাগানো ছিল।    বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি জানায়, “ওখানে সাড়ে তিন হাজার বছর আগে নাকি রামচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেছিলো। ওখানে রামের মন্দির ছিল। ১৫২৬ খ্রীষ্টাব্দে বাবর ওখানে মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ বানিয়েছিলেন। সুতরাং রাম জন্মভূমি হিন্দুদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। এই উদ্দেশ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্ব ‘রাম জন্মভূমি মুক্তি সমিতি’ নামে একটি ব্যাপক মঞ্চ গড়ে তোলে। এখনও ধর্মের নামে জিগির সৃষ্টি করে ওখানে রক্ত দিয়ে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীতে নাম লেখানো হচ্ছে। আহবান জানানো হচ্ছে হাজার কোটি টাকা তহবিলের। তৈরী হচ্ছে হনুমান সেনার মতো আধা-সশস্ত্রবাহিনী। এবারও কূম্ভমেলা উপলক্ষে প্রয়াগে বিশাল সমাবেশে হিন্দু পরিষদ নেতৃত্ব রাম জন্মভূমি উদ্ধারের জন্য আর এক দফা হুমকি ছেড়েছে।”  যে প্রশ্ন থেকেই যায়, অর্থের যোগান কোথা থেকে আসছে? ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে কোপেনহেগেনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ইউরোপীয় সম্মেলন হয়। আমেরিকা, ডেনমার্ক, কানাডা, ইংল্যান্ড, পশ্চিম জার্মানি, সুইডেন, নেপাল, বার্মা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, মরিশাস, কেনিয়া ইত্যাদি দেশে স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের দ্বারা পরিচালিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শাখা রয়েছে। মুসলিম বিদ্বেষীরা ভারতে হিন্দুধর্মের উত্থানের জন্য এবং মুসলিম নিধনের জন্য একযোগে অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দাবি এখন শুধু রাম জন্মভূমি উদ্ধারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দাবি উঠেছে, বারাণসীতে আওরঙ্গজেবের প্রতিষ্ঠিত মসজিদ প্রকৃত বিশ্বনাথের মন্দির। মথুরার জামে মসজিদ ওটা হলো কৃষ্ণের জন্মস্থান। সুতরাং ওগুলোও ভাঙ্গ, ভাঙ্গতে হবে এবং মন্দির বানাতে হবে। এরকম ২৫টি মসজিদকে এরা নির্দিষ্ট করেছে। এভাবে চলতে থাকলে আশঙ্কা হচ্ছে একদিন শোনা যাবে তাজমহল কারও জন্মস্থান ছিল। সুতরাং ওটাও ভাঙ্গ। হিন্দু মৌলবাদীরা সবই পারে! য

 -মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান, ঢাকা।

“ফজলুর জিহালতীর জবাব” সত্যিই রাজারবাগীদের নিকট ‘দ্বীনে রেযাখানী’ নিরাপদ নয় একেই বলে স্বঘোষিত মুহাক্কিক!

শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -১১

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-২

রেজভী গ্রুপের লিখক ফজলুল হকের নিজের খোঁড়া গর্তে নিজেই জিন্দা দাফন

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স, আ, ত, ম  আলাউদ্দিনের বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে