মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত সৃষ্টির মালিক

সংখ্যা: ২৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারাই হচ্ছেন সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ! উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত সৃষ্টির মালিক। সুবহানাল্লাহ! উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: সাইয়্যিদুনা হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম। তিনি ছিলেন সম্মানিত কুরাঈশ উনাদের সকলের সাইয়্যিদ, সমগ্র আরব ও পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত ফাত্বিমাহ বিনতে ‘আমর ইবনে ‘আয়িয আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত ভাই-বোন আলাইহিমুস সালাম- আলাইহিন্নাস সালাম : উনারা ছিলেন মোট ১৩ ভাই এবং ৬ বোন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৭৮ বছর ৮ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার)। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে ‘আযীম শরীফ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা তারিখ লাইলাতুল জুমু‘য়াহ শরীফ (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত)। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ সুসম্পন্ন হওয়ার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক: ২৪ বছর ১১ মাস ২৯ দিন অর্থাৎ পূর্ণ ২৫ বছর। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৫৩ বছর ২ মাস পূর্বে। অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার ২ মাস ১০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা মুহাররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘য়াহ শরীফ সকালে। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক: ২৫ বছর ৬ মাস। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত আমিনা আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

যেই সম্মানিত লক্বব মুবারক-এ মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান আলাইহিস সালাম: সাইয়্যিদুনা হযরত ওয়াহাব ইবনে আবদে মানাফ আলাইহিস সালাম। উনার একখানা বিশেষ লক্বব মুবারক ছিলেন ‘সাইয়্যিদুন নাস’ অর্থাৎ সমস্ত জীন-ইনসান সকলের সাইয়্যিদ বা সর্দার। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম: সাইয়্যিদাতুনা হযরত বার্রাহ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার ৭২ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৫ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ) ইয়াওমুল জুমু‘য়াহ শরীফ বা’দ ফজর। সুবহানাল্লাহ! উনার কোনো ভাই-বোন ছিলেন না।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৮ মাস ১২ দিন পূর্বে সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা তারিখ সম্মানিত লাইলাতুল জুমু‘য়াহ শরীফ অর্থাৎ ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত বা’দ মাগরিব। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘আযীমুশ শান নিসবতে ‘আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক: ১৮ বছর ৩ মাস ২৫ দিন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারিখ এবং সময় মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১০ই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) সকাল ৯-১০টার দিকে অর্থাৎ ইশরাক উনার ওয়াক্ত শেষ হয়ে চাশত বা দ্বোহা উনার ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক ছিলেন ৬ বছর। সুবহানাল্লাহ!

দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক: ২৫ বছর ৫ দিন। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার স্থান মুবারক: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ: মহাসম্মানিত আবওয়া শরীফ। সুবহানাল্লাহ!

উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত সৃষ্টির মালিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا تَـمَسُّ النَّارُ مُسْلِمًا رَاٰنِـىْ اَوْ رَاٰى مَنْ رَاٰنِـىْ

অর্থ: “হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্তি উনাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না, যিনি আমাকে দেখেছেন অথবা আমাকে যিনি দেখেছেন উনাকে যাঁরা দেখবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মেশকাত শরীফ)

এখানে স্পষ্টভাবে ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যাঁরা পবিত্র ঈমান উনার সাথে এক পলক (প্রতি ২ সেকেণ্ডে ৫টি পলক পড়ে) দেখেছেন অর্থাৎ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা জান্নাতী, আবার উনাদেরকে যাঁরা দেখেছেন হযরত তাবেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাও জান্নাতী। সুবহানাল্লাহ!

এখানে দেখার বিষয় বলা হয়েছে। আর দেখার চেয়ে স্পর্শের ফযীলত আরো বেশি। সুবহানাল্লাহ! যেমন- এ বিষয়ে ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন,

اِنَّ التُّـرْبَةَ الَّتِـىْ اِتَّصَلَتْ اِلـٰى اَعْظُمِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَفْضَلُ مِنَ الْاَرْضِ وَالسَّمَاءِ حَتَّـى الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুজাসসাম মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জিসিম মুবারক) উনার সাথে এক মুহূর্তের তরেও স্পর্শ মুবারক করেছেন, যেই মাটি, ধূলি-বালি অর্থাৎ পদার্থ-বস্তু যা কিছুই হোক না কেন, তাই আসমান-যমীন; এমনকি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটিগুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ হয়ে গিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!

অন্য বর্ণনায় রয়েছেন, পবিত্র কুরসী মুবারক; এমনকি পবিত্র কাবা শরীফ থেকেও লক্ষ কোটিগুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ হয়ে গেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছেন-

اِنَّ رَجُلًا عَصَى اللهَ مِائَـتَـىْ سَنَةٍ يَّــتَمَرَّدُ وَيَـجْتَـرِئُ عَلَيْهِ فِيْـهَا كُلَّهَا فَـلَمَّا مَاتَ اَخَذَ بَـنُـوْ اِسْرَائِـيْلَ بِرِجْلِهٖ وَاَلْقَوْهُ عَلـٰى مَزْبَـلَةٍ فَاَوْحَى اللهُ اِلـٰى حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ الصَّلـٰوةُ وَالسَّلَامُ اَنْ غَسَّلَهٗ وَكَفَّنَهٗ وَصَلّٰى عَلَيْهِ فِـىْ جَـمْعِ بَـنِـىْ اِسْرَائِـيْلَ فَـفَعَلَ مَا اَمَرَهُ اللهُ تَـعَالـٰى بِهٖ فَـتَـعَجَّبَ بَـنُـوْ اِسْرَائِـيْلَ مِنْ ذٰلِكَ فَاَخْبَـرُوْهُ اَنَّهٗ لَـمْ يَكُنْ فِـىْ بَـنِـىْ اِسْرَائِـيْلَ اَعْتٰـى مِنْهُ وَلَا اَكْثَـرَ مَعَاصِىْ مِنْهُ فَـقَالَ قَدْ عَلِمْتُ وَلٰكِنَّ اللهَ اَمَرَنِــىْ بِذٰلِكَ فَـقَالُوْا سَلْ رَبَّكَ فَسَاَلَ حَضْرَتْ مُوْسٰى عَلَيْهِ السَّلَامُ رَبَّهٗ عَزَّ وَجَلَّ فَـقَالَ يَا رَبِّ قَدْ عَلِمْتَ مَا قَالُوْا فَاَوْحَى اللهُ اِلَيْهِ اَنْ صَدَقُـوْا مَا قَالُوْا اِنَّهٗ عَصَانِــىْ مِائَـتَـىْ سَنَةٍ اِلَّا اَنَّ يَـوْمًا مِّنَ الْاَيَّامِ فَـتَحَ التَّـوْرَاةَ فَـنَظَرَ اِلَـى اسْمِ سَيِّدِنَا مَوْلـٰــنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكْـتُـوْبًا فَـقَبَّـلَهٗ وَوَضَعَهٗ بَــيْـنَ عَـيْـنَـيْهِ وَفِـىْ رِوَايَةٍ اُخْرٰى وَصَلّٰى عَلَيْهِ فَشَكَـرْتُ لَهٗ ذٰلِكَ فَـغَفَرْتُ لَهٗ ذُنُـوْبَ مِائَــتَـىْ سَنَةٍ وَّزَوَّجْتُهٗ سَبْعِـيْـنَ حَوْرَاءَ

অর্থ: “নিশ্চয়ই (বনী ইসরাঈলে) এক ব্যক্তি (সে দুই শত বছর হায়াত পেয়েছিলো এবং) সে দুই শত বছর মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী করেছিলো। সে তার সম্পূর্ণ হায়াতে মহান আল্লাহ পাক উনার চরম অবাধ্য ও নাফরমানীতে মশগূল ছিলো, বেপরওয়া ছিলো। (যার কারণে কেউ তাকে পছন্দ করতো না এবং সকলে চরম ঘৃণা করতো।) ফলে সে যখন ইন্তেকাল করল, তখন বনী ইসরাঈলরা তার পায়ে ধরে তাকে টেনে হেঁচড়ে গোবর পূর্ণ স্থানে, গোবরের স্তূপে নিক্ষেপ করল। যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জলীলুল ক্বদর নবী এবং রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করেন যে, তিনি যেন বণী ইসরাঈলের সমস্ত লোকজন নিয়ে ঐ ব্যক্তির গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করেন এবং তার জানাযার নামায পড়েন। মহান আল্লাহ পাক তিনি যা নির্দেশ মুবারক করলেন, হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি তাই করলেন। এই কারণে বনী ইসরাঈলরা আশ্চর্য হলো। তারা বললো, সে এমন এক ব্যক্তি- যার মতো অত্যধিক সীমালঙ্গনকারী, চরম অবাধ্য, অত্যন্ত কঠিন হৃদয়ের অধিকারী, চরম বেপরওয়া, কর্কশভাষী, বড় যালিম, চরম বেআদব, সেরকাশী (অবাধ্য) এবং অত্যধিক পাপীষ্ঠ, গুণাহগার আর কেউ ছিলো না। হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, নি:সন্দেহে আমি তা জানি; কিন্তু মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এরূপ করার জন্য সম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!  তখন তারা সবাই বললো, আপনি (দয়া করে) আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে (এ বিষয়ে) জিজ্ঞাসা করুন (যে, এর হাক্বীক্বত কী?)। তারপর হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি উনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে সুওয়াল করলেন। তিনি বললেন, আয় বারে এলাহী! বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে আপনি অবশ্যই তা জানেন। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত ওহী মুবারক করলেন যে, বনী ইসরাঈলরা যা বলেছে তা সত্যই বলেছে। নিশ্চয়ই সে দুই শত বছর আমার নাফরমাণী করেছে। তবে সে একদিন সম্মানিত ও পবিত্র তাওরাত শরীফ খুলে দেখতে পেলো যে, সেখানে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক লিখিত রয়েছেন। তখন সে মুহব্বতের সাথে খুশি মুবারক প্রকাশ করে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক ‘সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উনার মধ্যে (একবার মাত্র) বুছা দিয়েছিলো এবং মুহব্বতের সাথে খুশি মুবারক প্রকাশ করে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম মুবারক তার দুই চোখের মধ্যে লাগিয়েছিলো। সুবহানাল্লাহ! অপর বর্ণনায় রয়েছে, এবং সে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ মাত্র একবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাত মুবারক পাঠ করেছিলো। সুবহানাল্লাহ! এই কারণে আমি তাকে উত্তম প্রতিদান দান করেছি। সুবহানাল্লাহ! তার দুই শত বছরের (জীবনের) সমস্ত গুণাহ-খতাগুলো ক্ষমা করে দিয়েছি এবং তার সাথে সত্তর জন হুরের বিবাহ দিয়েছি। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তার উপর জাহান্নাম হারাম করে সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব করে দিয়েছি এবং আপনার মতো একজন জলীলুল ক্বদর নবী ও রসূল হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার জন্য তার গোসল, কাফন ও দাফনের ব্যবস্থা করা এবং তার জানাযার নামায পড়া ফরয করে দিয়েছি।” সুবহানাল্লাহ! (খছায়িছুল কুবরা ১/২৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১/৪১২, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/১৩৬, তাফসীরে দুররে মানছূর ৩/৫৭৯, শরহুল বুখারী ২/১১৯ ইত্যাদি)

এখন বলার বিষয় হচ্ছে, যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র ঈমান উনার সাথে এক পলক দেখলে জাহান্নাম হারাম হয়ে যায়, আবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যাঁরা দেখেছেন এবং উনাদেরকে যাঁরা দেখেছেন উনাদের জন্যও জাহান্নাম হারাম হয়ে যায় এবং উনার সাথে এক মুহূর্তের তরেও স্পর্শ মুবারক করেছেন যেই মাটি, ধুলি-বালি অর্থাৎ পদার্থ- বস্তু যা কিছুই হোক না কেন তাই আসমনা-যমীন, পবিত্র কুরসী মুবারক, পবিত্র কাবা শরীফ; এমনকি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত আরশে আযীম মুবারক থেকেও লক্ষ কোটিগুণ বেশি ফযীলতপূর্ণ হয়ে যান। সুবহানাল্লাহ! আর যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক-এ শুধুমাত্র একবার বুছা দিয়ে সবচেয়ে বড় নাফরমান ব্যক্তি সর্বোচ্চ জান্নাতী হিসেবে সাব্যস্ত হয়, তাহলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা এবং হযরত আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের ফায়ছালা মুবারক কি? বিশেষভাবে উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা আলাইহিস সালাম তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মূল নূর মুবারক ধারণ করেছেন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রেহেম শরীফ-এ) ৮ মাস সোয়া ১১ দিন ধারণ করেছেন অত:পর দীর্ঘ ছয় বছর উনাকে অত্যন্ত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে আদর-স্নেহ মুবারক করেছেন এবং অসংখ্য ও অগনিতবার পবিত্র বুছা মুবারক দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনাদের ফায়ছালা মুবারক কী?

তাহলে উনাদের ব্যাপারে এরূপ প্রশ্ন কিভাবে করা যেতে পারে যে, ‘উনারা জান্নাতী নাকি জাহান্নামী’? না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

মূলত উনারা জান্নাত উনার মুহতাজ (মুখাপেক্ষী) তো ননই; বরং জান্নাত উনাদের মুহতাজ নিজের ওজুদ (অস্থিত্ব) মুবারক বজায় রাখার জন্য। প্রকৃতপক্ষে, উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত সৃষ্টির মালিক। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত জান্নাত উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন কখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা এবং হযরত আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ দয়া করে প্রবেশ করবেন তাহলে সম্মানিত জান্নাত উনার ওজুদ মুবারক ও নাম মুবারক সার্থক হবেন। সুবহানাল্লাহ!

এ বিষয়টি আরো স্পষ্টভাবে বুঝার জন্য স্বয়ং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আর তা হচ্ছেন-

عَنْ حَضْرَتْ طَـلْقِ بْنِ عَـلِــىٍّ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ لَوْ اَدْرَكْتُ وَالِدَىَّ اَوْ اَحَدَهُـمَا وَاَنَا فِـىْ صَلـٰوةِ الْعِشَاءِ وَقَدْ قَـرَاْتُ فِـيْـهَا بِفَاتِـحَةِ الْكِتَابِ تُــنَادِىْ يَا سَيَّدَنَا مَوْلـٰــنَا مُحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَاَجَبْـتُـهَا لَـبَّـيْكِ

অর্থ: “হযরত ত্বলক্ব ইবনে আলী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শুনেছি- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যদি আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের দু’জনকে অথবা উনাদের দু’জনের একজনকে দুনিয়ার যমীনে পেতাম, আর আমি সম্মানিত ইশা উনার নামায (ফরয নামায) মুবারক-এ দাঁড়িয়ে সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করতে থাকতাম। এমতাবস্থায় উনারা যদি আমাকে এই বলে সম্মানিত আহ্বান মুবারক করতেন- হে মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে অবশ্যই অবশ্যই ওই অবস্থায় থেকেও (নামায ছেড়ে দিয়ে) আমি উনাদের সম্মানিত আহ্বান মুবারক-এ সাড়া দিয়ে ইরশাদ মুবারক করতাম- লাব্বাইক, হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বাজান আলাইহিস সালাম! হে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আম্মাজান আলাইহাস সালাম! আমি উপস্থিত, হাযির।” সুবহানাল্লাহ! (শুয়াবুল ঈমান ১০/২৮৪, দায়লামী শরীফ ৩/৩৪৫, জামিউল আহাদীছ ১৮/৭৪, কাশফুল খফা ২/১৬০, আল মাক্বাছিদুল হাসানাহ ১/৫৫১, কানযুল উম্মাল ১৬/৪৭০, জামিউল জাওয়ামি’ ১৬৮/ ১৩, মাছালিকুল হুনাফাহ ৩৭পৃষ্ঠা, হাওই শরীফ ২/২৮১ ইত্যাদি)

উপরোক্ত হাদীছ শরীফ দ্বারা স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল- ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক এবং পবিত্রতা মুবারক কতটুকু তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যা সমস্ত কায়িনাতের কেউ কখনও চিন্তা-ফিকির করে মিলাতে পারবে না। সুবহানাল্লাহ!

মূলত উনারা জান্নাত উনার মুহতাজ (মুখাপেক্ষী) তো ননই; বরং জান্নাত উনাদের মুহতাজ নিজের ওজুদ (অস্থিত্ব) মুবারক বজায় রাখার জন্য। প্রকৃতপক্ষে, উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত সৃষ্টির মালিক। সুবহানাল্লাহ! অতএব এখানে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। যে ব্যক্তি এই বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করবে সে ঈমানদার হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না, বরং সে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ! কারণ সম্মানিত জান্নাত উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন কখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা এবং হযরত আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ দয়া করে প্রবেশ করবেন তাহলে সম্মানিত জান্নাত উনার ওজুদ মুবারক ও নাম মুবারক সার্থক হবেন। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ ও হুসনে যন মুবারক পোষণ করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম