মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম

সংখ্যা: ২৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

اُمَّهَاتٌ (উম্মাহাত) শব্দ মুবারকখানা اُمٌّ (উম্মুন) শব্দ মুবারক উনার বহুবচন। অর্থ মাতাগণ। আর اَلْمُؤْمِنِـيْـنَ (আল মু’মিনীন) শব্দ মুবারকখানা اَلْمُؤْمِنُ (আল মু’মিন) শব্দ মুবারক উনার বহুবচন। অর্থ মু’মিনগণ। সুতরাং اُمَّهَاتُ الْـمُؤْمِنِـيْـنَ (উম্মাহাতুল মু’মিনীন) উনার অর্থ হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা যেহেতু একমাত্র যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ তামাম কায়িনাতবাসী সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম, তাই উনাদেরকে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম’ বলা হয়। সুবহানাল্লাহ!

উনাদের মধ্যে ৬ জন হলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরাইশ বংশীয়। ২ জন হলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনু হেলাল বংশীয়। ১ জন হলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনু আসাদ বংশীয়। ১ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনু মুছতালিক্ব বংশীয়। ২ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনু নযীর বংশীয়। ১ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বনু ক্বিবতী বংশীয়। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার মুবারক ধারাবাহিকক্রম অনুযায়ী উনারা হচ্ছেন-

১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাদীজাহ্ কুবরা আলাইহাস সালাম)। কুরাইশ।

২. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত সাওদাহ বিনতে যাম‘আহ্ আলাইহাস সালাম)। কুরাইশ।

৩. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশাহ্ সিদ্দীকা আলাইহাস সালাম)। কুরাইশ।

৪. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আর রবি‘য়াহ্ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাফছাহ্ আলাইহাস সালাম)। কুরাইশ।

৫. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল খ্বামিসাহ্ উম্মুল মাসাকীন আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে খুযাইমাহ্ আলাইহাস সালাম)। বনূ হিলাল বংশীয়।

৬. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু সালামাহ বিনতে আবী উমাইয়্যাহ্ আলাইহাস সালাম)। কুরাইশ।

৭. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাবি‘য়াহ্ আত্বওয়ালু ইয়াদান আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত যইনাব বিনতে জাহ্শ আলাইহাস সালাম)। বনূ আসাদ বংশীয়।

৮. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছামিনাহ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত জুওয়াইরিয়াহ্ বিনতে হারিছ আলাইহাস সালাম)। বনূ মুছত্বলিক্ব বংশীয় অর্থাৎ তিনি ছিলেন পবিত্র ইনজিল শরীফ উনার অনুসারী এবং সম্মানিত গোত্র প্রধান উনার মেয়ে।

৯. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত তাসি‘য়াহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত রায়হানাহ্ বিনতে শাম‘ঊন আলাইহাস সালাম)। বনূ নাযীর বংশীয় অর্থাৎ তিনি ছিলেন পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার অনুসারী এবং সম্মানিত গোত্র প্রধান উনার মেয়ে।

১০. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ্ বিনতে হুইয়াই ইবনে আখ্ত্বব আলাইহাস সালাম)। বনূ নাযীর বংশীয় অর্থাৎ তিনি ছিলেন পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার অনুসারী এবং সম্মানিত গোত্র প্রধান উনার মেয়ে।

১১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশর আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ বিনতে আবী সুফিয়ান আলাইহাস সালাম)। কুরাইশ।

১২. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছানিয়াহ ‘আশার আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়াহ্ ক্বিবতিয়াহ্ আলাইহাস সালাম)। বনূ ক্বিবত্ব বংশীয় অর্থাৎ তিনি ছিলেন পবিত্র ইনজিল শরীফ উনার অনুসারী এবং মিশরের বাদশাহ-এর ভাতিজী। উনার সম্মানার্থে আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১ জন আবনাউ রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাভ করেছি। সুবহানাল্লাহ!

১৩. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ ‘আশর আলাইহাস সালাম (সাইয়্যিদাতুনা হযরত মাইমূনাহ বিনতে হারিছ আলাইহাস সালাম)। বনূ হিলাল। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلنَّبِـىُّ اَوْلـٰى بِالْمُؤْمِنِـيْـنَ مِنْ اَنْـفُسِهِمْ وَاَزْوَاجُهۤٗ اُمَّهٰتُـهُمْ

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিন উনাদের নিকট উনাদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মু’মিন বলতে একমাত্র যিনি খ্বালিক্ব¡ মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, সমস্ত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালামসহ তামাম কায়িনাতবাসী সকলেই উদ্দেশ্য। সুবহানাল্লাহ! উনারা সকলেই মু’মিন। উনারা প্রত্যেকেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ঈমান মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

اِنَّ الْـجَنَّـةَ تَـحْتَ اَقْـدَامِ اُمَّهَاتِكُمْ

অর্থ: “নিশ্চয়ই সম্মানিত জান্নাত মুবারক তোমাদের সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নীচে।” সুবহানাল্লাহ! অপর বর্ণনায় এসেছেন-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَـنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْـجَنَّةُ تَـحْتَ اَقْدَامِ الْاُمَّهَاتِ

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত জান্নাত মুবারক সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে।” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উছ ছগীর ১/৫৬৩, আল কুনা ওয়াল আসমা’ ৩/১০৯১, মুসনাদে শিহাব ১/১০২, আল জামি’ লিখত্বীব বাগদাদী ৪/৪৬১, আল ফাওয়াইদ লিআবী শায়েখ ইস্পাহানী ১/২৬, আত তারগীব ওয়াত তারহীব ১/২৮১, মূজিবাতুল জান্নাহ ১/১১০, ফায়যুল ক্বদীর ৩/৪৭৭, আল ফাতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ২/৬২, জামি‘উল আহাদীছ ১২/৮০, দায়লামী ২/১১৬, ইহইয়াউ ‘উলূমিদ্দীন, মিরক্বাত শরীফ ইত্যাদি)

অর্থাৎ সন্তানদের সম্মানিত জান্নাত মুবারক হচ্ছে তাদের সম্মানিতা মাতা উনাদের পায়ের নিচে। সুবহানাল্লাহ!

সেটাই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

مَنْ قَــبَّـلَ رِجْلَ اُمِّهٖ فَكَاَنَّـمَا قَــبَّـلَ عَـتَــبَـةَ الْـجَنَّـةِ

অর্থ: “যে ব্যক্তি তার সম্মানিতা মাতা উনার পায়ে বুছা দিলো, সে যেন সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার চৌকাঠে বুছা দিলো।” সুবহানাল্লাহ! (দুর্রুল মুখতার ৬/৩৬৭, আল মাবসূত্ব ১২/৩৬৪, তাবঈনুল হাক্বাইক্ব ১৬/৩৭১, রদ্দুল মুহতার ২৬/৩৯২)

তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত শান মুবারক-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَمَنْ يَّــقْـنُتْ مِنْكُنَّ لِلّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتَـعْمَلْ صَالِـحًا نُّـؤْتِـهَا اَجْرَهَا مَرَّتَــيْـنِ وَاَعْـتَدْنَا لَـهَا رِزْقًا كَرِيْـمًا

অর্থ: “আপনাদের মধ্যে যাঁরা (অর্থাৎ আপনারা) মহান আল্লাহ পাক উনার অত্যন্ত অনুগতা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অত্যনন্ত অনুগতা এবং উনারা (অর্থাৎ আপনারা) সবসময় নেক কাজ করেন, আপনাদেরকে দ্বিগুন বদলা মুবারক হাদিয়া মুবারক করা হবে। আপনাদরে জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক রিযিক তৈরী করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সম্মান জনক মাকাম তৈরী করে রেখেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩১)

কারণ স্বরূপ মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,

يٰـنِسَاءَ النَّبِـىِّ لَسْتُـنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনী আলাইহিন্নাস সালাম! আপনারা কোনো পুরুষ-মহিলা অর্থাৎ সৃষ্টির কারো মতো নন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)

শুধু এতটুকুই নয়; সে প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পক তিনি উনাদের শান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّـمَا يُرِيْدُ اللهُ لِـيُـذْهِبَ عَـنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْـبَـيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِـيْـرًا

অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! (অর্থাৎ খাছ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম) নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত খিলাফত মুবারক হাদিয়া মুবারক করা প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاذْكُـرْنَ مَا يُــتْلـٰى فِـىْ بُــيُـوْتِكُنَّ مِنْ اٰيٰتِ اللهِ وَالْـحِكْمَةِ

অর্থ: “আপনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হুজরা শরীফসমূহে যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওহী মুবারক নাযিল হয়েছেন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, সেগুলো থেকে আপনারা জিন-ইনসানকে, সমস্ত সৃষ্টিকে ওয়াজ করুন, নছীহত করুন, তাদেরকে হিদায়াত করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)

কাজেই, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী। সুবহানাল্লাহ! উনাদেরকে ৬টি বিশেষ সম্মানিত মাক্বাম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেন। সেই লক্ষ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

مُسْلِمٰتٍ مُّؤْمِنٰتٍ قٰـنِتٰتٍ تٰـئِبٰتٍ عٰبِدٰتٍ سٰئِحٰتٍ

অর্থ: “(১) উনারা মুসলমান অর্থাৎ মুসলানিত্বের চুড়ান্ত মাক্বামের মালিক, (২) উনারা ঈমান অর্থাৎ মু’মিনত্বের উনারা মালিক, (৩) উনারা পরিপূর্ণ অনুগতা অর্থাৎ ইবাদত-বন্দেগী, নামায-কালাম, যিকির-ফিকির সব উনারা করেন এবং এই মাক্বামের উনারা মালিক, (৪) উনারা তওবাকারী অর্থাৎ তওবার চুড়ান্ত মাক্বামের মালিক উনারা, (৫) উনারা ইবাদতগুজার অর্থাৎ বান্দার তরফ থেকে সর্বোচ্চ মাক্বাম হচ্ছেন আবদিয়াতের মাক্বাম, সেই মাক্বামের মলিক হচ্ছেন উনারা এবং (৬) উনারা অনেক রোযাদার এবং ছমাদ (বেনিয়ায) অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ মাক্বাম হচ্ছেন ছমাদিয়াতের মাক্বাম। সৃষ্টির মধ্যে সেই মাক্বামেরও মালিক হচ্ছেন উনারা।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)

কাজেই, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ব্যাপারে কোনো চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করা যাবে না। যারা করবে, তাদের জন্য ভয়াবহ কঠিন পরিণতি রয়েছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেন,

وَلَوْلَا اِذْ سَـمِعْتُمُوْهُ قُـلْتُمْ مَّا يَكُوْنُ لَــنَا اَنْ نَّـــتَكَـلَّمَ بِـهٰذَا سُـبْحٰـنَكَ هٰذَا بُـهْتٰـنٌ عَظِيْمٌ

অর্থ: “তোমরা যখন (উনাদের শান মুবারকের খিলাফ এলোমেলো) এ কথা শুনলে, তখন কেন বললে না যে, এ বিষয়ে আমাদের কোন কথা বলার অধিকার নেই। তিনি (অর্থাৎ উনারা) অত্যন্ত পবিত্রতম। মহান আল্লা পাক তিনিও পবিত্র থেকে পবিত্রতম। এটা একটা কঠিন অপবাদ।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)

এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের শান-মান মুবারক বুঝিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যতে কিরূপ ব্যবহার মুবারক করতে হবে সে প্রসঙ্গে ইরশাদ মুবারক করেন,

يَـعِظُـكُمُ اللهُ اَنْ تَـعُوْدُوْا لِـمِثْـلِـهٖ اَبَـدًا اِنْ كُـنْــتُـمْ مُّؤْمِنِـيْـنَ. وَيُــبَــيِّـنُ اللهُ لَكُمُ الْاٰيٰتِ وَاللهُ عَلِـيْمٌ حَكِـيْمٌ

অর্থ: “যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাকো তাহলে তোমরা যেনে রাখ, শেষ বারের মতো তোমাদেরকে নছীহত করা হচ্ছে, তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, তোমরা ক্বিয়ামত পর্যন্ত আর কখনও হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনদীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্র শান মুবারকে এই সমস্ত কথ বলবে না, চূ-চেরা কিল ও কাল করবে না। মহান আল্লাহ পাক তিন সব হুকুম স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি সব জানেন, শুনেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাহরীম শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭-১৮)

এটা শেষবারের মতো নছীহত মুবারক করা হয়েছে। এরপরেও কেউ যদি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্মানিত শান মুবারকে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে, তার ফায়ছালা কি হবে, এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اِنَّ الَّذِيْنَ يُـحِبُّـوْنَ اَنْ تَشِيْعَ الْفٰحِشَةُ فِـى الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا لَـهُمْ عَذَابٌ اَلِـيْمٌ فِـى الدُّنْــيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاللهُ يَـعْلَمُ وَاَنْــتُـمْ لَا تَـعْلَمُوْنَ

অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শানে অশ্লীল-অশালীন কথা বলা পছন্দ করে থাকে তাদের জন্য ইহকাল-পরকালে কঠিন শাস্তি রয়েছে। এবং তাদেরকে (আমি) এমন কঠিন শাস্তি দিব যা মহান আল্লাহ পাক তিনি (অর্থাৎ আমি) ব্যতিত তোমরা কেউ জানো না। না‘ঊযুবিল্লাহ!।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নূর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

لُعِـنُـوْا فِـى الدُّنْــيَا وَالْاٰخِرَةِ وَلَـهُمْ عَذَابٌ عَظِـيْـمٌ

অর্থ: “ইহকাল-পরকালে অনন্তকাল ধরে তাদের উপর লা’নত বর্ষণ করা হবে এবং তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত কঠিন শস্তি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৩)

তারপর মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের পবিত্রতম শান মুবারক প্রসঙ্গে পুনরায় ইরশাদ মুবারক করেন,

اُولٰـئِكَ مُبَـرَّءُوْنَ مِـمَّا يَــقُوْلُوْنَ لَـهُمْ مَّغْفِرَةٌ وَّرِزْقٌ كَرِيْـمٌ

অর্থ: “উনাদের সম্পর্কে তারা যা বলে, উনারা সেটা থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র থেকে পবিত্রতম। সুবহানাল্লাহ! উনাদের জন্য রয়েছেন মাগফিরারত অর্থাৎ সুউচ্চ মর্যাদা মুবারক এবং কুদরতময় রিযিক্ব অর্থাৎ বিশেষ মাকাম মুবারক ও বিশেষ সম্মান মুবারক রয়েছেন যা উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নূর শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন,

وَقَضٰى رَبُّكَ اَلَّا تَـعْبُدُوْا اِلَّا اِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ اِحْسَانًا اِمَّا يَــبْـلُغَنَّ عِـنْدَكَ الْكِـبَـرَ اَحَدُهُـمَا اَوْ كِلـٰـهُـمَا فَلَا تَـقُلْ لَّـهُمَا اُفٍّ وَّلَا تَــنْـهَرْهُـمَا وَقُلْ لَّـهُمَا قَـوْلًا كَرِيْـمًا. وَاخْفِضْ لَـهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْـمَةِ وَقُلْ رَّبِّ ارْحَـمْهُمَا كَمَا رَبَّــيٰـنِـىْ صَغِـيْـرًا

অর্থ: “তোমাদের যিনি রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক তিনি আদেশ মুবারক করেছেন- তোমরা মহান আল্লাহ পাক ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত-বন্দেগী করো না। আর তোমাদের পিতা-মাতা উনাদের প্রতি ইহসান করবে অর্থাৎ সমস্ত কিছু দিয়ে উনাদের খিদমত করবে। যদি উনাদের মধ্যে দু’জন অথবা দু’জনের মধ্যে একজনকে বৃদ্ধ অথবা বৃদ্ধা বয়সে পাও তাহলে কখনও উনাদের কোন কাজে উহ্ বল না। আবার এমন কাজ করো না যে, তোমাদের পিতা-মাতা উহ্ বলেন অর্থাৎ অসন্তুষ্ট হন। এমন কোন কাজ করবে না, এটা দুই দিকে অর্থ। উহ্ বলার সুযোগ দিও না, তুমি উহ্ বল না। তুমি উনাদের সাথে ধমকের স্বরে কথা বলবে না। কাওলান কারীমা অর্থাৎ অত্যন্ত আদব, শরাফত ও মুহব্বতের সাথে অর্থাৎ জান্নাতী ভাষায় কথা বলবে এবং তুমি তোমার দয়ার হাতগুলি বিছিয়ে দাও অর্থাৎ তুমি অত্যন্ত আদবের সাথে, শরাফতের সাথে, মুহব্বতের সাথে দয়ার সাথে ইহসানের সাথে তোমার যত সাধ্য-সামর্থ আছে পুরাটা দিয়ে তুমি খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দাও। তুমি দোয়া কর- আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! দয়া করুন আমার পিাত-মাতাকে যেমন উনারা আমার প্রতি ছোটবেলায় দয়া করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, যদি একজন সাধারণ পিতা-মাতার ক্ষেত্রে এরূপ হয়, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা তো হচ্ছেন সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারাসহ সমস্ত জিন-ইনসান, ফেরেস্তা আলইহিমুস সালামসহ তামাম কায়িনাতবাসী সকলের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাতা আলাইহিন্নাস সালাম। তাহলে উনাদের প্রতি কতটুকু আদব বজায় রাখতে হবে এবং কতটুকু আদব বজায় রেখে উনাদের শান মুবারক-এ কথা বলতে হবে? উনাদেরকে কতটুকু মুহব্বত করতে হবে? উনাদের কতটুকু গোলামীর আনজম দিতে হবে? কতটুকু তা’যীম-তাকরীম করতে হবে? এবং উনাদের কতটুকু সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে? সে বিষয় সম্পর্কেও মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন,

تُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّـرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْـرَةً وَّاَصِيْلًا

অর্থ: “তোমরা উনার (উনাদের) সম্মানিত খিদমত মুবারক করো, সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল-সন্ধা অর্থাৎ দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)

সে প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِـيْـنَ الثَّالِـثَـةِ سَـيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْـقَةِ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ قَالَتْ اَمَا اِنِّــىْ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ يَـقُوْلُ لَنْ يَّـحْنُـوَ عَلَـيْكُنَّ بَـعْدِىْ اِلَّا الصَّالِـحُوْنَ

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সমস্ত সৃষ্টি সাবধান হয়ে যাও! সতর্ক হয়ে যাও! নিশ্চয়ই আমি স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে শুনেছি। তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমার পরে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সাথে একমাত্র শুধু নেককার, ছলিহীন, আল্লাহ ওয়ালা বান্দা-বান্দিরাই উত্তম ব্যবহার মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মা’রিফাতুছ ছাহাবা, হিলইয়াতুল আউলিয়া)

উল্লেখ্য যাদের অন্তর গালিজ যুক্ত এবং যারা বদ বখত ও বদ নছীব অর্থাৎ যাদের অন্তর নেফাকী ও কুফরীতে পরিপূর্ণ তারা কখনও উনাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করতে পারবে না।

কাজেই, সমস্ত জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, তামাম সৃষ্টি সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ, হুসনে যন মুবারক পোষণ করা, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ আদব বজায় রাখা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ন্যায় উনাদেরকেও জীবনের চেয়েও বেশি মুহব্বত করা এবং ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে অনন্তকালব্যাপী উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক করা, উনাদের সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনাদের সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা। আর এটাই হচ্ছেন হাক্বীক্বী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। যা পালন করা সমস্ত সৃষ্টির জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের একমাত্র হাক্বীক্বী পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম হচ্ছেন- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! তাই কেউ যদি উনাদের হাক্বীক্বী মুহাব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে চায়, তাদের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল উমাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আম্মা হুযূর ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা, উনার সম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা। সুবহানা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ ইবনে মারইয়াম।

 

 

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম