মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথোপকথন মুবারক

সংখ্যা: ২৮৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার ২০শে রবী‘উছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল জুমু‘আহ্ শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ওয়ায শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “আজকের খুতবা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার শান-মান মুবারক সম্পর্কে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْـيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

অর্থ: “যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করতেছেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র  হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেন সমস্ত কায়িনাত, বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান সবাইকে বলে দেন, সকলেই যে মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ফযল মুবারক, মহাসম্মানিত মহাপবিত্র রহমত মুবারক হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করতে পেরেছে, এজন্য সকলের দায়িত্ব হলো, কর্তব্য হলো, ফরয হলো উনার সম্মানার্থে শুকুর গুজারির সাথে ফালইয়াফরাহূ শরীফ অর্থাৎ খুশি মুবারক প্রকাশ করা। এই খুশি মুবারক প্রকাশ করা হচ্ছেন সকলের যিন্দেগীর সমস্ত ইবাদত থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবোর্ত্তম ইবাদত।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইঊনুস শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)

অথার্ৎ সমস্ত কায়িনাত একমাত্র যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, যিনি ইমামুল মুরসালীন, যিনি খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থেই সর্বপ্রকার নিয়ামত মুবারক পেয়েছে, পাচ্ছে, এবং অনন্তকাল ধরে পেতেই থাকবে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সবচেয়ে বড় নিয়ামত হচ্ছেন এই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফটা কি? আমরা এখানে অনন্তকালব্যাপী জারী করেছি এবং উনার বিশেষ ইন্তেজামও করেছি। এই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সম্পর্কে আজকে আমি কিছু জরুরী কথা বলবো। যে বিষয়গুলি আমার সাথে সরাসরি যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার কথোপকথন হয়েছে। আমি তার থেকে জরুরত আন্দাজ কিছু কথা বলবো। এই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার গুরুত্ব ফযীলত মুবারক কি? কথাগুলি অনেক লম্বা। আমি সংক্ষিপ্তভাবে বলবো। কিছু আমার ভাষায়, কিছু যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ভাষায় আর কিছু ওয়াকেয়া বলবো- যেটা হয়তো আলোচনা মুবারক উনার মধ্যে দু-একটা আগে পরে হতে পারে।

আমরা এই বছর সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ-এ যা করেছি, সামনে আরো অনেক বড় ব্যাপক আকারে করার জন্য চিন্তা-ফিকির করেছি। এখন এই চিন্তা ফিকিরটা কি শরীয়ত সম্মত? নাকি তার খেলাফ হবে? এতো খরচ করা কতোটুকু শরীয়ত সম্মত? বাতিল ফেরকারা বলে থাকে-

اِنَّ الْمُبَذِّرِيْنَ كَانُـوْا اِخْوَانَ الشَّيٰطِيْـنِ

‘নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা হচ্ছে শয়তানের ভাই।’ না‘ঊযুবিল্লাহ!

এ বিষয়গুলো আমি ফিকির করতেছিলাম। এর সাথে সাথে আমার ফিকিরে আসলো- যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,

كُـنْتُ كَـنْـزًا مَـخْفِيًّا فَاَحْبَـبْتُ اَنْ اُعْرَفَ فَخَلَـقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ

পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার সাধারণ অর্থ মুবারক করা হয়- كُـنْتُ كَـنْـزًا مَـخْفِيًّا আমি গুপ্ত ছিলাম। অনেকে বলে আমি গুপ্ত ভান্ডার ছিলাম।

যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন- كُـنْتُ كَـنْـزًا مَـخْفِيًّا কানযান ((كَنْـزًا হচ্ছেন ছহিবে নিয়ামত অথার্ৎ আমি নিজেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমি পুশিদা ছিলাম। كُـنْتُ كَـنْـزًا مَـخْفِيًّا  আমি যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব পুশিদা ছিলাম। فَاَحْبَـبْتُ اَنْ اُعْرَفَ আমার মুহব্বত হলো আমি প্রকাশ হই। فَخَلَـقْتُ الْـخَلْقَ لِاُعْرَفَ সৃষ্টি করলাম আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে আমার প্রকাশের জন্য। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আমার প্রকাশ এবং প্রচারের জন্য উনাকে আমি সৃষ্টি করেছি। সেটাই বলা হচ্ছে-

اَوَّلُ مَا خَلَقَ اللهُ نُـوْرِىْ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْـئٍ مِّنْ نُّـوْرِىْ

প্রথম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি মুবারক করা হয়েছে। তারপর এখান থেকে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে।

আবার বলা হচ্ছে- خَلَقَ اللهُ كُلَّ شَيْـئٍ مِّنْ نُّـوْرِىْ সমস্ত কিছু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন- উনার প্রচার প্রসারের জন্যই উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি মুবারক করা হয়েছে। আর ঠিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রচার-প্রসারটাই হচ্ছেন যিনি খ্বালিক, যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রচার-প্রসারের অন্তভূর্ক্ত। এটাই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

কাজেই যিনি খ্বালিক, যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন, তিনি নিজেই এই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)  তাই সমস্ত কায়িনাতের জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন এই সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এরপর জানতে চেয়েছিলাম যে, বারে ইলাহি يُـصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ উনার আসল অর্থ মুবারক কি? আপনি যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,

 اِنَّ اللهَ وَمَلٰـئِكَـتَهٗ يُـصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ يٰـاَيـُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَـيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا

উনার অর্থ মুবারক কি? সাধারণ মানুষতো ৪টি অর্থ করে থাকে। ১. যিনি খ্বালিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে রহমত মুবারক। ২. হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুস সালাম উনাদের পক্ষ থেকে ইস্তেগফার। ৩. আর অন্যান্য গাছ-পালা, তরুলতা-শাযারাত যা কিছু আছে তাদের তরফ থেকে তাস্বীহ-তাহ্লীল। ৪. জিন-ইনসানের তরফ থেকে ছলাত হচ্ছে দরূদ শরীফ, নামায। মানুষ এই অর্থ করে। যিনি খ্বালিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন- সাধারণ ভাবে অর্থ ঠিকিই আছে। এরকম আরো লক্ষ কোটি অর্থ রয়েছে। এখানে মূল যে অর্থ বুঝানো হয়েছে, সেটা হচ্ছেন يُـصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ  এটা হচ্ছে ওই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা। কোন সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফখানা? মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন,

اِنَّا اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْـرًا. لِـتُـؤْمِنُـوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْـرَةً وَّاَصِيْلًا

আমি জানতে চাইলাম এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার হাক্বীক্বতটা কি? যিনি খ্বালিক যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবুব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছি, সৃষ্টি মুবারক করেছি হাযির-নাযির, সাক্ষ্যদাতা হিসাবে। উনি সমস্ত সৃষ্টির তাছদীক্ব করবেন, সত্যায়িত করবেন, তাদেরকে সুসংবাদ দিবেন, ভয় প্রদর্শন করবেন, যাতে তারা হক্ব মতে-পথে থাকতে পারে।

لِـتُـؤْمِنُـوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ

যেন যিনি মালিক যিনি খ্বালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান আনে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনে। এরপর বললেন,

وَتُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْـرَةً وَّاَصِيْلًا

৩টি কথা। খিদমত করবে, তা’যীম-তাকরীম করবে, ছানা-ছিফত করবে অনন্তকালব্যাপী। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আসলে يُـصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ শব্দের অর্থ এই ৩টা। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তো আর খিদমত করেন না, উনি খিদমতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবত্রি হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মান করেন এবং করার জন্য বলেছেন, ছানা-ছিফত করেন এবং করার জন্য বলেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

وَرَفَـعْنَا لَكَ ذِكْـرَكَ

মযার্দা বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে আমরা আমভাবে দুইটি বিষয় বলে থাকি। একটা হচ্ছে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালিমা শরীফ। যেখানে যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক সংযুক্ত করে দিয়েছেন-

 لَا اِلـٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَـيْهِ وَسَلَّمَ

 কিয়ামত পর্যন্ত কেউ যদি শুধু لَا اِلـٰهَ اِلَّا اللهُ পাঠ করে, সে ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বাকিটুকু সে পাঠ না করবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আর দ্বিতীয় হচ্ছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা। উনাদের থেকে শপথ নেওয়া হয়েছে-

وَاِذْ اَخَذَ اللهُ مِيْـثَاقَ النَّبِـيّٖـنَ لَمَا اٰتَـيْـتُكُمْ مِّنْ كِـتٰـبٍ وَّحِكْمَةٍ ثُـمَّ جَاءَكُمْ رَسُوْلٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ لَـتُـؤْمِنُنَّ بِهٖ وَلَـتَـنْصُـرُنَّهٗ قَالَ اَاَقْـرَرْتُـمْ وَاَخَذْتُـمْ عَلـٰى ذٰلِكُمْ اِصْرِىْ قَالُوْا اَقْـرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوْا وَاَنَا مَعَكُمْ مِّنَ الشّٰهِدِيْنَ. فَمَنْ تَـوَلّٰـى بَـعْدَ ذٰلِكَ فَاُولٰئِكَ هُمُ الْفٰسِقُوْنَ

এই আয়াত শরীফ-এ উনার বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করা হয়েছে। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে ওয়াদা নিয়েছেন যে, আপনাদেরকে নবুওওয়াত-রিসালাত সব দেওয়া হবে। কিন্তু পরবতীর্ সময় আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নিবেন। উনাকে পেলে উনার প্রতি আপনারা ঈমান আনবেন, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দিবেন। এটা কি আপনারা স্বীকার করে নিলেন? উনারা বললেন, আমরা স্বীকার করে নিলাম। এই শর্ত মেনে নিলেন? উনারা বললেন, মেনে নিলাম। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, তাহলে আপনারা সাক্ষী থাকুন, আমিও সাক্ষী থাকলাম। তবে এর পরে কেউ ফিরে গেলে, তাহলে বিপরীত অবস্থা হবে।

এখন উনার শান-মান ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক হচ্ছেন-

وَتُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْـرَةً وَّاَصِيْلًا

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক করবে, তা’যীম-তাকরীম করবে, ছানা-ছিফত করবে অনন্তকালব্যাপী। এটা হচ্ছে-  يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ।

এখন এই تُـعَـزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ খিদমত মুবারক, তা’যীম-তাকরীম এবং ছানা-ছিফত সমস্ত সৃষ্টিকে করতে হবে।

এখন আমি জানতে চেয়েছিলাম, তাহলে বারে এলাহী! يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ বলার পর এখানে আপনি তো সালাম দেন নি? কিন্তু উম্মতকে বলা হয়েছে-

 يٰاَيـُّـهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُـوْا صَلُّوْا عَلَـيْهِ وَسَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا

এর অর্থটা কি? তিনি বললেন, আসলে বান্দা-বান্দী, জিন ইনসানকে বলা হয়েছে- صَلُّوْا عَلَيْهِ আর يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ একই অর্থ। অথার্ৎ তাদের উপর ফরয হচ্ছেন- আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোলামী মুবারক করা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেওয়া, তা’যীম-তাকরীম করা এবং  ছানা-ছিফত করা। আর سَلِّمُوْا تَسْلِيْمًا মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন- আসলে যেমন একজন লোক যখন কাউকে সালাম দেয়- اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ তাহলে এর অর্থটা কি? এর অর্থ হচ্ছে- আমার তরফ থেকে তোমার জন্য নিরাপত্তা। আমার তরফ থেকে তোমার জন্য পরিপূর্ণ নিরাপত্তা। কোন বিপদের আশঙ্কা নেই। শান্তি, সালাম। يُـصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ এখানে سَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا রয়ে গেছে। আরেকটা হচ্ছে ওই সম্মানিত ও আয়াত শরীফ উনার মধ্যে

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُـؤْمِـنُـوْنَ حَتّٰـى يُـحَكِّمُوْكَ فِـيْمَا شَجَرَ بَــيْـنَـهُمْ ثُـمَّ لَا يَـجِدُوْا فِـىْ اَنْـفُسِهِمْ حَرَجًا مِّـمَّا قَضَـيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا

একই অর্থ। এখানে যদিও মানুষ বলে থাকে সালাম দেওয়া- اَلسَّلَامُ عَلَـيْكُمْ মীলাদ শরীফ পাঠ করে, মানুষ ছলাত পাঠ করে, সালাম দেয়। হঁ্যা; ঠিকই আছে। এটা সাধারণ অর্থ। কিন্তু হাক্বীক্বী অর্থ হচ্ছে- বান্দা-বান্দীর তরফ থেকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা। কেমন নিরাপত্তা অথার্ৎ সে বিদ্রোহ করবে না, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান নিয়ে চূ-চের করবে না, ক্বীল-ক্বাল করবে না, বিপরীত ব্যাখ্যা করবে না, বেয়াদবি করবে না, বিদ্বেষ পোষণ করবে না, সবটা মানার মতো মেনে নিতে হবে। সেটাই বলা হচ্ছে- سَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا আবার এখানে বলা হচ্ছে- فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُـؤْمِنُـوْنَ আপনার রব তা‘য়ালা উনার ক্বসম। কেউ ঈমানদার হতে পারবে না, حَتّٰـى يُـحَكِّمُوْكَ فِـيْمَا شَجَرَ بَـيْـنَـهُمْ অথার্ৎ তাদের পরস্পর যে ইখতিলাফ সেগুলির ব্যাপারে আপনার আদেশ-নির্দেশ মুবারক না মেনে নেওয়া পর্যন্ত। এবং শুধু মানবে না-  لَا يَـجِدُوْا فِـىْ اَنْـفُسِهِمْ حَرَجًا অন্তরে কোন সংকীর্ণতা অনুভব করতে পারবে না। قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا এবং আপনি যেটা ফয়সালা করবেন, সেটা মানার মতো মেনে নিতে হবে। এখানে কোন চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করতে পারবে না। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনি বললেন- এটা হচ্ছে বান্দার জন্য এখানে এই অর্থ। কোন বিষয়ে চূ-চেরা ক্বীল-ক্বাল করতে পারবে না, প্রত্যেকটা মেনে নিতে হবে। আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত বুযগীর্-সম্মান মুবারক মেনে تُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا খিদমত মুবারক, তা’যীম-তাকরীম এবং ছানা-ছিফত দায়িমীভাবে করা। এটা হচ্ছে হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহু শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) পরিপূর্ণ মেনে নিতে হবে। এখানে কোন চূ-চেরা ক্বীল-কাল করার সুযোগ নেই।

আর যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার যে বিষয় তিনি বললেন-

 هُوَ الَّذِىْ اَرْسَلَ رَسُوْلَهٗ بِالْـهُدٰى وَدِيْنِ الْـحَقِّ لِـيُـظْهِرَهٗ عَلَى الدِّيْنِ كُـلِّهٖ وَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ

মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আমি নিজেই তো আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন হিসাবে সৃষ্টি করে পাঠিয়েছি। সমস্ত অতীতের ওহী দ্বারা নাযিলকৃত এবং অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সব মতবাদকে খণ্ডন করে দিয়ে, বাতিল করে দিয়ে, হিদায়েত এবং দ্বীন ইসলাম দিয়ে উনাকে আমি পাঠিয়েছি। এবং এর জন্য আমিই সাক্ষী যথেষ্ট।

এ জন্য আমার সম্পর্কে এখানে ‘সালাম’ শব্দ আমি ব্যবহার করিনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আর সেজন্যই তিনি এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফটা নাযিল করেছেন-

مَا كَانَ لِاَهْلِ الْمَدِيْـنَةِ وَمَنْ حَوْلَـهُمْ مِّنَ الْاَعْرَابِ اَنْ يَّــتَخَلَّـفُوْا عَنْ رَّسُوْلِ اللهِ وَلَا يَـرْغَبُـوْا بِاَنْـفُسِهِمْ عَنْ نَّـفْسِهٖ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মাদীনা শরীফ এবং উনার আশেপাশে যারা অর্থাৎ আরবী-আজমী কারো জন্য জায়েয হবে না মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ-নিষেধ মুবারকের খিলাফ করা, কোন বিষয়ে পিছিয়ে থাকা এটা জায়েয হবে না। এবং কোন অবস্থাতেই উনার থেকে নিজেকে প্রাধান্য দেওয়াটাও জায়েয হবে না। সেটাই নাযিল করে দেওয়া হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আর একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলে দেওয়া হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَـنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَـيْهِ وسَلَّمَ لَا يُـؤْمِنُ اَحَدُكُمْ حَـتّٰـى اَكُـوْنَ اَحَبَّ اِلَيْهِ مِنْ وَّالِدِهٖ وَوَلَدِهٖ وَالنَّاسِ اَجْـمَعِـيْـنَ وَفِـىْ رِوَايَةٍ مِنْ مَّالِهٖ وَنَـفْسِهٖ

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে তোমাদের পিতা-মাতা, সন্তান-সন্ততি এবং সমস্ত মানুষ থেকে বেশি মুহব্বত না করবে। আর অন্য বর্ণনায় এসেছেন, সমস্ত ধন-সম্পদ থেকে এবং নিজের জীবনের চেয়ে বেশি মুহব্বত না করবে (ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না)।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ, ছহীহ ইবনে হিব্বান, মুসনাদে বাযযার, আবী ইয়া’লা, মুস্তাদ্রাকে হাকিম, আবী আউওয়ানা, আল মু’জামুল কাবীর, আল মু’জামুল আওসাত্ব, দারিমী, মিশকাত)

তাহলে সবকিছু থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বেশি মুহাব্বত করতে হবে, প্রাধান্য দিতে হবে, উনার ছানা-ছিফত, উনার তা’যীম-তাকরীম, খিদমত মুবারক করতে হবে। সেটাই হচ্ছে হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহু শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এই প্রসঙ্গে বিশেষ করে আমরা যেটা আলোচনা করেছিলাম, চার জন মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুন্না উনাদের খুছূছিয়াত মুবারক। (১) প্রথম হচ্ছেন- আফযালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার যিনি আহলিয়া হযরত উম্মে রুম্মান আলাইহাস সালাম। উনি তাবুকের জিহাদে সমস্ত মাল-সম্পদ বস্তায় ভরে দিয়েছিলেন হাদিয়া করার জন্য। তিনি একজন। (২) দ্বিতীয় হচ্ছেন হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার আহলিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। তিনি উনার দুইজন ছেলে শহীদ হওয়ার পরও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে সম্মানিত দাওয়াত মুবারক দিয়েছিলেন, সেটা যেন কোন মতেই বাতিল হয়ে না যায়, সেই ব্যাবস্থা করেছেন। তিনি কোন অবস্থাতেই সন্তানকে প্রাধান্য দেননি। (৩) তৃতীয় হচ্ছেন হযরত আফরা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা। যিনি উনার দুই ছেলেকে পাঠিয়েছিলেন আবূ জেহেলকে হত্যা করার জন্য। তিনি উনার দুই ছেলে উনাদেরকে বলে দিয়েছিলেন যে, আপনারা শহীদ হয়ে যান কোন অসুবিধা নেই, কিন্তু আবূ জেহেলকে হত্যা করতেই হবে। উনারা কিন্তু সেটা করেছেন। পরবতীর্তে একজন শহীদ হয়েছেন। (৪) চতুর্থ হচ্ছেন ঐ সম্মানিত হযরত মহিলা ছাহাবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা- সম্মানিত উহুদের জিহাদে উনার পিতা, ভাই, আওলাদ, আহাল, উনারা শহীদ হয়েছেন। উনি শুনেছেন; কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেন নি। তিনি শুধু বলেছেন- আমি তো উনাদের সংবাদ শুনতে চাইনি, আমি শুনতে চেয়েছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কেমন আছেন। তিনি যখন সে স্থানে পেঁৗছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতমিনানী ছূরত মুবারক-এ দেখতে পেেলেন, তিনি তখন বললেন-

كُلُّ مُصِيْـبَةٍ بَـعْدَكَ جَلَلٌ يَـا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وَسَلَّمَ

‘ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে ইতমিনানী ছূরত মুবারক-এ দেখে আমার সমস্ত মুছীবত দূর হয়ে গেছে।’

এটা বলে তিনি যমীনে বসে পড়লেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

উনার আহাল, উনার সন্তান, উনার বাবা ও ভাই সকলেই শহীদ হয়ে গেছেন। তিনি কিন্তু চিন্তিত হন নি। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইতমিনানী হাল মুবারক-এ দেখে তিনি সন্তুষ্টি মুবারক প্রকাশ করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) উনারাই হাক্বীক্বী ‘ফালইয়াফরাহু শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) সেটাই বলা হয়েছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে-

فَاِنْ اٰمَنُـوْا بِـمِثْلِ مَا اٰمَنْـتُمْ بِهٖ فَـقَدِ اهْتَدَوْا

অর্থ: “যদি তারা ঈমান আনে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনগহুম উনারা যেভাবে ঈমান এনেছেন, সেভাবে, তাহলে অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে।” সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এটাই হচ্ছে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, ফালইয়াফরাহু শরীফ। যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি করে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, আরো বেশি করতে পারলে উনারা আরো বেশী খুশি হবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) তাহলে কতোটুকু করতে হবে সেটা ফিকির করতে হবে। সেটাই

وَرَفَـعْنَا لَكَ ذِكْـرَكَ

অথার্ৎ যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজেই উনার মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মান মুবারক, মযার্দা মুবারক বুলন্দ থেকে বুলন্দতর করেছেন। কতোটুকু করেছেন? সে বিষয়ে যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারাই ভালো জানেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন ইবনে ছিদ্দীক্ব।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম