মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে- সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৮তম পর্ব)

সংখ্যা: ২৮৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

(৩৪তম ফতওয়া হিসেবে)

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট  বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-ক্বুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের সর্বোত্তম ওসীলা মুবারক এবং মানুষের সম্মানিত আক্বীদাহ এবং আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক। সুবহানাল্লাহ!

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে সম্মানিত মুসলমান উনাদের সম্মানিত ঈমান এবং সম্মানিত আমল উনাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো “উলামায়ে সূ”। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’রা হারাম টিভি চ্যানেলে, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে সম্মানিত মুসলমান উনাদের বিশেষ বিশেষ ফযীলতযুক্ত আমলের রাত ও দিন মুবারকসমূহ পালন করাকে বিদয়াত, নাজায়িয ও শিরক বলে ফতওয়া দিয়ে সম্মানিত মুসলমান উনাদেরকে অশেষ খায়ের, বরকত, নিয়ামত, নাজাত অর্থাৎ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক থেকে মাহরূম করছে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যেমন তারা বলে থাকে যে, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত, শিরক। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ শরীফ পালন করা বিদয়াত। না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! সম্মানিত ও পবিত্র শবে বরাত পালন করা বিদয়াত, নাজায়িয। না‘ঊযুবিল্লাহ! অনুরূপ আরো অনেক বিষয়কেই তারা বিনা দলীলে মনগড়াভাবে নাজায়িয ও বিদয়াত বলে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

অপরদিকে বেদ্বীনী-বদদ্বীনী অর্থাৎ কাফির মুশরিক, ইহুদী, নাছারাদের যত পর্ব বা দিবস রয়েছে সেগুলোকে শুধু জায়িযই নয় বরং নি‘য়ামত বলে আখ্যা দিয়ে থাকে। না‘ঊযুবিল্লাহ! যেমন বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক্ব প্রকৃতপক্ষে খবীছ উবাই বলেছিল, “পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নি‘য়ামত।” না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ! না‘ঊযুবিল্লাহ!

তাদের উপরোক্ত বক্তব্য চরম বিভ্রান্তিকর, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কুফরীমূলক। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত এবং আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, “সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা বিদয়াত শিরক এবং পহেলা বৈশাখ মহান আল্লাহ পাক উনার নি‘য়ামত।” নাউযুল্লিাহ! তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল বা জায়িয বিষয়কে হারাম বা নাজায়িয বলা এবং হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। এ সম্পর্কে কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

اِسْتِحْلَالُ الْـمَعْصِيَةِ كُفْرٌ

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে ‘সূ’দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমান উনাদের সম্মানিত আক্বীদাহ্ মুবারক ও সম্মানিত ঈমান উনাদের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

অনুরূপ উলামায়ে ‘সূ’দের এই কুফরীমূলক বক্তব্য সম্মানিত মুসলমান উনাদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা, যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা থেকে বিরত থাকবে এবং হারাম পহেলা বৈশাখ পালন করবে” তারা অশেষ খায়ের, বরকত ও নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের কর্তৃক নিষিদ্ধকৃত বা হারাম কাজে মশগুল হওয়ার কারণে কঠিন গুনাহগার অর্থাৎ জাহান্নামী হবে। না‘ঊযুবিল্লাহ!

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা এবং হক্বপন্থী ও সমঝদার মুসলমানগণ উনারা যেন উনাদের সম্মানিত ঈমান ও সম্মানিত আমল হিফাযত করতে পারেন অর্থাৎ সকল বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ মোতাবেক বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক পোষণ করে এবং সঠিক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের হাক্বীক্বী রিযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিন মুবারক উনাদের সম্মানিত আমল মুবারকসমূহ উনাদের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়াটি” প্রকাশ করা হলো।

 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত, দিন ও সময়ের গুরুত্ব, ফযীলত ও আহকাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

পূর্ব প্রকাশিতের পর

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জুমাদাল ঊলা শরীফ মাসে প্রকাশিত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফসমূহ

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিশেষ তারীখ মুবারক= ৬টি

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ= ৯টি

৪. গ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ:

সাইয়্যিদু কুরাইশ, সাইয়্যিদুন নাস, মালিকু আহলি বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বদদো‘আ মুবারক উনার কারণে আছ্হাবুল ফীল বা হস্তি বাহিনী অর্থাৎ আবরাহা ও তার দলবল খোদায়ী গযবে পরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া, ধ্বংস হয়ে যাওয়া

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের ৫০ দিন পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২২শে মুহররমুল হারাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ বা সোমবার) সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল মুত্ত্বালিব আলাইহিস সালাম) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বদদো‘আ মুবারক উনার কারণে আছ্হাবুল ফীল বা হস্তি বাহিনী অর্থাৎ আবরাহা ও তার দলবল খোদায়ী গযবে পরে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, ধ্বংস হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ! আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উক্ত তারীখ মুবারক উনাকে ‘ইয়াওমুল ফীল বা হস্তি বাহিনীর ধ্বংসের দিবস’ হিসেবে নামকরণ মুবারক করেছেন। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র তাফসীর শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন, আবিসিনিয়ার শাসকের অনুমতিক্রমে তার প্রতিনিধি হিসেবে ‘আবরাহা’ নামে কুচক্রী এক যালিম ব্যক্তি ইয়েমেনের শাসনকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হয়।

কুচক্রী, নাক কাটা যালিম ‘আবরাহা’ লক্ষ্য করলো, সম্মানিত ও পবিত্র হজ্জ উনার সময় লক্ষ লক্ষ লোক প্রচুর মাল-সম্পদ নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ সম্মানিত ও পবিত্র হজ্জ করতে যান, তা দেখে সে হিংসার আগুনে দগ্ধ হয় এবং চিন্তা করে- ইয়েমেনের সানা শহরে একটা আকর্ষণীয় গির্জা তৈরী করে মানুষদেরকে সেখানে একত্রিত হওয়ার জন্য আহবান করবে। তার ডাকে লোকজন যদি সাড়া দেয়, তাহলে সমস্ত পশুপাল ও মাল-সম্পদ দ্বারা সে ফায়দা লাভ করতে পারবে। এ খেয়ালে সে ইয়েমেনের সানা শহরে মূল্যবান পাথর দিয়ে একটা গির্জা তৈরি করে। সে গির্জাকে ‘খলীছা’ নামে নামকরণ করে। গির্জার দেয়ালগুলি স্বর্ণ, মণি-মুক্তা হীরা-জহরত দিয়ে প্রলেপ দেয় এবং নানা রকম মূর্তি, প্রতিমা স্থাপন করে। অতঃপর সে তার দেশ ও আশেপাশের এলাকায় ঘোষণা করে দেয়, যাতে সকলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ না গিয়ে তার এ ‘খলীছা’ গির্জায় আসে। এতে আরববাসী বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফবাসী ও উনার অধিবাসী কুরাঈশগণ অসন্তুষ্ট হন।

এক বর্ণনায় রয়েছেন, কেনানা গোত্রের এক ব্যক্তি সেখানে চাকুরি নেয়। অতঃপর সে সুযোগ বুঝে এক রাত্রিতে গির্জায় প্রবেশ করে সেখানে ইস্তিঞ্জা করে অপবিত্র করে সেখান থেকে চলে যায়।

অপর বর্ণনায় রয়েছেন, এক ব্যবসায়ী কাফেলা সেখানে রাত্রি যাপন করে। তারা আলো এবং খাবার পাক করার জন্য আগুন জ্বালায়, সেই আগুনে হঠাৎ গির্জার একটা অংশ পুড়ে যায়। নাক কাটা যালিম আবরাহার কিছু লোক যারা সেখানে পূজা করতো তারা সেই স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। এটা শুনে আবরাহা অত্যন্ত রাগান্বিত হয় এবং শপথ করে যে, সে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ ধ্বংস করে দিবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! কারণ স্বরূপ সে বলে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার অধিবাসী উনারাই তার গির্জা অপবিত্র করেছে ও পুড়িয়ে দিয়েছে। তখন সে আবিসিনিয়ার শাসককে ব্যাপারটা জানিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। না‘ঊযুবিল্লাহ! অনেক সৈন্য-সামন্ত ও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হাতি মাহমূদসহ ১৩টি হাতি নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ উনার দিকে রওয়ানা হয়। আবরাহা চেয়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আটটা হাতি দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার চারটা ভিত উনাদের সাথে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে সজোরে টান দিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে সহজেই ভূপতিত করবে। না‘ঊযুবিল্লাহ! রাস্তায় অনেকে বাধা দেয়া স্বত্ত্বেও সে বাধা উপেক্ষা করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ পৌঁছে। সেখানে পবিত্র মক্কাবাসী উনাদের উটসহ অনেক চতুষ্পদ জন্তু তারা লুটপাট করে নেয়। তার মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুইশত উটও ছিল। এ সংবাদ শুনে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আবরাহার সাথে দেখা করেন এবং উনার দুইশত উট ফেরত চান। আবরাহা উনাকে দেখে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম করে এবং বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, আপনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার হিফাযতের কথা না বলে শুধু আপনার উট চাইলেন, এর কি কারণ?

জবাবে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, উটের মালিক আমি, সেজন্য উটগুলি হিফাযত করা আমার দায়িত্ব। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার মালিক আমি নই। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার মালিক হচ্ছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি। আর আমি হচ্ছি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার খিদমতগার বা খাদিম। কাজেই, মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনাকে তিনি নিজেই হিফাযত করবেন; তা বলার অপেক্ষাই রাখে না। আর তোমাদের সাথে যুদ্ধ করার আদৌ কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। এখন তোমার যা ইচ্ছা তুমি তা-ই করতে পারো। আমরা অতিসত্ত্বর স্থান ত্যাগ করে নিরাপদ দূরত্বে চলে যাবো।

অতঃপর নাক কাটা যালিম আবরাহা সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উট ফেরত দিলো।

সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কিছু লোকজনসহ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার কাছে গিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গিলাফ মুবারক ধরে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কান্না মুবারক করে) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ মুবারক করলেন এবং বললেন, ‘আয় বারে এলাহী, মহান আল্লাহ পাক! আপনি এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক উনার মালিক ও হিফাযতকারী। আমি এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক উনার দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলাম তা যথাযথ পালন করার চেষ্টা করেছি। এখন আবরাহা এসেছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার ক্ষতি করার জন্য। সে যে পরিমাণ সৈন্য-সামন্ত ও অস্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে তাকে বাধা দেয়ার মত প্রস্তুতি আমাদের নেই। কাজেই, আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক আপনার হিফাযতে দিয়ে আমরা নিরাপদ দূরত্বে চলে যাচ্ছি।’

পরের দিন যালিম নাক কাটা আবরাহা তার সমস্ত বাহিনী নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কা’বা শরীফ উনার ক্ষতি করার জন্য অগ্রসর হলো। কিন্তু হাতিগুলো একটাও সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলো না। কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেলো, কিছু ক্ষুদ্র আকৃতির পাখি যা আকারে কবুতরের চেয়ে ছোট। কতগুলি সাদা বর্ণের, কতগুলি কালো বর্ণের, কতগুলি নীল বর্ণের। সমুদ্রের দিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে লাগলো।

তাদের মাথা ছিলো হিংস্র জন্তুর মত, ঠোট ছিলো হাতির শুঁড়ের মত আর নখগুলি ছিলো কুকুরের মত। প্রত্যেকটি পাখি তিনটি কঙ্করময় প্রস্তর বহন করে এনেছিলো। একটি ঠোঁটে, দু’টি পায়ে। নাক কাটা আবরাহা ও তার বাহিনীর উপরে এসে সে কঙ্করগুলি নিক্ষেপ করতে লাগলো। এর ফলে তৎক্ষনাৎ কিছু ধ্বংস হয়ে গেলো। কিছু আহত অবস্থায় পলায়ন করার পথে ধ্বংস হলো। কঙ্করগুলি উপর দিক থেকে পড়ে নিচ দিয়ে বের হয়ে মাটিতে অদৃশ্য হয়ে যেত। যার কারণে নাক কাটা আবরাহার সৈন্য বাহিনী, হস্তিবাহিনী ভক্ষিত তৃণের ন্যায় হয়ে গেলো। কুরাঈশগণ দূর থেকে এ ঘটনা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করলেন। কঙ্করগুলি ছিলো ডাল অপেক্ষা বড় ও ছোলা বুট থেকে ছোট।

নাক কাটা যালিম আবরাহা ইয়েমেন পর্যন্ত পৌঁছলো এবং তার উপর দিয়ে পাখিগুলি উড়তে থাকলো। সেখানে পৌঁছার পরে পাখির কঙ্কর নিক্ষেপের কারণে সেও ভক্ষিত তৃণের ন্যায় হয়ে গেলো। আর নাক কাটা যালিম আবরাহার মন্ত্রী ইয়াকছুম পালিয়ে আবিসিনিয়ায় শাসকের কাছে এ সংবাদ পৌঁছায়। তার উপর দিয়েও একটি পাখি উড়ছিলো। সে সংবাদ পৌঁছানোর পর পাখিটি কঙ্কর নিক্ষেপ করায় সেও ভক্ষিত তৃণের ন্যায় হয়ে যায়।

যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ফীল শরীফ’ নাযিল করেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

اَلَـمْ تَـرَ كَـيْفَ فَـعَلَ رَبُّكَ بِاَصْحٰبِ الْفِيْلِ

(১) আপনি কি দেখেননি অর্থাৎ আপনি তা দেখেছেন যে, আপনার মহান রব তা‘য়ালা তিনি হস্তিবাহিনীর সাথে বা হাতিওয়ালাদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করলেন?

 اَلَـمْ يَـجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِـىْ تَضْلِـيْلٍ

(২) তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ বা ব্যর্থ করে দেননি?

وَاَرْسَلَ عَلَـيْهِمْ طَـيْـرًا اَبَابِـيْلَ

(৩) এবং প্রেরণ করলেন তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি

تَـرْمِيْهِمْ بِـحِجَارَةٍ مِّنْ سِجِّيْلٍ

(৪) উহারা তাদের উপর কঙ্করময় পাথর নিক্ষেপ করল

فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّاْكُوْلٍ

(৫) অত:পর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণের ন্যায় করলেন। (তরজমায়ে হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সংকলিত)

বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদু কুরাইশ, সাইয়্যিদুন নাস, মালিকু আহলি বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার প্রায় ৮৭ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২০শে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবী‘উল আউওয়াল শরীফ) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর দুনিয়াবী দৃষ্টিতে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বয়স মুবারক যখন ৮ বছর ২ মাস ১০ দিন, তখন ২২শে জুমাদাল ঊলা শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইছনাইনিল আযীম শরীফ অর্থাৎ সোমবার) মালিকুল জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন অর্থাৎ পবিত্র দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে ৯৫ বছর ২ মাস ২ দিন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র অবস্থান মুবারক করেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাওয়ানেহ্ ‘উমরী মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক জানার, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার, উনাকে সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার এবং দায়িমীভাবে অনন্তকাল যাবৎ উনার সম্মানিত গোলামী মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়ার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন! আমীন! আমীন!

অসমাপ্ত- (পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁ, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩২