মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এ বিষয়ে কারো কোনো প্রকার ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক (২০তম পর্ব)

সংখ্যা: ২৮৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য এবং অশেষ-অসীম সম্মানিত ছলাত ও সালাম মুবারক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত খিদমত মুবারক-এ। মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের খাছ রহমত, বরকত, সাকীনাহ, দয়া-দান, ইহসান মুবারক উনাদের কারণে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ” উনার ফতওয়া বিভাগ উনার তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের অকাট্ট দলীলের আলোকে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩.নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬.মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯.ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪.প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন উনার শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কের্ ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮.নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০.শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যুহর বা ইহ্তিয়াতুয্ যুহরের আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা) ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) ২২.হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪.হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)  ২৭. ইসলামের নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-২৩৭), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২০৩তম সংখ্যা), ৩২. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে “হানাফী মাযহাব মতে নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ে ‘আমীন’ অনুচ্চ আওয়াজে বা চুপে চুপে পাঠ করাই শরীয়ত উনার নির্দেশ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২১২তম সংখ্যা), ৩৩. “পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২২০তম সংখ্যা-চলমান), ৩৪. “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ ও মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে সম্মানিত ইসলামী মাস ও বিশেষ বিশেষ রাত ও দিনের আমলসমূহের গুরুত্ব, ফযীলত এবং বেদ্বীন-বদদ্বীনদের দিবসসমূহ পালন করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৩৮-চলমান), ৩৫. “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৪-চলমান), ৩৬. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” (২৬৫-চলমান), পেশ করার পাশাপাশি-

৩৭তম সম্মানিত ফতওয়া মুবারক হিসেবে

‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা’ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যারা মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত বিশেষ ফতওয়া মুবারক’ পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি।

পূর্ব প্রকাশিতের পর

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানীকারীদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়ার বিষয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীল

(১)

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ الَّذِيْنَ يُـؤْذُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ لَعَنَـهُمُ اللهُ فِـى الدُّنْـيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاَعَدَّ لَـهُمْ عَذَابًا مُّهِيْـنًا

অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে কষ্ট দেয়, তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত দুনিয়া ও আখিরাতে এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের জন্য অত্যন্ত লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭)

(২)

মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ মুবারক করেন-

وَالَّذِيْنَ يُـؤْذُوْنَ رَسُوْلَ اللهِ لَـهُمْ عَذَابٌ اَلِـيْمٌ

অর্থ: “আর যারা মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয়, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা তাওবা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)

(৩)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

مَلْعُوْنِـيْـنَ اَيْــنَمَا ثُقِفُوْاۤ اُخِذُوْا وَقُـتِّلُوْا تَـقْتِـيْلًا

অর্থ: “তারা চরম মাল‘ঊন। তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই পাকড়াও করে কুচিকুচি করে অর্থাৎ টুকরো টুকরো করে ক্বতল করে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)

 

(৪)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ الَّذِيْنَ يُـحَآدُّوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ كُبِتُـوْا كَمَا كُبِتَ الَّذِيْنَ مِنْ قَـبْـلِهِمْ

অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের বিরোধীতা করে, তাদেরকে এমনভাবে ধ্বংস করে দেয়া হবে, যেভাবে তাদের পূর্ববর্তীদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিলো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মুজাদালাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫)

(৫)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ الَّذِيْنَ يُـحَآدُّوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗۤ اُولٰٓئِكَ فِـى الْاَذَلِّـيْـنَ

অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, তারা লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মুজাদালাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ২০)

(৬)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّـمَا جَزٰٓءُ الَّذِيْنَ يُـحَارِبُـوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ وَيَسْعَوْنَ فِـى الْاَرْضِ فَسَادًا اَنْ يُّــقَتَّـلُوْاۤ اَوْ يُصَلَّـبُـوْاۤ اَوْ تُـقَطَّعَ اَيْـدِيْهِمْ وَاَرْجُلُهُمْ مِّنْ خِلَافٍ اَوْ يُـنْـفَوْا مِنَ الْاَرْضِ ذٰلِكَ لَـهُمْ خِزْىٌ فِـى الدُّنْـيَا وَلَـهُمْ فِـى الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِـيْمٌ

অর্থ: “যারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করে, উনাদের বিরোধীতা করে এবং যমীনে ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে- তাদেরকে কুচিকুচি করে অর্থাৎ টুকরো টুকরো করে ক্বতল করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে অথবা তাদের হাত-পাসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে, (যমীন থেকে মিটিয়ে দিয়ে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেয়া হবে)। এটি হলো তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা। আর (জাহান্নামে যাওয়ার পর) পরকালে তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত কঠোর শাস্তি।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মায়িদাহ্ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

(৭)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُـؤْمِنُوْنَ حَتّٰـى يُـحَكِّمُوْكَ فِيْمَا شَجَرَ بَـيْـنَـهُمْ ثُـمَّ لَا يَـجِدُوْا فِـىْ اَنْـفُسِهِمْ حَرَجًا مِّـمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوْا تَسْلِـيْمًا

অর্থ: “আপনার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম, তারা কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনাকে তাদের সমস্ত বিষয়ে ফায়ছালাকারী হিসেবে মেনে না নিবে। অতঃপর তারা আপনার সম্মানিত ফায়ছালা মুবারক উনাকে বীনা চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বালে অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে মেনে না নিবে।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৫)

(৮)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اَلَـمْ تَـرَ اِلَـى الَّذِيْنَ يَـزْعُمُوْنَ اَنَّـهُمْ اٰمَنُـوْا بِـمَاۤ اُنْزِلَ اِلَيْكَ وَمَاۤ اُنْزِلَ مِنْ قَـبْلِكَ يُرِيْدُوْنَ اَنْ يَّــتَحَاكَمُوْاۤ اِلَـى الطَّاغُوْتِ وَقَدْ اُمِرُوْآ اَنْ يَّكْفُرُوْا بِهٖ وَيُرِيْدُ الشَّيْطٰنُ اَنْ يُّضِلَّهُمْ ضَلٰلًا بَعِيْدًا

অর্থ: “আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, আপনার প্রতি যা নাযিল হয়েছেন তারা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছে এবং আপনার পূর্বে যা নাযিল হয়েছেন তার উপরও তারা ঈমান এনেছে। আর একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে তারা তাগূত তথা শয়তান ও তার অনুসারী ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিকদের নিকট যেতে চায়, অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে সুদূর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত করতে চায়।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা নিসা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬০)

 

(৯)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ شَانِـئَكَ هُوَ الْاَبْـتَـرُ

অর্থ: “নিশ্চয়ই আপনার যারা শত্রু রয়েছে, তারা নির্বংশ এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৩)

(১০)

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

تَــبَّتْ يَدَاۤ اَبِـىْ لَـهَبٍ وَّتَبَّ. مَاۤ اَغْنٰـى عَنْهُ مَالُهٗ وَمَا كَسَبَ. سَيَصْلـٰى نَارًا ذَاتَ لَـهَبٍ. وَّامْرَاَتُهٗ حَـمَّالَةَ الْـحَطَبِ. فِـىْ جِيْدِهَا حَبْلٌ مِّنْ مَّسَدٍ

অর্থ: “আবূ লাহাবের দু’হাত ধ্বংস হলো এবং সে নিজেও ধ্বংস হলো। কোনো কাজে আসবে না বা কোনো ফায়দা দিবে না তার আল-আওলাদ, মাল-সম্পদ যা কিছু সে উপার্জন করেছে। অচিরেই বা অতিশীঘ্রই সে শিখাবিশিষ্ট আগুনে প্রবেশ করবে। এবং তার স্ত্রীও (অতিশিঘ্রই শিখাবিশিষ্ট আগুনে প্রবেশ করবে) যে কাঠ বা লাকড়ি বহনকারিনী। তার গলায় রশি থাকবে যা খেজুর গাছের ছাল-বাকলের দ্বারা তৈরি।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা মাসাদ শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১-৫)

১নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ এবং উনার তাফসীর বা ব্যাখ্যা:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ الَّذِيْنَ يُـؤْذُوْنَ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ لَعَنَهُمُ اللهُ فِـى الدُّنْـيَا وَالْاٰخِرَةِ وَاَعَدَّ لَـهُمْ عَذَابًا مُّهِيْـنًا

অর্থ: “নিশ্চয়ই যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে কষ্ট দেয়, তাদের উপর দুনিয়া ও আখিরাতে মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদের জন্য অত্যন্ত লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭)

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করা এটা অবশ্যই অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের নিকট অত্যন্ত কষ্টের কারণ। আর এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, যারা উনাদেরকে কষ্ট দিবে তাদের উপর দুনিয়া ও পরকালে মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। দুনিয়াতে তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত অর্থ হচ্ছে দুনিয়ার যমীনে তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড।

রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন,

لَعَنَـهُمُ اللهُ} عَذَّبَـهُمُ اللهُ {فِى الدُّنْـيَا} بِالْـقَتْلِ وَالْاِجْلَاءِ

অর্থ: “{তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত} মহান আল্লাহ পাক উনার আযাব {দুনিয়ার যমীনে} মৃত্যুদণ্ড ও উচ্ছেদের মাধ্যমে।” (তাফসীরে ইবনে আব্বাস ৩৫৭ নং পৃষ্ঠা)

আল্লামা হযরত মুক্বাতিল ইবনে সুলাইমান রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ১৫০ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,

لَعَنَـهُمُ اللهُ فِى الدُّنْـيَا وَالْاٰخِرَةِ (يَـعْنِـىْ بِاللَّعْنَةِ فِى الدُّنْـيَا اَلْعَذَابُ وَالْقَتْلُ وَالْـجَلَاءُ وَاَمَّا فِى الْاٰخِرَةِ فَاِنَّ اللهَ يُعَذِّبُـهُمْ بِالنَّارِ

অর্থ: “{তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত দুনিয়া ও পরকালে} অর্থাৎ দুনিয়ার যমীনে লা’নত দ্বারা উদ্দেশ্য আযাব, মৃত্যুদণ্ড এবং উচ্ছেদ। আর পরকালে লা’নত দ্বারা উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই মহান আল্লহ পাক তিনি তাদেরকে জাহান্নামের আগুন দ্বারা শাস্তি প্রদান করবেন।” (তাফসীরে মুক্বাতিল ৩/৫৪)

আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৫৯৭) তিনি বলেন,

وَلَعَـنَـهُمْ فِـى الدُّنْـيَا بِالْقَتْلِ وَالْـجَلَاءِ وَفِـى الْاٰخِرَةِ بِالنَّارِ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার যমীনে তাদের উপর লা’নত বর্ষণ করেন- মৃত্যুদণ্ড ও উচ্ছেদের মাধ্যমে আর পরকালে জাহান্নামের আগুনের মাধ্যমে।” (তাফসীরে যাদুল মাসীর ফী ইলমিত তাফসীর ৫/১৪৯)

আল্লামা হযরত আবুল লাইছ সমরকন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৩৭৩ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,

{لَعَنَـهُمُ اللهُ فِـى الدُّنْـيَا} يَعْنِـىْ عَذَّبَـهُمُ اللهُ فِـى الدُّنْـيَا بِالْقَتْلِ وَالسَّبْـىِ {وَالْاٰخِرَةِ} بِالنَّارِ

অর্থ: “{দুনিয়ার যমীনে তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত} অর্থাৎ দুনিয়ার যমীনে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে মৃত্যুদণ্ড ও বন্দীত্বের মাধ্যমে শাস্তি দিবেন। আর {পরকালে} তাদেরকে জাহান্নামের আগুনের দ্বারা শাস্তি দিবেন।” (তাফসীরে সমরকন্দী শরীফ ৩/৪২০)

আল্লামা কাযী হযরত মুজীরুদ্দীন ইবনে মুহম্মদ ‘উলাইমী মাক্বদিসী হাম্বলী রহমতুল্লাহি আলাইহি (বিছাল শরীফ ৯২৭ হিজরী শরীফ) তিনি বলেন,

لَعَنَـهُمُ اللهُ فِـى الدُّنْـيَا} بِالْقَتْلِ {وَالْاٰخِرَةِ} بِالنَّارِ

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়ার যমীনে তাদের উপর লা’নত বর্ষণ করেন- মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে। আর পরকালে লা’নত বর্ষণ করেন- জাহান্নামের আগুনের মাধ্যমে।” (ফাতহুর রহমান ফী তাফসীরিল কুরআন ৫/৩৮৮)

এই বিষয়টাই মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে দিয়েছেন যে,

 مَلْعُوْنِيْـنَ اَيْـنَمَا ثُقِفُوْاۤ اُخِذُوْا وَقُتِّلُوْا تَـقْتِيْلًا

অর্থ: “তারা চরম মাল‘ঊন। তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই পাকড়াও করে কুচিকুচি করে অর্থাৎ টুকরো টুকরো করে ক্বতল করে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)

কাজেই, যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করবে, সেটা সরাসরি হোক বা ইশারা ইঙ্গিতেই হোক- তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। তারা নামধারী মুসলমান হোক বা কাফির হোক অথবা নাস্তিক হোক কিংবা যে কোনো ধর্মেরই অনুসারী হোক না কেন। তাদের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু তাই নয়, তাদেরকে শাস্তিস্বরূপ দৃষ্টান্তমূলকভাবে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তা শরীয়তের অন্যান্য বিধান অমান্য করার কারণে যেরূপ কঠিন শাস্তি দেয়া হয়, তার চেয়ে আরো লক্ষ-কোটি গুণ বেশি কঠিনভাবে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি দিয়ে হত্যা করতে হবে। তাদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে, সেখানেই পাকড়াও করতে হবে এবং কুচিকুচি করে অর্থাৎ টুকরো টুকরো করে ক্বতল করে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। সুবহানাল্লাহ! এটাই হচ্ছে তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি। এমনকি যারা তাদেরকে সমর্থন করবে, তাদেরও একই হুকুম।

অসমাপ্ত-(পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁ, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩২