মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-১৪)

সংখ্যা: ২৭৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৬তম ফতওয়া হিসেবে

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সম্মানিত আদব মুবারক-

৭. দুই রাক‘আত সম্মানিত ছালাত আদায় করা:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ প্রবেশ করে বসার পূর্বে দুই রাক‘আত সম্মানিত ছালাত আদায় করা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাত মুবারক উনার অন্তর্ভূক্ত। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

(৫৪৩-৫৮৯)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ قَتَادَةَ بْنَ رِبْعِـىِّ ۣ الْاَنْصَارِىِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلَ اللهِ صَلّىَ اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا دَخَلَ اَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلَا يَـجْلِسْ حَتّٰـى يُصَلِّىَ رَكْعَتَيْنِ.

অর্থ: “হযরত আবূ কাতাদাহ ইবনে রিবঈ আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমাদের কেউ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ প্রবেশ করলে, দুই রাক‘আত সম্মানিত ছালাত আদায় করার পূর্বে বসবে না।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসনাদে আহমদ ৫/৩১১, মুসনাদে ‘আব্দুর রাজ্জাক্ব ১/৪২৮, মুসনাদে বায্যার ১৫/২০৬, কান্যুল ‘উম্মাল ৭/৬৭৫, জামি‘উল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী ৩/১০৯, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৩/৫৩, আল মু’জামুল কাবীর লিত্ ত্ববরানী ৩/৩৯০, আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত্ ত্ববরানী ৩/১৮, শু‘য়াবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী ৪/৪৬১, ছহীহ্ ইবনে খুযাইমাহ্ ৩/১৬৩, মা’রিফাতুছ ছাহাবাহ্ লি আবী না‘ঈম ৬/৭৭, হিলইয়াতুল আউলিয়া লি আবী না‘ঈম ৩/১৬৮, হাদীছুস সিরাজ ৩/১৪৪, আল মুখতাছারুন নাছীহ্ ১/৪৯৩, আল আওসাত্ব লি ইবনে মুনযির ৫/৪৮৪, ফাত্হুল বারী লি ইবনে হাজার ২/৪১১, শরহুল বুখারী লি ইবনিল বাত্ত্বাল ৫/১৬৮, ‘উমদাতুল ক্বারী ১০/১৬৯, আহ্কামুল আহ্কাম শরহু ‘উমদাতিল আহ্কাম ১/১৮৯, আল লাম‘উ ফী আসবাবি উরূদিল হাদীছ লিস সুয়ূত্বী ১/৪১, সুবুলুল ইসলাম ১/১৫৯, শরহুল বুলূগ ১/১১৫, আল বায়ান ওয়াত্ তা’রীফ ১/৬৪, বিলায়াতুল্লাহ ওয়াত্ ত্বরীকু ইলাইহা লিশ্ শাওকানী ১/৩৭০, মিরক্বাতুল মাফাতীহ্ ২/৫৯৬, কাশফুল লুছাম শরহু ‘উমদাতিল আহ্কাম ২/৫১২, আল বাদরুত্ তামাম শরহু বুলূগুল মারাম লিল মাগরিবী ২/৪১৪, আল লামি‘উছ ছবীহ বি শরহিল জামি‘ইছ ছহীহ্ ৫/৫২, তুহ্ফাতুল বারী ৩/২৩৩, আত্ তাওশীহ্ লিস সুয়ূত্বী ৩/১০০৭, খুলাছাতুল বাদরিল মুনীর ১/১৮০, আত্ তালখীছুল হাবীর লি ইবনে হাজার ১/৪৭৫, আল জামি‘উছ ছগীর লিস সুয়ূত্বী ১/৪৩, আল ফতহুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ১/১০০, তুহ্ফাতুল মুহ্তাজ ১/৪১৮, রিয়দ্বুছ ছালিহীন ২/৪০, লুবাবুল হাদীছ লিস সুয়ূত্বী ১/১৩, জাম‘উল জাওয়মি’ লিস সুয়ূত্বী ১/২২২৪, গ¦ায়াতুল উছূল ১/১০, হাশিয়াতুল ‘আত্ত্বার ১/১১৩, রফ‘উন নিক্বাব ৩/২৮০, বর্হ্রু রাইক্ব ৪/১৮২, ফাতহুল ‘আযীয শরহুল ওয়জীয ৩/১১০, আল মিনহাজ লি ইবনে হাজার, আসনাল মাত্বালিব, রদ্দুল মুহ্তার লি ইবনে ‘আবিদীন ইত্যাদি)

৮. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় না করা ও হারানো জিনিস না খোঁজা:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে বেচাকেনা করা ও হারানো জিনিস খোঁজা হারাম। এই সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৫৯০-৬১৩)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا رَاَيْتُمْ مَّنْ يَّبِيْعُ اَوْ يَبْتَاعُ فِى الْمَسْجِدِ فَقُوْلُوْا لَا اَرْبَحَ اللهُ تِـجَارَتَكَ وَاِذَا رَاَيْتُمْ مَّنْ يَّنْشُدُ فِيْهِ ضَالَّةً فَقُوْلُوْا لَا رَدَّ اللهُ عَلَيْكَ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন তোমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ভিতরে কোনো লোককে ক্রয়-বিক্রয় করতে দেখবে, তখন বলবে- মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন তোমার ব্যবসায় কোনো লাভ প্রদান না করেন। আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে কোনো লোককে হারানো জিনিসের ঘোষণা দিতে দেখবে, তখন বলবে- মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন তোমার হারানো জিনিস ফিরিয়ে না দেন।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, দারিমী শরীফ, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ২/৪৪৭, আল জামি‘উছ ছগীর লিস সুয়ূত্বী ১/৪৭, আল ফত্হুল কাবীর লিস সুয়ূত্বী ১/১০৮,  ছহীহ্ ইবনে খুযাইমাহ্ ২/২৭৪, আল মুর্হারারু ফিল হাদীছ ১/২৬৬, তাখরীজু আহাদীছি ইহ্য়াউ ‘উলূমিদ্দীন ২/৮১১, মিশকাত শরীফ, হাশিয়াতু ই‘আনাতুত্ ত্বালিবীন ১/২২৬, মির‘আতুল মাফাতীহ্ ২/৪৪৭, মিরক্বাতুল মাফাতীহ্ ২/৫৯৮, নাইলুল আওত্বার লিশ শাওকানী ২/১৮৪, যখীরাতুল ‘উক্ববা ৯/২৮, আত্ তানবীর শরহুল জামি‘ইছ ছগীর ২/৬২, আল কাশ্শাফ ‘আন হাক্বাইক্বুস্ সুনান ৩/৯৫২, আত্ তাহ্বীর লি ইদ্বাহি মা‘আনিয়িত্ তাইসীর ১/৪৬৪, আল মাফাতীহ্ ফী শরহিল মাছাবীহ্ ২/৮৫, শরহু মাছাবীহুস সুন্নাহ্ ১/৪৪৪,  মাতানু কিতাবিশ র্শাহি ওয়াল ইবানাহ্ ‘আলা উছূলিস্ সুন্নাতি ওয়াল দিয়ানাহ্ লি ইবনে বাত্বাহ্ ১/২৮৬, আস সুনান ওয়াল আহকাম লিল মাক্বদিসী ১/৩৩৭, সিলাহুল মু’মিন ১/৩১১, ই’লামুস সাজিদ বি আহকামিল মাসাজিদ লিয যারকাশী ১/৩২৪, আল ফতূহাতুর রব্বানিয়্যাহ্ ২/৬৫ ইত্যাদি)

৯. কাঁচা রসুন, পিঁয়াজ বা অনুরূপ দুর্গন্ধযুক্ত কোনো কিছু খেয়ে মহাসম্মানিত ও মহপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে না যাওয়া:

কাঁচা পিঁয়াজ-রসুন বা এ জাতীয় দুর্গন্ধযুক্ত কোন জিনিস খেয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে যাওয়া নিষেধ। এই সম্পর্কে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,

(৬১৪-৬২৪)

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اَكَلَ مِنْ هٰذِهِ الْبَقْلَةِ الثُّوْمِ وقَالَ مَرَّةً مَنْ اَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّوْمَ وَالْكُرَّاثَ فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا فَاِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَتَاَذّٰى مِـمَّا يَتَاَذّٰى مِنْهُ بَنُوْ اٰدَمَ.

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি (কাঁচা) পিঁয়াজ, রসুন বা পিঁয়াজ জাতীয় সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব জিনিস দ্বারা কষ্ট পায় হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাও সেসব জিনিস দ্বারা কষ্ট পান। না‘ঊযুবিল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, তাফসীরে কুরতুবী ১২/২৬৭, আত্ তাওদ্বীহ্ লি শরহিল জামি‘ইছ ছহীহ্ ৭/৩৩৫, যখীরতুল ‘উক্ববা ১/২৮২, নাখবুল ইফকার লি বদরুদ্দীন ‘আইনী ১৩/২৩৩, ইকমালুল মু’লিম বি ফাওয়াইদি মুসলিম ২/৪৯৮, ফাতহুল মুন‘ইম ৩/১৯৭, আল জাম‘উ বাইনাছ ছহীহাইন লিল হুমাইদী ২/২৩৪, আল মাত্বালিবুল ‘আলিয়াহ্ ৩/৫৩৭, আল আহ্কামুল উসত্বা লিল ইশবীলী ১/২৭৭, আল আহ্কামুছ ছুগরা লিল ইশবীলী ১/১৭৫ ইত্যাদি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে,

(৬২৫-৬৩৭)

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ اَكَلَ مِنْ هٰذِهِ الشَّجَرَةِ يُرِيْدُ الثُّوْمَ فَلَا يَغْشَانَا فِـىْ مَسَاجِدِنَا.

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি এই জাতীয় বৃক্ষ হতে অর্থাৎ কাঁচা রসুন খায় সে যেন অবশ্যই আমাদের মহাসম্মানিত  মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে না আসে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (বুখারী শরীফ, আল জুয্উ ইবনে জারীর ১/১০, ফাতহুল বারী লি ইবনে হাজার ৫/২৮১, আত্ তামহীদ লিল কুরতুবী ৫/৪১৭, আল কাওয়াকিবুদ্ দারারী ৫/২০০, ইরশাদুস সারী লিল কুসতুলানী ২/১৪৬, ফাইযুল বারী ২/৪০৭, আল কাওছারুল জারী ২/৪৭৪, আল লামি‘উছ ছবীহ্ ৪/২২৯, মিনহাতুল বারী ২/৫৭০, আত্ তাওশীহ্ লিস সুয়ূত্বী ২/৮১০, তাগলীকুত্ তা’লীক্ব লি ইবনে হাজার ২/৩৪১, আত্ তাজরীদুছ ছরীহ্ ১/১৪৪ ইত্যাদি)

১০. সম্মানিত জুমু‘আহ্ শরীফ উনার দিন সকাল সকাল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে গমন করা:

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু অলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

(৬৩৮)

عَنْ حَضْرَتْ اَوْسِ بْن اَوْسِ ۣ الثَّقَفِـىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ غَسَّلَ يَوْمَ الْـجُمُعَةِ وَاغْتَسَلَ وَبَكَّرَ وَابْتَكَرَ وَمَشٰى وَلَـمْ يَرْكَبْ وَدَنَا مِنَ الْاِمَامِ فَاسْتَمَعَ وَلَـمْ يَلْغُ فَاِنَّ لَهٗ بِكُلِّ خُطْوَةٍ عَمَلَ سَنَةٍ اَجْرَ صِيَامِهَا وَقِيَامِهَا.

 অর্থ: “হযরত আউস ইবনে আউস আছ ছাক্বফী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু অলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইরশাদ মুবারক করতে শুনেছি, যে ব্যক্তি সম্মানিত জুমু‘আহ্ শরীফ দিন ভালভাবে গোসল করে। অতঃপর সকাল সকাল বাহনে নয় (বরং) পায়ে হেঁটে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে যায় এবং সম্মানিত ইমাম সাহেব উনার কাছাকাছি বসে ও মনোযোগ দিয়ে (আলোচনা) খুৎবা শোনে আর অনর্থক কিছু না করে, তার জন্য প্রতি পদক্ষেপে এক বছরের ছিয়াম এবং ক্বিয়ামের অর্থাৎ এক বছর দিনে রোযা রাখার এবং রাতের বেলায় নফল ছালাত আদায় করার সমান নেকী মুবারক রয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল ফাওয়াইদ ২/২০২)

আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنِ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْـجُمُعَةِ غُسْلَ الْـجَنَابَةِ ثُـمَّ رَاحَ فَكَاَنَّـمَا قَرَّبَ بَدَنَةً وَمَنْ رَاحَ فِى السَّاعَةِ الثَّانِيَةِ فَكَاَنَّـمَا قَرَّبَ بَقَرَةً وَمَنْ رَاحَ فِى السَّاعَةِ الثَّالِثَةِ فَكَاَنَّـمَا قَرَّبَ كَبْشًا أَقْرَنَ وَمَنْ رَاحَ فِى السَّاعَةِ الرَّابِعَةِ فَكَاَنَّـمَا قَرَّبَ دَجَاجَةً وَمَنْ رَاحَ فِى السَّاعَةِ الخَامِسَةِ فَكَاَنَّـمَا قَرَّبَ بَيْضَةً فَإِذَا خَرَجَ الإِمَامُ حَضَرَتِ الْثـمَلاَئِكَةُ يَسْتَمِعُوْنَ الذِّكْرَ.

 অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সম্মানিত জুমু‘আহ্ শরীফ উনার দিন জানাবাতের (অপবিত্রতার) গোসলের ন্যায় গোসল করেন অর্থাৎ উত্তমরূপে গোসল করেন এবং সম্মানিত ছালাত উনার জন্য (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে) আগমন করেন, তিনি যেন একটি উট কুরবানী করলেন। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করেন, তিনি যেন একটি গাভী কুরবানী করলেন। সুবহানাল্লাহ! তৃতীয় পর্যায়ে যিনি আগমন করেন, তিনি যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কুরবানী করলেন। সুবহানাল্লাহ! চতুর্থ পর্যায়ে যিনি আগমন করেন, তিনি যেন একটি মুরগী যবেহ্ করলেন। সুবহানাল্লাহ! পঞ্চম পর্যায়ে যিনি আগমন করেন, তিনি যেন একটি ডিম দান করলেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সম্মানিত ইমাম সাহেব যখন (আলোচনা করার জন্য) খুৎবা দেয়ার জন্য বের হন, তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা আলোচনা শুনার জন্য উপস্থিত হয়ে থাকেন।” সুবহানাল্লাহ!

অসমাপ্ত- (পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৬

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৭

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৮

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১