মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করার এবং উনাদের সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করার বেমেছাল ফযীলত মুবারক

সংখ্যা: ২৭৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَتَـحْسَبُهُمْ اَيْقَاظًا وَّهُمْ رُقُوْدٌ وَّنُقَلِّبُهُمْ ذَاتَ الْيَمِيْـنِ وَذَاتَ الشِّمَالِ وَكَلْبُهُمْ بَاسِطٌ ذِرَاعَيْهِ بِالْوَصِيْدِ لَوِ اطَّلَعْتَ عَلَيْهِمْ لَوَلَّيْتَ مِنْهُمْ فِرَارًا وَّلَمُلِئْتَ مِنْهُمْ رُعْبًا.

অর্থ: “(আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, বান্দা-বান্দী, উম্মতদেরকে বলে দিন,) তোমরা মনে করবে উনারা জাগ্রত, অথচ উনারা নিদ্রিত। আমি উনাদেরকে পার্শ্ব পরিবর্তন করাই ডান দিকে ও বাম দিকে। উনাদের কুকুরটি সামনের পা দুটি গুহাদ্বারে প্রসারিত করে রয়েছে। যদি তোমরা উঁকি দিয়ে উনাদেরকে দেখতে, তবে পেছনে ফিরে পলায়ন করতে এবং উনাদের ভয়ে আতঙ্ক গ্রস্ত হয়ে পড়তে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাহ্ফ শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)

এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে ‘তাফসীরে কুরতুবী শরীফ উনার ১০ম খণ্ডের ৩৭১-৩৭২ পৃষ্ঠায়’ উল্লেখ রয়েছে-

قَالَ حَضْرَتْ ابْنُ عَطِيَّةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ وَحَدَّثَنِـىْ اَبِـىْ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ حَضْرَتْ اَبَا الْفَضْلِ الْـجَوْهَرِىَّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِـىْ جَامِعِ مِصْرَ يَقُوْلُ عَلٰى مِنْبَـرِ وَعْظِهٖ سَنَةَ تِسْعٍ وَّسِتِّيْـنَ وَاَرْبَعِمِائَةٍ اِنَّ مَنْ اَحَبَّ اَهْلَ الْـخَيْـرِ نَالَ مِنْ بَرَكَتِهِمْ كَلْبٌ اَحَبَّ اَهْلَ فَضْلٍ وَّصَحِبَهُمْ فَذَكَرَهُ اللهُ فِـىْ مُـحْكَمِ تَنْزِيْـلِهٖ قُلْتُ اِذْ كَانَ بَعْضُ الْكِلَابِ قَدْ نَالَ هٰذِهِ الدَّرَجَةَ الْعُلْيَا بِصُحْبَتِهٖ وَمُـخَالَطَتِهٖ الصُّلَحَاءَ وَالْاَوْلِيَاءَ حَتّٰـى اَخْبَرَ اللهُ تَعَالـٰى بِذٰلِكَ فِـىْ كِتَابِهٖ جَلَّ وَعَلَا فَمَا ظَنُّكَ بِالْـمُؤْمِنِيْـنَ الْـمُوَحِّدِيْنَ الْـمُخَالِطِيْـنَ الْمُحِبِّيْـنَ لِلْاَوْلِيَاءِ وَالصَّالِـحِيْـنَ بَلْ فِـىْ هٰذَا  تَسْلِيَةٌ وَّاُنْسٌ لِّلْمُؤْمِنِـيْـنَ الْمُقَصِّرِيْنَ عَنْ دَرَجَاتِ الْكَمَالِ الْمُحِبِّـيْـنَ لِلنَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاٰلِهٖ خَيْـرِ اٰلٍ رَوَى الصَّحِيْحُ عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ بَيْنَا اَنَا وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَارِجَانِ مِنَ الْمَسْجِدِ فَلَقِيَنَا رَجُلٌ عِنْدَ سُدَّةِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! مَتَـى السَّاعَةُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اَعْدَدْتَّ لَـهَا قَالَ فَكَاَنَّ الرَّجُلَ اسْتَكَانَ ثُـمَّ قَالَ وَيَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا اَعْدَدْتُّ بِـهَا كَثِيْرَ صَلَاةٍ وَّلَا صِيَامٍ وَّلَا صَدَقَةٍ وَّلٰكِـنِّـىْ اُحِبُّ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ فَاَنْتَ مَعَ مَنْ اَحْبَبْتَ فِـىْ رِوَايَةٍ قَالَ حَضْرَتْ اَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فَمَا فَرِحْنَا بَعْدَ الْاِسْلَامِ فَرَحًا اَشَدَّ مِنْ قَوْلِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاَنْتَ مَعَ مَنْ اَحْبَبْتَ قَالَ حَضْرَتْ اَنَسٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ فَاَنَا اُحِبُّ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلصَّدِّيْقَ الْاَكْبَـرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَبَا بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَسَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْفَارُوْقَ الْاَعْظَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ (سَيِّدَنَا حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ) فَاَرْجُوْ اَنْ اَكُوْنَ مَعَهُمْ وَاِنْ لَّـمْ اَعْمَلْ بِاَعْمَالِـهِمْ قُلْتُ وَهٰذَا الَّذِىْ تَـمَسَّكَ بِهٖ حَضْرَتْ اَنَسٌ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ يَشْمَلُ مِنَ الْمُسْلِمِيْـنَ كُلَّ ذِىْ نَفْسٍ فَكَذٰلِكَ تَعَلَّقَتْ اَطْمَاعُنَا بِذٰلِكَ وَاِنْ كُنَّا مُقَصِّرِيْنَ وَرَجَوْنَا رَحْـمَةَ الرَّحْـمٰنِ وَاِنْ كُنَّا غَيْرَ مُسْتَاْهِلِـيْـنَ كَلْبٌ اَحَبَّ قَوْمًا فَذَكَرَهُ اللهُ مَعَهُمْ فَكَيْفَ بِنَا وَعِنْدَنَا عَقْدُ الْاِيْـمَانِ وَكَلِمَةُ الْاِسْلَامِ وَحُبُّ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَـنِـىْ اٰدَمَ وَحَـمَلْنٰهُمْ فِـى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنٰهُمْ مِنَ الطَّيِّبٰتِ وَفَضَّلْنٰهُمْ عَلـٰى كَثِيْـرٍ مِّـمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيْلًا.

 অর্থ: “হযরত ইবনে আতিয়্যাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার শ্রদ্ধেয় পিতা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বলেছেন যে, তিনি ৪৬৯ হিজরী শরীফ-এ মিসরের জামে মসজিদে আবুল ফযল জওহারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একটি ওয়ায শুনেছেন। তিনি মিম্বরে বসে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি নেককার উনাদেরকে মুহব্বত করে উনাদের নেকীর অংশ সে-ও পায়। দেখ, আছহাবে কাহ্ফের কুকুর উনাদেরকে মুহব্বত করেছে এবং উনাদের সঙ্গী হয়ে গেছে। ফলে মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ-এ এই কুকুরটির কথা উল্লেখ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

(ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,) আমি বলি, একটি কুকুর যখন নেককার এবং ওলীগণ উনাদের ছোহবত মুবারক অর্জন করার কারণে এবং উনাদের সঙ্গী হওয়ার কারণে এই সুউচ্চ মর্যাদা পেতে পারে যে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি এই বিষয়টি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কিতাব মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে আলোচনা মুবারক করেছেন, তখন আপনি অনুমান করুন, যেসব ঈমানদার তাওহীদী লোক মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী ও নেককার ব্যক্তিত্ব উনাদেরকে মুহব্বত করে, উনাদের সঙ্গী হয়, তাদের মর্যাদা কতটুকু হবে? সুবহানাল্লাহ! এ ঘটনা মুবারক-এ সেসব মুসলমান উনাদের জন্য সান্তনা ও সুসংবাদ রয়েছে, যাঁরা আমলে কাঁচা, কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মনে প্রাণে মুহব্বত করেন। সুবহানাল্লাহ! (অতঃপর ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,) ‘ছহীহ বুখারী শরীফ’-এ হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে। তিনি বলেন, একদিন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদে নববী শরীফ থেকে বের হচ্ছিলাম। সম্মানিত মসজিদে নববী শরীফ উনার দরজা মুবারক উনার নিকট আমাদের সাথে একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার দেখা হলো। তিনি সুওয়াল করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! কিয়ামত কবে হবে? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি কিয়ামতের জন্যে কী প্রস্তুতি নিয়েছেন (যে, আপনি কিয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন)? এই কথা শুনে উক্ত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি মনে মনে কিছুটা লজ্জিত হলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি কিয়ামতের জন্যে অনেক নামায, রোযা ও দান-খয়রাত সঞ্চয় করিনি, কিন্তু আমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে মুহব্বত করি। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে আপনি (পরকালে) উনার সাথে থাকবেন, যাঁকে আপনি মুহব্বত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!

অপর বর্ণনায় রয়েছে, হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,)

فَاَنْتَ مَعَ مَنْ اَحْبَبْتَ

‘আপনি (পরকালে, সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ) উনার সাথে থাকবেন, যাঁকে আপনি মুহব্বত মুবারক করেন।’ সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুস সালাম মুবারক-এ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র যবান মুবারক-এ) এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ শুনে আমরা এতই আনন্দিত হলাম যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করার পর, মুসলমান হওয়ার পর এর চাইতে বেশী আনন্দিত আর কখনো হইনি। সুবহানাল্লাহ! হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি আরো বলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে ও সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে মুহব্বত করি এবং আশা করি যে, (পরকালে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ) উনাদের সাথেই থাকবো। যদিও আমি উনাদের অনুরূপ আমল করি না। সুবহানাল্লাহ!

(অতঃপর ইমাম কুরতুবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,) আমি বলি, আর এই বিষয়টি যা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি আঁকড়িয়ে ধরেছেন, তা প্রত্যেক মুসলমান উনাদেরকে শামিল করেছে। সুবহানাল্লাহ! অনুরূপভাবে আমাদের কাঙ্খিত প্রত্যাশা, কামনা-বাসনা তার সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে, যদিও আমরা এই বিষয়ে ব্যর্থ। আর আমরা মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রহমত মুবারক প্রত্যাশা করি, যদিও আমরা আযোগ্য। সুবহানাল্লাহ! কুকুর আছহাবে কাহ্ফ উনাদেরকে মুহব্বত করার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদের সাথে কুকুরের আলোচনা (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে) করেছেন। (যদি তাই হয়,) তাহলে আমাদের তো রয়েছে সম্মানিত ঈমান মুবারক উনার বন্ধন, সম্মানিত ইসলাম উনার কালিমা মুবারক এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারক, তাহলে আমাদের সাথে মহান আল্লাহ পাক তিনি কিরূপ আচরণ মুবারক করবেন? সুবহানাল্লাহ! (মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বানী ইসরাঈল শরীফ উনার ৭০ নং সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ’ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,)

وَلَقَدْ كَرَّمْنَا بَـنِـىْ اٰدَمَ وَحَـمَلْنٰهُمْ فِـى الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَرَزَقْنٰهُمْ مِنَ الطَّيِّبٰتِ وَفَضَّلْنٰهُمْ عَلـٰى كَثِيْـرٍ مِّـمَّنْ خَلَقْنَا تَفْضِيْلًا.

 ‘নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তান উনাদেরকে সম্মানিত করেছি, আমি উনাদেরকে স্থল ও পানিতে চলাচলের বাহন দান করেছি; উনাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং উনাদেরকে অনেক তথা সমস্ত সৃষ্টি জীবের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।” সুবহানাল্লাহ!  (তাফসীরে কুরতুবী শরীফ ১০/৩৭১-৩৭২)

হযরত শেখ সা’দী রমহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-

   سگ  اصحاب کہف  روزے  چند

  پئے نیکاں   گرفت   ومردم شد

অর্থ: “আছহাবে কাহ্ফের কুকুর নেককারদের ছোহবতে থাকার কারণে মানুষের ছূরতে জান্নাতী হবে।” সুবহানাল্লাহা!

রঈসুল মুফাসসিরীন মিনাল আউওয়ালীন ইলাল আখিরীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পরকালে হিসাব-নিকাশের পর আছহাবে কাহ্ফের কুকুরটি বনী ইসরাঈলের মরদূদ দরবেশ বাল‘আম ইবনে বা‘ঊরার ছূরতে সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ প্রবেশ করবে এবং অনন্তকাল যাবৎ সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান করবে।” সুবহানাল্লাহ!

এখন বলার বিষয় হচ্ছে, ‘সম্মানিত ও পবিত্র সূরা কাহ্ফ শরীফ’ হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার অন্যতম একখানা সূরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সেই সম্মানিত সূরা শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ‘আছহাবে কাহ্ফ’ উনাদের আলোচনা করেছেন এবং উনাদের সাথে উনাদের কুকুরটিরও আলোচনা করেছেন। সুবহানাল্লাহ! এই কুকুরটি উনাদেরকে মুহব্বত করার কারণে, উনাদের সঙ্গী হওয়ার কারণে পরকালে মরদূদ দরবেশ বাল‘আম ইবনে বা‘ঊরার ছূরতে জান্নাতী হবে। সুবহানাল্লাহ! আছহাবে কাহ্ফ উনার সদস্যরা ছিলেন হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উম্মত। উনারা অনেক বড় ওলীআল্লাহ ছিলেন তা না। উনারা ঈমান হেফাযতের লক্ষ্যে পাহাড়ের গুহায় প্রবেশ করেছেন। আর উনাদেরকে মুহব্বত করার কারণে, উনাদের সঙ্গী হওয়ার কারণে যদি একটি কুকুর এতো বেমেছাল ফযীলত লাভ করে যে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে কুকুরটির আলোচনা করেন এবং কুকুরটি পরকালে মানুষের ছূরতে জান্নাতী হয়, তাহলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক হচ্ছেন এক কথায় উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনাদেরকে যাঁরা সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করবেন, উনাদের সম্মানিত ছোহবত মুবারক অর্জন করবেন এবং উনাদের সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করবেন, উনারা কী নিয়ামত মুবারক লাভ করবেন? মূলত তা সমস্ত জিন-ইনসান তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফযল-করম মুবারক-এ এবং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দয়া-দান, ইহ্সান মুবারক-এ ঐ সকল ব্যক্তি উনারা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের আখাছ্ছুল খাছ তায়াল্লুক-নিসবত, কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভ করবেন এবং উনাদের খাদিম হিসেবে উনাদেরই সাথে অনন্তকাল যাবৎ সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অবস্থান মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহ! যদিও উনাদের আমলে শত ত্রুটি থাকুক না কেন, ইন্তিকালের পূর্বে উনাদের খালিছ তওবা নসীব হবে এবং মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে বিনা হিসেবে সর্বোচ্চ জান্নাত মুবারক-এ অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীমের সাথে প্রবেশ করাবেন। সুবহানাল্লাহ!

এ কারণেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ جَرِيْرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْبَـجَـلِـىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ شَهِيْدًا اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ مَغْفُوْرًا لَّهٗ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ تَائِبًا اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ مُؤْمِنًا مُّسْتَكْمِلَ الْاِيْـمَانِ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَّرَهٗ حَضْرَتْ مَلَكُ الْمَوْتِ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِالْـجَنَّةِ ثُـمَّ حَضْرَتْ مُنْكَرٌ وَّنَكِيْـرٌ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُزَفُّ اِلَـى الْـجَنَّةِ كَمَا تُزَفُّ الْعَرُوْسُ اِلـٰى بَيْتِ زَوْجِهَا اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَتَحَ اللهُ لَهٗ فِـىْ قَبْـرِهٖ بَابَيْـنِ اِلَـى الْـجَنَّةِ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَعَلَ اللهُ قَبْرَهٗ مَزَارَ مَلَائِكَةِ الرَّحْـمَةِ اَلَا وَمَنْ مَّاتَ عَلـٰى حُبِّ اٰلِ سَيِّدِنَا شَفِيْعِنَا مَوْلَانَا مُـحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَاتَ عَلَى السُّنَّةِ وَالْـجَمَاعَةِ.

অর্থ: “হযরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ বাজালী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি শহীদী মৃত্যু পাবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ইন্তেকাল করবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি তওবাকারীরূপে ইন্তেকাল করবেন। সুবহানাল্লাহ! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি পরিপূর্ণ ঈমানদার মু’মিন হিসেবে ইন্তেকাল করবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, উনাকে মালাকুল মউত আলাইহিস সালাম তিনি এবং হযরত মুনকার ও নকীর আলাইহিমাস সালাম উনারা সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার সুসংবাদ মুবারক দিবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, উনাকে এমনভাবে সুসজ্জিত করে জান্নাতে নেয়া হবে, যেমনভাবে কনেকে সাজিয়ে তার স্বামীর ঘরে নেয়া হয়। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তির কবরে ঐ ব্যক্তির জন্য সম্মানিত জান্নাত উনার দিকে দুটি দরজা মুবারক খুলে দিবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত ব্যক্তি উনার কবরকে সম্মানিত রহমতের ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের মাযার শরীফ বা যিয়ারতগাহ বানাবেন। সুবহানাল্লাহ! সাবধান! যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারক-এ ইন্তেকাল করবেন, তিনি সম্মানিত আহলু সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার উপর ইন্তেকাল করবেন অর্থাৎ তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহাসম্মানিত হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের খাছ অনুসারী হিসেবে ইন্তিকাল করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে কুরতুবী ১৬/২৩, তাফসীরে কবীর ২৭/৫৯৫, তাফসীরে হাক্কী ১৩/৭৯, তাফসীরে রূহুল বয়ান ৮/২৩৯,  তাখরীজু আহাদীছুল কাশ্শাফ ৩/২৩৮, নুজহাতুল মাজালিস ১/৩৬৫)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করার এবং উনাদের আখাছ্ছুল খাছ সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেন

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুল ফারীক্বাইন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ পালন করে খুশি প্রকাশ করেন

হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের খিলাফতকালে নাবিইয়ুর রহমাহ, নাজিইয়ুল্লাহ, নূরুম মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন এবং এ উপলক্ষে ব্যয় করার ফযীলতও বর্ণনা করেছেন

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেছেন

বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ