মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-১০)

সংখ্যা: ২৭৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৬তম ফতওয়া হিসেবে

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ফাযায়িল-ফযীলত ও বুযূর্গী-সম্মান মুবারক-

৫. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক সমস্ত মু’মিন উনাদের ঘর

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৫৫-২৫৭)

قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْمَسْجِدُ بَيْتُ كُلِّ مُؤْمِنٍ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক হচ্ছেন সমস্ত মু’মিন উনাদের ঘর।” সুবহানাল্লাহ! (লুবাবুল হাদীছ লিস সুয়ূত্বী, হিলয়াতুল আউলিয়া ৬/১৭৬, , ফায়যুল ক্বাদীর ৬/২৬৯)

অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে কোনো মু’মিন-মুসলমান তিনি যদি অন্য প্রান্তে যান, তাহলে ‘ইবাদত বন্দেগীর ক্ষেত্রে মহল্লার মু’মিন-মুসলমান উনাদের মত আগত মু’মিন-মুসলমান উনাদেরও সমান হক্ব রয়েছে। সুবহানাল্লাহ! ঠিক একইভাবে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নিয়ে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করা হলে, সারা পৃথিবীর সমস্ত মু’মিন-মুসলামান উনাদের প্রত্যেকের জন্য ফরয হয়ে যায় এই ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা এবং কঠিনভাবে তা প্রতিহত করা। সুবহানাল্লাহ!

৬. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার নিকটবর্তী বাড়ির বেমেছাল

ফযীলত মুবারক:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৫৮-২৭২)

عَنْ حَضْرَتْ حُذَيْفَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضْلُ الدَّارِ الْقَرِيْبَةِ مِنَ الْمَسْجِدِ عَلَى الشَّاسِعَةِ كَفَضْلِ الْغَازِىْ عَلَى الْقَاعِدِ.

অর্থ: “হযরত হুযায়ফা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার নিকটবর্তী বাড়ির ফযীলত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার দূরবর্তী বাড়ির ফযীলত যেমন একজন সম্মানিত গাযী উনার ফযীলত বসে থাকা ব্যক্তির উপর।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ৫/৩৮৭, ফতহুল বারী ৪/৪৬, ইখতিয়ারুল ঊলা ১/৬, আল আহাদীছ ওয়াল আছার ১/২৪১, আল মুসনাদুল জামি’ ১১/১২৯, মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ ২/২৫, আত্বরাফু মুসনাদে আহমদ ২/২৫১, আল জামি‘উছ ছগীর ২/১২২, আল ফাতহুল কাবীর ২/২৫৩, আল ফিরদাউস ৩/১৩১, জামি‘উল আহাদীছ ১৪/৪৪০, গায়াতুল মাক্বছাদ ১/৭৮৩, কানযুল উম্মাল ৭/৫৪৮, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/১৪৮৩৯, আল হাওয়ী লিল ফাতওয়া ১/৩৩২ ইত্যাদি)

৭. ক্বিয়ামতের দিনও মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ ধ্বংস হবেন না; বরং একটির সাথে আরেকটি সংযুক্ত হবেন:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৭৩-২৭৯)

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَذْهَبُ الْاَرْضُوْنَ كُلُّهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ اِلَّا الْمَسَاجِدَ فَاِنَّـهَا يَنْضَمُّ بَعْضُهَا اِلـٰى بَعْضٍ.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কিয়ামতের দিন সমস্ত যমীন ধ্বংস হয়ে যাবে একমাত্র মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ ব্যতীত। কেননা নিশ্চয়ই সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকগুলো একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল আওসাত্ব ৪/২১৪, মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ ২/১৪, আল জামি‘উছ ছগীর ১/২৯২, আল ফতহুল কাবীর ২/২৫, জামি‘উল আহাদীছ ১১/২৪৫, কানযুল উম্মাল ৭/৬৫২, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/১০৮৬৮ ইত্যাদী)

কিয়ামতের দিন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ ব্যতীত সমস্ত যমীন ধ্বংস হয়ে যাবে। সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকগুলো একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত হবেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর হাশরের ময়দানে বিচার কার্য  সম্পন্ন হওয়ার পর সমস্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকগুলো উনাদের অধিবাসীসহ সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ চলে যাবেন। সুবহানাল্লাহ!

৮. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে যারা একটি মোমবাতি বা বাতি ঝুলাবে তথা মোমবাতির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করবে, তাদের জন্য সত্তর হাজার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রর্থনা করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত

সেগুলো থাকবে:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৮০-২৮২)

عَنْ حَضْرَتْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَلَّقَ فِـىْ مَسْجِدٍ قِنْدِيْلًا صَلّٰى عَلَيْهِ سَبْعُوْنَ اَلْفَ مَلَكٍ حَتّٰـى يَنْطَفِئَ ذٰلِكَ الْقِنْدِيْلُ.

অর্থ: “হযরত মু‘য়ায বিন জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যাক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার মধ্যে একটি মোমবাতি বা বাতি ঝুলাবে তথা আলোর ব্যবস্থা করবেন, উনার জন্য সত্তর হাজার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা মাগফিরাত তথা ক্ষমা প্রর্থনা করবেন যতক্ষণ পর্যন্ত সেই মোমবাতি বা আলো নিভে না যাবে।” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উল আহাদীছ ২১/৬৯, কানযুল ‘উম্মাল ৭/৬৫৬, জাম‘উল জাওয়ামি’ ১/২৩৫৯৯)

৯. যে ব্যক্তির অন্তর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সাথে লেগে থাকবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনাকে নিজের সম্মানিত ছায়া মুবারক-এ ছায়া দান করবেন যেদিন উনার সম্মানিত ছায়া মুবারক ব্যতীত কোনো ছায়া থাকবে না:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৮৩-৩০০)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَبْعَةٌ يُظِلُّهُمُ اللهُ تَعَالـٰى فِـىْ ظِلِّهٖ يَوْمَ لَا ظِلَّ اِلَّا ظِلُّهٗ اِمَامٌ عَادِلٌ وَشَابٌّ نَشَاَ فِـىْ عِبَادَةِ اللهِ وَرَجُلٌ قَلْبُهٗ مُعَلَّقٌ بِالْمَسْجِدِ اِذَا خَرَجَ مِنْهُ حَتّٰـى يَعُوْدَ اِلَيْهِ وَرَجُلَانِ تَـحَابَّا فِـى اللهِ اجْتَمَعَا عَلَيْهِ وَتَفَرَّقَا عَلَيْهِ وَرَجُلٌ ذَكَرَ اللهَ خَالِيًا فَفَاضَتْ عَيْنَاهُ وَرَجُلٌ دَعَتْهُ امْرَأَةٌ ذَاتُ حَسَبٍ وَجَـمَالٍ فَقَالَ اِنِّـىْ اَخَافُ اللهَ وَرَجُلٌ تَصَدَّقَ بِصَدَقَةٍ فَاَخـْـــفَاهَا حَتّٰـى لَا تَعْلَمَ شِـمَالُهٗ مَا تُنْفِقُ يَـمِيْنُهٗ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাত শ্রেণীর ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যাঁদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেদিন উনার ছায়া ব্যতীত কোনো ছায়া থাকবে না, সেদিন উনার নিজের ছায়ায় উনাদেরকে ছায়া দান করবেন। সুবহানাল্লাহ! (১) ন্যায়পরায়ণ শাসক, (২) ঐ যুবক যিনি বর্ধিত হয়েছেন মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীর মধ্যে, (৩) ঐ ব্যক্তি, যাঁর অন্তর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সাথে লেগে থাকে, যখন তিনি সেখান থেকে বের হন, তখন থেকে পুনরায় সেখানে ফিরে আসা পর্যন্ত, (৪) ঐ দুই ব্যক্তি, যাঁরা একে অন্যকে মুহব্বত করেন মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য, উভয় মিলিত হন উনার জন্য এবং উভয় পৃথকও হন উনার জন্য, (৫) সেই ব্যক্তি, যিনি নির্জনে দুই চোখে অশ্রু বিসর্জন দিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করেন, (৬) ঐ ব্যক্তি, যাঁকে কোন সম্ভ্রান্ত সুন্দরী মহিলা (নিজের দিকে) আহ্বান করে, আর তিনি বলেন, আমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করি এবং (৭) ঐ ব্যক্তি, যিনি এমন গোপনে দান করেন যে- উনার বাম হাত জানে না ডান হাত কি দান করছেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মুআত্তায়ে ইমাম মালিক, তিরমিযী শরীফ, ছহীহ্ ইবনে হিব্বান শরীফ, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, সুনানুল ছুগরা লিল বাইহাক্বী, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী, জামি‘উল আহাদীছ লিস সুয়ূত্বী, জামি‘উল উছূল লি ইবনে আছীর, রিয়াদ্বুছ ছলেহীন, বুলুগুল মারাম মিন আদিল্লাতিল আহকাম, তুহ্ফাতুল মুহ্তাজ ইলা আদিল্লাতিল মিনহাজ, মু’জামুশ শুয়ূখ লি ইবনে ‘আসাকির, আল আহকামুশ র্শ‘ইয়্যাতুল কুবরা শরীফ, আত্ তাওহীদ লি ইবনে মুন্দাহ, মিশকাত শরীফ)

১০. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ যতবার গমন করবে বা যাবে, মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেকবারের জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ মেহমানদারীর ব্যবস্থা করবেন:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৩০১-৩০৩)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ غَدَا اِلَـى الْمَسْجِدِ اَوْ رَاحَ اَعَدَّ اللهُ لَهٗ نُزُلَهٗ مِنَ الْـجَنَّةِ كُلَّمَا غَدَا اَوْ رَاحَ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সকালে বা সন্ধায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ যাবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার প্রতিবারের গমনের জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ মেহমানদারীর ব্যবস্থা করবেন, সকালে বা সন্ধায় যতবার তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ যাবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত)

১১. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক থেকে একটি ধূলিকণা বাহিরে ফেলে দেয়ার সম্মানিত নেকী মুবারকও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট পেশ করা হয়:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৩০৪-৩১৪)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عُرِضَتْ عَلَىَّ اُجُوْرُ اُمَّتِـىْ حَتَّـى الْقَذَاةُ يـُخـْــرِجُهَا الرَّجُلُ مِنَ الْمَسْجِدِ.

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আমার সম্মানিত উম্মত উনাদের সমস্ত আমালের বদলা পেশ করা হয়।

এমনকি কোন ব্যক্তি যদি সম্মানিত মসজিদ থেকে একটি ধূলিকণা বের করে বা পরিষ্কার করে সেটাও আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ পেশ করা হয়।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, মুসনাদে বাযযার ১২/৩৩৯, মুসনাদে আবূ ইয়া’লা ৭/২৫৩, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ২/৪৪০, আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত ত্ববারনী ৬/৩০৮, আল মু’জামুছ ছগীর লিত ত্ববারনী ১/৩৩০, শরহুস সুন্নাহ ২/৩৬৪, শু‘য়াবুল ঈমান ৩/৩৫৩, ছহীহ ইবনে খুযাইমাহ ২/২৭১ ইত্যাদি)

১২. যাঁরা রাতের অন্ধকারে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ যাবেন, উনাদের জন্য ক্বিয়ামতের দিন পূর্ণ নূরের সুসংবাদ মুবারক:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(৩১৫-৩২৪)

عَنْ حَضْرَتْ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَشِّرِ الْمَشَّائِيْـنَ فِـى الظُّــلَمِ اِلَـى الْمَسَاجِدِ بِالنُّوْرِ التَّامِّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.

অর্থ: “হযরত বুরাইদাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যাঁরা রাতের অন্ধাকারে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ যান উনাদেরকে-ক্বিয়ামতের দিন পূর্ণ নূরের সুসংবাদ মুবারক দিন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ, মুসনাদে বায্যার শরীফ, মুসনাদে আবী ইয়’লা শরীফ, সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, মুস্তাদরকে হাকিম, মু’জামুল কাবীর লিত্ ত্ববারনী, শরহুস সুন্নাহ লিল বাগবী, মুসনাদে রূয়ানী ইত্যাদি)

অসমাপ্ত- পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁ, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩২