মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-৯)

সংখ্যা: ২৭৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৬তম ফতওয়া হিসেবে

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ফাযায়িল-ফযীলত ও বুযূর্গী-সম্মান মুবারক-

১. মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে এবং সর্বোত্তম স্থান হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২০১-২০৯)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَحَبُّ الْبِلَادِ اِلَـى اللهِ مَسَاجِدُهَا وَاَبْغَضُ الْبِلَادِ اِلَـى اللهِ اَسْوَاقُهَا.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট স্থানসমূহের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় স্থান হলেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ। সুবহানাল্লাহ! আর সর্বাপেক্ষা অপছন্দনীয় স্থান হলো বাজারসমূহ।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (মুসলিম শরীফ, ছহীহ ইবনে খুযাইমাহ্ ২/২৬৯, ছহীহ ইবনে হিব্বান ৪/৪৭৭, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী ৩/৬৫, মুস্তাখ্রাজে আবী ‘আওয়ানা ২/২০, আহ্কামুশ শরী‘আহ্ ২/৪৮, শারহুস সুন্নাহ্ ২/৩৪৬, মেশকাত শরীফ, মেরক্বাত ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২১০-২১৮)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ اُمَامَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اِنَّ حِبْرًا مِّنَ الْيَهُوْدِ سَاَلَ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَىُّ الْبِقَاعِ خَيْـرٌ فَسَكَتَ عَنْهُ وَقَالَ اُسْكُتْ حَتّٰـى يَـجِىْءَ حَضْرَتْ جِبْـرَئِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَسَكَتَ وَجَاءَ حَضْرَتْ جِبْـرَئِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَسَاَلَ فَقَالَ مَا الْمَسْؤُوْلُ عَنْهَا بِاَعْلَمَ مِنَ السَّائِلِ وَلٰكِنْ اَسْاَلُ رَبِّـىْ تَبَارَكَ وَتَعَالـٰى ثُـمَّ قَالَ حَضْرَتْ جِبْـرَئِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا سَيِّدَنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنِّـىْ دَنَوْتُ مِنَ اللهِ دُنُوًّا مَّا دَنَوْتُ مِنْهُ قَطُّ قَالَ وَكَيْفَ كَانَ يَا حَضْرَتْ جِبْـرَئِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ كَانَ بَيْنِـىْ وَبَيْنَهٗ سَبْعُوْنَ اَلْفَ حِجَابٍ مِّنْ نُّوْرٍ فَقَالَ شَرُّ الْبِقَاعِ اَسْوَاقُهَا وَخَيْرُ الْبِقَاعِ مَسَاجِدُهَا.

অর্থ: “হযরত আবূ উমামাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ইহুদী পাদ্রী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলো, যমীনের মধ্যে উত্তম স্থান কোনটি? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নীরব রইলেন এবং ইরশাদ মুবারক করলেন, তুমি নীরব থাক যে পর্যন্ত না হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আসেন। অতঃপর সে নীরব থাকল এবং হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (উম্মতদেরকে শিক্ষ দেয়ার জন্য) হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে সুওয়াল করলে জবাবে তিনি বললেন, সুওয়ালকারী অপেক্ষা যাকে সুওয়াল করা হয়েছে তিনি অধিক জ্ঞাত নন। অর্থাৎ সুওয়ালকারী তিনিই এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।  (যেহেতু আপনি আপনার উম্মতদেরকে শিক্ষা দেয়ার জন্য সুওয়াল করেছেন, তাই আপনার নির্দেশ মুবারক পালন করা আমার জন্য ফরয) আমি আমার রব তা‘য়ালা মহান আল্লাহ পাক উনাকে জিজ্ঞাসা করব। অতঃপর হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি মহান আল্লাহ পাক উনার এত নিকটবর্তী হয়েছিলাম, যত নিকটে ইতঃপূর্বে কখনও হয়নি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কিরূপ ও কত নিকটবর্তী হয়েছিলেন, হে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম! তিনি বললেন, তখন আমার মাঝে ও মহান আল্লাহ পাক উনার মাঝে মাত্র সত্তর হাজার নূরের পর্দা অবশিষ্ট ছিল। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেছেন, যমীনের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট স্থান বাজারসমূহ এবং সর্বোত্তম স্থান মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ।” সুবহানাল্লাহ! (রওদ্বাতুল মুহাদ্দিছীন ১০/১০০, লুবাবুল হাদীছ শরীফ ১/১৩, মাছাবীহুস সুন্নাহ শরীফ ১/২৮৬, কাশফুল মানাহিজ ১/৩১৫, মেশকাত শরীফ, মেরক্বাত শরীফ, ফাইদ্বুল ক্বাদীর শরীফ ৪/২০৮, ফতওয়ায়ে হাদীছিয়্যাহ ১/৬৩৩, জামি‘উল আহাদীছ ৩৮/২৪০ ইত্যাদি)

২. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণকারী উনাদের ফযীলত:

ক. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণকারীগণ মহান আল্লাহ পাক উনার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত:

(২১৯-২২৪)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ عُمَّارَ بُيُوْتِ اللهِ هُمْ اَهْلُ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ.

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক) নির্মাণকারীগণ মহান আল্লাহ পাক উনার পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আবী ইয়া’লা ৩/১৩২, আল ফাওয়াইদ ১/২২৬, আস সুনানুল কুবরা লিলবাইহাক্বী ৩/৯৩, আল মু’জামুল আওসাত্ব ৩/৬৭, মুসনাদে বায্যার ১৩/৩২৯, শু‘য়াবুল ঈমান ৪/৩৭৯ ইত্যাদি)

খ. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণকারী উনাদের সম্মানার্থে যমীনবাসী আযাব-গযব থেকে মুক্তি লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২২৫-২৩০)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ سُبْحَانَهٗ يَقُوْلُ اِنِّـىْ لَاَهِمُّ بِاَهْلِ الْاَرْضِ عَذَابًا فَاِذَا نَظَرْتُ اِلــٰى عُمَّارِ بُيُوْتِـىْ وَالْمُتَحَابِّـيْـنَ فِـىَّ وَالْمُسْتَغْفِرِيْنَ بِالْاَسْحَارِ صَرَفْتُ عَنْهُمْ.

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, নিঃসন্দেহে অবশ্যই আমি যখন যমীনবাসীদেরকে শাস্তি প্রদান করতে চাই, তখন আমি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঘর মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক) নির্মাণকারী উনাদের প্রতি, আমার জন্য যাঁরা পরষ্পর মুহাব্বত করেন উনাদের প্রতি এবং শেষ রাত্রে যাঁরা ক্ষমা প্রার্থনা করেন উনাদের প্রতি লক্ষ্য করে যমীনবাসীদেরকে শাস্তি দেয়া থেকে বিরত থাকি।” সুবহানাল্লাহ! (শু‘য়াবুল ঈমান ৪/৩৭৯, ফাইদ্বুল ক্বাদীর ১/৩৪২, জামি‘উল আহাদীছ ৮/২৮৪, আল ফাতহুল কাবীর ১/৩৩৫, তাফসীরে র্দুরে মানছূর ৭/২৬০, তাফসীরে কবীর ৪/১৫ ইত্যাদি  )

গ. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণকারী উনাদের রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৩১-২৩৮)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا عَاهَةٌ مِّنَ السَّمَاءِ اُنْزِلَتْ صُرِفَتْ عَنْ عُمَّارِ الْمَسَاجِدِ.

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন আসমান থেকে রোগ-ব্যাধি নাযিল হয়, তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণকারী উনাদের থেকে সেই রোগ-ব্যাধি বিরত থাকে অর্থাৎ উনাদের উপর সেই রোগ-ব্যাধি নাযিল হয় না, উনারা রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকেন।” সুবহানাল্লাহ! (শু‘য়াবুল ঈমান ৪/৩৭৯, মুসনাদে বায্যার, মুসনাদে আবী ইয়া’লা, আল মু’জামুল আওসাত্ব, তাফসীরে দুররে মানছূর ৪/১৪১, আল ফাতহুল কাবীর ১/১২৪, জামি‘উল আহাদীছ ৩/৩৫৭, জাম‘উল জাওয়ামি’ ইত্যাদি)

৩. মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে মুহব্বত করেন, উনাকেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার খিদমতগার হিসেবে কবুল করেন:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৩৯-২৪৩)

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ اِذَا اَحَبَّ عَبْدًا جَعَلَهٗ قَيِّمَ مَسْجِدٍ.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন কোন বান্দাকে সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করেন, তখন উক্ত বান্দাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার খিদমতগার হিসেবে কবূল করেন।” সুবহানাল্লাহ! (জামি‘উল আহাদীছ ৭/৪৩৭, কানজুল উম্মাল ৭/২৬৬, দায়লামী শরীফ ১/১৬২,  নুযহাতুল মাজালিস ১/১০৪, জাম‘উল জাওয়ামি’ ইত্যাদি)

৪. মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারকসমূহ হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত উনার বাগান:

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মবারক হয়েছে-

(২৪৪-২৪৯)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رِيَاضُ الْـجَنَّةِ الْمَساجِدُ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মসজিদসমূহ হচ্ছেন সম্মানিত জান্নাত উনার বাগান।” সুবহানাল্লাহ! (আল জামি‘উছ ছগীর ১/৪৩৮, আল ফাতহুল কাবীর ২/১৩১, জাম‘উল জাওয়ামি’, জামি‘উল আহাদীছ ১৩/১৪৯, ফায়যুল ক্বাদীর ৪/৫৪, দায়লামী শরীফ ৫/৩০৫ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(২৫০-২৫৪)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِذَا مَرَرْتُـمْ بِرِيَاضِ الْـجَنَّةِ فَارْتَعُوْا قِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا رِيَاضُ الْـجَنَّةِ قَالَ الْمَسَاجِدُ قِيْلَ وَمَا الرَّتْعُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ سُبْحَانَ اللهِ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَـرُ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা যখন সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার বাগানসমূহের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবেন, তখন আপনারা সম্মানিত জান্নাতী  ফল মুবারক খেয়ে নিবেন। তখন আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার বাগানসমূহ কী? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মসজিদসমূহ। সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, ফল কী? নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন-

سُبْحَانَ اللهِ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَـرُ

সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবর (এই সম্মানিত তাসবীহ্ মুবারকসমূহ)।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ,  ফাইদ্বুল ক্বাদীর ১/৫৬৫, মেশকাত শরীফ, মেরক্বাত শরীফ, তাফসীরে খাযিন শরীফ ৩/১৬৬ ইত্যাদি)

অসমাপ্ত- পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৫

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৬

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৭