“মাসিক আল বাইয়্যিনাত”  আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মুখপত্র  (দ্বিতীয় পর্ব)   

সংখ্যা: ১০৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

      আল বাইয়্যিনাত পত্রিকা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সকল আলিমের ইমাম ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর ফিক্বাহ এবং আক্বাঈদের সঠিক প্রচার ও প্রসার করে থাকে এবং সে অনুসারেই ফতওয়া দিয়ে থাকে।

ফতওয়া মানে হলো কোনকিছু ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী হালাল অথবা হারাম ফায়সালা দেয়া। দলীলবিহীন ভাবে কোন কিছু বলে দেয়া ফতওয়ার মধ্যে গণ্য হবেনা। বরং এর সমর্থনে দলীল পেশ করতে হবে। আল্লাহ্ পাক বলেন, “তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে দলীল পেশ কর।” (সূরা নমল/৬৪)  তাই ফতওয়ার ক্ষেত্রে কোন্ ফিক্বাহর কিতাব থেকে ফতওয়া দেয়া হল এবং কোন্ রিওয়ায়েত থেকে উত্তর বের করা হলো তা উল্লেখ করা অপরিহার্য।     যে সমস্ত ফতওয়া ফিক্বাহ্র কিতাবের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয় তার উপর নির্ভর করা হারাম। যে সমস্ত লোক ফিক্বাহের জ্ঞান আহরণ না করে শুধুমাত্র আরবী জেনে নিজের খেয়াল খুশির অনুসরণে কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফের কোন অর্থ করে, তারা কখনই আলিম নয়। খুব বেশী হলে তাদেরকে বইরুতের আরবী জানা পাদ্রীদের মত ও ওরিয়েন্টালিষ্ট অনুবাদক বলা যেতে পারে। তাদের লেখাসমূহ অলংকারপূর্ণ সাহিত্য হলেও তার কোন মূল্য নেই। যে সমস্ত লেখা আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ফক্বীহ্দের কিতাবের খিলাফ তা আল্লাহ্ পাক-এর কাছে কবুলযোগ্য নয়।    যেহেতু “আল বাইয়্যিনাত-এর” ফতওয়াগুলো সর্বোচ্চ দলীলভিত্তিক, তাই আল বাইয়্যিনাতের ফতওয়াই আল্লাহ্ পাক-এর কাছে পছন্দনীয় এবং কবুলযোগ্য।         হযরত ইবনে আবেদীন রহমতুল্লাহি আলাইহি কাজীদের সম্বন্ধে বর্ণনা প্রসঙ্গে ৪র্থ খন্ডের ৩০১ নং পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, “ফাসিক লোক মুফতি হতে পারেনা, কারণ ফতওয়া দ্বীনি বিষয়। ধর্মীয় ব্যাপারে ফাসিকের কথা গ্রহণযোগ্য নয়। সমস্ত মাযহাবেই এই নিয়ম। এই ধরণের মুফতির কাছে কোন কিছু জানতে চাওয়া হারাম। ফতওয়া দানকারীকে অবশ্যই আক্বলমন্দ এবং মুসলমান হতে হবে। উপযুক্ত এবং পরহিযগার মহিলা অথবা বোবা (কথা বলতে অসমর্থ) ব্যক্তির ফতওয়াও গ্রহণযোগ্য। মুফতি অথবা কাজী ইমামে আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর কথা অনুসারে ফতওয়া দিবে। যদি তাঁর কথা থেকে ফায়সালা পরিস্কার না হয় তবে ইমামে ছাহেবাঈন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা-এর রিওয়ায়েত অনুসারে সমাধান দিবে। অতঃপর হযরত ইমাম যুফার রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং তাঁর পর হযরত হাসান বিন যিয়াদ রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর কথাকে অগ্রাধিকার দিবে। যে সমস্ত মুফতী আছহাবে তারজীহ্ (অর্থাৎ মাযহাবের মধ্যে মুজতাহিদ) তাঁর ইজতিহাদ সমূহের মধ্যে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য দলীল নির্বাচন করবে। অমুজতাহিদগণ তাঁদের কথাকে অগ্রাধিকার দিবে। যে সমস্ত মুফতি এই নিয়ম মানবেনা তাদের ফতওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থাৎ যে সমস্ত মাসয়ালা আছহাবে তারজীহ্ কর্তৃক নির্বাচিত নয়, সেক্ষেত্রে ইমাম আ’যম হযরত আবূ হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর কথাই অগ্রগণ্য।    অতএব, দেখা যাচ্ছে মুফতীকে মাযহাবের মধ্যে মুজতাহিদ হতে হবে। যে তা না হবে তাকে মুফতি না বলে, বর্ণনাকারী বলতে হবে অর্থাৎ যে মশহুর কিতাব সমূহ থেকে ফতওয়া পৌঁছিয়ে থাকে। এই সমস্ত কিতাবকে মুতাওয়াতির, খবর বলা হয়।”      আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের এই মহান ইমাম তাঁর শত শত ছাত্র এবং তাঁদের কর্তৃক শিক্ষাপ্রাপ্ত হাজার হাজার মহান আলিম কর্তৃক লক্ষ লক্ষ কিতাব রচিত হয়েছে এবং সঠিক ভাবে সারা বিশ্বে ইসলামের প্রচার ও প্রসার হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীতে এমন কোন জনপদ, শহর, গ্রাম পাওয়া যাবেনা, যেখানে ইসলামের আওয়াজ পৌঁছেনি। ইসলামের কথা শুনে কেউ যদি আন্তরিকতার সাথে ছহীহ্ ইল্ম হাছিল করতে চায় তবে তাকে ইসলামের সত্যিকার ইল্ম দান করার অঙ্গিকার আল্লাহ্ পাক দিয়েছেন। পৃথিবীর লাইব্রেরী গুলোতে মশহুর কিতাবের ক্যাটালগ বর্তমানে পাওয়া যায়।      উদাহরণস্বরূপ হযরত কাতিব সালাবি রহমতুল্লাহি আলাইহি রচিত  “কাশফুয্ যুনুন” কিতাবে প্রায় ১৫,০০০ কিতাবের নাম এবং ১০,০০০ লেখকের নাম রয়েছে। দুই খন্ডের এই কিতাব আরবী ভাষায় রচিত। বাগদাদের ইসমাইল পাশা “আসমা-উল-মুয়াল্লিফিন” নামে আরও দুই খন্ড আরবী কিতাবের সাথে সংযোজন করেন যাতে প্রায় ১০,০০০ কিতাব ও তাদের লেখকদের নাম সন্নিবেশিত হয়েছে। এই কিতাব দুটিতে আরবী আদ্যাক্ষর অনুসারে লেখকের নাম এবং তাঁর রচিত কিতাব সমূহ সাজানো হয়েছে।  বর্তমানে আরও একটি অত্যন্ত মূল্যবান ও উপকারী কিতাব পাওয়া যায় যাতে শুধুমাত্র আরবী ভাষায় রচিত ইসলামি কিতাবের নাম সমূহ, যা বর্তমান দুনিয়ায় পাওয়া যায়, লেখকদের নাম, কোন লাইব্রেরীতে পাওয়া যাবে এবং তার কল নম্বর কত এই সমস্ত তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে, ১৯৪৩ খৃষ্টাব্দে লেডেন থেকে প্রকাশিত কার্ল ব্রোকেল্ম্যান রচিত জার্মান ভাষায় এই বইয়ের নাম Geschichete der Arabischen literature “সাকাইকে নুমানিয়া” কিতাবের রচয়িতা হযরত আহমদ আফেন্দি রহমতুল্লাহি আলাইহি রচিত আরবী কিতাব ‘মিফতাউস সায়াদাহ” তে অটমেন সাম্রাজ্যের সময়ের উলামা-ই-কিরামগণের জীবনী ও ইল্মের প্রায় ৫০০ শাখা-প্রশাখার সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা এবং এই সকল বিষয়ে লিখিত কিতাব ও তাদের লেখকদের নাম উল্লেখ রয়েছে। ইসলামি ইল্মের ২০টি প্রধান শাখা এগুলোর ৮০টি উপশাখা, এই সকল বিষয়ের বিশেষজ্ঞ উলামা-ই-কিরাম এবং তাঁদের নিরলস এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে রচিত কিতাব সমূহ দেখে, জ্ঞান সমূদ্র সন্তরণে এবং অবগাহনে তাদের দক্ষতা দেখে একজন আকলমন্দ ব্যক্তির বিস্ময়ে হতবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই। বর্তমানে যার নজীর পাওয়া যায় মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এ। কেননা, মাসিক আল বাইয়্যিনাতে এ পর্যন্ত বিশ হাজারের অধিক কিতাবের দলীল দেয়া হয়েছে।  এই সমস্ত কিতাবে কাফির, মুশরিক, মুলহিদ, মুরতাদ, বিদয়াতী, গোমরাহ, নাস্তিক, প্রকৃতি বাদী, বস্তুবাদী, ইসলামের বাইরে এবং ভিতরে সমস্ত শত্রুর মিথ্যাচার, ভ্রান্ত, বিপর্যস্ত, কলুষিত আমল, আক্বীদা, মতবাদকে অকাট্য দলীল আদিল্লাহ, যুক্তি প্রমাণের সাহায্যে স্তব্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপরোক্ত কুরআন শরীফের মনগড়া ও বিকৃত অর্থকারীদের মুখোশ উম্মোচন করা হয়েছে। একদিকে তারা একটি একটি করে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাকে সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ করেছেন অন্যদিকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের দ্বীনি সমস্যার সমাধান দিয়েছেন। ইমাম আবূ হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজলিশে উপস্থিত থাকতেন এমন আটশ’র অধিক আলিমের নাম এবং জীবনী কিতাবে উল্লেখ পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫৬০ জনের নাম ফিকাহে মশহুর। যাঁদের মধ্যে ৩৬ জন ইজতিহাদের মর্তবা প্রাপ্ত ছিলেন।  বর্তমানে আলিম নামধারী অনেক জাহিল লোক ইসলামের উপর বিভিন্ন মতলবে কিতাব লিখে এবং কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফের যথেচ্ছা অর্থ করে এবং ফতওয়া দেয় যে, আল্লাহ্ পাক এই বলেছেন, আল্লাহ্ পাক-এর রসূল এই আদেশ দিয়েছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

তারা ইসলামকে খেল তামাশার বস্তুতে পরিণত করেছে। আমাদের এই সমস্ত ধর্মীয় বই, পুস্তক, ম্যাগাজিন পড়া থেকে বিরত থাকা উচিত। বরং আমাদের সে সমস্ত বই, পুস্তক, পত্রিকা পড়া উচিত যা আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আলিমদের অবিকৃত কিতাবাদী এবং তাঁদের মত ও পথের ধারক, বাহক ও প্রচারক।

 কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই সমস্ত কিতাবাদী এতই দুষ্প্রপ্য যে, প্রায় অনস্তিত্বের শামিল। অন্যদিকে, অত্যন্ত আশংকার সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অনুবাদের নামে বাজারে বুর্যুগানে দ্বীনের অনেক পুস্তক পাওয়া যাচ্ছে যেগুলোতে অত্যন্ত ক্ষতিকর সংযোজন, বিয়োজন এবং পরিবর্তন-পরিবর্ধনের কারণে সাধারণ মানুষের ঈমান আক্বীদা বির্পযস্ত হচ্ছে। এমনকি অনেক কিতাবের বিভিন্ন সংস্করণে জাল করা হয়েছে।    উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মহান মুহাক্কিক, মুদাক্কিক আলিমগণের মতে, আল্লাহ্ পাক-এর রসূল  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাতা-পিতা ঈমানদার এবং হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম-এর দ্বীন “দ্বীনে হানীফের” উপর ছিলেন। তাঁদেরকে ইন্তিকালের পর পূনরায় জীবিত করে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কালেমা শাহাদত পাঠ করিয়েছিলেন, ঈমান দান করার জন্য নয় বরং তাঁর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত করে ফযীলত দান করার জন্য। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে ইমাম আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর “ফিক্বহ্ আকবর” অনুবাদের মধ্যে তাঁরা কাফির অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন বলে তথাকথিত অনুবাদকেরা  উল্লেখ করেছে। (নাউযুবিল্লাহ)

অথচ “ফিক্বহে আকবরের” পান্ডুলিপিতে লিখা আছে,  “কাফির অবস্থায় ইন্তিকাল করেননি।” কিন্তু ইসলামের শত্রুরা ইচ্ছাকৃতভাবে “না” শব্দটি মুছে দিয়েছিল যা পরবর্তীতে ধরা পড়েছে।  ৬৫৬ হিজরীতে যখন হালাকু খা’ বাগদাদ শরীফ জ্বালিয়ে দেয় এবং ৮০ হাজার মুসলমানকে হত্যা করে তখন “ফিক্বহে আকবরের” পান্ডুলিপি হযরত উসমান জিন্ নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর শাহাদতের রক্ত মাখা স্বহস্তে লিখিত কুরআন শরীফ এবং অন্যান্য মূল্যবান কিছু কিতাব সমরখন্দে নিয়ে যাওয়া হয়। যখন ১২৮৪ হিজরীতে রাশিয়ানরা সমরখন্দ দখল করে তখন কিতাবগুলো পিটার্সবার্গে স্থানান্তিরিত করা হয় এবং অত্যন্ত যতœসহকারে রক্ষিত হয়। শামসুদ্দীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর কিতাব ‘কামুসুল আলম’-এর সমরখন্দের ইতিহাসে এ সম্বন্ধে  বিস্তারিত লিখা আছে। অতঃপর ১৩৩৫ সালে তা উফা শহরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে ১৩৪১ সালে তাশখন্দে হযরত খাজা উবায়দুল্লাহ আহরার রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়।  ইসলামের শত্রুরা যেমন তাওরাত ও ইঞ্জিল বিকৃত করে ফেলেছিল তেমনি তারা ইসলামের কিতাবাদিও বিকৃত করার চেষ্টা করেছে। যেমন, মুহিউদ্দীন ইবনুল আরাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর কিতাব ফুসূস ও ফুতুহাতে অনেক কল্পকথা সংযোজন করা হয়েছিল, যা পরে ধরা পড়েছে। হযরত আব্দুল ওয়াহ্হাব শা’রানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিবরিতুল আহমার’ ও য়াওয়াকীত কিতাবে তাদের এই ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ করে দিয়েছেন। এ কারণেই হযরত জালালুদ্দীন রূমী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর মসনবী শরীফ ছন্দে রচনা করেছেন। “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” ইসলামের শত্রুদের এ চক্রান্তকে নস্যাৎ করার জন্য সাফল্যের সাথে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।   বর্তমানে ইসলামের বাইরের বিভিন্ন শত্রুদের সাথে ভিতরের শত্রু উলামায়ে “ছূ” রা ইসলামকে বিকৃত করছে নানা উপায়ে। ফতওয়া প্রকাশের ক্ষেত্রে যে বিস্তৃত ইল্মের সমৃদ্ধি থাকা প্রয়োজন প্রথমতঃ তাদের তা নেই। দ্বিতীয়তঃ যা ইল্ম আছে সেখান থেকে তারা সঠিক সমাধানটি খুঁজে বের করতে পারেনা। তৃতীয়তঃ অনেক সময় অন্ধ অনুকরণের কারণে পূর্ববর্তীদের ভুল ফতওয়া পুনঃ পুনঃ উল্লেখ করে। চতুর্থতঃ তাদের নফসের গ্রহণযোগ্য মতকে প্রতিষ্ঠা করার জন্যে ইবারত চুরির আশ্রয় নেয়। পঞ্চমতঃ সঠিক উত্তর জানার পরও সমাজে প্রভাব প্রতিপত্তি মান-সম্মান হানির ভয়ে ভুলের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে অটল থাকে।  এ রকম আরো অনেক কারণে দুনিয়াদার আলিম তথা উলামায়ে ‘ছঁ’রা মনগড়া ফতওয়া দেয়। সর্বোপরি ইল্ম-আক্বলের চরম দৈন্যতা এবং তাসাউফ শুন্যতার কারণে তারা গোমরাহীর অতলতলে নিমজ্জিত হয়েছে। লা-মাযহাবী, ওহাবী, শিয়া, কাদিয়ানী, বাহাই প্রভৃতি মতাবলম্বীরা প্রচুর অর্থ ব্যয়ে বিভিন্ন দেশে তাদের ফতওয়া ও আদর্শ প্রচার করে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন ফতওয়ার কিতাব রচনা করে বিনামূল্যে তা বিতরণের ব্যবস্থা করছে। এমনকি বইয়ের সেল্ফ পর্যন্ত বানিয়ে দিচ্ছে। সে হাওয়া এসে লেগেছে আমাদের উলামায়ে “ছূ”দের গায়ে। যদিও এদেেেশর আলিম সম্প্রদায়ের একটি বিরাট অংশের মূলে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা ছিল। কিন্তু ওহাবীদের সংস্পর্শে এসে তাদের চিন্তা-চেতনা আদর্শ আক্বীদায় একটা অদ্ভূত মিশ্রণ ঘটেছে।  আমাদের দেশে প্রকাশিত যতগুলো সাপ্তাহিক, মাসিক ধর্মীয় পত্রিকা আছে সেগুলোর লেখা, প্রশ্ন-উত্তর, ফতওয়া বিভাগ, মতামত বিভাগ পড়লেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এরাও আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতেরই দাবীদার। আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আক্বীদার এমনভাবে মিশ্রণ ঘটেছে যে, সেখান থেকে সত্যটাকে উদঘাটন করা এক কঠিন দূরূহ কাজ। আর মাসিক আল বাইয়্যিনাত সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিখুঁতভাবে আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদাকে প্রকাশ করছে তাদের ফতওয়া বিভাগে, সুওয়াল-জাওয়াব এবং আর্টিকেলে। কোন ভুল অনুবাদ, ভুল টিকা-টিপ্পনী, কারো ভুল ইজতিহাদ কিছুই কলুষিত করতে পারেনি আল বাইয়্যিনাতের ফতওয়া বিভাগকে।  এ কারণে আমরা প্রথমেই আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের পরিচয়, আক্বীদা এবং কোথায় তার উৎস তা সংক্ষেপে বর্ণনা করেছি। (সমাপ্ত)

-সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুনিস মুর্শেদ, মিরপুর, ঢাকা।

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স, আ, ত, ম আলাউদ্দিনের  বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে

খতমে নুবওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)

রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের পূর্বে র্ববহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ

ইলমে আকলিয়ার দৈন্য এবং বিলায়েতের অনুপস্থিতির কারণে প্রকৃত আলিমে দ্বীন তৈরি হচ্ছে না।

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স,আ, ত, ম আলাউদ্দিনের বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে