মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ, অভূতপূর্ব, বেমেছাল, সুমহান তাজদীদ মুবারক ‘হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সারা বছর তথা অনন্তকালব্যাপী সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম।

সংখ্যা: ২৩১তম সংখ্যা | বিভাগ:

عِيْدُ مِيْلَادِ النَّبِىّ ِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (ঈদু মীলাদিন নাবিইয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উনার আভিধানিক অর্থ মুবারক হচ্ছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। আর পারিভাষিক অর্থে- عِيْدُ مِيْلَادِ النَّبِىّ ِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ  (‘ঈদু মীলাদিন নাবিইয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’) হচ্ছেন, ‘সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা, ঈদ পালন করা, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করা, উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক আলোচনা করা, উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত শরীফ ও সালাম মুবারক পেশ করা এবং তাসবীহ-তাহলীল মুবারক পাঠ করা, উনার পূত-পবিত্র সম্মানিত জীবনী মুবারক উনার সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনা করা।’ সুবহানাল্লাহ!

আর সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু সমস্ত উম্মত, সমস্ত জিন-ইনসান, সমস্ত মাখলূকাত, সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য ‘সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ’। তাই মুজাদ্দিদে আ’যম পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি এই মহাসম্মানিত ঈদ উনার মুবারক নামকরণ করেছেন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আর সংক্ষেপে উনার মুবারক নামকরণ করেছেন, ‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ’ হিসেবে। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

يَا اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مّـِنْ رَّبّـِكُمْ وَشِفَاء لّـِمَا فِى الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لّـِلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مّـِمَّا يَـجْمَعُوْنَ.

æহে মানুষেরা! হে সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী! অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সর্বপ্রকার ব্যাধিসমূহের সর্বশ্রেষ্ঠ আরোগ্যদানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াত দানকারী এবং সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য, খাছ করে ঈমানদারদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ  রহমতস্বরূপ আমার যিনি হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাশরীফ মুবারক এনেছেন। (সুবহানাল্লাহ)। হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, ফযল, করম ও রহমত মুবারক হিসেবে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে, ঈদ পালন করে তথা মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা, ঈদ পালন করাটা, মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাটা সবকিছু থেকে উত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা ইউনূস শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ : ৫৮)

এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা প্রত্যেক মুসলমান, জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসীর জন্য ফরয করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

তাহলে এখন বলার বিষয় হচ্ছে, এই মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ কতক্ষণ সময় ধরে পালন করতে হবে? এই সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّـاۤ اَرْسَلْنٰكَ شَاهِدًا وَّمُبَشّـِرًا وَّنَذِيْرًا. لِتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُعَـزِّرُوْهُ وَتُوَقّـِرُوْهُ وَتُسَبّـِحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلًا.

æনিশ্চয়ই আমি আমার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে শাহিদ তথা (উপস্থিত, হাজির, নাযির) সাক্ষ্যদানকারী, সুসংবাদদানকারী ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে সৃষ্টি করেছি, প্রেরণ করেছি। যেন তোমরা ঈমান আনতে পারো মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি। অতএব, তোমরা যথাযথভাবে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দাও, উনার সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করো এবং সকাল-সন্ধ্যা তথা দায়িমীভাবে অনন্তকাল যাবৎ উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো তথা উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করো।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা ফাতহ শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ : ৮-৯)

এই সম্মানিত আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে  মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত জিন-ইনসান ও কায়িনাতবাসীর জন্য উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সকাল-সন্ধ্যা, দায়িমীভাবে অনন্তকাল মহাসম্মনিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার নির্দেশ মুবারক প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

শুধু তাই নয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত কায়িনাতবাসীকে নির্দেশ দেয়ার পূর্বেই তিনি নিজেই উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করার পর থেকে অদ্যবধি দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন এবং অনন্তকাল যাবৎ মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেই থাকবেন। (সুবহানাল্লাহ)

আর যখন থেকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তখন থেকে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাও নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে যাচ্ছেন। (সুবহানাল্লাহ)

এই সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَه يُصَلُّوْنَ عَلَى النَّبِـىِّ يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَيْهِ وَسَلّـِمُوْا تَسْلِيْمًا.

æনিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সম্মানিত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ছলাত মুবারক পাঠ করেন অর্থাৎ ছানা-ছিফত মুবারক করেন তথা উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। হে ঈমানদারগণ! আপনারাও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করুন এবং যথাযথ আদবের সাথে সম্মানিত সালাম শরীফ পেশ করুন অর্থাৎ ছানা-ছিফত মুবারক করুন তথা উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করুন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত আয়াত শরীফ : ৫৬)

মহান আল্লাহ পাক উনার এই সম্মানিত নির্দেশ মুবারক পালন করার লক্ষ্যে সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। (সুবহানাল্লাহ)

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহুম উনারা যে ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন, এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اُبَـىِّ بْنِ كَعْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنّـِىْ أُكْثِرُ الصَّلٰوةَ عَلَيْكَ فَكَمْ اَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلٰوتِىْ فَقَالَ مَا شِئْتَ قُلْتُ اَلرُّبُعَ قَالَ مَا شِئْتَ فَاِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ. قُلْتُ اَلنّـِصْفَ قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ  قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ قَالَ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكَ  قُلْتُ اَجْعَلُ لَكَ صَلٰوتِىْ كُلَّهَا قَالَ اِذًا تُكْفٰى هَمُّكَ وَيُكَفَّرُ لَكَ ذَۢنبُكَ .

æহযরত উবাই ইবনে কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনার উপর বেশি বেশি ছলাত মুবারক পাঠ করতে চাই, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করতে চাই তথা আপনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে চাই। তাহলে আমি কী পরিমাণ সময় আপনার উপর ছলাত মুবারক পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো? অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমি কত ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত মুবারক পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো তথা আপনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো? আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা। আমি বললাম, এক চতুর্থাংশ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত মুবারক পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো? আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি অর্ধেক সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত মুবারক পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো? আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে। আমি বললাম, তাহলে আমি আমার তিন ভাগের দুই ভাগ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ ঘণ্টা আপনার উপর ছলাত মুবারক পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো? আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা, আপনি করুন। তবে যদি এর চেয়ে বেশি সময় করেন, তাহলে তা আপনার জন্য উত্তম হবে। তখন আমি বললাম, তাহলে আমি আমার সম্পূর্ণ সময় তথা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২৪ ঘণ্টাই আপনার উপর ছলাত মুবারক পাঠ করবো, আপনার ছানা-ছিফত মুবারক করবো, আপনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো? তখন আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, যদি আপনি এরূপ করতে পারেন, তাহলে আপনার সমস্ত নেক মাক্বছূদগুলো পূর্ণ করে দেয়া হবে এবং আপনার সমস্ত গুনাহখতাগুলো ক্ষমা করে দেয়া হবে। সুবহানাল্লাহ!” (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরকে হাকিম শরীফ ২/৪২১, শুয়াবুল ঈমন শরীফ ৩/১৩৮, মিশকাত শরীফ, জামিউল আহাদীছ শরীফ ৩২/৩৭৩, জামিউল উছূল শরীফ ১১/৮৪৬৭, রিয়াদুছ ছালিহীন ১/৩৪৭  ইত্যাদি)

উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনা থেকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে ও অকাট্যভাবে প্রমাণিত হলো যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর সম্মানিত ছলাত মুবারক পাঠ করেছেন, উনার সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করেছেন, উনার মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

সুতরাং ওহাবী, খারিজী, লা-মাযহাবী, তাবলিগী, জামাতী, দেওবন্দী, মুনাফিক্ব ও উলামায়ে সূ’রা যে বলে থাকে- ‘হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেননি, করলেও দীর্ঘ দিনব্যাপী করেননি।’ তাদের এই সমস্ত বক্তব্য ভুল ও সম্মানিত কুরআন শরীফ, সম্মানিত হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ ও সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের খিলাফ এবং কুফরীমূলক বলে প্রমাণিত হলো। তাই তাদের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে খালিছ তাওবা-ইস্তিগফার করা। অন্যথায় তাদের অবস্থা হবে অত্যন্ত কঠিন ও ভয়াবহ। মৃত্যুর সময় তাদের আকৃতি-বিকৃতি ঘটবে এবং তারা পচতে পচতে, গলতে গলতে, ঈমান হারা হয়ে বেঈমান হয়ে মারা যাবে। নাঊযুবিল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা, আবুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, æসমস্ত উম্মতের জন্য, সমস্ত জিন-ইনসান ও কায়িনাতবাসীর জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে অনুসরণ করে ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবন তথা অনন্তকাল যাবৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আযীমুশ শান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার কোশেশ করা।” (সুবহানাল্লাহ)

মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাতো সৃষ্টির শুরু থেকে অদ্যবধি ২৪ ঘণ্টা দায়িমীভাবে আযীমুশ শান মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেই যাচ্ছেন। সেটা বলার অপেক্ষাই রাখে না। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সারা বছর তথা অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত আযীমুশ শান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি উনার নিজ জবান মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেছেন, আমরা সারা বছর বা অনন্তকালব্যাপী সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম করেছি। এই সম্মানিত মাহফিল মুবারক আমরা শুরু করেছি তা অনন্তকালব্যাপী চলতে থাকবে, আর কখনো বন্ধ হবে না ইনশাআল্লাহ। কবর, হাশর-নশর, মীযান, পুলছিরাত, জান্নাতেও সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানিত মাহফিল মুবারক চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, যারা হাক্বীক্বীভাবে খুশি প্রকাশ করবে, নিয়ত করবে, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবে তারা কবর, হাশর-নশর, মীযান, পুলছিরাত, জান্নাতে যেয়েও অনন্তকাল যাবৎ সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। সুবহনাল্লাহ!

এটা হচ্ছে, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সর্বকালের, সর্বযুগের, সর্বশ্রেষ্ঠ, অভূতপূর্ব, বেমেছাল, সুমহান তাজদীদ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

পৃথিবীর ইতিহাসে আর কেউ কখনো এরূপ সারা বছর তথা অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম করেননি, ইন্তিযাম মুবারক করার চিন্তাও করেননি এবং ইন্তিযাম করার জন্য আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আরজিও পেশ করেননি। কারণ এটা অত্যন্ত কঠিন এবং অসম্ভব বিষয়।

ইতিহাস থেকে যেটা জানা যায়, কেউ কেউ সর্বোচ্চ এক মাসব্যাপী পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করেছেন। কিন্তু পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে পালন  করেননি। এখন ঈদ তো অনেক রয়েছে- পবিত্র রোযা উনার ঈদ, পবিত্র কুরবানী উনার ঈদ ইত্যাদি। আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ দিবস তো আর অন্যান্য ঈদের মতো নয়। তাই মুজাদ্দিদে আ’যম পবিত্র রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি আখিরী রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বিলাদত শরীফ উনার দিবস মুবারক উনাকে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে মুবারক নামকরণ করেন। আর সংক্ষেপে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে নামকরণ মুবারক করেছেন এবং অনন্তকালের জন্য জারি করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

অনন্তকালব্যাপী সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার একখানা খাছ ছিফত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা দায়িমীভাবে সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। কারণ উনাদেরকে এই সম্মানিত আমল মুবারক করার জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের পক্ষে সারা জীবন সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা সম্ভব হয়েছে। কারণ উনারা আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সরাসরি সম্মানিত ছোহবত মুবারক পেয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!

এখান থেকে এই বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেলো যে, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি হচ্ছেন পৃথিবীর ইতিহাসে এই পর্যন্ত যত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ও হযরত মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা এসেছেন এবং ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ও হযরত মুজাদ্দিদ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা আসবেন, উনাদের প্রত্যেকের সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, তিনি হচ্ছেন, আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অদ্বিতীয় হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান, মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনার অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! যার কারণেই উনার দ্বারা অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মহাসম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম করা সহজ এবং সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কারো দ্বারা সেটা করা আদৌ সম্ভব হয়নি। সুবহানাল্লাহ!

তার পাশাপাশি এই বিষয়টিও অত্যন্ত সুস্পভাবে ফুটে উঠলোÑ ফারূক্বে আ’যম হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন যে,

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدَ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَحْيَا الْاِسْلَامَ

অর্থ: যে ব্যক্তি যথাযথ তা’যীম-তাকরীম মুবারক উনার সাথে মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদ্যাপন করলেন, তিনি যেন সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকেই পুনরুজ্জীবিত করলেন।” অর্থাৎ উনার দ্বারা সারা বিশ্বে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হাক্বীক্বী পুনরুজ্জীবিত হবে, সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। সুবহানাল্লাহ!

মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিই হচ্ছেন এই সম্মানিত ক্বওল শরীফ উনার একমাত্র হাক্বীক্বী হক্বদার। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং উনার মুবারক উসীলায় অতিশীঘ্রই সারা বিশ্বে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হাক্বীক্বীভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে তথা সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। এখানে আর কোনো চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করার সুযোগ নেই। কারণ মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি অনন্তকালব্যাপী সম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানিত মাহফিল মুবারক উনার ইন্তিযাম করেছেন, যেটা পৃথিবীর ইতিহাসে আর কারো পক্ষে করা সম্ভব হয়নি। অথচ  সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক  প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে রয়েছে। তাহলে উনার দ্বারা যদি দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ মুবারক প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে আর কার দ্বারা হবে? সুতরাং উনার মুবারক উসীলায় অতিশীঘ্রই এই বাংলার যমীনে সম্মানিত খিলাফত আ’লা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ প্রতিষ্ঠিত হবেই হবে ইনশাআল্লাহ এবং তা সারা পৃথিবীতে, সারা কায়িনাতে ছড়িয়ে পড়বেই পড়বে ইনশাআল্লাহ। সুবহানাল্লাহ!

তাই এদেশবাসী, গোটা বিশ্ববাসীর জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে উনার পূত-পবিত্র ক্বদম মুবারক-এ জমায়েত হওয়া, উনার সম্মানিত আদেশ-নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী চলা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম, আবুল খুলাফা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার মুবারক উসীলায় আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বীভাবে ২৪ ঘণ্টা তথা দায়িমীভাবে সারা জীবনতো অবশ্যই; এমনকি কবর, হাশর-নশর, মীযান, পুলছিরাত, জান্নাতে যেয়েও অনন্তকাল মহাসম্মানিত সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। (আমীন)

-আল্লামা মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম