মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক

সংখ্যা: ২৮৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاللهُ يَـخْتَصُّ بِرَحْـمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ

অর্থ: “যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনাকে আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! নিমোক্ত মহাসম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারকসমূহ উনার সেই মহাসম্মানিত শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহি:প্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

(১)

সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সবচেয়ে সবোর্চ্চ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মাক্বাম মুবারক:

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই  জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতুস সাব্ত শরীফ (শনিবার রাত) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সবচেয়ে বেশি মুহব্বত করার জন্য কোশেশ করতে হবে এবং প্রত্যেক সুন্নাত মুবারক ইত্তেবা করতে হবে যতোটুক সম্ভব। তখন তার জন্য কামিয়াবী। এছাড়া কামিয়াবী হবে কোথা থেকে? এই জন্য তো আমরা বলি, এই সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ যে পালন করবে, কার  জন্য করবে? এটা করতে পারলে সে চূড়ান্ত পযার্য়ে গিয়ে পেঁৗছলো। এরপরে আর কোন মাক্বাম নেই। এটাই শেষ মাক্বাম। ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’ শেষ মাক্বাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মহান আল্লাহ পাক উনার মাক্বাম উনার উপরে আর কোন মাক্বাম আছে? না। তাহলে আর কি? তাহলে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতে থাকুক। সেটাই আমরা বলতেছি। তাহলে এখানে গাফলতী কেন? এখানে কেন গাফলতী থাকবে? তাহলে তুমি কি করতে চাও? এরপরে তো আর কোন মাক্বাম নাই।

এখন মানুষ যিকির করে না, ফিকির করে না, তাছাউফ বুঝে না। যার জন্য তারা এগুলি বুঝে না। বান্দার তরফ থেকে ‘আবদিয়াতের মাক্বাম’ শেষ মাক্বাম। আর মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে দেখা যাচ্ছে- ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক’ হচ্ছেন শেষ মাক্বাম। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

মহান আল্লাহ পাক উনি তো অসীম। ঐ যে মহান আল্লাহ পাক তিনি যে আমাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম মুবারক-এ বসালেন- একবারে শেষ সীমানা। এরপর আর কিছুই নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) একবারে শেষ প্রান্তে। এই প্রান্তটা শেষ এখানে। আর এখানে আসন মুবারকগুলি। এরপরে আর কিছুই নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ মাক্বাম হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাক্বাম, যা সর্বশেষ মাক্বাম মুবারক।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৮ই  জুমাদাল ঊলা শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম অর্থাৎ সামবার) মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি তো অসীম। মহান আল্লাহ পাক উনার কি কোনো শেষ আছে? তারপরও দেখা গেলো এটা একটা শেষ প্রান্ত। এরকম। শেষ প্রান্ত- শেষ প্রান্তের মধ্যে দুই পাশে দুইটা বড় আসন। (বাম দিকে) এই আসন মুবারকখানা হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার, (ডান দিকে) এই আসন মুবারকখানা হচ্ছেন নূরে মুজাসাসম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার। দুইখানা আসন মুবারক সমান। একখানা আসন মুবারক ছিলেন পিছনে। মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং নিজে উনার কুদরতী হাত মুবারক-এ ঐ আসন মুবারকখানা এনে দুই আসন মুবারক উনাদের মাঝামাঝি স্থানে বসালেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বসিয়ে আমাকে বললেন যে, আমি যে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করি, এজন্য আমাকে এই মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) পরে আমাকে এনে বসিয়ে দিলেন। আসন মুবারকখানা মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে এনেছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এনে বসিয়েছেন। বসায়ে আমাকে বসিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আসন মুবারখানা উপর দিয়ে এনে মধ্যখানে বসিয়েছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এটা দেখা গেলো- এখানে সীমানা শেষ। এখন উচ্চতায় অনেক উঁচুতে, এর উপরে আর কিছু নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আর এটা হলো মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে। এই ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’ হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সবচেয়ে সবোর্চ্চ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মাক্বাম মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

আমি দেখলাম- স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনি আসন মুবারকখানা পিছন থেকে এনে মধ্যে বসালেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) বসায়ে বললেন যে, আমি যে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করি, এজন্য আমাকে এই মাক্বাম মুবারখানা হাদিয়া মুবারক করা হলো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) আমাকে বসালেন, বসলাম। এইভাবে, এইভাবে সামনে মুখ। এই দিকে (ডানে) এই দিকে (বামে) দুইজন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এখানে (ডানে), এখানে (বামে) মহান আল্লাহ পাক উনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

ঐ যে পরে যে আবার ওই আসন মুবারক- জান্নাত মুবারক-এ যেটা যাহির হয়েছিলো। ওই আসন মুবারকই। বিরাট বড় বড় আসন মুবারক এগুলি। অনেক বড়।

আরজী:  আসন মুবারকখানা কি রকম? পিছনে ইয়া আছে?

জওয়াব মুবারক: হ্যাঁ সবই আছে। হ্যান্ডেলসহ সব আছে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন সংক্ষিপ্তভাবে বললে- সম্মানিত আরশে আযীম উনার মতো। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) হ্যান্ডেলসহ সবই আছে। কি রকম বলবো এটা? এটা ছোফা চেয়ার বা গদীর মতো। খুব শান-শওকত মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) অনেক চওড়া, মোটামুটি অনেক বড়। খুব আরামে বসা যায়। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) ছূরতে এটা অনেক বড়। মোটামোটি যথেষ্ঠ বড়। এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি একপাশে আছেন। মহান আল্লাহ পাক উনি নিজেই ব্যবস্থা করালেন এটা। উনি নিজেই করালেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এজন্য সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ বেশি বেশি পালন করা উচিত। এখন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার যে কোন মাক্বাম আছে, এটাই তো কেউ জানাতো না। মাক্বামের এই হাল মুবারক, এই অবস্থা মুবারক। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) এখন যতো করা যায়, যতো বেশি করা যায়। মহান আল্লাহ পাক তিনি তো ২৪ ঘন্টাই করে যাচ্ছেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এই জন্য বললাম যে, মুহাব্বতে করা উচিত। মুহব্বতের কোন বদলা নেই। অন্য কিছুর বদলা আছে। যতটুক করা যায়।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

(২)

‘আমি যদি সুপারিশ করি, তাহলে যেকোন লোককে, পুরুষ হোক মহিলা হোক তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়া হবে:

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার  মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল খমীস (বৃহস্পতিবার) চতুর্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি যখন দীদার মুবারক-এ সম্মানিত তাশরীফ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি মুবারক নিচ্ছিলেন, তখন উনি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, আপনার কাছে আমি ৬/৭ দিরহাম রেখেছিলাম দান করে দেওয়ার  জন্য। আপনি সেটা কি দান করে দিয়েছেন? তিনি বললেন, আমি ব্যস্ততার কারণে দান করতে পারিনি। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, তাড়াতাড়ী দান করে দিন। তিনি দান করে দিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আমি চাই না যিনি খলিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে সাক্ষাৎ করি, আর আমার কাছে দুনিয়ার কিছু সম্পদ থাকুক। এটা আমার পছন্দ না। কাজেই আপনি দান করে দিন। তিনি দান করে দিলেন।

এখন উম্মতের দায়িত্ব কর্তব্য হচ্ছে যে, দুনিয়ার কোন বস্তু ধন-দৌলত, টাকা-পয়সা, গাড়ী-বাড়ী যেন তাকে হাক্বীক্বী নিসবত-কুরবত ও যিয়ারতে বাধা সৃষ্টি না করে। এখন কে কি করেছে আর কে কি করবে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের দেখার বিষয় হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।

কাজেই সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। আর এই লক্ষ্যেই কিন্তু আমরা বলেছি যে, আমরা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মহসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানার্থে আমাদের সব কিছু দিয়ে দিয়েছি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমরা সকলেই সব দিয়ে দিয়েছি। আমি যেমন দিয়েছি, তোমাদের আম্মা হুযূর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিও দিয়েছেন, সকলেই দিয়েছেন। আমরা ঠিক ওইভাবে সাক্ষাৎ করতে চাই, যেভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দীদার মুবারক-এ তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন।

সেইজন্য প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী এই ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’-এ খরচ করার জন্য বলা হয়েছে। আর এখন যে যতো করবে, সে ততো পাবে।

যেমন- আরেকটা বিষয়, মাক্বামের কোন অভাব নেই। তোমাদেরকে বলা হয়, তোমাদের বুঝার জন্য। তোমরা তোমাদের আক্বল-বুদ্ধি সমঝ অনুযায়ী বুঝে থাকো। যেমন- আরেকটা বড় মাক্বাম। মানুষ তো মাক্বাম সম্পর্কে জানে না। আর কিতাবাদীতে সব মাক্বামের বর্ণনাও নেই। একটা বিশেষ মাক্বাম আছে। এটা গত ২৮শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) আমাকে জানানো হলো, উনাদের  তরফ থেকে একখানা সম্মানিত মাক্বাম মুবারক উনারা আমাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। এটা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং যিনি খ¦ালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে তলব করার কারণে, উনাদেরকে হাছিলের কোশেশে মশগুল থাকার কারণে, আসল হচ্ছে উনারা খুশি হওয়ার কারণে, উনারা বললেন, একটা অনেক বড় মাক্বাম মুবারক আপনাকে হাদিয়া মুবারক করা হয়েছে। এই মাক্বাম মুবারক পৃথিবীর ইতিহাসে আর কাউকে দেওয়া হয়নি। সেটা হচ্ছে- ‘আমি যদি সুপারিশ করি, তাহলে যেকোন লোককে, পুরুষ হোক মহিলা হোক তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ সমগ্র পৃথিবীতে কেউ আহলু বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভূক্ত হতে হলে আমার অনুমোদন প্রয়োজন অর্থাৎ আমার অনুমোদন ব্যতিত কেউ আহলু বাইত শরীফ উনাদের অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে না।’ (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) কেন? উনারা সন্তুষ্ট হলেই তো উনারা দিবেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু’আহ শরীফ (শুক্রবার রাতে) চতুর্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পবিত্র খানকাহ শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমরা তো গত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ  শরীফ পালনের পর ঘোষণা দিয়েছি।  আসলে এটাতো অনন্তকালের জন্য জারী করেছি। তার মধ্যে বিশেষ মাহফিল ছিলো ৬৩ দিন। সেটা আমরা করেছি ৯০ দিন। যেটা আমি আগেও ঘোষণা দিয়েছি, গতকালও বলেছি। আমার, তোমাদের আম্মা হুযূর সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অর্থাৎ আমরা সকলেই আমাদের সমস্ত সময়, সমস্ত মাল, জান সবই আমরা হাদিয়া দিয়ে দিয়েছি। এতে যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি, যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হয়েছেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি সেটা বলেছি, এই বৎসর ৮ই জুমাদাল ঊলা শরীফ (১৪৪৩ হিজরী শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ) আমি উনাদের প্রত্যেককেই অত্যন্ত সন্তুষ্টিচিত্ত মুবারক, অত্যন্ত খুশি মুবারক অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

যিনি খ্বালিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে আমি বলেছিলাম, আপনারা আমাদেরকে কিছু নিয়ামত দান করুন। তখন উনাদের তরফ থেকে বলা হয়েছিলো- নিয়ামত তো দেওয়া হচ্ছে, দেওয়া হবে। তবে সবচেয়ে বড় নিয়ামত মুবারক আমাদের দীদার মুবারক সেটা তো দেওয়া হচ্ছে। আমি আর কিছু বললাম না, চুপ থাকলাম। এখানে আরো কিছু ঘটেছে, যেটা আমি ভাষা দিয়ে প্রকাশ করতে পারবো না, সেজন্য বলতে পারবো না।

তার পরবতীর্ সময় যেটা ঘটলো, যেটা গতকাল আমি বলেছি, ২৮শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ (১৪৪৩ হিজরী শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ  বা মঙ্গলবার) উনারা সন্তুষ্ট হয়ে আমাকে আরো একটা বিশেষ মাক্বাম মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। মাক্বামের তো কোন শেষ নেই, নিয়ামতেরও কোন শেষ নেই। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

মহান আল্লাহ পাক উনি দেওয়ার জন্য কোন শর্ত খঁুজেন না। উনি দিলেই উপযুক্ত হয়ে যায়। কাউকে উপযুক্ত হিসাবে উনি দেন না, আবার উনি দিলেই উপযুুক্ত হয়ে যায়। উনারা যে মাক্বাম মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন, সেটা অনেক বড় একটা মাক্বাম মুবারক। আমার ইখতিয়ার দিয়েছেন, আমি ইচ্ছা করলে যে কোন লোককে সুপারিশ করলে, সে যেই হোক তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! অথার্ৎ একজন লোক হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত হলে, তার যতো ফযীলত সবটাই সে লাভ করবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

গতকাল এই ঘটনা মুবারক বলেছি। বলার পর উনারা আরো সন্তুষ্ট হয়েছেন।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার রাতে) চতুর্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমাকে আরো একখানা অনেক বড় মাক্বাম মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে, যেটা ইতিপূর্বে কাউকে হাদিয়া মুবারক করা হয়নি। আমি যাকে ইচ্ছা তাকে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিতে পারবো।” সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

তাহলে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

(৩)

রহমতুল্লিল ‘আলামীন মাক্বাম মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ:

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রহমতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২রা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল জুমু’আহ শরীফ চতুর্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পবিত্র খানকাহ শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফালইয়াফরহূ শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “গত রাত্রে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১লা রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল খমীস শরীফ (বৃহস্পতিবার রাত) উনার ঘটনা। আমি  রাত ৩টা সোয়া ৩টার দিকে মোরাকাবা অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ আমি দেখতেছি- সারা দুনিয়ায় অনেক হৈ চৈ এবং সবাই অস্থির। আমার আত্মীয় স্বজন আছেন, অন্যান্য সারা দুনিয়ায় পৃথিবীর দূর-দূরান্তে, দেশ-বিদেশে, অনেক লোক। হৈ চৈ। কি ব্যাপার? উনারা সবাই এসেছেন যে, আমাদেরকে কিছু দেন। আমি বললাম, ‘আমি কি দিবো?’ উনারা বললেন, কেন? আপনাকে তো যিনি খ¦ালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনি এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারক উনার পূর্ণ হিস্সা দান করেছেন। সেখান থেকে রহমত মুবারক দেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি বললাম কোথায়? সবাই বললেন, আপনি উপরের দিকে দৃষ্টি করেন। আমি উপরের দিকে দৃষ্টি করলাম। দেখলাম, সেখান থেকে অঝোর ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষিত হচ্ছেন। নূরের মতো। সকলে বললেন, আমাদেরকে দেন? আমি বললাম, ঠিক আছে; আপনারা এখান থেকে নেন। আমি সেখান থেকে সবাইকে দিতে থাকলাম।

অনেক দেওয়ার পর যিনি খ¦ালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে বলা হলো- এভাবে কিভাবে হবে? এটা একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা কি? উনারা উনাদের তরফ থেকে একটা লিবাস মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করলেন। আর বললেন, এটা আপনি পরিধান করে আপনি হাক্বীক্বী ক্বায়িম মাক্বাম হন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এটা উনারা দিলেন। এটা হচ্ছে- ইজারের মতো অথার্ৎ লুঙ্গির মতো আবার লুঙ্গি না। শরীরে পরে বেধে রাখা যায়। সাদা রংয়ের। সেটা সাদা রং, তার মধ্যে তুলা দিয়ে ফুলানো, ফোমের মতো। সুন্দর একটা কাপড় পরলাম। উনারা বললেন, এখন থেকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম দিয়ে যে রহমত বান্দা-বান্দী, জিন-ইনসান লাভ করতো, সেটা আপনার থেকে লাভ করবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আরো যতো লোক আসলো সারা দুনিয়াব্যাপী জিন-ইনসান তারা যারা যা আরজী করতে থাকে তারা সে অনুযায়ী লাভ করতে থাকে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

এটা আমি আগে বলেছিলাম। যে, যাত্রাবাড়ী পীর ছাহেব আলাইহিস সালাম তিনি যে এসে আমার মধ্যে ফানা হয়ে বাকা হয়ে গেলেন, নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে দিলেন। এভাবেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যে ফানা হয়ে বাকা হয়ে যেতে হবে। উনার জন্য সব বিলীন করে দিতে হবে। তখন তার জন্য কামিয়াবী হাছিল করা, যতো নিয়ামত রয়েছেন তা হাছিল করা সহজ এবং সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!”

ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ,  আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ১৪৪৩ হিজরী শরীফ উনার ৬ই রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) এবং ১১ই রজবুল হারাম শরীফ লাইলাতুল আহাদ শরীফ (রবিবার) ৪র্থ তলা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খানকাহ শরীফ ইরশাদ মুবারক করেন, এই ‘সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ’ উনার সম্মানার্থেই মহান আল্লাহ পাক উনি এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অর্থাৎ উনারা আমাকে ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ এই সম্মানিত মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করেছেন। দেখলাম যে, সবাই এসে আমাকে বলতেছে, আমাদেরকে কিছু রহমত দেন। আমি বললাম কোথা থেকে? সবাই বললেন, আপনি উপরের দিকে দৃষ্টি করেন। আমি উপরের দিক দৃষ্টি মুবারক দিয়ে দেখলাম, সেখান থেকে অঝোর ধারায় সম্মানিত রহমত মুবারক বর্ষিত হচ্ছেন। সকলে বললো, আমাদেরকে দেন? আমি সেখান থেকে সবাইকে দিতে থাকলাম। যিনি খ¦ালিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের তরফ থেকে বলা হলো- এভাবে কিভাবে হবে? এটা একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর উনারা উনাদের তরফ থেকে একটা লিবাস মুবারক আমাকে হাদিয়া মুবারক করলেন এবং আমাকে তা পরিয়ে দিলেন। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!) অর্থাৎ ‘রহমতুল্লিল আলামীন’ মাক্বাম মুবারকখানা হাদিয়া মুবারক করে দেয়া হয়ে গেলো। লেবাস মুবারকখানা শরীরে পরে বেঁধে রাখা যায়। সাদা রংয়ের এবং তার মধ্যে তুলা দিয়ে ফুলানো, ফোমের মতো। অনেক সুন্দর। উনারা বললেন, এই লিবাস মুবারক পরলে এখান থেকে কুদরতীভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বের হতে থাকবেন। দেখলাম যে, কুদরতীভাবে সম্মানিত রহমত মুবারক বের হচ্ছেন আর সমস্ত কায়িনাতের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছেন এবং সবাই সম্মানিত রহমত মুবারক গ্রহণ করছে।” (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

তাহলে যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার কত বেমেছাল মহাসম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। (সুবহানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম!)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।

 

 

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেন

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুল ফারীক্বাইন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ পালন করে খুশি প্রকাশ করেন

হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের খিলাফতকালে নাবিইয়ুর রহমাহ, নাজিইয়ুল্লাহ, নূরুম মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন এবং এ উপলক্ষে ব্যয় করার ফযীলতও বর্ণনা করেছেন

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেছেন

বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ