সুন্নী নামের কলঙ্ক, আহমদীয়া সুন্নীয়া দাবিকারী কাদিয়ানীদের ভাবশিষ্য চট্টগ্রামের রেযাখানী ফিরক্বার প্রলাপবাক্যের মূলোৎপাটন (৪)

সংখ্যা: ২২০তম সংখ্যা | বিভাগ:

প্রিয় পাঠক! পবিত্র রিসালত শরীফ উনার শানে চরম বেয়াদবী প্রদর্শনকারী কাট্টা গুমরাহ জাহিল বাতিল রেযাখানী ফিরকার মৌলভী জালাল গং তাদের আহম্মক ইমামের ফতওয়ার বিপরীতে হারাম প্রাণীর ছবি তোলাকে জায়িয করতে গিয়ে লিখেছে- “তাদের নাকি (তৈয়ব শাহ, তাহের শাহ) ফটো তোলা হয়, আর ফটোগুলো কে বা কারা বরকতের জন্য ঘরে, দোকানে ও গাড়িতে টাঙ্গায়। তার (রাজারবাগ শরীফ উনার) ফতওয়া মতে ফটো জঘন্য হারাম!” নাউযুবিল্লাহ!

আচ্ছা, প্রাণীর ফটো বা ছবি তোলা হারাম এটা কি কোন মানুষের ফতওয়া? কিংবা এটা কি রাজারবাগ শরীফ বা আল বাইয়্যিনাত শরীফ উনাদের নিজস্ব বানানো কোন ফতওয়া? এটা কি খোদ ইলাহী পাক ও নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ফতওয়া মুবারক নয়? আর ‘তাদের নাকি’ বলতে মৌলভী জালাল গং কি বোঝাতে চেয়েছে? তাহের শাহ আর তৈয়ব শাহ এমনকি শাহ আহম্মক ছিরিকোটি নামক ভন্ডপীরদের কি হারাম ছবি সমাজে মওজুদ নেই? এরা কি অহরহ হারাম ছবি তোলে না? ওরা কি কাউকে কখনও হারাম ছবি তুলতে বাধা দিয়েছে? ওদের হারাম ছবি কি তাদের পূজারী ভক্তদের অফিস, ঘরে দোকানে কিংবা গাড়িতে লটকানো থাকে না? মিথ্যা কথা আর ভন্ডামী প্রতারণা করে কিছু লোককে কিছুদিন ধোঁকা দিয়ে রাখা যায় কিন্তু সবসময় সব লোককে ধোঁকার মধ্যে আবদ্ধ রাখা যায় না। মৌলভী জালালের রেযাখানী মুখপত্রের কুফরী ফতওয়ার লিখক মৃত ভ-পীর তৈয়ব শাহর জীবনী নামক বইয়ের মধ্যে একটি দুটি নয়, ২১ পৃষ্ঠা ব্যাপী তাদের ভন্ডপীর নামক কলঙ্কদের হারাম ছবি দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ!

এটাকে হালাল করার জন্য সেই মুফতে জালাল রেযাখানী মুখপত্রে লিখেছে- “কোন মানুষ বা পশু-পাখির ছবি ঘরে লাগানো জায়িয নেই। কারণ যে ঘরে প্রাণীর ছবি ঝুলানো থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতারা প্রবেশ করেন না, তবে পীর মুর্শিদ পিতা-মাতা বা অন্য কারো ছবি অ্যালবামে বা গোপন কোন স্থানে সংরক্ষণ করলে তাতে কোন অসুবিধা নেই।” নাউযুবিল্লাহ!

পাঠক! মৌলভী জালালের গুমরাহ মুফতে যে বলেছে, ঘরে কোন প্রকার প্রানীর ছবি ঝুলানো জায়িয নেই। কারণ তাতে রহমতের ফেরেশতা উনারা প্রবেশ করেন না। এটা তার কথা নয়। এটা মূলত পবিত্র হাদীস শরীফ উনারই ঘোষণা। কিন্তু পীর-মুর্শিদ, পিতা-মাতা বা অন্য কারো ছবি অ্যালবামে বা গোপন কোন স্থানে সংরক্ষণ করলে তাতে কোন অসুবিধা নেই অর্থাৎ জায়িয। এই কুফরী নির্দেশ সে কোথায় থেকে পেল? তার উপর কি কাদিয়ানীর মতো নতুন করে ওহী নাযিল হয়েছে? ভণ্ডামী আর প্রতারণার একটা সীমা থাকা উচিত।

ওহে রেযাখানী গং! তোমরা ইবলিশের ধোঁকায় পড়ে গুমরাহ হয়েছো এটা তোমাদের বদ নসীব। কিন্তু মুসলিম উম্মাহকে প্রতারিত করার জন্য তোমাদেরকে দ্বীন ইসলাম বিকৃতির ইজারা কিন্তু দেয়া হয়নি। হারাম প্রাণীর ছবি লটকানো প্রসঙ্গে তোমাদের মৃত ইমাম আহম্মক রেযা খাঁ’র মতামত কি ছিল সেটা তার জীবনীতে তোমরাই তো এভাবে উল্লেখ করেছো- ‘বর্তমানে মুসলমানদের ঘরে জীব জন্তুর ছবি টাঙ্গিয়ে রাখা এবং মূর্তি দিয়ে ঘর সাজানোর এক সর্ব সাধারণ প্রথায় পরিণত হয়েছে। অনেক অশিক্ষিত মুসলমান তো বরকত লাভের আশায় বোরাকের ছবিও ঘরে স্থাপন করে থাকে। মাওলানা (আহম্মক রেজা খাঁ) উহার কঠোর সমালোচনা করেছে। আর এগুলো রাখার ক্ষেত্রে নিষেধ করেছে।’ (আহম্মক রেযা খাঁর জীবন ও কর্র্ম ৪৪ পৃষ্ঠা)

তাহলে বুঝা গেল হারাম প্রাণীর ছবি সেটা পিতা-মাতা কিংবা পীর সাহেবের হলেও তা রাখা যাবে না, লটকানো যাবে না- এটাই তোমাদের মৃত আহম্মক ইমামের মত। এসব ক্ষেত্রে হারাম ছবিগুলো অ্যালবাম কিংবা গোপন কোন স্থানে রাখা যাবে সেটা তোমাদের ইমাম তোমাদেরকে শিখিয়েছে নাকি তোমাদের দাদাপীর মালউন ইবলিস শয়তান তোমাদের নাপাক পেট থেকে বের করেছে তা আপামর সুন্নী মুসলমানগণ উনারা ঠিকই জানেন।

মূফতী আবু বকর মুহম্মদ জাহিদুল ইসলাম।

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স, আ, ত, ম আলাউদ্দিনের  বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে

“মাসিক আল বাইয়্যিনাত”  আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মুখপত্র  (দ্বিতীয় পর্ব)   

খতমে নুবওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)

রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের পূর্বে র্ববহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ

ইলমে আকলিয়ার দৈন্য এবং বিলায়েতের অনুপস্থিতির কারণে প্রকৃত আলিমে দ্বীন তৈরি হচ্ছে না।