রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারকের পূর্বে র্ববহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ

সংখ্যা: ১০৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

وكذلك جعلنا لكل نبى عدوا شيطين الانس والجن يوحى بعضهم الى بعض زخرف القول غرورا ولو شاء ربك مافعلوه فذرهم ومايفترون.

অর্থঃ- “এমনিভাবে আমি প্রত্যেক নবী(আলাইহিমুস্ সালাম)-এর জন্য শত্রু করেছি শয়তান, মানব ও জ্বিনকে। তারা ধোকা দেয়ার জন্য একে অপরকে কারুকার্যখচিত কথা-বার্তা শিক্ষা দেয় বা মনভুলানো বাক্য দ্বারা কুমন্ত্রনা দেয়। আর যদি আপনার প্রতিপালক ইচ্ছা করতেন তবে তারা এরূপ করত না। অতএব, আপনি তাদেরকে এবং তাদের মিথ্যা রচনাকে বর্জন করুন।” (সূরা আনয়াম/১১২)

নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের তিরোধানের পর শয়তানের সে শত্রুতার রেশ তাঁদের কায়িম মোকাম বা স্থলাভিষিক্ত আউলিয়া-ই-কিরাম তথা হক্কানী উলামা-ই-কিরামগণের উপর পতিত হয়ে থাকে। যুগে যুগে যাঁরা মুজাদ্দিদ বা সংস্কারক হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন; তাঁরা পথ হারা, আত্ম ভোলা মানুষকে কুরআন ও সুন্নাহের পথে পরিচালিত করার প্রাণান্তকর কোশেশে লিপ্ত থাকেন। রূহানী ফয়েজ ও তাওয়াজ্জুহ প্রদানে অন্তরের বদ খাছলত সমূহের বিনাশ সাধন করতঃ সৎ গুণাবলীর সমাবেশ ঘটান।  সর্বোপরি আল্লাহ্ পাক ও তাঁর প্রিয় হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর-মা’রিফত ও মুহব্বতের সাগরে অবগাহন করার তা’লীম, তরবিয়ত প্রদান করেন। অপর দিকে তাদের চরম শত্রুতায় মেতে উঠে এক শ্রেণীর মানুষ ও জিন। এরা সর্বদাই শয়তানী সূলভ ঘৃণ্য অপতৎপরতায় ফিরআউনের উত্তরসূরী হিসেবে কাজ করে থাকে। তারা জনসাধারণের মাঝে নানা প্রকার কারুকার্য খঁচিত কথা-বার্তা বলে কালের হাদী বা মুজাদ্দিদের নিদের্শিত পথ হতে আম জনতাকে বিরত রাখে। সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্যের সাথে মিশিয়ে আউলিয়া-ই-কিরামগণের নামে নানা প্রকার অপবাদ ছড়িয়ে লোকদেরকে বিদ্বেষী করে তোলে। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শয়তানের সে ভয়ানক ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, “শেষ যুগে মিথ্যাবাদী প্রবঞ্চক (দাজ্জাল) বের হবে। তারা তোমাদের নিকট এরূপ কথা প্রকাশ করবে, যা তোমরা শুননি এবং তোমাদের পূর্ব পরুষগণও শুনেনি। অনন্তর তোমরা তাদের নিকট গমন করো না এবং তাদেরকেও তোমাদের নিকট স্থান দিওনা। তাহলে তারা তোমাদেরকে গোমরাহ্ ও পথভ্রষ্ট করতে পারবে না।”  সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “শয়তান মানবরূপ ধারণ করতঃ জন সমাজে আবির্ভূত হয়ে মিথ্যা কথা প্রকাশ করে।” হাফিজুল হাদীস, কুতুবুল ইরশাদ, ফক্বীহুল উম্মত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, রঈসুল মুফাস্সিরীন, আল্লামা হযরত মাওলানা রুহুল আমীন বশীরহাটি রহমতুল্লাহি আলাইহি স্বীয় তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, সুন্নী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধবাদী (আলিম) বিদ্বান ও শরীয়তের বিরুদ্ধ পথ প্রদর্শক ফকীর দল এই শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ উলামায়ে “ছূ” দুনিয়াদার আলিম এবং শরীয়তের খিলাফ আমলকারী ভন্ড ফকিরের দল; যারা সাধারণ লোকদেরকে বিভিন্নভাবে ধোকা দিয়ে থাকে। যাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে লোকদেরকে সরল সঠিক পথ থেকে ফিরিয়ে রেখে গোমরাহীতে নিমজ্জিত রাখা।  আর আল্লাহ্ পাক-এর শ্বাশত বিধান হচ্ছে, সে সকল শয়তান এবং তাদের ঘৃণ্য কর্মকান্ডের প্রতি লক্ষ্য না করে স্বীয় দায়িত্ব তথা হিদায়েতের কাজ করে যাওয়া। কেননা যারা গোমরাহ্, পথভ্রষ্ট এবং ফাসিক তারা যেমন সে সমস্ত শয়তানেরই দলভুক্ত হবে তেমনি সত্যান্বেষী হিদায়েত প্রত্যাশি ব্যক্তিগণ মুজাদ্দিদুয্ যামানের সংস্পর্শে থেকে নিজেকে পরিশোধিত করার কোশেশে লিপ্ত থাকবে।  উল্লেখ্য যে, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ্ পাক-এর সে বিধানই পালন করে যাচ্ছেন। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত তাঁর কদম মুবারকের ছাপ পড়েছে। বিনিদ্র রজনী যাপন করে  অনাহারে-অর্ধহারে থেকে, জানের পরোয়া না করে জাগতিক আরাম-আয়েশ ত্যাগ করে প্রত্যেক ঘরে ঘরে দ্বীনের সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন। সারা দুনিয়ায় দ্বীনের সঠিক দাওয়াত পৌঁছে দেয়া তথা সকল লোককেই আল্লাহ্ পাক-এর মতে মত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পথে দায়িম-কায়িম রাখার জন্য অনুক্ষণ কোশেশ করে যাচ্ছেন। আর সে উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত গঠন করেছেন। যাঁরা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে লোকদেরকে রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নত জিন্দা করার তা’লীম দিয়ে যাচ্ছেন। ফলে দলে দলে লোক আল্লাহ্ পাক-এর মতে মত রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পথে পথ হচ্ছে।  আল্লাহ্ পাক-এর অপার রহমতে ইতোমধ্যে সারা পৃথিবী জুড়ে তাঁর মহান তাজদীদের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ শয়তানের ধোকা হতে মুক্তি পেয়ে আল্লাহ্ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মারিফাত-মুহব্বতের অমিয় সুধা পান করে সফলতা লাভ করছে। আর শয়তানের দল সে সফলতা দেখে নিজেদের হিংসায় জ্বলে-পুঁেড় মরছে।   তাদের কুট-কৌশলের রাস্তা চিরতরে বন্ধ হওয়ার আশংকায় তারা তাদের পূর্বসূরীদের অনুসরণে নানা রকম ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করে যাচ্ছে। তারা রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নামে নানা প্রকার মিথ্যা অপবাদ রটনা করছে। তাঁর সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবার বহিঃপ্রকাশ লক্বব মুবারকের কারণে হিংসাকাতর হয়ে নির্লজ্জেরমত বিকৃতভাবে তা মানুষের সামনে উপস্থাপন করে তাদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।  শয়তানের দোসর সে সমস্ত ব্যক্তিবর্গের ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য, গোমরাহী থেকে হিদায়েতের পথ নির্দেশ করার জন্যই সরলমনা মুসলমান ভাইদের খিদমতে আমার এ সামান্য প্রয়াস। কেননা মানুষ মিথ্যাকে সত্য বলবে আর আমরা সত্যকে সত্য হিসেবে প্রকাশ করতে কুণ্ঠিত হবো তা মুসলমানদের স্বভাব নয়।   কেননা ‘মুজাদ্দিদ” হচ্ছেন যামানার মূল ব্যক্তিত্ব। সকল মুসলমানের ইমাম। তাঁর মধ্যস্থতায় সকল মানুষ আল্লাহ্ পাক-এর রহমত, বরকত, ছাকিনা ও রিযিক পেয়ে থাকে। জীবন ধারণের প্রয়োজনীয় সব কিছুর ব্যবস্থা তাঁর মাধ্যমেই সম্পাদিত হয়। এজন্য যামানার ইমামের সাথে নিসবত বা সম্পর্ক রাখা সকলের জন্য একান্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য। হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি জামানার ইমামের সাথে পরিচিত হলো না বা তাঁর ছোহবত লাভ করলো না তাঁর মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যুর ন্যায়।”   স্মর্তব্য যে, লক্বব বা উপাধির অপব্যাখ্যা করা, জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, সে সম্পর্কে কারুকার্য খঁচিত মিথ্যা কথা-বার্তা বলে লোকদেরকে হিদায়েত হতে অপসারণের বৃথা কোশেশ করা নবী-রসূল, আউলিয়া-ই-কিরাম গণের শত্রু মানুষ ও জিন রূপী শয়তান তথা ওহাবী, খারিজী, বিদ্য়াতী ইত্যাদি বাতিল ফিরক্বা বন্দীদের নতুন সংযোজন নয় বরং এটা তাদের পূর্ববর্তীদের অনুসৃত কুপন্থা। পূর্ব পুরুষদের বদ খাসলতেরই ধারা।   কেননা মহান আল্লাহ্ পাক যখন তাঁর প্রিয় হাবীব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে “রহমতুল্লিল আলামীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, মুজাম্মিল, মুদ্দাস্সির ত্বহা, ইয়াছিন, রসূলুন্ করীম, মুরসালীন” ইত্যাদি নানা প্রকার লক্বব বা উপাধি দ্বারা সম্বোধন করে তাঁর মর্যাদা-মর্তবার ঘোষণা করেন, তখন রসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শত্রু কাফির-মুশরিক ও মুনাফিকীর আঁতে ঘা লাগে। তারা মহান লক্বব মুবারকগুলোকে মেনে নিতে পারেনি। বরং অস্বীকার করে এবং নিজেদের খেয়াল খুশিমত তা বিকৃত করে লোকদের ধোকা দেয়ার জন্য তাঁকে কবি, গণক, পাগল (নাউযুবিল্লাহ) ইত্যাদি বলে অপপ্রচার করে।                 আর আল্লাহ্ পাক তাঁর পেয়ারা রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সান্তনা প্রদান করে ওহী পাঠান-

وما صحبكم بمجنون.

অর্থঃ- “তোমাদের সাথী (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পাগল নন।”          তিনি বলেন,

انك لمن المرسلين.

অর্থঃ- “নিশ্চয়ই আপনি রসূলগণের অন্তর্ভুক্ত।”       তিনি আরো ইরশাদ করেন,

وكفى با لله شهيدا.

অর্থঃ- “এ ব্যাপারে আল্লাহ্ পাক-এর সাক্ষ্যই যথেষ্ট।” (চলবে)

-হযরত মাওলানা, মুফতী, মুহম্মদ আব্দুল হালীম, কুড়িগ্রাম।

খতমে নুবওওয়াত প্রচার কেন্দ্র খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারীরা কাফির ইসলামী শরীয়তের হুকুম মুতাবিক যারা মুসলমান থেকে খতমে নুবুওওয়াত অস্বীকারকারী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত হয় (যেমন- কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি) (তাদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩দিন। এরপর তওবা না করলে তাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড)

ইলমে আকলিয়ার দৈন্য এবং বিলায়েতের অনুপস্থিতির কারণে প্রকৃত আলিমে দ্বীন তৈরি হচ্ছে না।

একই অঙ্গে বহু রূপে সজ্জিত স,আ, ত, ম আলাউদ্দিনের বিকৃত রুচি সম্পন্ন লিখার প্রতিবাদে

মানব ক্লোনিং- পরিণতি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

“ওসামা বিন লাদেন বর্তমান সময়ের এক চরম মুনাফিক” বিশ্বখ্যাত এই মিথ্যাবাদী কাজ করেছে সম্পূর্ণ সিআইএ –এর চর রূপে-৬