শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -১৫

সংখ্যা: ১১৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

“আপনি সব মানুষের চেয়ে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” সূরা মায়িদার ৯২নং আয়াত শরীফের আলোকে ইসলামও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক গোপনীয় বই-‘প্রটোকল’ যা পরবর্তীতে ফাঁস হয়ে যায় তার ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় তাদের জঘন্য ষড়যন্ত্রের বিবিধ কুট কৌশল।

উল্লেখ্য, মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে ওরা সব সময় দু’টি জিনিসের উপর প্রাধান্য দিয়েছে। (এক)- অর্থনীতি তথা ব্যাংক-বীমা। (দুই) সংবাদপত্র। এজন্য প্রটোকলের এক জায়গায় নয় বরং বহু জায়গায় ওরা সংবাদপত্রের উপর কৌশলনীতি গ্রহণ করেছে।

এ সম্পর্কে ওদের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের শিকল তুলে ধরা হলো-

(আমরা ইহুদীরা) কৌশলের দ্বারা সাহিত্য রচনার প্রবণতাকে স্তিমিত করে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে আবদ্ধ করে রাখবো। সাহিত্যিকদের তৎপরতা আমাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। যদি কেউ আমাদের বিরুদ্ধে কিছু লিখতে অগ্রসর হয় তাহলে সে দেখতে পাবে যে তার লেখা ছাপিয়ে প্রকাশ করতে কেউ প্রস্তুত নয়। আমরা এমন কৌশল করবো যে আমরা পূর্বাহ্নেই আমাদের বিপক্ষে কি কি প্রকাশ হতে যাচ্ছে তা জানতে পারবো এবং আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ জনসমক্ষে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে সেগুলোর জবাব এবং কৈফিয়ত তৈরী করে নিতে পারবো।

সাহিত্য এবং সাংবাদিকতা গণশিক্ষার দুটি শক্তিশালী উপাদান। তাই আমরা অধিক সংখ্যক সংবাদপত্রের মালিকানা হস্তগত করবো। এরপরে বিরোধীভাবাপন্ন সংবাদপত্রের ক্ষতিকারক প্রচারকার্যের মোকাবিলা করা সহজ হবে এবং জনমনে প্রভাব বিস্তার করার উপযোগী একটি শক্তিশালী হাতিয়ার আমাদের হস্তগত হবে। ….. আমরা যদি দশটি সংবাদপত্র প্রকাশের অনুমতি দেই তাহলে নিজেরাই ত্রিশটি সংবাদপত্র চালু করবো এবং নতুন নতুন সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে আমরা এ অনুপাতই রক্ষা করে চলবো। কিন্তু জনসাধারণকে এ ব্যাপারে কোন প্রকার সন্দেহ করার সুযোগ দেয়া হবে না। এ উদ্দেশ্যে আমাদের পরিচালিত সংবাদপত্রগুলো বাহ্যতঃ আমাদের চিন্তাধারা ও মনোভাবের বিপরীতমুখী ভাবধারা প্রকাশ করবে এবং এভাবে জনমনে আমাদের জন্য আস্থা সৃষ্টি করে আমাদের প্রতি সন্দিহান ও চরম বিরোধী মহলকে পর্যন্ত ফাঁদে ফেলে নিস্প্রভ করে দেবে।    সংবাদপত্রের প্রথম সারিতে থাকবে সরকারী ধরণের পত্রিকাগুলো। এগুলো যেহেতু সর্বদা আমাদের স্বার্থরক্ষার দায়িত্ব পালন করবে সেহেতু জনমনে এদের প্রভাব থাকবে খুবই কম। দ্বিতীয় সারিতে থাকবে আধা সরকারী পত্রিকাগুলো। এগুলো নির্জীব ও লক্ষ্যহীনদের নিকটে টেনে আনার দায়িত্ব পালন করবে। তৃতীয় সারিতে থাকবে আমাদের নিজেদের বিরোধিতার জন্য আমাদের চালিত পত্রিকাগুলো। এসব পত্রিকা বাহ্যতঃ এমন হাবভাব দেখাবে যে, মনে হবে এরা আমাদের ঘোর বিরোধী। আমাদের প্রকৃত বিরোধী মহল এ সংবাদপত্রগুলোর ছদ্মাবরণ দেখে অকপটে এদের প্রতি আস্থা স্থাপন করবে এবং তাদের প্রকৃত রূপ আমাদের কাছে তুলে ধরবে।

আমাদের সংবাদপত্রগুলো সকল প্রকার সম্ভাব্য রঙ ধারণ করবে। তাদের মধ্যে সামন্তবাদী, প্রজাতন্ত্রী, বিপ্লবী এমনকি নৈরাজ্যবাদী পর্যন্ত দেখা যাবে। অবশ্য এ অবস্থা ততদিন থাকবে যতদিন শাসনতন্ত্র টিকে থাকবে। ভারতবাসীদের তৈরী বিষ্ণুদেবের মূর্তির ন্যায় আমাদের সংবাদপত্রগুলোর একশ’টি হাত থাকবে এবং প্রতিটি হাতের এক একটি আঙ্গুল জনমতের কোন না কোন একটি সূর বাজাতে থাকবে। যখন কোন শিরার গতি বেড়ে যাবে তখনই ঐ হাতগুলো আমাদের উদ্দেশ্যের অনুকূলে পরিবেশ গড়ে তোলার কাজে অগ্রসর হবে। আর সত্য কথা এই যে, উত্তেজিত রোগী বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলে এবং এ জন্যই অতি সহজে অপরের পরামর্শ গ্রহণ করে। এ নির্বোধেরা মনে করে যে, ওদের পক্ষীয় একটি সংবাদপত্রের মতামত ওরা আবৃত্তি করছে। প্রকৃতপক্ষে ওরা আমাদেরই মতামত অথবা আমাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধির সহায়ক মতামতই আবৃত্তি করে থাকে। ভ্রান্তির দরুন ওরা মনে করবে যে, ওদের দলীয় মুখপত্রের মতবাদ অনুসরণ করেই ওরা অগ্রসর হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ওরা কিন্তু আমাদেরই পতাকার পেছনে এগিয়ে আসছে।        আমাদের সংবাদপত্র বাহিনীকে এ ধরণের কাজে ব্যবহার করার জন্য আমাদের বিশেষভাবে ও সূক্ষ্মদৃষ্টিতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংবাদপত্রের কেন্দ্রীয় বিভাগের নামে আমরা সাহিত্য-সভার অনুষ্ঠান করবো, এতে আমাদের  এজেন্টগণ সকলের অলক্ষ্যে সময়োপযোগী নির্দেশ সাংকেতিক শব্দগুলো ঘোষণা করে দেবে। আমাদের মুখপত্রগুলো আলোচনা ও বিরোধিতার মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে একটা লোক দেখানো যুদ্ধ শুরু করে দেবে। এতে আমাদের সরকারী সংবাদপত্রগুলো ঐসব আক্রমণের জবাবদান প্রসঙ্গে আমাদের বক্তব্যগুলো অধিকতর স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করার সুযোগ পেয়ে যাবে। এভাবে আমাদের বক্তব্য পেশ করার যে সুফল হবে তা কখনও সরকারী পত্র-পত্রিকার ঘোষণায় হতে পারতো না।

এসব আক্রমণের দ্বারা আমাদের আরও একটি উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে। অর্থাৎ আমাদের প্রজাগণ সন্তুষ্ট চিত্তে বুঝে নেবে যে, আমাদের সমাজে পূর্ণ বাক-স্বাধীনতা রয়েছে। এছাড়া আমাদের এজেন্টগণ দুর্বল পন্থায় আমাদের সমালোচনা করে সমাজে এ ধারণাও বদ্ধমূল করে দেবে যে, আমাদের বিপক্ষীয়গণের নিকট বিরোধিতা করার উপযোগী কোন বলিষ্ঠ যুক্তি নেই।

ব্যবস্থাপনার এসব সূক্ষ্মপদ্ধতি জনসাধারণের চোখে নিখুঁত মনে হবে এবং সুনিশ্চিতরূপে তাদের মন-মগজকে পরিতুষ্ট করে আমাদের পক্ষে নিয়ে আসবে। আমাদের ব্যবস্থাপনার বাহাদুরী! রাজনৈতিক বিষয়ে আমরা সুযোগ ও সুবিধামত জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলবো- আবার শান্ত করবো। তাদেরকে বিশেষ মত মেনে নিতে রাজী করবো। আবার বিশেষ মত সম্পর্কে বিভ্রান্ত করবো। কখনও সত্য কথা ছাপিয়ে, কখনও মিথ্যা রটিয়ে, কখনও প্রকৃত ঘটনা আর কখনও-বা তার বিপরীত বিষয়গুলো অত্যন্ত সতর্কতা সহকারে পরিবেশন করে পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে আনার প্রয়াস করবো।

-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৪

প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার- ১০

একটি অভূতপূর্ব ওয়াজ শরীফ এবং কম্পিউটারে কুরআন শরীফ, মাজার শরীফের উপরে ভাসমান দৃশ্য ও তাঞ্জানিয়ার সেই ছেলের কথা

প্রসঙ্গঃ দরসে বুখারীর পঞ্চদশ বছর পূর্তি নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৫