শুধু আজকের প্রেক্ষাপটে নয়, অতীত ইতিহাস হতেই ইহুদী-খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলিম সন্ত্রাসবাদ নয়, মার্কিন হামলার পিছনে কি ইহুদী-খ্রীষ্টানরাই দায়ী নয়? -১৪

সংখ্যা: ১১৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

“আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রুরূপে ইহুদী ও মুশরিকদের পাবেন।” সূরা মায়িদার ৯২নং আয়াত শরীফের আলোকে ইহুদীদের ষড়যন্ত্রমূলক এ প্রটোকলের ছত্রে ছত্রে পাওয়া যায় ইহুদীদের ষড়যন্ত্রের কলা-কৌশল।

উল্লেখ্য, মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে ওরা সব সময় দু’টি জিনিসের উপর প্রাধান্য দিয়েছে। এক) অর্থনীতি তথা ব্যাংক-বীমা। (দুই) সংবাদপত্র। এজন্য প্রটোকলের এক জায়গায় নয় বরং বহু জায়গায় ওরা সংবাদপত্রের উপর কৌশলনীতি গ্রহণ করেছে।      এ সম্পর্কে ওদের পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের শিকল তুলে ধরা হলো-  সংবাদপত্রের বর্তমান ভুমিকা কি? মানুষের ভাবাবেগকে উত্তেজিত করা বা ক্ষেপিয়ে তোলার কাজই সংবাদপত্র করে যাচ্ছে। আমাদের অথবা অন্য কোন স্বার্থপর দলের স্বার্থেই সংবাদপত্র এ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। সংবাদপত্র সাধারণতঃ প্রাণহীন ন্যায়নীতি-বিরোধী ও মিথ্যা প্রচারের কাজে নিয়োজিত। সংবাদপত্র কার স্বার্থে কাজ করছে, জনগণ তা বুঝতেই পারে না। আমরা সংবাদপত্রকে কঠোর আইনের বাঁধনে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবো। ছাপাখানার যাবতীয় কাজ সম্পর্কেও আমরা এ ব্যবস্থাই অবলম্বন করবো। কেননা, ছাপাখানা থেকে যদি স্বাধীনভাবে বই-পুস্তক ও বিজ্ঞাপনাদি ছাপা হয়, তাহলে আমাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চলতে থাকবে। প্রচারকার্যের উপকরণাদি বর্তমান যুগে খুবই ব্যয়সঙ্কুল ব্যাপার।

কিন্তু আমরা এটিকে রাষ্ট্রের জন্য খুব লাভজনক ব্যবসায়ে পরিণত করবো। আমরা প্রেসের উপর বিশেষ কর আরোপ করবো। সংবাদপত্র বা ছাপাখানা প্রতিষ্ঠার জন্য জামানত স্বরূপ নগদ টাকা আদায় করবো এবং তাদের কাছ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণাত্মক ভুমিকা অবলম্বন না করার নিশ্চয়তা গ্রহণ করবো। এরপরও যদি আমাদের উপর কোন আক্রমণ করা হয় (যদিও তা অসম্ভব), তবে আমরা নির্মমভাবে তাদের উপর জরিমানা আরোপ করবো। বিশেষ কর, জামানতের টাকা, জরিমানা ইত্যাদি ইত্যাদি খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় তহবিলে জমা হতে থাকবে। দলীল মুখপত্রগুলো প্রচারের কাজে এভাবে দেদার অর্থ ব্যয়ে হয়তো রাজী হবে না। এ ধরণের সংবাদপত্র আমাদের উপর প্রথম দফা হামলা করলে আমরা তাদের মাফ করবো, কিন্তু দ্বিতীয় দফায় পত্রিকা বন্ধ করে দেবো। কারো শক্তি নেই যে, আমাদের সরকারের কার্যক্রমকে ভ্রান্ত আখ্যা দিতে পারে। পত্রিকা বন্ধ করার জন্য আমরা যে যুক্তি পেশ করবো তা হচ্ছে এই যে, অসময়োচিত ও অন্যায়ভাবে উক্ত পত্রিকা জনমনে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।  আমি অনুরোধ করছি, ভাল করে শুনে রাখো, আমাদের সমালোচনাকারীদের মধ্যে ঐসব পত্রিকাও শামীল থাকবে, যেগুলো আমাদের স্বার্থে পরিচালিত। কিন্তু তারা ঐসব বিষয়েই সমালোচনা করবে, যেগুলো সম্পর্কে আমরা পূর্বাহ্নেই নীতি পরিবর্তনের ফায়সালা করেছি। আমাদের নিয়ন্ত্রণ ছাড়া একটি খবরও জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে পারবে না। এমনকি এখনও আমরা একাজে অনেক দূর অগ্রসর হয়েগেছি। মাত্র অল্প কয়েকটি সংবাদ সরবরাহ প্রতিষ্ঠানই দুনিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে খবর সংগ্রহ ও বিভিন্ন স্থানে তা পরিবেশন করে। এগুলোকে আমরা এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো যে, এগুলো একমাত্র আমাদের নির্দেশিত তথ্যই পরিবেশন করবে।

যদি এখনই আমরা অইহুদী তথা মুসলিম সমাজের লোকদের মন-মগজে এতটা প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়ে থাকি যে, তারা তাদের নাকের ডগায় আমাদের লাগানো রঙ্গীন চশমার মাধ্যমেই বিশ্ব পরিস্থিতি অবলোকনে বাধ্য হয় এবং এখনই যদি আমরা এই নির্বোধ অ-ইহুদী তথা মুসলিম সমাজের সকল রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যাবলী সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়ে থাকি, তাহলে আমরা যে সময় আমাদেরই বাদশাহ্র মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বকে নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বসহকারে শাসন করবো সে সময় আমাদের প্রতাপ কত দুর্দণ্ড হবে, তা সহজেই অনুমেয়।

আমরা পুনরায় প্রেস সংক্রান্ত আলোচনায় প্রবৃত্ত হচ্ছি। পুস্তক প্রকাশক, লাইব্রেরীয়ান (Librarian) অথবা মুদ্রাকর হতে যারা ইচ্ছুক, তাদের প্রত্যেককেই আমাদের নিকট থেকে ‘ডিপ্লোমা’ (Diploma) গ্রহণ করে ধন্য হতে হবে।

আর এ ‘ডিপ্লোমা’ আমরা আমাদের মর্জিমাফিক যে কোন সময় বাতিল করতে পারবো। অনেক কাঠ-খড় পুঁড়িয়ে মানুষের চিন্তাধারাকে আমাদের সরকারের প্রচারিত শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিশীল করা হবে এবং তার ফলে জনসাধারণকে উন্নয়নের সুফল সম্পর্কে আঁকাবাঁকা পথে পরিচালিত করে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারবে না।

আমাদের প্রত্যেকেই একথা জানে যে, উন্নয়নের ধারণা (Sense of progress) নির্বোধ কল্পনা থেকে উদ্ভুত। এগুলো মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং শাসক ও শাসিতের মধ্যস্থিত সহযোগিতাকে নৈরাজ্যের পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দেয়। কেননা, উন্নয়ন (progress) কথাটি সকল প্রকার তৎপরতাকেই উৎসাহিত করে এবং এর কোন সীমারেখা নেই। তথাকথিত উদার মতাবলম্বীগণও নৈরাজ্যবাদী, বাস্তবক্ষেত্রে এরূপ না হলেও চিন্তার ক্ষেত্রে এরা তাই। কেননা, প্রত্যেকেই স্বাধীনতার সুবিধা ভোগ করার জন্য উদগ্রীব এবং এজন্য তারা যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার লাইসেন্স পেয়ে থাকে। আর লাইসেন্স হচ্ছে প্রতিবাদের খাতিরে প্রতিবাদ।

এবার আমরা সাময়িক পত্রিকাদির বিষয়ে আলোচনা করছি। আমরা এদের উপর স্ট্যাম্প ট্যাক্স (Stamp tax) নির্ধারণ করবো, এদের নিট থেকে জামানতের টাকা তলব করবো এবং ত্রিশ বা এর কম পরিমাণ কাগজে ছাপানো পুস্তিকাগুলোকে দ্বিগুণ কর দিতে বাধ্য করবো। এতে ছাপানো আকারে নিকৃষ্ট ধরণের বিষয় পরিবেশনকারী পত্রিকার সংখ্যা একদিকে কমে যাবে এবং লেখকদেরও আমরা কমপরিমাণ লিখতে বাধ্য করবো। কেননা, দীর্ঘ রচনা সম্বলিত পুস্তকের দাম বেশী হবে। আর দাম বেশী হলে কেউ তা খরিদ করে পড়বে না। অপরদিকে আমরা জনগণের মন-মগজকে আমদের স্বার্থসিদ্ধির অনুকূলে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সস্তা দামের বই পুস্তক ও পত্র-পত্রিকা প্রকাশ করবো এবং সস্তার দরুন সকলেই তা পড়বে।

-সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলমগীর, ঢাকা।

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৪

প্রসঙ্গঃ গণতন্ত্র; এখনই চরম সময়, বিষয়টি ভাবিবার- ১০

একটি অভূতপূর্ব ওয়াজ শরীফ এবং কম্পিউটারে কুরআন শরীফ, মাজার শরীফের উপরে ভাসমান দৃশ্য ও তাঞ্জানিয়ার সেই ছেলের কথা

প্রসঙ্গঃ দরসে বুখারীর পঞ্চদশ বছর পূর্তি নামধারী জাহিরী আলিমদের ডামাডোলের বিপরীতে মুজাদ্দিদুয্ যামানের পরিচয়

আকবরের আমলের উলামায়ে ‘ছূ’দের উত্তরাধিকারী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দ্বীন-ই-ইলাহীর আদলে দ্বীন-ই-জুমহুরী প্রচলনে তারা এক হয়েছে-৫