সম্পাদকীয়

সংখ্যা: ২৫৭তম সংখ্যা | বিভাগ:

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।

চন্দ্র মাসের ধারাবাহিকতায় প্রতি সম্মানিত ঈদ উনার ক্ষেত্রেই বলতে হয়- বছর ঘুরে আবারো এলো মহাসম্মানিত ঈদ। কিন্তু পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার ক্ষেত্রে এ কথামালা প্রযোজ্য নয়। কারণ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ এমন মহাসম্মানিত ‘ঈদ’- যার কেবল শুরুই আছে। যার কোনো শেষ নেই। যার কোনো বিরতি নেই। যা অনন্তকালের জন্য। পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম এ অনন্তকালের পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার তাজদীদ করেছেন, ধারণ করেছেন, বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন, কুল-কায়িনাতবাসীকে বিতরণ করেছেন সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

এ বিষয়ে হযরত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের মধ্যে থেকে অগণিত কাতয়ী দলীল দিয়েছেন। আকলমান্দের জন্য দু’একটি উদাহরণই যথেষ্ট। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনাকে গোটা আলমের জন্য রহমত ব্যতিরেকে প্রেরণ করি নাই।” সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন কোনো একটি এলাকার জন্য প্রেরিত হননি; তেমনি তিনি কোনো একটি সময়ের জন্যও আবির্ভুত হননি। বরং উনার মুবারক তাশরীফ অনন্তকালের জন্য। উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ উনার সম্মানার্থে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফও অনন্তকালের জন্য। দিনের চব্বিশ ঘণ্টা, বৎসরের সবসময় এবং অনন্তকালের অনন্ত সময় পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার খিদমতেই ব্যাপৃত। সুবহানাল্লাহ!

প্রসঙ্গত, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করেন। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। হে ঈমানদারগণ! আপনারাও উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করুন এবং পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করুন অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করুন যথাযথ সম্মানের সাথে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

উল্লেখ্য, এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বর্ণনা করা হয়নি। অর্থাৎ তা অনন্তকালের জন্য। সুবহানাল্লাহ!

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেছেন, “হে আমার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার যিকির মুবারক উনাকে বুলন্দ করেছি।” (পবিত্র সূরা ইনশিরাহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪)

যা এমন যে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি যদি শুধু ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সাক্ষ্য দেয় তথাপিও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত উনাকে সে ব্যক্তি ‘মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মনে-প্রাণে গ্রহণ না করবে এবং স্বীকার না করবে। সুবহানাল্লাহ!

বস্তুত কোনো ব্যক্তি কখনো বান্দা বা মুসলমান হতে পারবে না, কোনো দেশ ততক্ষণ পর্যন্ত সমৃদ্ধ হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা যথাযথভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ যথাযথভাবে পালন না করবে। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, এদেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’- এ কালিমা শরীফ-এ বিশ্বাসী।

এদেশে দশ লাখের ঊর্ধ্বে মসজিদের ৫ ওয়াক্ত আযানে দৈনিক দশবার করে অর্থাৎ কোটিবারেরও বেশি উচ্চারিত হয় ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ।’ অর্থাৎ ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল।’

এদেশের রাষ্ট্রদ্বীন হিসেবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম স্বীকৃত। কিন্তু কথা হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্র কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম মানে? রাষ্ট্রযন্ত্র কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম স্বীকার করে? রাষ্ট্রযন্ত্র কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করে? রাষ্ট্রযন্ত্র কী পবিত্র দ্বীন ইসলামী মূল্যবোধ এর উজ্জীবন ঘটায়? রাষ্ট্রযন্ত্র কী পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী আচার বন্ধে পদক্ষেপ নেয়?

বলাবাহুল্য, ৯৮ ভাগ মুসলমানের দেশ হিসেবে রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশ হিসেবে রাষ্ট্রযন্ত্রের পক্ষে উপরোল্লিখিত জিজ্ঞাসার জবাব ‘হ্যাঁ বোধক’ হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো- রাষ্ট্রযন্ত্র তা করতে চরমভাবে ব্যর্থ। বরং উল্টোদিকে তার বল্গাহীন অগ্রযাত্রা। নাঊযুবিল্লাহ!

এজন্য ব্যক্তি মুসলমানও কম দায়ী নয়। ব্যক্তি মুসলমান প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাযের আযানে ও ইক্বামতে ২০বার করে শুনে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ।’ অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রসূল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এবং বিতরসহ ৫ ওয়াক্ত নামাযের মধ্যে তাশাহুদে কমপক্ষে ১৭বার সাক্ষ্য দেয়, “……ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ।” অর্থাৎ ব্যক্তি মুসলমান দৈনিক ৩৭বার সাক্ষ্য দেয়, ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ।’ সুবহানাল্লাহ!

আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন তা আঁকড়িয়ে ধরো এবং যা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তা থেকে বিরত থাকো।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

বলাবাহুল্য, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে রসূল হিসেবে ৩৭বার সাক্ষ্য দেবার পরও দেশের ৯৮ ভাগ মুসলমান ফরয-ওয়াজিব পালন থেকে দূরে থাকে কীভাবে? সুন্নত পালন থেকে গাফিল থাকে কীভাবে? হারাম-হালাল একাকার করে কী করে? বেপর্দা-বেহায়া-বেশরায় মশগুল হয় কী করে? তাহলে কীভাবে ২০বার ‘মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ’ কানে শোনা ও স্বীকৃতি দেয়া হয়? এবং বিতরসহ ৫ ওয়াক্ত নামাযে ১৭বার তাশাহুদে নিজ মুখে উচ্চারণ করা ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ’ বলার অর্থ কিসে পরিণত হয়?

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে।” (পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯)

প্রসঙ্গত, জান্নাতের সুসংবাদ এবং জাহান্নামের ভয় এখানে উল্লেখ্য।

বলাবাহুল্য, দেশের মুসলমান এখনো জান্নাত আশা করে জাহান্নামকে ভয় পায়। আর জান্নাত-জাহান্নামের আমল সম্পর্কেও তারা অজ্ঞাত নয়। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে জান্নাত-জাহান্নামের মূলত মালিক- আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা মূল্যায়ন, শান-মান, অনুধাবন, আদেশ-নিষেধ পালন থেকে তারা কী করে পিছিয়ে থাকতে পারে?

কাজেই মুসলমানকে ‘মুসলমানিত্ব’ বুঝতে হবে। ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসূলুল্লাহ’ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাক্বীক্বীভাবে বলতে হবে ও আমলে আনতে হবে।

মূলত, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযথ ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালনের দ্বারাই মুসলমান সে ঈমানী চেতনা ও প্রেরণা তথা কুওওয়াত বা নিয়ামত পাবে।

রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এদেশে, ৯৮ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর এদেশে- সর্বপ্রধান, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোচ্চ সরকারি উৎসব হবে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের উৎসব। এ উৎসবকে উপলক্ষ করেই হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট করতে হবে। দেশের সব গরিব-দুঃখীদের এ ঈদ পালনের জন্য প্রভূত সরকারি সাহায্য দিতে হবে। গোটা রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসকেই ছুটির মাস হিসেবে গণ্য করতে হবে। দেশের দশ লাখ মসজিদে ব্যাপক সরকারি সহযোগিতায় পবিত্র ওয়াজ শরীফ মাহফিল, পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল ও উন্নতমানের তবারক বিতরণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।

তবে আবশ্যকীয়ভাবে মনে রাখতে হবে, হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, হাবীবে আ’যম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সার্বক্ষণিক রূহানী সংযোগ সমৃদ্ধ ও উনার মহান সুন্নত দ্বারা সুশোভিত সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারকের মাধ্যমেই আমাদের পক্ষে পাওয়া সম্ভব সনদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জাত মুবারক ও পবিত্র ছিফত মুবারক সম্পর্কিত ইলম ও ফিকির, উনার পাবিত্র হাক্বীক্বত মুবারক সম্পর্কিত মা’রিফাত এবং উনার পূর্ণ অনুসরণ ও পবিত্র সুন্নত মুবারক পালনের এবং সর্বোপরি চরম, পরম ও গভীর মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও আদবের সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের কুওওয়ত। পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সেসব নিয়ামত হাছিলই আমাদের অন্তরের একান্ত আরজু। (আমীন)

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়