সম্পাদকীয়

সংখ্যা: ২০৩তম সংখ্যা | বিভাগ:

সকল ছানা-ছিফত মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। এমন ছানা-ছিফত যাতে তিনি সন্তুষ্ট হন। অপরিসীম, অকৃত্রিম, অগণিত দুরূদ ও সালাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। এমন দুরূদ ও সালাম যা তিনি পছন্দ করেন।
বর্তমান যামানায় আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, আল্লাহ পাক উনার হাবীব, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার লক্ষ্যস্থল, আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার সুমহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা, মর্তবা, কতোটুকু? এক কথায় তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন। এছাড়া বাকী যা কিছু নিয়ামত, ফযীলত, শান-শওক্বত রয়েছে সবকিছু মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে হাদিয়া করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আবির্ভাব সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন; সেজন্য তারা যেনো ঈদ উদযাপন তথা খুশি প্রকাশ করে। এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে।” (সূরা ইউনুস : আয়াত শরীফ ৫৮)
এ ঈদ সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, মহাপবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ যা ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ তথা পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে সমধিক পরিচিত। যা পালন করা শুধু মুসলমানই নয়, বরং কুল-কায়িনাতের সবার জন্য ফরয-ওয়াজিব।
উল্লেখ্য, আল্লাহ পাক তিনি মাসসমূহের মধ্যে রবীউল আউয়াল শরীফকে, তারিখসমূহের মধ্যে ১২ই শরীফকে এবং দিনসমূহের মধ্যে সোমবার শরীফকে উনার প্রিয়তম হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ ও বিছাল শরীফ-এর জন্য পছন্দ করেছেন। তাই উক্ত মুবারক মাস, মুবারক তারিখ ও মুবারক দিনটি আল্লাহ পাক উনার নিকট যেরূপ সবচেয়ে প্রিয়, পবিত্র, শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত তদ্রুপ বান্দা ও উম্মতের জন্যও তা সবচেয়ে প্রিয়, পবিত্র, শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত।
কারণ এ মুবারক দিনটি যদি উনার বিলাদত শরীফ তথা শুভাগমনের অন্তর্ভুক্ত না হতো তাহলে শবে ক্বদর, শবে বরাত, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, জুমুয়াহ, আরাফাহ ইত্যাদি ফযীলতপূর্ণ কোন দিন-রাতেরই আগমন ঘটতো না। শুধু তাই নয়, কুরআন শরীফ নাযিল হতো না, দ্বীন ইসলাম আসতো না, কোনো মু’মিন মুসলমান এবং কোনো বান্দা উম্মতেরও অস্তিত্ব থাকতো না। সঙ্গতকারণেই সবার মাঝেই এ অনুভূতি নিগূঢ়ভাবে থাকা উচিত।
এক্ষেত্রে সূরা মায়িদাহ-এর ১১৪ নম্বর আয়াত শরীফ উল্লেখ্য। ইরশাদ হয়েছে, “আয় আমাদের রব আল্লাহ পাক! আমাদের জন্য আপনি আসমান হতে (বেহেশতী খাদ্যের) খাদ্যসহ একটি খাঞ্চা নাযিল করুন। খাঞ্চা নাযিলের উপলক্ষটি অর্র্থাৎ খাদ্যসহ খাঞ্চাটি যেদিন নাযিল হবে সেদিনটি আমাদের জন্য, আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ (খুশি) স্বরূপ হবে এবং আপনার পক্ষ হতে একটি নিদর্শন হবে। আমাদেরকে রিযিক দান করুন। নিশ্চয় আপনিই উত্তম রিযিকদাতা। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের প্রতি খাদ্যসহ খাঞ্চা নাযিল করবো। অতঃপর যে ব্যক্তি সে খাদ্যসহ খাঞ্চাকে এবং তা নাযিলের দিনটিকে ঈদ তথা খুশির দিন হিসেবে পালন করবে না বরং অস্বীকার করবে আমি তাকে এমন শাস্তি দিবো, যে শাস্তি সারা কায়িনাতের অপর কাউকে দিবো না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার উম্মতের জন্য আসমান থেকে খাদ্য বা নিয়ামত নাযিল হওয়ার কারণে সে দিনটি যদি পূর্ববর্তী-পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ বা খুশির দিন হয় এবং সে ঈদকে অস্বীকারকারী বা সে ঈদ না পালনকারী যদি কঠিন আযাব বা শাস্তির উপযুক্ত হয়; তবে যিনি কুল-কায়িনাতের জন্যই সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত অর্থাৎ নিয়ামতে কুবরা আলাল আলামীন তিনি যে দিন যে সময়ে পৃথিবীতে তাশরীফ আনলেন সে দিনটি কেনো পূর্ববর্তী-পরবর্তী সকলের জন্য ঈদ বা খুশির দিন হবে না? সেদিন যারা ঈদ বা খুশি প্রকাশ করবেনা তারা কেনো কঠিন আযাব বা শাস্তির উপযুক্ত হবে না?
স্মর্তব্য, আযাব-গযবের মধ্যে অপেক্ষাকৃত বেশি কঠিন আযাব-গযব হলো, দিল মুর্দা হয়ে যাওয়া। দিল বা অন্তর থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণ, উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণ তথা ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি মুহব্বত উঠে যাওয়া। নাঊযুবিল্লাহ! বিপরীতে কাফির-মুশরিকদের মুহব্বত, অনৈসলামী কর্মকা-ে জোশ তৈরি হওয়া। মরদুদ দরবেশ বালয়াম, খোদ ইবলিসসহ নমরূদ, সাদ্দাদ, হামান, কারুন, ফিরআউন এ ধারার গযবে আক্রান্ত। নাঊযুবিল্লাহ!
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশ, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশ- বাংলাদেশে এ গযবটিই এখন ভয়ঙ্করভাবে ফুটে উঠেছে। নাঊযুবিল্লাহ!
হারাম বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে ১০০ দিন আগ হতেই বিগত ১০ই নভেম্বর তথাকথিত কাউন্ট-ডাউন করা হয়েছে। হারাম বিশ্বকাপ উপলক্ষে শুধু ভেন্যু উন্নয়নেই বাংলাদেশ ব্যয় করেছে প্রায় তিনশ কোটি টাকা। প্রচারণার জন্য ব্যয় করা হয়েছে প্রায় সিকি শত কোটি টাকা। সারাদেশে বিলবোর্ড, হোর্ডিং, ব্যানার, ফেস্টুন, কাটআউট, পোস্টার এবং সিটি ড্রেসিংসহ বিবিধ ক্ষেত্রে এসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনের নামে ভালো রাস্তা নতুন করে অযথা খোঁড়াখুঁড়ি করে প্রায় কোটি কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। জেলায় জেলায় রোড শো’র নামে আরো কোটি কোটি টাকা অপব্যয় করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় তৎপরতায় সর্বোচ্চ ও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বিদেশী আতিথেয়তায়ও শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। জনজীবনের নিরাপত্তা ও প্রশাসন ব্যবস্থা বিঘ্নিত করে বিশ্বকাপ ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে দেশে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এক হারামের মচ্ছব করা হয়েছে। এসব কিছুই হয়েছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ও রাষ্ট্রীয় তৎপরতায় তথা রাষ্ট্রীয় খরচে।
শুধু তাই নয়, হারাম বিশ্বকাপের পাশাপাশি ভারতীয় নায়িকাদের-বেদেদের কনসার্টসহ ত্রিদেশীয় বিগ শো’র নামে শত শত বিবস্ত্রদের কনসার্টও মহাসমারোহে হয়েছে। সবই হয়েছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এই দেশে এবং মহাপবিত্র রবীউল আউয়াল শরীফ-এ। নাঊযুবিল্লাহ!
প্রসঙ্গত বলতে হয়, সর্বশ্রেষ্ঠ মাস রবীউল আউয়াল শরীফ-এ ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে এতো বল্গাহারা অনৈসলামীপনা মূলত মুসলমানদের প্রতি বিরাট গযবস্বরূপ। এবং এটা বিগত সময়ে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথাযথভাবে পালন না করারই কুফল।
বলাবাহুল্য, এ গযবের বহিঃপ্রকাশ হলো, মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের থেকে ধারাবাহিক বিস্মৃতির পর বিস্মৃতি। নাঊযুবিল্লাহ!
বলার অপেক্ষা রাখে না, এ বিস্মৃতি অবাধে বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং ক্রমশ বর্ধিত করছে নারী টিজিং, মজুদদারি, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, দাদন, সুদ-ঘুষ, দুর্নীতিসহ সব ধরনের অবক্ষয়ের। তৈরি করছে বিপুল বৈষম্য। বাড়াচ্ছে শোষন, নির্যাতন। ভাঙছে পরিবার। বিপর্যস্ত হচ্ছে সামাজিক ভারসাম্য। রাষ্ট্র ক্রমান্বয়ে যাচ্ছে ব্যর্থতার দিকে। বিপন্ন হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা। এসব কিছুর মূলে একটাই কারণ। তা হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বীক্বত সম্পর্কে অনুধাবন না করা। উনার প্রতি অন্তরে মুহব্বত না ধারণ করা এবং যথাযথ শান-শওক্বত ও জওক-শওকের সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন না করা। অথচ আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান সম্পর্কে ইরশাদ করেছেন, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি আপনার যিকিরকে বুলন্দ করেছি।” (সূরা ইনশিরাহ : আয়াত শরীফ ২)
যা এমন যে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি যদি শুধু লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ সাক্ষ্য দেয় তথাপিও ঈমানদার হতে পারবেনা, যতক্ষণ না সে ব্যক্তি মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্বীকৃতি না দিবে।
বস্তুত কোনো ব্যক্তি কখনো বান্দা বা মুসলমান হতে পারবে না, কোনো দেশ ততোক্ষণ পর্যন্ত সমৃদ্ধ হতে পারবে না, যতোক্ষণ পর্যন্ত তারা যথাযথভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন না করবে।
প্রসঙ্গত আল্লাহ পাক উনার হাবীব বলেছেন, “আল্লাহ্ পাক তিনি দেন আর আমি বণ্টন করে থাকি।” (মিশকাত) কিন্তু আল্লাহ পাক তিনি দিলে বান্দা পাবে কোথা থেকে? আল্লাহ পাক উনার হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যম ব্যতীত। কাজেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওসীলা দিয়েই আল্লাহ পাক উনার কাছে চাইতে হবে।
স্মর্তব্য, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রশংসা যে করতে পারবে না, সে আল্লাহ পাক উনারও প্রশংসা করতে পারবে না। আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতের হক্ব যে আদায় করতে পারবে না, সে আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতের হক্বও আদায় করতে পারবে না।
তাই উল্লেখ্য, যে, ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ যা ঈদুল আকবর বা ঈদুল আ’যম; তা উদযাপনই হতে হবে- রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে, ৯৭ ভাগ মুসলমান অধিবাসীর এদেশে- সর্বপ্রধান, সর্বশ্রেষ্ঠ, সর্বোচ্চ সরকারি উৎসব। এ উৎসবকে উপলক্ষ করেই হাজার হাজার কোটি টাকা বাজেট করতে হবে। দেশের সব গরিব-দুঃখীদের এ ঈদ পালনের জন্য প্রভূত সরকারি সাহায্য দিতে হবে। গোটা রবীউল আউয়াল শরীফ মাসকেই ছুটির মাস হিসেবে গণ্য করতে হবে। দেশের পাঁচ লাখ মসজিদে ব্যাপক সরকারি সহযোগিতায় ওয়াজ মাহফিল, মীলাদ মাহফিল ও উন্নতমানের তবারক বিতরণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে আরো ব্যাপক ধরনের অনুষ্ঠান করতে হবে। রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান করতে হবে। গোটা দেশকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করতে হবে। সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ঈদ হিসেবে জনমনে আলোড়নের জন্য সর্বাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কঠোর ও চরম নিরাপত্তা ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা দ্বারা সর্বোচ্চ রূপে সরকারি পর্যায়ে সারাদেশে এর প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তবেই আশা করা যায় এদেশবাসী রহমতুল্লিল আলামীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উসীলায় রহমতপ্রাপ্ত হবে। দেশ অন্যায়, অরাজকতা, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা থেকে নাজাত পাবে।
পাশাপাশি মনে রাখা কর্তব্য, হামিলু লিওয়ায়িল হামদ, হাবীবে আ’যম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সার্বক্ষণিক রূহানী সংযোগ সমৃদ্ধ ও উনার মহান সুন্নত দ্বারা সুশোভিত মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী উনার নেক ছোহবতের মাধ্যমেই আমাদের পক্ষে পাওয়া সম্ভব সনদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জাত ও ছিফত সম্পর্কিত ইলম ও ফিকির, উনার হাক্বীক্বত সম্পর্কিত মা’রিফত এবং উনার পূর্ণ অনুসরণ ও সুন্নত পালনের এবং সর্বোপরি চরম, পরম ও গভীর মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও আদবের সাথে সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালনের কুওওয়ত। পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে সেসব নিয়ামত হাছিলই হোক আমাদের অন্তরের আরজু। (আমীন)

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়

সম্পাদকীয়