সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব মানা ও অনুসরণ করা ফরয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

সংখ্যা: ২২০তম সংখ্যা | বিভাগ:

[সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন-উনার জন্যে এবং অসংখ্য দুরূদ ও সালাম আল্লাহ পাক-উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার প্রতি। আল্লাহ পাক-উনার অশেষ রহ্মতে “গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ”-এর ফতওয়া বিভাগের তরফ থেকে বহুল প্রচারিত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, বাতিলের আতঙ্ক ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী এবং হানাফী মাযহাব-এর অনুসরণে প্রকাশিত একমাত্র দলীলভিত্তিক যামানার তাজদীদী মুখপত্র “মাসিক আল বাইয়্যিনাত” পত্রিকায় যথাক্রমে- ১. টুপির ফতওয়া (২য় সংখ্যা) ২. অঙ্গুলী চুম্বনের বিধান (৩য় সংখ্যা) ৩. নিয়ত করে মাজার শরীফ যিয়ারত করা (৪র্থ সংখ্যা) ৪. ছবি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় হারাম হওয়ার ফতওয়া (৫ম-৭ম সংখ্যা) ৫. জুমুয়ার নামায ফরযে আইন ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (৮ম-১০ম সংখ্যা) ৬. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামায পড়া মাকরূহ্ তাহ্রীমী সম্পর্কে ফতওয়া (১১তম সংখ্যা) ৭. কদমবুছী ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১২তম সংখ্যা) ৮. তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে পড়া মাকরূহ্ তাহরীমী ও বিদ্য়াতে সাইয়্যিয়াহ্ এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩তম সংখ্যা) ৯. ফরয নামাযের পর মুনাজাত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪-২০তম সংখ্যা) ১০. ইন্জেকশন নেয়া রোযা ভঙ্গের কারণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২১-২২তম সংখ্যা) ১১. তারাবীহ্-এর নামাযে বা অন্যান্য সময় কুরআন শরীফ খতম করে উজরত বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়িয ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৩-২৪তম সংখ্যা) ১২. তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (২৫-২৯তম সংখ্যা) ১৩. দাড়ী ও গোঁফের শরয়ী আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩০-৩৪তম সংখ্যা) ১৪. প্রচলিত তাবলীগ জামায়াত ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৩৫-৪৬তম সংখ্যা) ১৫. আযান ও ছানী আযান মসজিদের ভিতরে দেয়ার আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৪৭-৫০তম সংখ্যা) ১৬. দোয়াল্লীন-যোয়াল্লীন-এর শরয়ী ফায়সালা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫১-৫২তম সংখ্যা) ১৭. খাছ সুন্নতী টুপি ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৫৩-৫৯তম সংখ্যা) ১৮. নূরে মুহম্মদী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উনার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে  ফতওয়া (৬০-৮২তম সংখ্যা) ১৯. ইমামাহ্ বা পাগড়ী মুবারকের আহ্কাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়া (৮৩-৯৬তম সংখ্যা) ২০. শরীয়তের দৃষ্টিতে আখিরী যোহ্র বা ইহ্তিয়াতুয্ যোহ্র আহ্কাম এবং তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (৯৭-১০০তম সংখ্যা)  ২১. জানাযা নামাযের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করার শরয়ী ফায়সালা ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১০১-১১১তম সংখ্যা) এবং  ২২. হিজাব বা পর্দা ফরযে আইন হওয়ার প্রমাণ ও তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১১২-১৩১তম সংখ্যা) ২৩. খাছ সুন্নতী ক্বমীছ বা কোর্তা এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৪০তম সংখ্যা) ২৪. হানাফী মাযহাব মতে ফজর নামাযে কুনূত বা কুনূতে নাযেলা পাঠ করা নাজায়িয ও নামায ফাসিদ হওয়ার কারণ এবং তার প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৩২-১৫২তম সংখ্যা) ২৫. ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ ফুটবল বা খেলাধুলা’র শরয়ী আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফতওয়া (১৫৫তম সংখ্যা) ২৬. হানাফী মাযহাব মতে পুরুষের জন্য লাল রংয়ের পোশাক তথা রুমাল, পাগড়ী, কোর্তা, লুঙ্গি, চাদর ইত্যাদি পরিধান বা ব্যবহার করা হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৫৩-১৬০তম সংখ্যা)   ২৭.  ইসলামের  নামে গণতন্ত্র ও নির্বাচন করা, পদপ্রার্থী হওয়া, ভোট চাওয়া ও দেয়া হারাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬১-১৭৫তম সংখ্যা) ২৮. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৬৮-চলমান), ২৯. জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯২-১৯৩তম সংখ্যা) ৩০. কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (১৯৫-২১৩তম সংখ্যা), ৩১. পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের দৃষ্টিতে “কুলাঙ্গার, পাপিষ্ঠ ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফায়ছালা ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করার পর-

 ৩২তম ফতওয়া হিসেবে

পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে  সম্মানিত পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত পবিত্র মাযহাব মানা অনুসরণ করা ফরয তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি

 
সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব চতুষ্ঠয় উনাদের মধ্যে যে কোন একটি সম্মানিত ও পবিত্র মাযহাব উনার উপর মউত পর্যন্ত ইস্তিক্বামত থাকা ফরয

কতিপয় শব্দার্থ ও পরিভাষা

 ১। القران (আল কুরআন) : القران শব্দটি قرء ও قرن মাছদার থেকে উৎকলিত। قرء মাছদার থেকে হলে এর অর্থ হয় مقروء বা বারবার পঠিত। কেননা পবিত্র কুরআন মাজীদ সার্বক্ষণিকভাবে পঠিত হচ্ছে। আর قرن মাছদার থেকে হলে এর অর্থ হয় مقرون বা সংযুক্ত। যেহেতু পবিত্র কুরআন মাজীদ উনার প্রতিটি হরফ শরীফ, লফয শরীফ, আয়াত শরীফ ও সূরা শরীফ একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত ও মিলযুক্ত।

ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় পবিত্র কুরআন শরীফ উনার পরিচিতি :

(১-৩)

 *اما الكتاب فالقران الـمنزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم المكتوب فى الـمصاحف الـمنقول عن النبى عليه السلام نقلا متواترا بلا شبهة وهو النظم والـمعنى جميعا فى قول عامة العلماء وهو الصحيح من قول ابى حنيفة عندنا. (اصول البزدوى الـمسمى به كنز الاصول الى معرفة الاصول للامام فخر الاسلام على بن محمد البزدوى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الـمتوفى ۴۸۲ هجرى ص ۵ مير محمد كتب خانه مركز علم و ادب ارام باغ كراچی(

 *اما الكتاب فالقران الـمنزل على الرسول عليه السلام الـمكتوب فى الـمصاحف الـمنقول عنه نقلا متواترا بلاشبهة وهو اسم للنظم والـمعنى جميعا. (الـمنار للامام ابى البركات عبد الله بن احمد بن محمد حافظ الدين النسفى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه الـمتوفى : ۵۳۷ هجرى مبحت الكتاب الصفحة ص ۹-۷ قاسمية لا ئبريرى بنگله بازار ڈهاكه بنغلاديش(

 *القران هو الـمنزل على الرسول صلى الله عليه وسلم الـمكتوب فى الـمصاحف الـمنقول عنه نقلا متواترا بلا شبهة وهو اسم للنظم والـمعنى جميعا. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه ص ۴۲۶ اشرفى بك ڈپو ديوبند(

অর্থ : পবিত্র কিতাবুল্লাহ শব্দ মুবারক দ্বারা পবিত্র কুরআন মাজীদ উনাকেই উদ্দেশ্য; যা হযরত রসূলুল্লাহ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, যা কিতাব আকারে লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং হযরত নবী করীম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হতে মুতাওয়াতির পদ্ধতিতে সন্দেহমুক্ত প্রক্রিয়ায় বর্ণিত হয়েছে। আর পবিত্র কুরআন শরীফ শব্দ ও অর্থ উভয়ের সমষ্টিগত নাম। এটাই সকল উলামায়ে কিরাম উনাদের মত। আমাদের কাছে হযরত ইমামে আ’যম, ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ফতওয়া মুবারক অনুযায়ী ইহাই ছহীহ মত। (উছূলুল বাযদুরী মূল নাম : ‘কানযুল উছূল ইলা মা’রিফাতিল উছূল’- ইমাম ফখরুল ইসলাম আলী বিন মুহম্মদ বাযদুবী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ওফাত : ৪৮২ হিজরী, ৫ পৃষ্ঠা, প্রকাশনা : মীর মুহম্মদ কুতুবখানা মারকাযে ইলম ও আদব-আরামবাগ করাচি, আল মানার – ইমাম আবুল বারাকত আব্দুল্লাহ বিন আহমদ বিন মুহম্মদ হাফিযুদ্দীন নাসাফী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ওফাত : ৫৩৭ হিজরী, কিতাবুল্লাহ সম্পর্কিত আলোচনা ৭-৯ পৃষ্ঠা, প্রকাশনা : কাসিমিয়া লাইব্রেরী বাংলাবাজার ঢাকা-বাংলাদেশ, আত তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ- মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৪২৬ পৃষ্ঠা, প্রকাশনা : আশরাফী বুক ডিপো দেওবন্দ)

২। الحديث (আল হাদীছ) : حديث শব্দটি একবচন। এর বহুবচন احاديث -এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে : বাণী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ শরীফ, কথা মুবারক, বার্তা মুবারক, আলোচনা মুবারক, সংবাদ, খবর, কাহিনী ইত্যাদি।

ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার পরিচিতি :

(৪-৫)

والحديث اعم من ان يكون قول الرسول صلى الله عليه وسلم او الصحابى او التابعين وفعلهم وتقريرهم. (اصول الحديث للامام السيد الشريف على الجرجانى الـحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه ذكر فى اول الجامع للترمذى كتبخانه مجتبائى ديوبند، ميزان الاخبار للسيد عميم الاحسان رحمة الله عليه.

অর্থ : সাধারণত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম ও হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বাণী, কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদীছ শরীফ বলা হয়। (উছূলুল হাদীছ লিল ইমাম সাইয়্যিদ শরীফ আলী জুরজানী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি, জামে তিরমিযী শরীফ উনার শুরুতে এ কিতাবটি সংযুক্ত করা হয়েছে, প্রকাশনা : কুতুবখানা মুজতাবায়ী দেওবন্দ, মীযানুল আখবার লিস সাইয়্যিদ আমীমুল ইহসান রহমতুল্লাহি আলাইহি)

(৬)

اعلم ان الحديث فى اصطلاح جمهور الـمحدثين يطلق على قول النبى صلى الله عليه وسلم وفعله وتقريره، ومعنى التقرير انه فعل احد او قال شيئا فى حضرته صلى الله عليه وسلم ولـم ينكره ولـم ينهه عن ذلك بل سكت وقرر، وكذلك يطلق على قول الصحابى وفعله وتقريره وعلى قول التابعى وفعله وتقريره. (الـمقدمة للسيخ عبد الحق الـمحدث الدهلوى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه)

অর্থ : জেনে রাখুন! অধিকাংশ মুহাদ্দিছীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের দৃষ্টিতে সাধারণত হযরত নবী করীম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাণী, কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদীছ শরীফ বলা হয়। তাকরীরের অর্থ হচ্ছে : সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সামনে কোন ব্যক্তি কোন কাজ করলেন অথবা কিছু বললেন, কিন্তু তা দেখে তিনি ওই কাজ বা কথাকে অপছন্দ করলেন না এবং নিষেধও করলেন না বরং চুপ থাকলেন এবং সম্মতি দিলেন।

অনুরূপভাবে ব্যাপকার্থে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের কথা, কাজ ও সম্মতি এবং হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কথা, কাজ ও সম্মতিকেও হাদীছ শরীফ বলা হয়। (আল মুকাদ্দিমাহ লিশ শায়েখ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলবী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি)

(৭)

والخبر والاثر بمعناه. (ميزان الاخبار للسيد محمد عميم الاحسان بن الـحكيم السيد عبد الـمنان الـمجددى البركتى الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه)

অর্থ : খবর ও আছরও হাদীছ অর্থে ব্যবহার হয়ে থাকে। (মীযানুল আখবার লিস সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান বিন হাকীম সাইয়্যিদ আব্দুল মান্নান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি)

(৮)

والحديث يطلق على قول الرسول صلى الله عليه وسلم خاصة. (نور الانوار شرح الـمنار لـملاجيون الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه باب اقسام السنة الصفحة ۱۷۵ قاسميه لائبريرى بنگله بازار ڈهاكه بنغلاديش)

অর্র্থ : বিশেষ করে শুধু সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাণী মুবারক উনাকে হাদীছ শরীফ বলা হয়। (নূরুল আনওয়ার শরহুল মানার লিমুল্লা জিউন হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি পরিচ্ছেদ : সুন্নাহ শরীফ-এর প্রকারভেদ ১৭৫ পৃষ্ঠা প্রকাশনা : কাসিমিয়া লাইব্রেরী, বাংলাবাজার ঢাকা-বাংলাদেশ)

৩। السنة (আস সুন্নাহ) : سنة শব্দটি একবচন। এর বহুবচন سنن -এর শাব্দিক অর্থ: সুন্নত, হাদীছ শরীফ, পন্থা, রীতি, নীতি, নিয়ম, পথ, স্বভাব, আদর্শ ইত্যাদি।

শরীয়ত উনার পরিভাষায় সুন্নাহ শরীফ উনার পরিচিতি-

(৯)

السنة تطلق على قول الرسول صلى الله عليه وسلم وفعله وسكوته وعلى اقوال الصحابة وافعالـهم. (نور الانوار شرح الـمنار لـملا جيون الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه باب اقسام السنة الصفحة ۱۷۵(

অর্থ : সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা মুবারক, কাজ মুবারক, নীরবতা মুবারক এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কথা মুবারক ও কাজ মুবারককে সুন্নাহ শরীফ বলা হয়। (নূরুল আনওয়ার শরহুল মানার- হযরত মুল্লা জিউন হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি পরিচ্ছেদ : সুন্নাহ-এর প্রকারভেদ ১৭৫ পৃষ্ঠা)

(১০)

السنة فى الشريعة هى الطريقة الـمسلوكة فى الدين من غير افتراض ولا وجوب، وايضا ماصدر عن النبى صلى الله عليه وسلم من قول او فعل او تقرير على وجه التاسى. (التعريفات الفقهية للمفتى السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى رحمة الله عليه الصفحة ۳۲۸)

অর্থ : ইসলামী শরীয়ত শরীফ পরিভাষায় ফরদ্ব ও ওয়াজিব ব্যতীত দ্বীন ইসলাম উনার উৎকৃষ্ট নিয়ম-নীতিকে সুন্নত বলা হয়। এছাড়াও হযরত নবী করীম সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকেও সুন্নাহ শরীফ বলা হয়। (আত তা’রীফাতুল ফিকহিয়্যাহ- মুফতী সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ৩২৮ পৃষ্ঠা)

(১১-১২)

السنة فى الاصطلاح العبادات النافلة والادلة. والـمراد هنا ماصدر عن النبى صلى الله عليه وسلم غير القران من قول ويسمى الحديث او فعل او تقرير اى سكوت عند امر يعانيه كذا فى التلويح. (عمدة الحواشى شرح اصول الشاشى للمولى محمد فيض الحسن الكنكوهى رحمة الله عليه بحث سنة رسول الله صلى الله عليه وسلم الصفحة ۱۶۹ مكتبة الازهر مدهو بدا- داكا)

অর্থ : ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় নফল ইবাদতগুলোকে সুন্নাহ শরীফ বলা হয়। কিন্তু এখানে সুন্নাহ শরীফ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার বাণী ব্যতীত সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বাণী অর্থাৎ হাদীছ শরীফ, কাজ ও কোন কাজের ব্যাপারে মৌন সম্মতি। যেমনটি ‘আত তালবীহ’ কিতাবে আছে। (উমদাতুল হাওয়াশী শরহু উছূলিশ শাশী- মাওলানা মুহম্মদ ফয়দুল হাসান কানকূহী রহমতুল্লাহি আলাইহি সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কিত আলোচনা ১৬৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা : মাকতাবাতুল আযহার মধ্যবাড্ডা- ঢাকা।)

(১৩)

السنة فى الشرع: العمل الـمحمود فى الدين مما ليس فرضا ولا واجبا. (الـمعجم الوجيز للدكتور ابراهيم مدكور الصفحة ۳۲۵(

অর্থ : ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ফরদ্ব ও ওয়াজিব নয়, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার এমন প্রশংসনীয় আমলকে সুন্নাহ বলা হয়। (আল মু’জামুল ওয়াজীয- ডক্টর ইবরাহীম মাদকূর ৩২৫ পৃষ্ঠা)

৪. اجماع الامة (ইজমাউল উম্মাহ) : اجماع শব্দটি বাবে ইফয়াল-এর মাছদার। এর শাব্দিক অর্থ: জমা করা, ঐকমত্য পোষণ করা, একত্রিত করা, একত্রিত হওয়া, ঐক্যবদ্ধ হওয়া, একমত হওয়া, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া ইত্যাদি।

ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ইজমা উনার পরিচতি-

(১৪)

الاجماع وهو فى اللغة الاتفاق وفى الشريعة اتفاق مـجتهدين صالـحين من امة مـحمد صلى الله عليه وسلم فى عصر واحد على امر قولى او فعلى. (نور الانوار شرح الـمنار للملا جيون الحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه باب الاجماع الصفحة ۲۱۹ قاسمية لائبريرى دهاكه)

অর্থ : শাব্দিক অর্থে ‘ইজমা’ অর্থ ঐকমত্য পোষণ করা। ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মধ্যে পরহেযগার-মুত্তাক্বী মুজতাহিদগণ কর্তৃক কোন ফায়সালা ও কাজের ব্যাপারে একই যুগে একমত পোষণ করাকে ‘ইজমা’ বলা হয়। (নুরুল আনওয়ার শরহুল মানার হযরত মুল্লা জিউন হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি অধ্যায়: ইজমা সম্পর্কিত ২১৯ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: কাসিমিয়া লাইব্রেরী, ঢাকা)

(১৫)

الاجماع فى الاصطلاح اتفاق الـمجتهدين من امة محمد صلى الله عليه وسلم فى عصر على امر دينى. (التعريفات الفقهية للامام السيد محمد عميم الاحسان الـمجددى البركتى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الصفحة ۱۶۰)

অর্থ : নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মুজতাহিদগণ কর্তৃক দ্বীনী কোন ব্যাপারে একই যুগে একমত পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়। (আত্ তা’রীফাতুল ফিকহিইয়াহ- ইমাম সাইয়্যিদ মুহম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দিদী বরকতী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ১৬০ পৃষ্ঠা)

(১৬)

الاجماع فى اصول الفقه: اتفاق المجتهدين فى عصر على امر دينى، ويعد اصلا من اصول التشريع. (الـمعجم الوجيه الصفحة ۱۱۶)

অর্থ : উছূলে ফিক্বাহ উনার পরিভাষায় একই যুগে মুজতাহিদগণ কর্তৃক দ্বীনী কোন ব্যাপারে একমত পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়। ইসলামী শরীয়ত উনাতে মূলনীতিসমূহ উনার মধ্যে ইজমাকে মৌলিক হিসেবে ধরা হয়। (আল্ মুজামুল ওয়াজীয ১১৬ পৃষ্ঠা)

(১৭)

الاجماع وفى اصطلاح الاصوليين هو اتفاق خاص، وهو اتفاق الـمجتهدين من امة محمد صلى الله عليه وسلم فى عصر على حكم شرعى. فالـمراد بالاتفاق الاشتراق فى الاعتقاد او الاقوال او الافعال او السكوت او التقرير. (كشاف اصطلاحات الفنون تأليف: الشيخ العلامة محمد على بن على بن محمد التهانوى الحنفى الماتريدى رحمة الله عليه الـمتوفى: ۱۱۵۸ هجريى باب الجيم الـمجلد ۱ الصفحة ۳۲۳ مكتبة نعمانية كانسى روڈ. کوئٹہ)

অর্থ : উছূলবিদগণের দৃষ্টিতে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে একমত হওয়াকে ইজমা বলে। ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায়- একই যুগে হাবীবুল্লাহ হযরত মুহম্মদ মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মতের মধ্যে ইমাম মুজতাহিদ উনাদের কর্তৃক কোন শরয়ী বিধান উনাদের ব্যাপারে একমত পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়।

ইত্তিফাক (ইজমা) দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈমান-আক্বীদা, বক্তব্য, কাজ, চুপ থাকা অথবা সম্মতির মাধ্যমে ফয়সালায় শরীক থাকা। (কাশফু ইছতিলাহাতিল ফুনূন- শায়েখ আল্লামা মুহম্মদ আলী বিন আলী থানুবী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ওফাত: ১১৫৮ হিজরী পরিচ্ছেদ: জীম ১ম খ- ৩২৩ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: মাকতাবায়ে নু’মানিয়া কানসী রোড, কুয়েটা)

(১৮)

وقال الغزالى: الاجماع هو اتفاق امة محمد صلى الله عليه وسلم على امر دينى. (كشف اصطلاحات الفنون تأليف: الشيخ العلامة محمد على بن على محمد التهانوى الـحنفى الـماتريدى رحمة الله عليه باب الجيم المجلد ۱ الصفحة ۳۲۴ مكتبة نعمانية كانسى روڈ کوئتہ(

 অর্থ : হযরত ইমাম গাযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক দ্বীনী কোন ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করাকে ইজমা বলা হয়। (কাশফু ইছতিলাহাতিল ফুনূন- শায়েখ আল্লামা মুহম্মদ আলী বিন আলী মুহম্মদ থানুবী হানাফী মাতুরীদী রহমতুল্লাহি আলাইহি পরিচ্ছেদ: জীম ১ম খ- ৩২৪ পৃষ্ঠা প্রকাশনা: মাকতাবায়ে নু’মানিয়া কানসী রোড, কুয়েটা)

৬. القياس (আল্ ক্বিয়াস) : القياس শব্দটির শাব্দিক অর্থ হচ্ছে- অনুমান করা, মূল্যায়ন করা, তুলনা দেয়া, পরিমাপ করা, ক্বিয়াস করা ইত্যাদি। যেমনটি ‘নূরুল আনওয়ার’ কিতাবের ক্বিয়াস অধ্যায়ে ২২৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

(১৯)

* القياس فى اللغة التقدير

অর্থ : লুগাতী বা আভিধানিক অর্থে ইজমা অর্থ অনুমান করা বা তুলনা দেয়া।

ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় ক্বিয়াস উনার পরিচিতি :

(২০)

القياس وفى الشرع تقدير الفرع بالاصل فى الحكم والعلة (نور الانوار شرح الـمنار مبحث القياس الصفحة ۲۲۴، التعريفات الفقهية لعميم الاحسان رحمة الله عليه ۴۳۷)

অর্থ : ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় হুকুম ও ইল্লাতের সাথে কোন শাখা মাসয়ালাকে মূল মাসয়ালার উপর অনুমান করাকে ক্বিয়াস বলা হয়। অর্থাৎ শাখার মধ্যে মূলের ইল্লত বিদ্যমান থাকার কারণে শাখাকে মূলের হুকুমের সাথে মিলিয়ে দেয়া। যেমন : মদ হারাম হওয়ার উপর অনুমান করে ফয়সালা দেয়া হয় যে, হেরোইন, গাঁজা, তামাক, হুক্কা ইত্যাদি খাওয়া হারাম। (নূরুল আনওয়ার শরহুল মানার অধ্যায়: ক্বিয়াস সম্পর্কিত ২২৪ পৃষ্ঠা, আত্ তা’রীকাতুল্ ফিকহিয়্যাহ লি আমীমিল ইহসান রহমতুল্লাহি আলাইহি ৪৩৭ পৃষ্ঠা)

 অসমাপ্ত

 পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৮

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৯

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০