সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ছাহিবাতু রসূলিল্লাহ, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার পুতঃপবিত্র শান মুবারকে যারা মিথ্যা অপবাদ দেয় তারা কাট্টা কাফির এবং চির জাহান্নামী

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ছাহিবাতু রসূলিল্লাহ, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার পুতঃপবিত্র শান মুবারকে যারা মিথ্যা অপবাদ দেয় তারা কাট্টা কাফির এবং চির জাহান্নামী


মুক্বাদ্দামা: মহান খলিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক তিনি উনার শ্রেষ্ঠতম রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র উছীলা মুবারকে বনি আবুল বাশার উনাদেরকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আর বনি আবুল বাশার উনাদের মধ্যে যাঁর সাথে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যত বেশি তায়াল্লুক ও মুহব্বত, উনাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ততবেশি ফযীলত মর্যাদা ও মর্তবা হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সুতরাং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কারণেই হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ফযীলত ও মর্যাদা-মর্তবা সারা কায়িনাতের মাঝে সবচেয়ে বেশি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

النَّبِىّ اوْلى بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ انفُسِهِمْ وَازْوَاجُهُ امَّهَاتُهُ

অর্থ: “নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঈমানদারগণ উনাদের নিকট উনাদের প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয় এবং উনার সম্মানিতা আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম উনারা মু’মিনগণ উনাদের মাতা।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)

অর্থাৎ সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সকল মুসলমান ও মু’মিন উনাদের সম্মানিতা মা। সুবহানাল্লাহ! নিজের মাকে যেমন তা’যীম-তাকরীম বা সম্মান করা ফরয, তা থেকে লক্ষ কোটিগুণ বেশি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে সম্মান-ইজ্জত করা প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরয।

কাজেই যারা হযরত উম্মাহাতুল ম’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি মিথ্যা অপবাদ দেয় বা উনাদের সম্পর্কে বানোয়াটি বক্তব্য পেশ করে উনাদের পুত:পবিত্র চরিত্র মুবারকে আঘাত দেয় তারা মূলত: এক নম্বর কাফির এরা সৃষ্টির নিকৃষ্ট জানোয়ার এদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড। পৃথিবীর সমস্ত সরকারের জন্য ফরয এদের ধরে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা।

উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার প্রতি মিথ্যা অপবাদকারীদের বিপরীতে ছহীহ আক্বীদা ভিত্তিক উনাদের সুমহান ছানা-ছিফত সংক্ষিপ্ত ভাবে তুলে ধরবো। ইনশায়াল্লাহ!

 উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার পুত-পবিত্র পরিচিতি মুবারক:

 উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার নাম মুবারক যাইনাব। উনার উপনাম মুবারক উম্মু হাকাম। উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম জাহাশ। উনার সম্মানিত মাতা উনার নাম মুবারক উমাইয়া বিনতে আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম। উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফুফাতো বোন। সুবহানাল্লাহ! তিনি আনুষ্ঠানিক নবুওওয়াত মুবারক প্রকাশের সূচনা লগ্নে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ মুবারকে পরিবারের অন্যান্যদের সাথে আবিসিনিয়ায় হিজরত মুবারক করেন। অতপর সেখান থেকে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে হিজরত মুবারক করেন।

উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার সুমহান ছানা-ছিফত ও ফযীলত মুবারক:

 সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী মুবারক ছাড়া কোন কিছু করেন না এবং কোন কিছু বলেন না। অর্থাৎ তিনি ওহী মুবারক দ্বারা পরিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রীত। সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوى انْ هُوَ الَّا وَحْى يُوْحى

অর্থ:“ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ওহী মুবারক ব্যতীত নিজ থেকে কোন কিছু বলেন না বা করেন না। (পবিত্র সূরা নজম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩,৪)

অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা কিছু করেছেন, বলেছেন এবং অনুমোদন করেছেন ইত্যাদি মূলত; সম্মানিত ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার সম্পর্কে যত মুবারক ঘটনাসমূহ সংঘটিত হয়েছে তা সবই সম্মানিত ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্পর্কে যারা চু-চেরা করবে বিপরীত চিন্তা করবে বা বদআক্বীদা রাখবে তাদের ঈমান থাকবে না, সে কাট্টা কাফির হয়ে যাবে।

যেমন এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে, যখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার সাথে হযরত যায়িদ বিন হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিকাহ মুবারক নিয়ে আলোচনা মুবারক করছিলেন তখন উনার আতœীয়-স্বজন উনাদের মধ্যে অনেকে আলোচনা করছিলেন যে কুফু নিয়ে, যে এতে কুফু মিলবে কি না? তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করে কায়িনাতবাসীকে সতর্ক করে দিলেন, জানিয়ে দিলেন যে-

وَمَا كَانَ لِمُؤْمِنٍ وَلَا مُؤْمِنَةٍ اذَا قَضَى اللّهُ وَرَسُولُهُ أَمْرًا أَنْ يَكُونَ لَهُمُ الْخِيَرَةُ مِنْ أَمْرِهِمْ ۗ وَمَنْ يَعْصِ اللّهَ وَرَسُوْلَه فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا مُّبِينًا

অর্থ: “কোনো মু’মিন মু’মিনা উনাদের জন্য জায়িয হবে না মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যা ফায়সালা করেছেন তাতে মত পেশ করা, যদি কেউ বিরূদ্ধাচরন করে তথা মত পেশ করে বা চু চেরা করে তবে সে প্রকাশ্য গোমরাহে গোমরাহ হয়ে যাবে।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৬)

যখন এ পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হলো সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার যারা আতœীয়-স্বজন উনাদেরকে জানানো হলো তখন উনারা বললেন আমরাতো কোন চু চেরা করিনি শুধু আলোচনা করেছিলাম কুফুর বিষয়টি। পরে উনারা ক্ষমা চাইলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে ক্ষমা করে দিলেন। তাহলে উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হওয়ার পরও যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের বিরোধিতা করবে, মিথ্যা অপবাদ দিবে তাদের প্রতি কুফরীর হুকুম বর্তাবে এবং তারা কাট্টা কাফির এবং চির জাহন্নামী হবে।

স্মরণীয় যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাকে প্রথমত: হযরত যায়িদ বিন হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে আহলিয়া হিসেবে দেয়া হয়েছিল। পরে মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক নির্দেশেই উনারা আলাদা হয়ে যান। অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনিই উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার নিকাহ মুবারক সম্পন্ন করে দেন। সুবহানাল্লাহ!

যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

فَلَمَّا قَضَىٰ زَيْدٌ مِّنْهَا وَطَرًا زَوَّجْنَاكَهَا

অর্থ: “হযরত যায়িদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যখন (সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম) উনার সাথে সম্পর্ক আলাদা করে দিলেন (বা ছিন্ন করলেন) তখন আমি (উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম) উনাকে আপনার (তথা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার) নিকট নিকাহ মুবারক দিলাম।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি ফায়সালা করে দেয়ার পরও কি করে কাফির-মুশরিক মুনাফিকরা উনাদের উপর অপবাদ দিতে পারে? প্রকৃতপক্ষে এরা নাপাক, ম্লেচ্ছ, যবন, ওয়ালিদ বিন মুগিরার বংশধর। কাজেই এরা উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান কি বুঝবে? সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান মর্যাদা-মর্তবা কি বুঝবে? হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সুমহান ফযীলত মুবারক কতটুকু বুঝবে? কাজেই যারা মিথ্যা অপবাদকারী তারা হলো কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীন, মুনাফিক ও ওলামায়ে সূ’দের অন্তর্ভুক্ত। তাই তারা উনাদের সুউচ্চ শান-মান সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। এজন্য এসব কাফির মুনাফিকরা মিথ্যা বানোয়াটি গালি-গালাজ করে থাকে আর হিংসাবশত উনাদের প্রতি অপবাদ রটনা করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম তিনি যখন আলাদা হলেন তখন মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার হুকুম মুবারক জানালে তখন উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম তিনি অত্যন্ত আনন্দের সাথে সম্মতি মুবারক পেশ করলেন। তখন নিকাহিল আযীম মুবারক আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠিত হলো। সুবহানাল্লাহ!

অতএব, যারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র নিকাহ মুবারক নিয়ে চু চেরা করবে তারা মুলত মুসলমান নয় তারা হয় কাফির-মুশরিক বা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মী অথবা কাট্টা মুনাফিক। এই কুলাঙ্গার কাফিরদের থেকে মুসলমান উনাদের সাবধান থাকতে হবে যারা সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাইনাব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনার এবং অন্যান্য উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের এবং সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত ছহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সুমহান শান-মান ও মর্যাদা-মর্তবা মুবারক নিয়ে বিন্দু থেকে বিন্দু মাত্র দ্বি মত পোষন করে। এই সমস্ত কাফির মুশরিক মুনাফিকরা মূলত; সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্ট এরা মালউন ইবলিসের মতই লা’নত প্রাপ্ত। এরা আবূ জাহিল, আবু লাহাব, উতবা, শায়বা, মুনাফিক উবাই বিন সলূল এবং ওয়ালিদ বিন মুগিরার উত্তরসূরী।

পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন-

وَلَا تُطِعْ كُلَّ حَلَّافٍ مَّهِينٍ . هَمَّازٍ مَّشَّاءٍ بِنَمِيمٍ مَّنَّاعٍ لِّلْخَيْرِ مُعْتَدٍ أَثِيمٍ. عُتُلٍّ بَعْدَ ذلِكَ زَنِيمٍ.

অর্থ: “তোমরা আনুগত্য করবেনা এরূপ ব্যক্তির যে ১. অধিক শপথকারী ২.লাঞ্ছিত, ৩. পরনিন্দাকারী ৪. ঘুরে ঘুরে গীবতকারী ৫. চোগলখোর ৬. সৎ কাজে বাধা দানকারী ৭. সীমালঙ্ঘনকারী ৮. পাপিষ্ট ৯. বদ চরিত্র ১০. উপরন্তু সে অবৈধ সন্তান।”

অর্থাৎ (ওয়ালিদ বিন মুগীরা) সে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং পুত:পবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের দুশমনী করে উনাদের সম্পর্কে মিথ্যা অপবাদ ছড়াতো তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি কাট্টা কাফির ওয়ালিদ বিন মুগিরার হাক্বীক্বত প্রকাশ করে দিলেন। অতএব, যারা বর্তমান যুগেও মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং পুত-পবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান-মান সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে তারাও ওয়ালিদ বিন মুগিরার মতই উপরোক্ত দশটি বদখাছলতের অধিকারী হবে। নাউযুবিল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান মুবারকে নাযিল করেছেন

يَا نِسَاءَ النَّبِى لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ

অর্থ: “হে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম আপনারা অন্য কোন মহিলাদের মতো নন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)

এখানে তো স্পষ্ট হলো হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা কারো মত নন। তাহলে দুনিয়াবী নারীদের সাথে উনাদের মিল হয় কি করে? মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেমন কারো মত নন অনুরূপভাবে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারাও কোন জ্বীন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা করোও মত নন। সুবহানাল্লাহ!

হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন এছাড়া যত মর্যাদা-মর্তবা ফাযায়িল-ফযীলত রয়েছে তা মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদেরকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং পুত:পবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে যারা চু-চেরা করে তাদের পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ সম্পর্কে সামান্যতম ইলম নেই। তারা যেনো অতিসত্ত্বর তওবা করে উনাদের সম্পর্কে ছহীহ আক্বীদা পোষন করে। মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফির-মুশরিক, মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র ও কুফরী থেকে সমস্ত মুসলমান উনাদের পবিত্র ঈমান উনাকে হিফাযত করুন। আমীন!


-হাকীর আহমদ শাবীব উফিয়া আনহু

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম