সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূল মির্না রদ্বয়াতি তথা রহমতুল্লিল আলামীন, রঊফুর রহীম, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা দুধমাতা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম

সংখ্যা: ২৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ حَمَلَتْهُ أُمُّهٗ وَهْنًا عَلٰى وَهْنٍ وَفِصَالُهٗ فِيْ عَامَيْنِ أَنِ اشْكُرْ لِيْ وَلِوَالِدَيْكَ إِلَيَّ الْمَصِيْرُ

অর্থ: আমি মানুষকে তার পিতা-মাতা সম্পর্কে নসীহত করছি। তাকে তার মাতা অত্যধিক কষ্ট করে বহন করেছেন এবং দু’বছর দুধ পান করিয়েছেন। আমার এবং তোমার পিতা-মাতা উনাদের শুকরিয়া আদায় করো। আমার নিকট তোমাদের প্রত্যাবর্তন স্থল। (পবিত্র সূরা লুকমান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪)

বর্ণিত আয়াত শরীফে সন্তানের সাথে মাতার দু’দিক থেকে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মাতা সন্তানকে রেহেম শরীফে বহন করেন। আবার মাতা সন্তানকে দুধ পান করান। অর্থাৎ, যিনি সন্তানকে রেহেম শরীফে বহন করেন তিনি হবেন মাতা। আবার যিনি সন্তানকে দুধ পান করান তিনিও মাতা হিসেবে সম্মানিত শরীয়ত কর্তৃক স্বীকৃত।

হানাফী মাযহাব অনুযায়ী, সন্তান ২ বৎসর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ পান করতে পারবে। তবে কোন সন্তান যদি আড়াই বৎসর বয়সের মধ্যে কোন মহিলার এক ঢোক দুধও পান করে, তাহলে সে মহিলা সেই সন্তানের দুধমাতা হিসেবে সাব্যস্ত হবে।

পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে,

عَنْ حَضْرَتْ عَلِيِّ بْنِ أَبِيْ طَالِبٍ  عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللّٰهَ حَرَّمَ مِنَ الرَّضَاعِ مَا حَرَّمَ مِنَ النَّسَبِ

 অর্থ: হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি দুধ পানের কারণে তা হারাম করেছেন, যা নসবগত কারণে হারাম করেছেন। (তিরমিযী শরীফ)

অর্থাৎ, রেহেম শরীফে বহনকারীণী মাতার ন্যায় দুধমাতার অধিকারও সুনির্ধারিত। দুই মাতারই অধিকার বা হক্ব রয়েছে। দুইজনকেই তা’যীম-তাকরীম করতে হবে।

বলার অপেক্ষা রাখেনা, রঊফুর রহীম, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রহমতুল্লিল আলামীন। আর উনার ছোহবত মুবারক, নিসবত মুবারক এবং খিদমত মুবারকে আনযাম প্রদানের জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার বান্দাহদের মধ্য হতে কতিপয় বান্দাহকে বিশেষভাবে মনোনীত করেন। উনার মুবারক নিসবতপ্রাপ্ত প্রতিটি বিষয়ই কায়িনাত মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক ফযীলতপ্রাপ্ত এবং সর্বাধিক বরকতময় ও সর্বোচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন। তাই, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুধ মুবারক পান করানোর মহান কাজে আনযাম প্রদানকারিণীগণও আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত এবং বেমেছাল খুছুছিয়ত মুবারকের মালিকাহ। জনসাধারণের মাঝে উনাদের মুবারক আলোচনা তেমন লক্ষ্য করা যায়না। কিন্তু উনারা যে বেমেছাল ফাযায়িল-ফযীলতের অধিকারিণী, তা সাধারণ মানুষের বোধগম্যের বাহিরে। সঙ্গতকারণেই উনার মুবারক আলোচনা অতীব জরুরী।

মশহূর এবং গ্রহণযোগ্য মতে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূল মির্না রদ্বয়াতি তথা রহমতুল্লিল আলামীন, রঊফুর রহীম, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা দুধমাতা আলাইহিন্নাস সালাম উনারা দুইজন। অর্থাৎ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর দুইজন মহান ব্যক্তিত্ব নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুধ মুবারক পান করানোর সুনসীব লাভ করেছেন। উনারা হচ্ছেন, প্রথমত, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম। দ্বিতীয়ত, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত হালীমাহ সা’দিয়াহ আলাইহাস সালাম।  তবে এ কলামে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার খুছুছিয়ত মুবারক সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ!

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু রসূলিনা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর  যিনি সর্বপ্রথম নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুধ মুবারক পান করানোর সৌভাগ্য লাভ করেছেন, তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম। উনার মুবারক শানে প্রচলিত কিতাবাদীতে উল্লেখ্যযোগ্য তেমন আলোচনা পাওয়া যায়না। তবে যতটুকু পাওয়া যায়, তা উনার সম্পর্কে জানা এবং উনার মুবারক শান উপলব্ধির জন্য যথেষ্ট।

এ কথা দিবালোকের চেয়েও সুস্পষ্ট যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুধ মুবারক পান করানোর সৌভাগ্য লাভকারিণীগণ কায়িনাতের সর্বশ্রেষ্ঠ দুধমাতা। বাতিনীভাবে উনাদের শ্রেষ্ঠত্ব অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত, জাহিরীভাবেও উনারা সার্বিকভাবেই অভিজাত। এ ক্ষেত্রে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনিও ব্যতিক্রম নন।

ইতিহাসে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে বাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নাউযুবিল্লাহ! কিন্তু আমরা দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে হলফ করে বলতে পারি, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি নসবগতভাবে বাদী ছিলেন না। অভিজাত এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারেই তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তবে আইয়্যামে জাহিলিয়াতের সেই কঠিন সময়ে কিছু লোক বিভিন্ন কাফেলাতে হামলা করে কাফেলার শিশুদেরকে ধরে নিয়ে বিভিন্ন বাজার বা মেলাতে গোলাম-বাদী হিসেবে বিক্রয় করে দিতো। সেক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় আরবের অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের শিশুরাই এ জুলুমের শিকার হতো। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকেও অন্যায়ভাবে বাদী হিসেবে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে অবস্থায় উনাকে বেশি দিন অতিবাহিত করতে হয়নি।

কিতাবে উল্লেখ করা হয়,

حَضْرَتْ ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ هِيَ جَارِيَةُ عَمِّه أَبِـيْ لَـهَبٍ وَقَدْ أَعْتَقَهَا حِيْنَ بَشَّرَتْهُ بِوِلَادَتِه صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ: সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম তিনি আবু লাহাবের অধীনে ছিলেন। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সুসংবাদ মুবারক তিনি আবু লাহাবকে দেয়ায়, সে উনার স্বাধীনতা ঘোষণা করে। (সীরাতে হালাবিয়্যাহ)

এ প্রসঙ্গে আরো উল্লেখ্য যে, বিশ্বখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা হযরত ইয়াকুব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘তারিখু ইয়াকুবী’ গ্রন্থের ১ম খ-, ৩৬২ পৃষ্ঠায় লিখেন-

قَالَ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَيْتُ اَبَا لَـهَبٍ فِـى النَّارِ يَصِيْحُ الْعَطَشَ الْعَطَشَ فَيُسْقٰى مِنَ الْـمَاءِ فِـىْ نَقْرِ اِبـْهَامِه فَقُلْتُ بِـمَ هٰذَا فَقَالَ بِعِتْقِىْ ثُوَيْبَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ لِاَنَّـهَا اَرْضَعَتْكَ.

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি আবু লাহাবকে দেখেছি জাহান্নামের আগুনে নিমজ্জিত অবস্থায় চিৎকার করে বলছে, পানি দাও! পানি দাও!! অতঃপর তার বৃদ্ধাঙুলীর গিরা দিয়ে পানি পান করানো হচ্ছে। আমি বললাম, কি কারণে এ পানি পাচ্ছো? আবু লাহাব বললো, আপনার মহাসম্মানিত বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে আজাদ ঘোষণা করার কারণে এই ফায়দা পাচ্ছি। কেননা তিনি আপনাকে দুধ মুবারক পান করিয়েছেন।”

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার হায়াত মুবারক সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে যে,

كَانَتْ حَضْرَتْ ثُوَيْبَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ تَدْخُلُ عَلٰى رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَمَا تَزَوَّجَ حَضْرَتْ خَدِيْـجَةَ عَلَيْها السَّلَامُ فَيُكْرِمُهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتَكْرِمُهَا حَضْرَتْ خَدِيْـجَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ

অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নিসবাতে আযীমাহ শরীফ সম্পন্ন হওয়ার পরও সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত মুবারকে আসতেন। নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনারা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম উনাকে অত্যধিক তা’যীম-তাকরীম মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ। (আল ওয়াফা বিআহওয়ালে মুস্তফা)

অর্থাৎ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম তিনি পবিত্র মক্কা শরীফেই অবস্থান মুবারক করতেন। তিনি প্রায়ই নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক রাখতেন এবং হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম উনার সার্বিক বিষয়ে আনজাম দিতেন।

‘মাদারেজুন নুবুওওয়াত’ কিতাবে উল্লেখ রয়েছে, “সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি ছাহাবীগণ উনাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দুধ মুবারক পান করানোর কারণে তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে যথাযথভাবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দুধ মাতা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার জন্য পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে খাদ্য, কাপড়-চোপড় ও অন্যান্য সামগ্রী মক্কা শরীফ-এ হাদিয়া স্বরুপ পাঠাতেন।” সুবহানাল্লাহ!

বলা বাহুল্য যে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম উনাকেও দুধ মুবারক পান করিয়েছেন। একইভাবে তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস্ সাদিসাহ আলাইহাস সালাম উনার প্রথম আহাল হযরত আবূ সালামাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেও দুধ মুবারক পান করিয়েছেন। এই জন্য নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং উনার সম্মানিত চাচা সাইয়্যিদুশ শুহাদা হযরত হামযা আলাইহিস সালাম এবং হযরত আবূ সালামাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা পরস্পর দুধ ভাই ছিলেন।

সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক নিয়ে কিতাবে বিভিন্ন মত উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রাধান্যপ্রাপ্ত মতে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম তিনি খায়বার জিহাদের পর এবং পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পূর্বে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। কেননা, পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের দিন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বীয় প্রথম দুধ মাতা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম এবং দুধভাই হযরত মাসরূহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের খোঁজ করছিলেন। তখন উনাকে বলা হলো, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। এমনকি উনার নিকট আত্মীয়-স্বজন কেউ যমীনে অবশিষ্ট নেই।

উল্লেখ্য যে, অত্র কলামে সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন হযরত ছুয়াইবিয়া আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করা হলো। অতিশীঘ্রই মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ গবেষণা কেন্দ্র হতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা নিয়ে বিশেষ কিতাব প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ!

খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ছহিবে ছমাদ, ছহিবে সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, মামদূহ মুরশিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উছীলায় সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হযরত ছুয়াইবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মুবারক শানে আরো বেশি বেশি জানার এবং উনার প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

-ইমাদুদ্দীন আহমদ

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম