সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার বেমেছাল সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক

সংখ্যা: ২৭৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

وَاللهُ يَـخْتَصُّ بِرَحْـمَتِهٖ مَنْ يَّشَآءُ وَاللهُ ذُو الْفَضْلِ الْعَظِيْمِ.

অর্থ: “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা স্বীয় রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাকে আখাছ্ছুল খাছভাবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী। সুবহানাল্লাহ! নিমোক্ত সম্মানিত ওয়াক্বেয়াহ মুবারকসমূহ উনার সেই সম্মানিত শ্রেষ্ঠত্ব মুবারক উনার বহি:প্রকাশ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

(১)

পৃথিবীর ইতিহাসে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনিই একমাত্র সেই সুমহান ব্যক্তিত্ব মুবারক, যিনি অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল মুবারক জারী করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “আমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে দুনিয়ার যমীনে তো অবশ্যই; হায়াতে-মউতে, কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে-পুলছিরাতে এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারক উনার মধ্যে যেয়েও অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো এবং সম্মানিত জান্নাত মুবারকসহ সমস্ত কায়িনাতকে সুসজ্জিত করবো।” সুবহানাল্লাহ!

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার এই সম্মানিত ‘আমল মুবারক-এ খুশি হয়ে স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, মাহবূব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা উনাকে এক আখাছ্ছুল বিশেষ মাক্বামত মুবারক হাদিয়া মুবারক করেছেন। যেটা কায়িনাতের বুকে দ্বিতীয় আর কাউকে হাদিয়া মুবারক করা হয়নি। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!

এ প্রসঙ্গে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ১১ই ছফর শরীফ ১৪৪০ হিজরী শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (লাইলাতুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ) বিশেষ মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

تَـخَلَّقُوْا بِاَخْلَاقِ اللهِ.

অর্থ: “তোমরা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত চরিত্র মুবারক-এ চরিত্রবান হও।” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল মা‘য়ানী ১৫/৩৯৫)

সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার আলাদা একটা মাক্বাম মুবারক আছে। সুবহানাল্লাহ! এই মাক্বামটা খাছ যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার অধীনে মাক্বামটা। এটা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একদম হাক্বীক্বী নিসবত-কুরবতের মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ! এক/দেড় সপ্তাহ আগে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে নিয়ে গেছেন ঐ জায়গায়। ঐ মাক্বামে (মহান আল্লাহ পাক উনার ডান পাশে) একটা বড় আসন আছে। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ঐ আসন মুবারক-এ নিয়ে বসিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনি যে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেন। এজন্য আপনাকে এটা হাদিয়া মুবারক করা হলো।’ সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আছেন। আমরা যে অনন্তকালব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ জারী করেছি। আমরা যে বলি, হায়াতে-মউতে, কবরে, হাশরে-নশরে, মীযানে-পুলছিরাতে, জান্নাতে যেয়ে অনন্তকাল যাবৎ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করবো। জান্নাত সুসজ্জিত করবো, সমস্ত কায়িনাত সুসজ্জিত করবো, সবকিছু সুসজ্জিত করবো ইত্যাদি ইত্যাদি। তিনি খুশি হয়ে বললেন, এজন্য আপনাকে এই মাক্বামটা হাদিয়া মুবারক করা হলো। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ পাক উনার একটা খাছ মাক্বাম যা, উনার অধীনেই সম্মানিত মাক্বামটা। সুবহানাল্লাহ! অনেক বিরাট একটা আসন। এটা সর্বোচ্চ একটা মাক্বাম। বলা হয় যে, আবদিয়াতের মাক্বাম হচ্ছে সর্বোচ্চ মাক্বাম। তার চেয়ে সর্বোচ্চ হচ্ছেন এই মাক্বামটা। এটা যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিসবত মুবারক উনার মাক্বাম।” সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার সম্মানার্থে আমাদের সবাইকে অনন্তকালব্যাপী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালাইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!

(২)

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ১৪৪০ হিজরী শরীফ উনার ১১ই রবীউছ ছানী শরীফ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার মাহফিল মুবারক-এ ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি স্বপ্নের মধ্যে দেখতেছি, একটা বিরাট বালাখানা, বাড়ি। সামনে অনেক বড় জায়গা। সামনে জায়গার মধ্যে সবুজ ঘাস। ওখানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি অবস্থান মুবারক করতেছেন। উনি কিছু একটা করতেছেন। আমিও কাছে বসা। আর বাইরের একটা লোক আছে। আমার মনে হচ্ছে, এরকম বিষয়টা যে, সামনে মাঠ আর পিছনে বাড়িটা। অনেক বড় বাড়ি! অনেক বড় বাড়ি! অনেক বড় পর্দা ঝুলতেছে। মনে হচ্ছে এরকম যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমরা নতুন না, আগের থেকে আমরা এখানে আছি, উনার সাথে অবস্থান করতেছি। সুবহানাল্লাহ! ছিলাম, আছি এবং থাকবো- এরকম একটা ভাব। যাই হোক, তো কাজ হচ্ছে। উনি একটা কিছু করতেছেন। বাড়িটা পিছন দিকে, বাড়িতে অনেক বড় পর্দা ঝুলতেছে। এমন সময় পিছন থেকে একটা বাচ্চা মেয়ে হবে, হতে পারে সেটা সরাসরি আমার মেয়ে অথবা আমার মেয়ের মেয়ে এরকম। সাড়ে ছয় থেকে সাড়ে সাত বছর এরকম বয়স কমবেশি, কাছাকাছি। ঐ মেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রথম বললো যে, ‘চাচা’। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন- না, বলো ‘নানা’। আমিও বললাম যে, ‘নানা’ বলার জন্য। অতঃপর ‘নানা’ বলেছে। বললেন যে, এদিকে আসো। একটা লোক বাইরে বসা ছিলো। অনেক বড় এরিয়া। আমি লোকটাকে বললাম, তাহলে এক কাজ করেন, আপনি গেইটের বাইরে যান। পর্দার ব্যাপার আছে। লোকটাকে বাইরে দিয়ে আসলাম। আরেকজন সাথে আছেন মাহরামই। আসার পরে ক্বদম বুছি করার জন্য বললেন। ক্বদম বুছি তাহলে শুধু হাত দিয়ে? আমি বললাম না, শুধু হাত দিয়ে না। একদম নূরুদ দারাজাহ মুবারক একদম মুখ দিয়ে করতে হবে। আমি কতোক্ষণ করলাম, অনেকক্ষণ করলাম। তাদেরকে করালাম। যাই হোক, আমরা এখানে অবস্থান করতেছি। এরপরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বের হবেন। ঠিক আছে। আমি সাথে আসলাম। সাথে আসার পরে, এখন অনেক লোকজন দেখা করতে আসবে। তাহলে এভাবে কি করে সম্ভব? যাই হোক, অতঃপর কুদরতীভাবে একটা চেয়ারের ব্যবস্থা অর্থাৎ বড় একটা আসনের ব্যবস্থা হলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি ওখানে বসলেন। লোকজন আসতে থাকলো। আমি বললাম, লোক যারা আসছে, তোমরা ক্বদম বুছি করো। একদম পায়ের (নূরুদ দারাজাহ মুবারক উনার) তলে শুধু। ক্বদম মুবারক, নূরুদ দারাজাহ মুবারক উনার একদম নিচে ক্বদম বুছি করবে, উপরে না। যাই হোক, হাজার হাজার লোক আসতেছিলো। এর মধ্যে আমাদেরও অনেক লোক আছে। যাই হোক, এরা ক্বদম বুছি করে করে যাইতেছে। অনেক লোক হাজার হাজার, শত-সহ¯্র, অনেক লোক! যাই হোক, সেখানে এটা শেষ হলো। এরপরে আবার সামনে গেলাম। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি গেলেন, উঠলেন, সামনে গেলাম। ঐ আসন মুবারক-এ উনি বসা আছেন। তখন আবার অনেক লোক আসতে থাকলো- এদিক থেকে অর্থাৎ একদিক থেকে। আসতে থাকলো, আমি বললাম, তাহলে ঠিক আছে, কারণ এটা হলো শেষ ফায়ছালা। এই জায়গাটা ছিলো একটা স্বাভাবিক জায়গা। তার একদিকে ছিলো নিচু অর্থাৎ বাম দিক নিচু আর ডান দিক উঁচু এভাবে। আমি তাদেরকে বলেছি, তোমরা এক কাজ করো- অনেক লোক, আমাদের লোক, যাই হোক, অনেকে যারা আসছে, তাদেরকে বললাম, এসে ক্বদম বুছি করো আর যিয়ারত করো। করে সোজা সামনে গিয়ে ডান দিকে যাবে। ডান দিকে গেলে দেখবে বেহেস্ত আছে। ওখানে গিয়ে সবাই বেহেস্তে প্রবেশ করবে। হাজার হাজার, শত-সহস্র লোক আসতেছে আর বেহেস্তে প্রবেশ করতেছে। এরপরে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসছেন।

এরপরে আরো ঘটনা আছে। ওখান থেকে যখন আমরা আসলাম, আসার পরে আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে একটা কিছু বলতে চাইলাম। বলতে যখন চাইলাম, তখন উনি বললেন যে, ‘আরে তুমি তো আমার বেটা, অসুবিধা নাই।’ এরপরে ঘটনা শেষ হয়ে গেলো।

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মনে হচ্ছিলো যে, অনেক দিন ধরে। হারানোরও ভয় নাই, নতুন প্রাপ্তিও নাই। ছিলাম, আছি, থাকবো।

লোকজন যারা- তাদেরকে বলেছি, সবাই ক্বদম বুছি করবে, একদম নিচে যেন বুছা দেয়। নিচেই বুছা দিয়েছে সবাই। অনেক লোক! অনেক লোক! অতঃপর পরের জায়গায় যাওয়ার পর ওখানে অনেক লোক যারা ছিলো সবাই যিয়ারত করে করে যেতে থাকলো, সামনে রাস্তা ছিলো ডান দিকে একটু উঁচু। ডান দিকে গেলেই ওখানে বেহেস্ত আছে। বললাম, সবাই যেয়ে বেহেস্তে প্রবেশ করো।

হ্যাঁ, অনেকেরে আমি চিনি। নাম বলবো না কারো। অনেকেরে চিনি। অনেকে নতুন, অনেকে পুরান, উভয় প্রকার লোকই আছে। অনেক লোক! হাজার হাজার লোক। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি আছেন, লোক হবে এটাই তো স্বাভাবিক। অনেক ভিড়! এর মধ্যে লোকজন যাচ্ছে আস্তে আস্তে। প্রথমবারের মতো ক্বদম বুছি শেষ হয়েছে। প্রথমবার যখন শেষ হলো, তখন আরো লোক আসতে থাকলো। আরেকটু সামনে গিয়ে আরো প্রশস্ত জায়গা। একটা রাস্তার পাড়ে। ঐ রাস্তা দিয়ে ডান দিকে একটু গেলেই সেখানে জান্নাত।

যেখানে ছিলাম ঐখানে মনে হচ্ছে যে নতুন না। ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এক সাথেই আছি। সুবহানাল্লাহ! এখন যে যতোটুকু বুঝতে পারে।

ঐ বাড়িটা, অনেক বড় বাড়ি! এরিয়া, অনেক বড় এরিয়া! এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যাঁরা আছেন উনারা আছেন, উনাদের সাথে আমরাও আছি। বিষয়টা তো এরকম না যে, নতুন আছি। আবার যে সরে যেতে হবে এরকমও না। মনে হয়, ছিলাম, আছি, থাকবো।

এখন আমাদের অনেক লোক, প্রায় সব লোকই যারা আছে অনেককে দেখা গেছে। নাম বলবো না, কারো কথা আমি বলবো না। অনেক লোক আছে। আক্বীদাহ শুদ্ধ থাকলে তো কোনো সমস্যা নেই। আক্বীদাহ শুদ্ধ থাকলে তো ঠিকই আছে। আর আক্বীদায় গণ্ডগোল থাকলে তো সে আর নাজাত লাভ করতে পারবে না।

তখন, আমি দেখলাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি এতো সন্তুষ্ট, খুশি। সুবহানাল্লাহ! ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। কারণ, ভাষা দিয়ে সব বিষয় কখনো প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। উনি অত্যন্ত সন্তুষ্ট, খুশি। অনেক মুহব্বত করলেন। সুবহানাল্লাহ! আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমরা এদিকে যাই। উনার সাথে আমি বের হলাম। আমি বললাম, তাহলে একটা আসন দরকার। দেখলাম, একটা কুদরতী আসন যাহির হয়ে গেলো। তখন আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি তাশরীফ মুবারক নেন। উনি তাশরীফ মুবারক রাখলেন।

এক জাগায়, দুই জাগায়। আমি বললাম যে, লোকজন যিয়ারত করে, অতঃপর ক্বদম বুছি করুক। উনি খুব খুশি হলেন। সবটা বলি না বা বলতে পারি না। কারণ ভাষাগত আদবের ত্রুটি হয় কি না সেজন্য। পরে যখন আবার সামনে আসলাম, তখন বললাম, তাহলে তারা যিয়ারত করুক। (নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বললেন,) করুক। উনি খুব খুশি। আমি বললাম, তাহলে ঠিক আছে, যিয়ারত করে এরা এদিক দিয়ে চলে যাক। তখন আমি বললাম, এদিকে গেলেই অর্থাৎ সামনে ডান দিকে গেলেই সবাই জান্নাতে যাবে। উনি অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন। অনেক মুহব্বতে উনি বললেন। এটাতো ভাষা দিয়ে প্রকাশ করা যাবে না। এখন শেষে আমি যখন কিছু বলতে চাইলাম, তখন তিনি বললেন, ‘প্রয়োজন নাই তুমি তো আমার বেটা।’ সুবহানাল্লাহ ওয়া রসূলিহি ওয়া আহলি বাইতি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

সে অবস্থাটা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ভাষা দিয়া প্রকাশ করাটা আদবের খেলাফের মতো মনে হয়। আর সন্তুষ্টি মুবারক যে এতো বেশি এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।

আর যে আসছে, তাকেই যতক্ষণ ইচ্ছা বুছা দেওয়ার জন্য উনি ইখতিয়ার দিয়েছেন এবং খুব সন্তুষ্টি মুবারকের সাথে গ্রহণ করছেন।”

তাহলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুত্বহ্হার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনার কত বেমেছাল সম্মানিত তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। এক কথায় তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হাক্বীক্বী ছহীহ সমঝ, বিশুদ্ধ আক্বীদাহ ও হুসনে যন মুবারক দান করুন। আমীন!

-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন ইবনে ছিদ্দীক্ব।

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম