সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির সাইয়্যিদুনা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত আওলাদ ইবনু রসূলিল্লাহ, আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুল বাশার, সাইয়্যিদুল আসইয়াদ, আল মুবাশ্শির সাইয়্যিদুনা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম


মুবারক পরিচিতি:

নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদ আলাইহিমুস সালাম এবং আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা ছিলেন মোট আট জন। সম্মানিত বরকতময় বিলাদত শরীফ উনার ধারাবাহিকক্রমে উনাদের সম্মানিত নাম মুবারক হচ্ছেন, ১. সাইয়্যিদুনা হযরত ক্বাসিম আলাইহিস সালাম, ২. সাইয়্যিদুনা হযরত যায়নাব আলাইহাস সালাম, ৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বইয়িব আলাইহিস সালাম, ৪. সাইয়্যিদুনা হযরত ত্বাহির আলাইহিস সালাম, ৫. সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম, ৬. সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু কুলছুম আলাইহাস সালাম ৭. সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম এবং ৮. সাইয়্যিদুনা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম তিনিই শুধু উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়াহ ক্বিবতিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর অন্য সকল আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যেমে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

সাইয়্যিদুনা হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে ‘আর রবি তথা চতুর্থ। আর সম্মানিত আবনা’ আলাইহিমুস সালাম এবং সম্মানিত বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ‘আছ ছামিন তথা অষ্টম’। সুবহানাল্লাহ!

সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার পূর্বেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার পক্ষ থেকে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সুসংবাদ মুবারক হাদিয়া করেন:

এই সম্পর্কে সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلَا اُخْبِرُكَ يَا حَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّ حَضْرَتْ جِبْرِيْلَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَتَانِىْ فَاَخْبَرَنِـىْ اَنَّ الله عَزَّ وَجَلَّ قَدْ بَرَّاَ حَضْرَتْ مَارِيَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَقَرِيـبَهَا مِـمَّا وَقَعَ فِىْ نَفْسِىْ وَبَشَّرَنِـىْ اَنَّ فِىْ بَطْنِهَا غُلَامًا مّـِنّـِىْ وَاَنَّهٗ اَشْبَهُ الْخَلْقِ بِىْ وَاَمَرَنِىْ اَنْ اُسَمّـِىَ ابْنِىْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَكَنَّانِـىْ بِاَبِىْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَلَوْلَا اَنّـِىْ اَكْرَهُ اَنْ اُحَوّلَ كُنْيَتِى الَّتِىْ عُرِفْتُ بـِهـَا لَاكْتَنَيْتُ بِاَبِىْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ كَمَا كَنَّانِىْ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম, আমি কি আপনাকে এই সম্মানিত সুসংবাদ মুবারক দিবো না যে, নিশ্চয়ই আমার নিকট হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত ওহী মুবারক নিয়ে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। তিনি আমার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এই মুবারক সংবাদ পেশ করেছেন যে, নিশ্চয়ই যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়াহ ক্বিবতিয়াহ আলাইহাস সালাম উনাকে আমার সম্মানিত আখাচ্ছুল খাছ নৈকট্য মুবারক হাদিয়া করেছেন এবং আমাকে এই সুসংবাদ মুবারক হাদিয়া করেছেন যে, নিশ্চয়ই উনার সম্মানিত রেহেম শরীফ মুবারক-এ আমার একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত অবস্থান মুবারক গ্রহণ করছেন। (যিনি অতিশীঘ্রই সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করবেন।) আমার এই মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি সৃষ্টি জগতের মাঝে, সমস্ত মানুষের মাঝে আমার সাথে অধিকতর সদৃশ হবেন, সামঞ্জস্যপূর্ণ হবেন, আমার হুবহু অনুরূপ হবেন তথা আমার হুবহু নকশা মুবারক হবেন। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই সম্মানিত নির্দেশ মুবারক প্রদান করেছেন যে, আমি যেন আমার উক্ত সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক রাখি ‘হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম।’ সুবহানাল্লাহ! তিনি আমার সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক দিয়েছেন ‘আবূ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! আর আমি যেই সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক-এ পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছি, আমি যদি এটা পরিবর্তন করতে পছন্দ করতাম, তাহলে আমি অবশ্যই ‘আবূ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম’ সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক গ্রহণ করতাম। যেই সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে আমাকে হাদিয়া মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!” (ইবনে আসাকির, জামিউল আহাদীছ শরীফ ৩/৯১ এবং ২০/৪১০, কানযুল উম্মাল শরীফ ১১/৪৭১, ই’তিলালুল ক্বুলূব ২/৩৫৬, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ১৪/১১০, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ৯/৮৬ ইত্যাদি)

সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ

আশবাহুল খলক্বি বিরসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি ৮ম হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাসে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক-এ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলো একষট্টি বছর। সুবহানাল্লাহ!”

সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে মহান আল্লাহ পাক তিনি, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা, হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!:

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ لَمَّا وُلِدَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ ابْنُ النَّبِـىّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَتَاهُ حَضْرَتْ جِبْرِيْلُ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا اَبَا اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা ইবরাহীম ইবনু নাবিইয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ উপস্থিত হয়ে বলেন, আস সালামু আলাইকা ইয়া আবা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম, হে আবূ ইবরাহীম তথা ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত আব্বাজান, আপনাকে সালাম। সুবহানাল্লাহ!” (ইবনে মুন্দা, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১১/২১)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ اُمّ الْمُؤْمِنِيْنَ حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ لَمَّا وُلِدَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ جَاءَ بِهٖ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلَىَّ فَقَالَ انْظُرِىْ اِلٰى شَبَهِهٖ بِىْ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করলেন, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে আমার নিকট নিয়ে আসলেন। অতঃপর তিনি আমাকে উদ্দেশ্য মুবারক করে ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি আমার সাথে আমার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল সদৃশ মুবারক অবলোকন করুন! সুবহানাল্লাহ!” (ইবনে সা’দ ১/১০৯)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

رَوَى الْاِمَامُ اَحْمَدُ وَمُسْلِمٌ وَّابْنُ سَعْدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِيْنَ اَصْبَحَ فَقَالَ اِنَّهٗ وُلِدَ لِىْ فِى اللَّيْلَةِ وَلَدٌ وَّاِنّـِىْ سَـمَّيْتُهٗ بِاسْمِ اَبِىْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ

অর্থ: “আর ইমাম আহমদ, ইমাম মুসলিম এবং ইবনে সা’দ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণনা করেন। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, এক সম্মানিত বরকতময় সকালে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দয়া করে আমাদের মাঝে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক রাখলেন। অতঃপর তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, নিশ্চয়ই আজ এই মহাসম্মানিত রাতে আমার একজন সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন এবং আমি উনার নাম মুবারক রেখেছি আমার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নাম মুবারক-এ। অর্থাৎ আমি আমার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক রেখেছি ‘হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম।’ সুবহানাল্লাহ!” (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ফী সীরাতি খইরিল ইবাদ শরীফ ১১/২১)

সম্মানিত আক্বীক্বাহ মুবারক দেয়া এবং সম্মানিত নাম মুবারক রাখা

 وَوَلَدَتْ حَضْرَتْ مَارِيَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غُلامًا فَسَمَّاهُ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ. وَعَقَّ عَنْهُ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَاةٍ يَّوْمَ سَابِعِهٖ. وَحَلَقَ رَأْسَهٗ فَتَصَدَّقَ بِزِنَةِ شَعْرِهٖ فِضَّةً عَلَى الْمَسَاكِيْنِ. وَاَمَرَ بِشَعْرِهٖ فَدُفِنَ فِى الْاَرْضِ

অর্থ: “আর হযরত উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত মারিয়া ক্বিবতিয়া আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একজন সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করনে। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক রাখেন ‘সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম।’ সুবহানাল্লাহ! তিনি উনার সম্মানিত বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সপ্তম দিনে উনার পক্ষ থেকে একটি সম্মানিত বকরী দ্বারা সম্মানিত আক্বীক্বাহ মুবারক দেন। উনার সম্মানিত মাথা মুবারক মু-ন মুবারক করেন। তারপর সম্মানিত চুল মুবারক পরিমাপ করে সেই ওযন অনুযায়ী রূপা মিসকীনদেরকে দান করে দেন এবং উনার চুল মুবারক দাফন করার জন্য নির্দেশ মুবারক প্রদান করেন। অত:পর উনার সম্মানিত চুল মুবারকগুলো যমীনে দাফন মুবারক করা হয়।” সুবহানাল্লাহ! (ত্ববাক্বতে ইবনে সা’দ ১/১৩৫, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ ১১/২১)

অপর বর্ণনায় রয়েছে-

اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَقَّ عَنْهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بِكَبْشَيْنِ وَحَلَقَ رَأْسَهٗ.

অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার পক্ষ থেকে দুইটি সম্মানিত দুম্বা সম্মানিত আক্বীক্বাহ মুবারক দেন এবং উনার সম্মানিত মাথা মুবারক মু-ন মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ ১১/২১)

উনার সম্মানিতা দুধমাতা

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ مَا رَاَيْتُ اَحَدًا كَانَ اَرْحَمَ بِالْعِيَالِ مِنْ رَّسُوْلِ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مُسْتَرْضَعًا لَّهٗ فِىْ عَوَالِى الْمَدِيْنَةِ. فَكَانَ يَنْطَلِقُ وَنَـحْنُ مَعَهٗ. فَيَدْخُلُ الْبَيْتَ وَاِنَّهٗ لَيُدَّخَنُ وَكَانَ ظِئْرُهٗ قَيْنًا فَيَأْخُذُهٗ فَيُقَبّـِلُهٗ ثُـمَّ يَرْجِعُ.

অর্থ: “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পরিবার-পরিজনের প্রতি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে অধিক স্নেহ-মমতাবান কাউকে আমি দেখিনি। উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার আওয়ালী (উঁচু) মহল্লায় সম্মানিত দুধ মুবারক পানরত ছিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি (উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বত মুবারক-এ) সেখানে চলে যেতেন। আমরা উনার সাথে সেখানে যেতাম। তিনি ঘরে প্রবেশ করতেন; ঘরটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকতো। (কারণ) সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত দুধ পিতা তিনি ছিলেন একজন কর্মকার। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ, লখতে জিগার সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে (বেমেছাল মুহব্বত মুবারক-এ কোল মুবারক-এ) তুলে নিতেন এবং উনাকে চুমু মুবারক দিতেন। অতঃপর তিনি ফিরে আসতেন। সুবহানাল্লাহ!” (ইবনে সা’দ ১/১০৯, আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৩/৩৩১, মুসলিম, মিশকাত ইত্যাদি)

 সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ

 ইবনু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি দশম হিজরী শরীফ উনার সাইয়্যিদুশ শুহূর সম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ উনার ১০ তারিখ ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) শরীফ সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

মশহূর ও বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে, তিনি মাত্র ১৮ মাস দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!

উনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অজস্র ধারায় নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করা এবং উনার সম্মানিত কাফন মুবারক, সম্মানিত জানাযা উনার নামায মুবারক এবং উনাকে সম্মানিত রওজা শরীফ উনার মধ্যে রাখা:

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ لَمَّا قُبِضَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ ابْنُ النَّبِـىّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَـهُمُ النَّبِـىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُدْرِجُوْهُ فِىْ اَكْفَانِهٖ حَتّٰى اَنْظُرَ اِلَيْهِ فَاَتَاهُ فَانْكَبَّ عَلَيْهِ وَبَكٰى حتَّى اضْطَرَبَ لِـحْيَاهُ وَجَنْبَاهُ صلَّى الله عَلَيْهِ وسلَّم.

অর্থ: “হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি উনাকে না দেখা পর্যন্ত আপনারা উনাকে সম্মানিত কাফন মুবারক-এ জড়িয়ে দিবেন না। পরে তিনি এসে উনার উপর ঝুঁকে পড়লেন এবং উনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে সম্মানিত চক্ষু মুবারক দিয়ে অজস্র ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করতে লাগলেন। এমনকি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত দাড়ি মুবারক এবং সম্মানিত গ-দ্বয় মুবারক কেঁপে উঠতে লাগল।” (ইবনে মাজাহ, তিরমিযী, বিদায়া-নিহায়াহ)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيْدَ بْنِ السَّكَنِ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا قَالَتْ لَمَّا تُوُفّـِىَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ بَكٰى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنْتَ اَحَقُّ مَنْ عَلِمَ اللهَ حَقَّهٗ فَقَالَ تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيـَحْزَنُ الْقَلْبُ وَلَا نَقُوْلُ مَا يُسْخِطُ الرَّبَّ لَوْلَا اَنَّهٗ وَعْدٌ صَادِقٌ وَّمَوْعُوْدٌ جَامِعٌ وَّاَنَّ الْاٰخِرَ مِنَّا يَتْبَعُ الْاَوَّلَ لَوَجَدْنَا عَلَيْكَ يَا حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَجْدًا اَشَدَّ مِـمَّا وَجَدْنَا وَاِنَّا بِكَ يَا حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَحْزُوْنُوْنَ.

অর্থ: “হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ ইবনে সাকান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে অজ¯্র ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করেন। এমতাবস্থায় সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনারা বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার যথার্থ হক্ব ও অধিকার অনুধাবনে আপনিই সকলের অনুসরণীয়। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত চোখ মুবারক নূরুল মুহব্বত মুবারক যুক্ত, হৃদয় মুবারক ব্যথিত। আর আমরা এমন কিছু বলি না, যা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অসন্তুষ্ট করে। যদি না তা (সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক) বাস্তব অঙ্গীকার ও সমবেতকারী প্রতিশ্রুতি না হত এবং যদি না এমন হত যে, আমাদের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদের অনুসরন করবে, তবে অবশ্যই আমরা আপনার জন্য যত মর্মাহত হয়েছি, বেক্বারার হয়েছি, সম্মানিত মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করেছি তার চেয়ে অত্যধিক মর্মাহত হতাম, বেক্বারার হতাম, সম্মানিত মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করতাম। আর হে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম, আপনার (জুদায়ী মুবারক উনার) কারণে আমরা অবশ্যই দুঃখ ভারাক্রান্ত, চিন্তিত, পেরেশান।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম, ইবনে মাজাহ, ত্ববারণী, বিদায়া-নিহায়াহ)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে-

غَسَلَهُ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ وَرَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْعَبَّاسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ جَالِسَانِ ثُـمَّ حُمِلَ فَرَاَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى شَفِيْرِ الْقَبْرِ وَالْعَبَّاسُ عَلَيْهِ السَّلَامُ جَالِسٌ اِلٰى جَنْبِهٖ وَنَزَلَ فِىْ حُفْرَتِهِ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ وَاُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ.

অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপস্থিতি মুবারক-এ এবং উনার দিক-নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী) সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত গোসল মুবারক করার খিদমত মুবারক-এ আনজাম দেন হযরত ফযল ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়াল আনহু তিনি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম উনারা পাশে বসা ছিলেন। (বর্ণনাকারী তিনি বলেন,) অতঃপর উনাকে যখন বহন মুবারক করে উনার সম্মানিত রওজা শরীফ উনার নিকট নিয়ে যাওয়া হলো, তখন আমি দেখলাম যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত রওজা শরীফ উনার পাশে এবং সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম উনার পাশে বসা। হযরত ফযল ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এবং উসামা ইবনে যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা উনারা সম্মানিত রওজা শরীফ-এ অবতরণ মুবারক করেন।” (ইবনে সা’দ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ)

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ الله تَعَالى عَنْهُ قَالَ صَلَّى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ابْنِهٖ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَكَبَّرَ عَلَيْهِ اَرْبَعًا

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত জানাযা উনার নামায মুবারক চার তাকবীর উনার সাথে আদায় করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আমালী ১/৪৪১, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ৬/৩৩৫আল মাত্বালিবুল আলীয়াহ ৫/৪১০, মাজমাউ যাওয়াইদ শরীফ ৩/৫৪, কাশফুল খফা ১/৩১৩ ইত্যাদি)

আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

ثمَّ خَرَجَ وَرَشَّ عَلٰى قَبْرِهٖ وَاَدْخَلَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهٗ فِىْ قَبْرِهٖ فَقَالَ اَمَا وَاللهِ اِنَّهٗ لَنَبِىٌّ اِبْنُ نَبِىّ وَّبَكٰى رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وسلَّم وَبَكَى الْمُسْلِمُوْنَ حَوْلَهٗ حتَّى ارْتَفَعَ الصَّوْتُ ثُـمَّ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَدْمَعُ الْعَيْنُ وَيَـحْزَنُ الْقَلْبُ.وَلَا نَقُوْلُ مَا يُغْضِبُ الرَّبَّ وَاِنَّا عَلَيْكَ يَا حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَمَحْزُوْنُوْنَ.

অর্থ: “তারপর বের হয়ে এসে উনার সম্মানিত রওজা শরীফ উনার উপরে পানি মুবারক ছিটিয়ে দিলেন। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত রওজা শরীফ-এ সম্মানিত হাত মুবারক প্রবেশ করালেন। অতঃপর তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, সাবধান, মহান আল্লাহ পাক উনার কসম, নিশ্চয়ই (সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম) তিনি সম্মানিত নবী নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম উনার জন্য উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার জুদায়ী মুবারক উনার কারণে উনার সম্মানিত চক্ষু মুবারক দিয়ে অজ¯্র ধারায় সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রবাহিত করলেন এবং উনার সাথে সাথে সমস্ত হযরত ছাহাবা-ই কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও কান্না মুবারক করতে লাগলেন। এমন কি আওয়ায মুবারক উঁচু হয়ে গেলো। তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত চোখ মুবারক নূরুল মুহব্বত মুবারক যুক্ত, হৃদয় মুবারক ব্যথিত আর আমরা এমন কিছু বলি না যা মহান আল্লাহ পাক উনাকে অসন্তুষ্ট করে। হে হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম, আপনার (জুদায়ী মুবারক উনার) কারণে আমরা অবশ্যই দুঃখ ভারাক্রান্ত, চিন্তিত, পেরেশান।” (ইবনে আসাকির, বিদায়া-নিহায়া, কানযুল উম্মাল ইত্যাদি)

উনার সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিন সূর্য অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়া

সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَلْـمُغِيْرَةِ بْنِ شُعْبَةَ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ اِنْكَسَفَتِ الشَّمْسُ يَوْمَ مَوْتِ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَقَالَ النَّاسُ لِـمَوْتِ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ.

অর্থ: “হযরত মুগীরা বিন শু’বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের দিন সূর্য অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়েছিল। অর্থাৎ সূর্যও শোক প্রকাশ করেছিলো তথা সমস্ত ক্বায়েনাতই শোক প্রকাশ করেছিলো। তার বহিপ্রকাশ হলো সূর্যের মাধ্যম দিয়ে। তখন লোকেরা বলাবলি করতে লাগলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের কারণে সূর্য শোকাহত হয়েছে।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ )

 সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ উনাকে সম্মানিত দুধ মুবারক পান করানোর জন্য সম্মানিত ধাত্রী মাতা রয়েছেন (সুবহানাল্লাহ!)

 সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَلْبَرَاءِ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ لَمَّا مَاتَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ لَهٗ مُرْضِعًا فِى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একজন সম্মানিতা ধাত্রী মাতা রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!” (বুখারী শরীফ)

অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

فَلَمَّا تُوُفّـِىَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلاَمُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اِبْنِىْ وَاِنَّهٗ مَاتَ فِى الثَّدْىِ وَاِنَّ لَهٗ لَظِئْرَيْنِ تُكْمِلَانِ رَضَاعَهٗ فِى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “যখন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন, তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি আমার সম্মানিত আওলাদ। তিনি দুধ মুবারক পান করা অবস্থায় সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ দুই জন সম্মানিতা ধাত্রী মাতা রয়েছেন। উনারা উনার দুধ মুবারক পান সম্পন্ন করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে সা’দ)

যদি তিনি দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করতেন তাহলে অবশ্য অবশ্যই তিনি নবী ও রসূল হিসেবে প্রকাশিত হতেন, উনার সম্মানিত নুবুওওয়াতী শান মুবারক প্রকাশ পেতেন (সুবহানাল্লাহ)

 এই সম্পর্কে সম্মানিত ছহীহ সনদ মুবারক-এ অনেক সম্মানিত হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। যেমন ‘ছহীহ বুখারী শরীফসহ আরো অন্যান্য বিশুদ্ধ হাদীছ শরীফ উনাদের কিতাব মুবারক’ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اِسْمَاعِيْلَ بْنِ اَبِىْ خَالِدٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ قَالَ قُلْتُ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ اَبِىْ اَوْفٰى رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ رَاَيْتَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمَ ابْنَ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ؟ قَالَ مَاتَ وَهُوَ صَغِيْرٌ وَّلَوْ قُضِىَ اَنْ يَّكُوْنَ بَعْدَ سَيّـِدِنَا مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِىٌّ لَعَاشَ ابْنُهٗ وَلٰكِنْ لَّا نَبِىَّ بَعْدَهٗ

অর্থ: “হযরত ইসমাঈল ইবনে আবূ খালিদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললাম, আপনি কি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে দেখেছেন? তিনি বললেন, (হ্যা, দেখিছি।) সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি অল্প বয়স মুবারক-এ সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন। যদি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর নবী হওয়ার (নবী ও রসূল হিসেবে প্রকাশ হওয়ার) কোন (কুদরতী) ফায়সালা থাকত, তাহলে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু ফায়সালাতো হচ্ছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর আর কোন নবী হবেন না, কেউ নবী হিসেবে প্রকাশ হবেন না। (তাই সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি অল্প বয়স মুবারক-এ সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন) সুবহানাল্লাহ!” (বুখারী শরীফ, ইবনে মাজাহ, আল মুখতাছার, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ)

আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ الله تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ عَاشَ حَضْرَتْ اِبْرَاهِيْمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ لَكَانَ صِدّيْقًا نَّبِيًّا

অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যদি সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ না করে দুনিয়ার যমীনে অবস্থান মুবারক করতেন, তাহলে তিনি অবশ্য অবশ্যই صِدّيْقًا نّبِيًّا ছিদ্দীক্ব শ্রেণীর নবী তথা আমার পরিপূর্ণ ক্বায়িম মাক্বাম নবী ও রসূল হিসেবে প্রকাশিত হতেন। সুবহানাল্লাহ!” (সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ শরীফ ১১/২৫, মুসনাদে আহমদ)

 সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানার্থে ক্বিবতী উনাদের জন্য সম্মানিত ওয়াছীয়ত মুবারক

 সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

عَنْ حَضْرَتْ اُمّ الْـمُؤْمِنِيْنَ اُمّ سَلَمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَوْصٰى عِنْدَ وَفَاتِهٖ فَقَالَ اَلله الله فِىْ قِبْطِ مِصْرَ فَاِنَّكُمْ سَتَظْهَرُوْنَ عَلَيْهِمْ فَيَكُوْنُوْنَ لَكُمْ عُدَّةً وَّاَعْوَانًا فِىْ سَبِيْلِ اللهِ

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মে সালামা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার সময় সম্মানিত ওছীয়ত মুবারক করে ইরশাদ মুবারক করেন, আপনারা মিশরের ক্বিবতী উনাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করুন। আপনারা মিশরের ক্বিবতী উনাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করুন। নিশ্চয়ই আপনারা অতিশীঘ্রই উনাদের উপর বিজয়ী হবেন তথা আপনারা মিশর জয় করবেন। তখন উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় আপনাদের জন্য আয়োজনকারী ও সাহায্যকারী হবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর লিইমাম ত্ববারনী ১৭/১০০, আত তাওদ্বীহ ১৮/৫৮৮, মাজমাউয যাওয়ায়িদ ১০/৬৩, জামিউল আহাদীছ ৬/৯১, কানযুল উম্মাল ১২/৬৬, আল মাত্বালিবুল আলীয়াহ ১৭/১৫৪, জামউল ফাওয়ায়িদ ৪/২৭, আল খছাইছুল কুবরা ২/১৭১, সুবুলুল হুদা ওয়ার রশাদ ১০/৭৭ ইত্যাদি)

মহান অল্লাহ পাক তিনি মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উছলীয় আমাদের সবাইকে ইবনু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক জানার, বুঝার, উপলব্ধি করার তাওফীক্ব দান করুন এবং উনার সম্মানিত তা’যীম-তাকরীম মুবারক করার, সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়ার ও সম্মানিত ছানা-ছিফত মুবারক করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।


-আল্লামা মুহম্মদ ছিদ্দীকুর রহমান

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম