সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৫১তম সংখ্যা | বিভাগ:

يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের ইবাদত মুবারক হবে তাদের সমস্ত ইবাদত বা আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

তাফসীর: যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা উনার অসীম ফদ্বল, রহমত, ও ইহসান মুবারক প্রকাশ ও প্রদানের উপলক্ষই হলেন উনার যিনি প্রিয়তম ও শ্রেষ্ঠতম নবী ও রসূল, যিনি সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, ইমামুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরুম মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, উনার জন্যেই সমস্ত খুশি প্রকাশ করতে হবে এবং উনারই সর্বোচ্চ ছানা-ছিফত মুবারক করতে হবে। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কতিপয় ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এক স্থানে বসে (অতীতের হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে) আলোচনা করছিলেন। এ সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের নিকটবর্তী স্থানে পৌঁছে উনাদের কথাবার্তা বা আলোচনাগুলি শুনলেন। উনাদের একজন বলেছিলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনাকে খলীল হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আরেকজন বলেছিলেন, হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি এমন মর্যাদাসম্পন্ন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন। অপর একজন বলেছিলেন, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি হলেন কালীমাতুল্লাহ ও রূহুল্লাহ এবং আরেকজন বলেছিলেন, হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি ছফিউল্লাহ বানিয়েছেন অর্থাৎ উনাকে নিজ কুদরতী হাত মুবারকে সৃষ্টি করেছেন। সুবহানাল্লাহ!

এমন সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে বললেন: আমি আপনাদের কথাবার্তা-আলোচনা শুনেছি এবং আপনারা যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তাও আমি জেনেছি। নিশ্চয়ই হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তিনি যে খলীলুল্লাহ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার খলীল; ইহা সত্যই। হযরত মূসা কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যে সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কথা বলেছেন; ইহাও সত্য কথা। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি যে রূহুল্লাহ ও কালীমাতুল্লাহ; ইহাও সত্য। এবং হযরত আদম আলাইহিস সালাম তিনি যে মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত ছিলেন অর্থাৎ উনাকে নিজ কুদরতী হাত মুবারকে সৃষ্টি করেছেন; ইহাও সম্পূর্ণ সত্য।

সাবধান! আমার সম্পর্কে আপনারা জেনে রাখুন, আমি হলাম হাবীবুল্লাহ অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এতে আমার কোনো ফখর নেই। ক্বিয়ামতের দিন প্রশংসার পতাকা আমার হাত মুবারকে থাকবে আর উক্ত পতাকার নিচে হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিসহ অন্যান্য সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অবস্থান করবেন। এতেও আমার কোনো ফখর নেই। ক্বিয়ামতের দিন আমিই হবো সর্বপ্রথম শাফায়াতকারী এবং সর্বপ্রথম আমার সুপারিশই কবুল করা হবে। এতেও আমার কোনো ফখর নেই। এছাড়া আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজায় কড়া নাড়া দিবো, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার জন্য তা খুলে দিবেন এবং আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর তখন আমার সাথে থাকবেন কতিপয় আল্লাহওয়ালা মু’মিন-মুসলমান। এতেও আমার কোনো ফখর নেই। সর্বোপরি আমিই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের চেয়ে সম্মানিত। এতেও আমার কোনো ফখর নেই।”

অপর এক রিওয়ায়েতে হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ক্বিয়ামতের দিন আমিই হবো সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্বায়িদ (পরিচালক)। এতেও আমার কোনো ফখর নেই এবং আমিই সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের আগমনের সিলসিলা সমাপ্তকারী। এতেও আমার কোনো ফখর নেই।”

অতএব, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, মীলাদ শরীফ, মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে মাহফিলের ইন্তিজাম করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করে খুশি প্রকাশ করতে হবে। উদ্বৃত আয়াত শরীফ উনার দ্বারা সেই আদেশ মুবারকই করা হয়েছে।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী