সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদুয যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-৪৯ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৭৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

ভারতে মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা (২)

 

পবিত্র আজমীর শরীফে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো। কাফির মুশরিকদের প্রকাশ্য শত্রুতা ও বিরোধিতা বন্ধ হলো। কিন্তু অনেকে গোপনে ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার কাজে লিপ্ত রইল। অর্থ ও ক্ষমতার লোভ দেখিয়ে মুসলমানদের ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে সর্বদা তৎপর ছিল। এ কাজে গরীব কাফের-মুশরিকদের ব্যবহার করতো। নাউযুবিল্লাহ!

একদিন সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার পবিত্র দরবার শরীফে বসে আছেন। আলিম-উলামা, পীর-মাশায়িখ, ছূফী-দরবেশ সবাই উনার ছোহবত মুবারকে বসা ছিলেন। এমন সময় খাদিম ছাহেব এসে বললেন, হুযূর! বেয়াদবী ক্ষমা চাই। একজন মুসাফির, আপনার সাক্ষাৎ মুবারক প্রার্থনা করেছেন। আপনার মুবারক অনুমতির অপেক্ষায় অপেক্ষমান। তিনি অনুমতি দিলেন। বললেন, ভিতরে নিয়ে আস। আগুন্তুক ব্যক্তি অত্যন্ত আদব-ইহতিরামের সাথে ভিতরে প্রবেশ করলো। সবিনয়ে সালাম জানিয়ে, উনার পাশে বসার অনুমতি চাইলো। তিনি অনুমতি দিলেন। সে পাশে বসে সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মুবারক শানে অত্যন্ত সুললিত কণ্ঠে কাছীদা শরীফ পাঠ করা শুরু করলো। সবাই তার কাছীদা শরীফ শুনে খুবই মুগ্ধ হলেন।

কাছীদা শরীফ পাঠ শেষ হলো। সে বলতে লাগলো- হুযূর! আমার অনেকদিনের আকাঙ্খা ছিলো, আপনার পবিত্র কদম মুবারকে বুছা (চুম্বন) দিব। আমার জীবন ধন্য করবো। দীর্ঘদিনের লালিত এ আশা আজ পুর্ণ হতে চলেছে। অধম গুনাহগারের দোয়া মহান আল্লাহ পাক তিনি কবুল করেছেন। হুযূর! অনুমতি দিলে এ অধম আপনার ক্বদম মুবারকে বুছা দিয়ে তার জীবনের সফলতা খুঁজে পাবে।

আগুন্তকের মধুমিশ্রিত কথা, আদব-শরাফত দেখে উপস্থিত সবাই তার প্রতি আকৃষ্ট হলেন। সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

কিন্তু সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি ব্যতিক্রম। তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “তোমার এসব অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে সময় নষ্ট করার কি প্রয়োজন? সময়ের মূল্য অনেক।

কাজেই, তোমার জামার আস্তিনের ভিতর থেকে ছুরি বের করে, তোমার আসল উদ্দেশ্য সফল করে চলে যেতে পারো। একথা শুনে উপস্থিত সবাই স্তব্ধ, নির্বাক। আর আগুন্তুক থরথর করে কাঁপতে লাগলো। জামার আস্তিনে লুকায়িত ছুরিটি মাটিতে পড়ে গেল। সে সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বদম মুবারকে লুটিয়ে পড়লো। বারবার ক্ষমা প্রার্থনা করতে লাগলো। বললো, হুযূর! বেয়াদবী ক্ষমা চাই। আমার এক প্রতিবেশী, সে বিশাল ধন-সম্পদের মালিক। সে আমাকে তার বাড়ীতে ডেকে নিয়ে অনেক অর্থ-সম্পদের লোভ দেখায়। কিন্তু আমি তাকে যতবারই বলেছি যে, আমার দ্বারা এ কাজ কিছুতেই সম্ভব নয়। তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার মকবুল বান্দা। ততবারই সে আমাকে অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এক পর্যায়ে আমি নফসের কাছে পরাস্ত হয়ে যাই। আমার হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। ফলে এ নিকৃষ্ট কাজে রাজি হই। নাউযুবিল্লাহ্!

হুযূর! আমি জানি, এ কাজের শাস্তি একমাত্র মুত্যুদণ্ড। কাজেই, আমার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করুন। আমার কৃতকর্মের শাস্তি হয়ে যাক।

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি তিনি বললেন, আমি তোমার কাছে তোমার প্রেরিত ব্যক্তির নাম জানতে চাই না। তবে তুমি তাকে বলে দিও যে, আমি তাকেও ক্ষমা করে দিয়েছি। তোমার কোন ভয় নেই। তুমি যেখান থেকে এসেছ সেখানে চলে যেতে পারো। লোকটি সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ক্বদম মুবারকে লুটিয়ে পড়লো। উনার উদারতা দেখে কেঁদে কেঁদে বললো, হুযূর! আমি তওবা করেছি। আপনি দয়া করে আমার তওবা কবুল করুন। আজীবন আপনার খিদমত করার তাওফীক দিন। আমি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।

দয়ার সাগর সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি তাকে ক্ষমা করতঃ খাদিমরূপে কবুল করলেন। ইবাদত-বন্দেগী, যিকির-ফিকির, রিয়াদ্বত-মাশাক্কাত করতঃ উঁচু স্তরের ওলীআল্লাহ হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ্!

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৪

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৫

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৬

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৭