সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-২৯ (বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)

সংখ্যা: ২৫৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সিস্তানে অবস্থান

 

কুতুবুল মাশায়িখ, সুলতানুল হিন্দ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “পরে আমি আমার প্রাণ প্রিয় মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সাথে আউশ হতে সিস্তানের দিকে রওয়ানা হলাম। শহরের নিকটবর্তী হয়ে দেখতে পেলাম, এক ইবাদতখানায় একজন বুযুর্গ ব্যক্তি বাস করছেন। ঐ বুযুর্গ ব্যক্তিত্বের নাম হযরত সদরুদ্দীন মুহম্মদ সিস্তানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। তিনি একজন উঁচু তবকার অলীআল্লাহ ছিলেন। আমরা কয়েকদিন উনার খানকা শরীফে অবস্থান করলাম। দেখতে পেলাম যে, যারা উনার খানকা শরীফে আসেন তারা কেউই খালি হাতে ফিরে যান না। গইবী বা অদৃশ্য জগত থেকে সেই ব্যক্তির কাঙ্খিত বিষয়বস্তু এনে তাকে দেয়া হতো। বলা হতো এ দরবেশকে পবিত্র ঈমান সুরক্ষার জন্য দোয়ার মাধ্যমে উনাকে স্মরণ করবে। কেননা যে ব্যক্তি সম্মানিত ঈমান উনাকে সহ কবরে প্রবেশ করতে পারবে সে ব্যক্তি ধন্য বা কামিয়াব হবে

আমরা লক্ষ্য করলাম তিনি যখন কবরের কথা বলছিলেন তখন তিনি বাঁশপাতার মত কাঁপতেছিলেন। আর চোখ মুবারক হতে অশ্রুধারা প্রবাহিত হচ্ছে। মনে হচ্ছিল যে, উনার চোখ মুবারক যেন ঝর্ণাধারা। উনার সেই কান্না সাত দিন পর্যন্ত চলতে থাকলো। তারপর চোখ খুলে খোলা বাতাসে দাঁড়িয়ে থাকতেন। উনার এরূপ অবস্থা দেখে আমাদেরও কান্না আসলো।

যখন ঐ জগত হতে তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতেন তখন বলতেন, “হে লোকসকল! মৃত ব্যক্তিকে মাটির নীচে যখন রাখা হয় তখন কবরের মধ্যে যাদের আগমন ঘটে তাদের ভয়ঙ্কর রূপ ও আচরণ যদি তোমরা দেখতে পেতে তাহলে ভয়ে নিমক পানি হয়ে যাওয়ার মতো তোমাদের অবস্থা হতো।”

তারপর তিনি নিম্নোক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করলেন:

একবার আমি বসরায় এক বুযূর্গকে দেখেছিলাম। তিনি বেশিরভাগ সময় মুরাকাবায় বা ধ্যানে নিমগ্ন থাকতেন। আমি উনার সাথে একদিন একটি কবরের পাশে বসেছিলাম। ঐ বুযুর্গ ব্যক্তি কাশফের অধিকারী ছিলেন। তিনি উনার কাশফ দ্বারা জানতে পারলেন যে, উক্ত কবরে অবস্থানকারী ব্যক্তির উপর কঠিন আযাব চলছে। ঐ দৃশ্য দেখে তিনি তাকবীর (আল্লাহ আকবার) বললেন এবং দুনিয়া ত্যাগ করে মহান আল্লাহ পাক উনার দীদার মুবারকে চলে গেলেন। যেমন- লবণ গলে পানি হয়ে যায়।

“যেমন ভয়-ভীতির ছাপ আমি ঐ বুযুর্গের চোখে মুখে দেখেছিলাম তেমনি ভয়-ভীতির ছাপ আমি আজ পর্যন্ত অন্য কারো মাঝে দেখিনি। আর কারো নিকট শুনতেও পাইনি।

অতঃপর বললেন, “আমি কবরের আযাবের ভয়ে সকলের নিকট হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী বসবাসকে লাযিম করে নিয়েছি। ৩০ বছর পর আজ তোমার সাথে কথা বললাম এবং এ ঘটনা বর্ণনা করলাম।

হে বন্ধুবর! সাধারণ লোকদের সাথে চলে সময় নষ্ট করার চেয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির-ফিকির, মুরাকাবা-মুশাহাদায় নিজেকে নিয়োজিত রাখা শ্রেষ্ঠ হতে শ্রেষ্ঠতর। কেননা যতক্ষণ একজন দরবেশ মানুষের সাথে কথা বলবে ঠিক ততক্ষণই সে মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে গাফিল বা বিচ্ছিন্ন হতে থাকবে।

কাজেই, সাধারণ মানুষের নিকট হতে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাদের ছোহবত বা সংস্পর্শ হতে দূরে থাকবে। মঞ্জিলে মাকছুদের দিকে নিজের চলার পথকে সবসময় কন্টকমুক্ত রাখবে। চলার পথের ধারা ও গতির দিকে নজর রাখবে যাতে চলার গতির মধ্যে কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে।

আমাদের যে শেষ দিনটি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে সেই দিনের জন্য আমাদের সম্মানিত ঈমানকে ছালামত তথা বিশুদ্ধ রাখতে হবে। যাতে ঐদিন আমরা একটি সুন্দর ও পরিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট হাজির হতে পারি।

এরপর তিনি আমার হাতে দুটি খোরমা তুলে দিয়ে ঐ স্থান হতে উঠে চলে গেলেন। তারপর উনার কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো। দেখলাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সান্নিধ্যে বিলীন হয়ে আছেন। (দলীলুল আরেফীন, পৃষ্ঠা ১৬,১৭)

দামেস্কে অবস্থান

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সাথে সিস্তান ত্যাগ করলেন। পরবর্তী মঞ্জিলের দিকে পথ চলতে লাগলেন। উনাদের পরবর্তী গন্তব্যস্থল ছিলো দামেস্ক। এ ছফর সম্বন্ধে সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: একবার আমার মুর্শিদ ক্বিবলা হযরত খাজা উসমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি, শায়েখ আহমদ উদ্দীন কিরমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং আমি, মদীনা মুনাওওয়ারা শরীফ উনার দিকে যাচ্ছিলাম। পথ চলতে চলতে আমরা দামেস্ক শহরে পৌছলাম। দামেস্কে মসজিদের সামনে ১২০০০ হযরত আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম উনাদের রওজা শরীফ বিদ্যমান রয়েছে। এখানকার লোকজন তাদের প্রয়োজনের কথা ঐসব রওজা শরীফসমূহে গিয়ে ব্যক্ত করে। আমরা রওজা শরীফ যিয়ারত করলাম এবং ঐ স্থানে বুযুর্গদের সাথে সাক্ষাৎ মুবারক করলাম।

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দাওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আযম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৩

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফদ্বালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৪

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৫

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৬

ওলীয়ে মাদারজাদ, মুসতাজাবুদ্ দা’ওয়াত, আফযালুল ইবাদ, ছাহিবে কাশফ্ ওয়া কারামত, ফখরুল আওলিয়া, ছূফীয়ে বাতিন, ছাহিবে ইস্মে আ’যম, লিসানুল হক্ব, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, আমাদের সম্মানিত দাদা হুযূর ক্বিবলা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর স্মরণে- একজন কুতুবুয্ যামান-এর দীদারে মাওলার দিকে প্রস্থান-১৩৭