হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৫১

সংখ্যা: ২৬৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

মুবারক শাওওয়ালী বালাগাল,

হলেন উদয় মালামাল হয়ে কামিয়াবে উজাল।

দায়িমী উনার খ্যাতির ধ্বনি কায়িনাতে উত্তাল

তাই তো জানাই দস্তুর মোরা ত্বলায়াল ত্বলায়াল।

মকবুল আইয়্যামুল্লাহ রহেন উজ্বালা এ মাহের মাস্তুলে

স্মরণীয় বড় বরণীয় বেশে রহেন পাখনা মেলে।

আহসান সদা মহিয়ানে রয় এ মাহের গুলবাগে,

প্রতিটি দিবস রহেন সরস জান্নাতি অনুরাগে।

বিরল নিসবতে রহেন আযমতে নূরী গুলজারে অগ্রমান,

অবিরত কায়িনাত পুলকে দুলছে শাওওয়াল সুবহান।

পনের শতকি মুজাদ্দিদে আ’যম ইমামুল উমামী শিরে,

নিসবতে আযীম চমকে দায়িম রহমতি মঞ্জুরে।

নূরী নাক্বীবাতুল উমাম নিবরাসাতুল উমাম উনাদের খিদমতে

ওই নিসবতে আযীম হয়েই নায়িম পূর্ণ যে বারাকাতে।

এ মাহে রহেন আইয়্যামুল্লাহ নাজ নিয়ামত ভরপুরে,

তাই এ মাহে তাগুত রহে যে অযুত বিষণ্ন মজবুরে।

রহমতি মূল ইমামুর রসূল নিসবাতুল আযীম উনার,

করেন শাওওয়াল নূরী উদ্যান জুরী আলোকিত উপহার।

হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম,

একুশে শাওওয়াল আক্বদে কামাল ফেরদৌসি আঞ্জাম।

যবে হাজার হিজরী কুফরীযুক্ত পুরোটা বিশ্ব ব্যাপী,

যবে মুসলিম ক্বওম তাগুতী দাপটে বার বার উঠে ফাঁপি।

আহা যবে ভারতের মুসলমানেরা হচ্ছে দিশাহারা

যবে ইসলামী মশাল নিভাতে তাগুতের পায়তারা।

যবে সুন্নাহ নীতিকে নিস্তেজ তরে তাগুতেরা বলিয়ান,

তবে ইনসান হয়ে হয়রান রহিছে মোহে মূহ্যমান ।

হায় যবে মুসলিম নকীব বিহীন দিশেহারা পেরেশান,

যবে সম্পৃতি হলো দূর্গতি বনবাসে ধাবমান।

যবে সম্রাট আকবর সে নিজকে শ্রেষ্ঠ বলে,

দ্বীনে ইলাহীর প্রবর্তক হয়ে অহমিকা করে চলে।

দ্বীন ইসলামকে বলছে বাতিল কমবখত বেঈমান,

নিজকে নবী করছে দাবী লুফে নিতে খ্যাতিয়ান।

ওই উলামায়ে ‘সূ’ মোল্লা ফজল ফৈজির চাটুকারে,

ফুলে ফেপে রহে আকবর, দম্ভ শিখর চূড়ে।

হায় কঠিন বহুতর সৃষ্ট আকবর ফিতনা চরমকালে,

নয় শত একাত্তর হিজরী চৌদ্দ শাওওয়াল ধরণীর মঞ্জিলে।

ভারতবর্ষ পাঞ্জাব প্রদেশে সিরহিন্দ প্রান্তরে,

বদরুদ্দীন হলেন প্রকাশ ফারূক্বী নসব ঘরে।

করেন জাহির বিলাদতী শান আফযাললু আউলিয়া,

তিনি মুজাদ্দিদে আলফে ছানী বিজয়ী পতাকা নিয়া।

সেই সে নিদানে খোদা রহমানে পাঠান আপন নায়িব

এই ধরণী হতেই শিরিক কুফর করতে সমূলে গায়িব।

ইসলামী দ্বীন হলেন উড্ডীন পূনরায় পুরোপুরী,

আকবরী ফিতনা রইলো নিপাতে মিটে যায় মহামারী।

ফের পনের শতক হিজরী বুকেই কায়িনাত জুরে হায়,

কঠিন বিদআত কুফরী শিরিক বসুধায় ছেয়ে যায়।

আধুনিকতার ছোয়ায় জাগলো তাগুতী শক্তি ফুসে,

প্রগতির ভরে ডিজিটাল হয়ে দাবরায় খুব জোশে।

দ্বীন ইসলাম উনার জৌলুস ফের ঢেকে দিতে তোর জোর,

ওই উলামায়ে সূ ধুরন্দর সবে থাকে ইবলীসি দোর।

ওই ইহুদী নাছারা হিন্দু বৌদ্ধ নাস্তিক মুরতাদ,

এক হয়ে তারা চাচ্ছে করতে সুন্নাহকে বরবাদ। নাউযুবিল্লাহ!

আজিকার সব উলামায়ে ‘সু’ অথর্ব গুমরাহ মুনাফিকে,

তারা দ্বীন ইসলামকে চায় না রাখতে আর পৃথিবীর বুকে।

হাজার হাজার বাতিল ফিরকা ঢুকায়ে দ্বীন ইসলামে,

তারা মুসলিমদের ধোঁকায় রাখতে সচেতন হরদমে।

শিয়া খারিজী রাফিজী বাহাই তাবলীগ দেওবাদী,

লামাযহাবী সহ চুল্লা ফকীর বাউল যুগীরে বাঁধি।

তারা পয়সা দিয়েই মারছে আঘাত মুসলমানের শিরে,

মুসলিমী আক্বল করতে বিকল ভেজালে রাখছে জোরে।

কালিমা নামায হজ্জ ও যাকাত ছিয়াম ফিতির মাঝে,

প্রতারনা করে রাখে হেরফেরে কোন্দলখানি জুঝে।

ওই আকবরী ফিতনা হার যে মানে অধুনা ফিতনা দ্বারে,

রহে চরম কঠিন তাগুত গহীন পুরোটা ভূবন জুরে।

লুকোবার আর নেইকো জায়গা দেয়ালে পৃষ্ঠ ঠেকে,

ওগো রহমান মোদেরে বাঁচান মু’মিনীন কাঁদে ডেকে।

ওই খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক পূনরায় দয়া করে,

উনার হাবীবী খাছ আওলাদ ভেজেন ধরণী পরে।

তিনি আহলে বাইতি রসূল হয়েই দুনিয়ায় আগমন

হয় উনার উসীলায় গোটা কায়িনাতে রহমত বর্ষণ।

আজকে উনার তাজদীদ দিয়ে সচল দ্বীন ইসলাম

তিনি মুহিউদ্দীন ইমামুল উমাম কামিয়াবী আহকাম।

উনার জোরালো দ্বীপ্ত রোবেই হেনেস্থ মুশরিক।

উনার স্বচ্ছ ফায়িযেই জারি সুন্নাহ যে চৌদিক

আওয়াম মু’মিন নহে দিকহীন ফিরে পান হিম্মত,

মোরা ইনশাআল্লাহ দেখবো অচিরেই মুবারক খিলাফত।

-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৬

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৭

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৮

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৭৯