হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৩

সংখ্যা: ২৯০তম সংখ্যা | বিভাগ:

মাহে রবীউছ ছানী,

করে উহাতে খোদায়ী দস্তুরী দান মহাশানে প্রতিধ্বণি।

এলো স্মৃতিবিজড়িত শতধা কাহিনী জানাতে যে ক্বারীবান,

ওই দীক্ষা দাবীরে উতরায় তব শুনো হে মুসলমান।

তাই রবীউছ ছানী, নিয়ে রওশনী, ওই দেখ হাজিরান,

শুনো, গ্রহ বাস্তব, ছেড়ে তাণ্ডব, মুসলিমী সন্তান।

আমরা আমীর, রহি মহাবীর জজবাহী দানে জ্যোতিস্মান,

কে পারে মোদের করে দিতে লিন, পৃথিবীর ময়দান।

ওই রবীউছ ছানীর উনিশ তারিখে, কায়িনাতী উদ্যানে,

জাকজমকেই হচ্ছে গো ঈদ নিদ ভেঙ্গে প্রতিক্ষণে।

রহে আহলে বাইতি বাগেগুল জুড়ে খোশবুতে বেষ্টিত,

হয়ে নব নকশায়, নন্দজোগায়, উনিশে উজ্জিবীত।

নিবরাসাতুল উমাম, রহমে কারাম, লখতে জিগারে মুর্শিদী,

তিনি আহলে  বাইতি বেনজীর শান নূরুছ ছানী শাহযাদী।

জিন ইনসান মালায়িকা করেন পালন ওই দিবস,

রয়, ওধারা জারি, আবাদুল আবাদ গৌরবে সেই জস।

ফাতিহায়ে ইয়াজদাহম শরীফ ঘুরেই তাশরীফ পৃথিবীতে,

রইছেই ওই ইলাহী লালায় গুল্জারময় দিবসটি ইবারতে।

এলেন এগার রবীউছ ছানী জজবাহী বাণী মুসলিমী মোহনায়,

ওই ফের তন্দ্রাযুক্ত মুসলিম জাতি জাগাতে যে বসুধায়।

ওই সাইয়্যিদুল আউলিয়া গাউসুল আ’যম বড়পীর হযরত,

রেখে বিছালী শান করেন প্রকাশ এগারতে নিসবত।

তিনি পাঁচ শত হিজরীর গহীন জাহিলী নিস্তানাবুদ করে,

ওই জাগান আবার সুন্নী বাহার জগতে স্ববিস্তারে।

কঠিন কুফর শিরিক, আর মুনাফিক, বিদাতে সাইয়্যিয়াহগুলো,

ওই তাগুত পূজারী ছনছার করি সমূলে রাখেন ধুলো।

তিনি দুশমনে দ্বীন করতে বিলীন দীর্ঘজীবন ব্যাপী,

হক্বের মশাল রাখেন জালিয়ে শত্রু রাখেন কাঁপি।

সেই সময়ের সকল তাগুত তটস্থ হর রোজ,

ওই গাউসুল আযমী রোবের তপ্তে হারাচ্ছে খেই খেঁাজ।

উনার তরীক্বা বিশ্বব্যাপী রহে জারী জৌলুসে,

ফুয়ূজাত বারাকাত আর হিদায়াত দায়িমান উচ্ছাসে।

ওই আলায়ে আলা, মাহে জুমাদাল ঊলা বরকতে,

সদা চমকেন, আলমে এলেন, গুজারেন এ মাস ইজ্জতে।

পবিত্র জুমাদাল ঊলার ৯ই শরীফ তোহফাতে ইযহার,

তাশরীফ হাদিউল উমাম, আলাইহিস সালাম দ্বীনদারী মাজহার।

২২শে জুমাদাল ঊলা মুবারক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ,

ওই কুল-মাখলুক্ব সবে পারবে না করতে উনার তা’রীফ।

সেদিন নিসবাতুল আযীম শরীফ প্রকাশেন বেমিছাল,

করেন স্বয়ং খ্বালিক্ব, নিয়ে মালায়িক নূরানী ইস্তিক্ববাল।

পবিত্র নিসবাতুল আযীম শরীফ আখিরী রসূল শানে,

উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা আলাইহাস সালামী কুঞ্জনে।

ওই ইবরতি সাগর সেই নিসবতে চমকিছেন দায়িমান,

করি করমে পালন প্রতিবারেই যতন আমরা মুসলমান।

মোরা দ্বীন ইসলাম নিয়ে পুরোটা বিশ্বময়,

জওক শওকে ওই রাখবো পুলোকে বিজয়ীতে নিশ্চয়।

ইমদাদে মুল রব ও রসূল ইমামুল উমাম ভেজে,

দেখি রাখেন উড্ডিন, ক্বওমে মু’মিন, ঈমান্দারীর মোজে।

মুসলিম সবে হও সচেতন টেনে আনো অধিকার,

মুচলেকা আর দিওনা তোমরা তাগুতীর ক্বদমে আর।

হাবীবী সুন্নাহয় সজ্জিত হয়ে লও হৃদে হিম্মত,

থেকে বাতিলী বাহানা করতেই ধুনা দ্বিপ্তীতে আলবত।

রহে পরাশক্তি সব খোরা ময়দানে ধুলিস্যাতের পথে,

রয়, খিলাফতী শান হয়ে জ্যোতিষ্মান ধরণীর শিরে গেঁথে।

আজকে তামাম মু’মিনী আওয়াম ঐকতানের মাঠে,

জিহাদী জোশের জজবাহী শের বজ্র আওয়াজে পঠে।

 

ওই ইমামুল উমাম সুলত্বানু নাছীরী তাজে সজ্জিত শির,

দেখ হে মু’মিন, ছেড়ে গমগিন, তিনি তো আলমগীর।

পিছে আর নয় করবোই জয় বিশ্বটা বিলকুল,

ওই ইমাম মোদের খোদ বখোদ রব্বানী মকবুল।

 

তিনি জগতের জীবন্ত নূর, মিছদাকে জুলজালাল,

গোটা মুসলিম, ভেজে তাসলীম, জানাচ্ছেন ত্বলায়াল।

তিনি ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, খোদ কামাল শুনরে তাগুতবাদি,

হল ছারখার, রোবেই উনার, তোদের লোলুপ গদি।

-বিশ্বকবি মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।

 

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮১

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮৩

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৯৩